07/08/2024
সাম্প্রতিক বিষয়সমূহে তালিকা আকারে ট্রেন্ডফিড এর সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা।
১। সারা দেশের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। যার মূলে রয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়তা।
২। শুধুমাত্র আওয়ামী পরিবারের উপর আক্রমণ হয়েছে, রাজনীতি নিরপেক্ষ সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হয় নি - এ কথা সঠিক নয়। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট পরিবার, সংখ্যালঘু, ছাড়াও সাধারণ মানুষ ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এই মুহূর্তে, বিশেষ করে রাতের বেলা। ইতোমধ্যে তারা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সহিংসতায় হারিয়েছে প্রান। আজ বিকেলেও পঞ্চগড় সহ অন্যনায় সীমান্তবর্তী এলাকায়, মানুষ নিরাপত্তার খোঁজে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
৩। সেনাবাহিনী যথেষ্ট সচেষ্ট থাকার পরেও, সেনাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা কম থাকার কারনে, দ্রুত সাড়াপ্রদান ব্যহত হচ্ছে।
৪। কিছুক্ষেত্রে সেনাবাহিনী গুজব-বিভ্রান্তির সম্মুখীন হচ্ছে।
৫। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছাত্র ও তরুণ সমাজ শহরের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত, রাস্তার ধারে দেয়ালগুলো নতুন করে রং করা, এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করছে, মিলছে জনতার সমর্থন।
৬। সামাজিক মাধ্যমে একদিকে যেমন নতুন করে সক্রিয় হওয়া রাজনৈতিক দলের পক্ষে প্রচারণা দেখা যাচ্ছে, আবার একই দিকে বিপুল পরিমানে কেন তাদেরকে প্রতিহত করা উচিৎ, এবিষয়েও বিপুল সংখ্যক জনমত পরলক্ষিত হচ্ছে।
৭। দেশে বিপুল পরিমানে ভাস্কর্য ও স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
৮। দেশে ও দেশের বাইরে কিছু মহল আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, ও রাষ্ট্র কায়েম করার মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে প্রচার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ক্যাম্পেইন করছে।
৮। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সম্পূর্ণ প্যানেল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।
আমাদের পর্যালোচনাঃ
ডঃ ইউনুস দেশে না থাকা, এবং বিভিন্ন মহল থেকে সরকার গঠন প্রভাবিত করার প্রচেষ্টায়, নানা মহলের নানান ব্যক্তিবর্গের নাম প্রস্তাব, তাদের সাথে আলোচনা, এবং নীতি নির্ধারকদের চুলচেরা বিশ্লেষণের কারনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সরকার ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় সহিংসতা ও লুট রোধে এলাকাভিত্তিক মানুষের সংগঠিত হওয়া উচিত, এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীকে সহায়তা করা উচিৎ। তরুণ সমাজ, এবং আন্দোলন সমন্বয়কারীগণ এই মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত হলেও, দেশে চলমান সহিংসতা ও নৈরাজ্য রোধে তাদের আরও কার্যকর ভুমিকা পালন করা উচিৎ। পুলিশবাহিনীর সংস্কারকার্যক্রম ও অতিসত্বর সম্পন্ন করা উচিৎ। ছাত্র-জনতার এখন থেকেই সন্ত্রাস, দুর্নীতি, ধর্মান্ধতা, সহিংসতা বর্জনে, ও সুশাসন নিশ্চিতে এর জোরদার প্রচারণা চালানো উচিৎ।
ট্রেন্ড আগামীতেও সমসাময়িক বিষয় পর্যালোচনা ও উপস্থাপন করবে। এক্ষেত্রে আপনার মতামত আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।