24/06/2025
নবাবগঞ্জের হারানো ঐতিহ্যের পথে একদিনের ভ্রমণ
ঢাকার গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার থেকে মাত্র ৪৪ কিমি দূরে এক বিস্মৃত ইতিহাস ছড়িয়ে আছে নবাবগঞ্জ থানার কোকিলপেয়ারী, ভাগ্যকূল আর বান্দুরার অলিগলিতে।
ইছামতী, ধলেশ্বরী, পদ্মা ও বুড়িগঙ্গার মাঝখানে অবস্থিত এই নবাবগঞ্জ একসময় ছিল জমিদারদের প্রাচুর্যের প্রতীক। ভাগ্যকূলের জমিদার যদুনাথ সাহা তার চার পুত্রের জন্য চারটি অসাধারণ প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন, যেগুলো আজও দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের নিরব সাক্ষী হয়ে।
১৯০০ সালের আশেপাশে নবাবগঞ্জে গড়ে উঠেছিল কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ি, উকিল বাড়ি, আদনান প্যালেসসহ অসংখ্য ইমারত, যেগুলোর অনেকগুলোর স্থপত্যশৈলী ইউরোপীয় ও উপমহাদেশীয় প্রভাবমিশ্রিত।
কিন্তু দেশভাগ (১৯৪৭), রাষ্ট্রভাগ (১৯৪৮) ও মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১)-এর পর বহু জমিদার পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়। কেউ কেউ চলে যান ঢাকাতেও। বর্তমানে এসব প্রাসাদ ও জমি নিয়ে চলছে মামলা, কেউ কেউ ব্যবহার করছে প্রতিষ্ঠানিক বা সরকারি কাজে।
🏛 আজও দাঁড়িয়ে থাকা কিছু বিস্ময়
কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ি
উকিল বাড়ি
আদনান প্যালেস
অজস্র নাম না জানা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাসাদ
🚍 কিভাবে যাবেন?
ঢাকার গুলিস্তান থেকে নবাবগঞ্জ এক্সপ্রেস বা নবকলি বাসে চেপে সহজেই পৌঁছাতে পারবেন।
ভাড়া: ৮০–১২০ টাকা (এসি/নন এসি)
সময়: ১ ঘন্টা ১০-১৫ মিনিট (জ্যাম না থাকলে)
🎒 দিনভ্রমণের জন্য একদম পারফেক্ট। সবার আগে নিজের চোখে দেখে নিন হারিয়ে যাওয়া বাঙালির আভিজাত্য, ইতিহাস আর সংস্কৃতির সাক্ষ্যবাহক এই প্রত্নস্থাপনাগুলো।
🙏 এই গ্রুপের সবাইকে ধন্যবাদ, যাদের লেখা পড়ে আমি এত সুন্দর এক ঐতিহাসিক জায়গার সন্ধান পেয়েছি।
---
📘 অতিরিক্ত তথ্য বা বইয়ের সন্ধান:
নবাবগঞ্জ, বান্দুরা ও আশপাশের জমিদার বাড়ি নিয়ে লিখিত বই বা গবেষণা খুব বেশি নেই, তবে আপনি নিচের সোর্সগুলো খুঁজে দেখতে পারেন—
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রিপোর্ট (Department of Archaeology, Bangladesh)
লোকসংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র (Bangla Academy)
স্থানীয় ইতিহাসবিষয়ক থিসিস বা গবেষণা প্রতিবেদন (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে)
Copied from social media