প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon

প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon মননে ঐতিহ্যিক, প্রকাশে নতুনত্ব

03/12/2025

শহীদ মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের লেখা সর্বশেষ বই।
'ফাঁসির সেল থেকে দেখা বাংলাদেশ'

অধ্যাপক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশে ইসলামি আন্দোলন ও ইসলাম চর্চার অঙ্গনে একটি বহুল পরিচিত নাম। তিনি দীর্ঘ চার দশক ধরে কুরআন ...
01/12/2025

অধ্যাপক মফিজুর রহমান, বাংলাদেশে ইসলামি আন্দোলন ও ইসলাম চর্চার অঙ্গনে একটি বহুল পরিচিত নাম। তিনি দীর্ঘ চার দশক ধরে কুরআন হাদিসের প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছেন। তাঁর রচিত অসংখ্য দারস বিভিন্ন বই, পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা সেসব লেখা থেকে কিছু সুুনির্বাচিত ও সুসম্পাদিত দারসের সংকলন ‘নির্বাচিত দারসুল কুরআন ও নির্বাচিত দারসুল হাদিস।

দারসুল কুরআন ও নির্বাচিত দারসুল হাদিসের এই সংকলনটি দাওয়াত, তারবিয়াত ও ইকামতে দ্বীনের অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।

প্রচ্ছদ প্রকাশনের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত। পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেন...
29/11/2025

প্রচ্ছদ প্রকাশনের বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত। পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রখ্যাত দাঈ ও লেখক অধ্যাপক মফিজুর রহমান প্রচ্ছদ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'নির্বাচিত দারসুল কুরআন ও দারসুল হাদিস' বইয়ের জন্...
24/11/2025

প্রখ্যাত দাঈ ও লেখক অধ্যাপক মফিজুর রহমান প্রচ্ছদ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত 'নির্বাচিত দারসুল কুরআন ও দারসুল হাদিস' বইয়ের জন্য রকমারি কর্তৃক বেস্টসেলার লেখক মনোনীত হয়েছেন।

লেখকের প্রতিনিধি হিসেবে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রচ্ছদ প্রকাশনের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান। অপরাপর অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত লেখক ও অতিথিদের সাথে মঞ্চে।

সাম্প্রতিককালে লক্ষ করছি, কতিপয় লেখক ও গবেষক ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে কঠোর সমালোচনায় বেশ সরব। তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে আবার ন...
23/11/2025

সাম্প্রতিককালে লক্ষ করছি, কতিপয় লেখক ও গবেষক ইসলামী ব্যাংকিং নিয়ে কঠোর সমালোচনায় বেশ সরব। তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে আবার নানা যুক্তি দিয়ে ইসলামী ব্যংকিংকে ‘পুঁজিবাদের আধুনিক সংস্করণ’ বলে মন্তব্য করতেও দেখছি। তাদের ধারণা হলো-বর্তমান পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থায় কিংবা অনৈসলামিক রাষ্ট্রে ইসলামী ব্যাংকিং সম্ভব নয়। তাদের মতে-সুদভিত্তিক পরিচালিত রাষ্ট্রে সুদবিহীন ব্যাংক বলে কিছু হতে পারে না; অন্তত এর সাহায্যে ইসলামী অর্থব্যবস্থার মহৎ উদ্দেশ্য-মানবকল্যাণ ও আর্থসামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পদের সুষম বণ্টন প্রভৃতি-অর্জন করা সম্ভব নয়।

আমাদের কথা হলো-অনৈসলামিক রাষ্ট্রেও ইসলামিক ব্যাংকিং সম্ভব। ব্যাংকের মোটাদাগে যে ফাংশনগুলো রয়েছে, তার প্রত্যেকটিকে আলাদা আলাদা করে সুদমুক্ত করা সম্ভব; সম্ভব ইসলামের বিধিবিধান মোতাবেক পরিচালনা করা; সম্ভব একে মানবকল্যাণ ও আর্থসামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় যথাসম্ভব সর্বোচ্চ ব্যবহার করা। কিন্তু এতে প্রয়োজন কয়েকটি পক্ষের সমন্বিত প্রচেষ্টা। পক্ষগুলো হলো-
ক. গ্রাহক,
খ. ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড অব ডিরেক্টরস,
গ. ব্যাংকের স্টাফ ও দক্ষ জনবল,
ঘ. শরীয়া বোর্ড, শরীয়া রিভিউ ও অডিট-এককথায় শরীয়া গভর্নেন্স,
ঙ. কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেগুলেশন ও
চ. আইন।

এ প্রচেষ্টার পেছনে প্রয়োজন ধৈর্য, পরিশ্রম, সদিচ্ছা, সততা, জ্ঞান ও দক্ষতা- যা একটি দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপার। অকস্মাৎ এক দিনেই সব ঠিক হয়ে যাবে, তা নয়। বর্তমানে যারা ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য চেষ্টা করছেন, পুরো বিশ্বেই সকলেই নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং ধাপে ধাপে ভালো করার চেষ্টা করছেন।

উল্লেখ্য, যারা মনে করেন, ব্যাংকিং কখনও সুদমুক্তভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়, ইসলামাইজেশন সম্ভব নয়-আমরা তাদের সাথে একমত নই। আমরা বলছি না, তাদের নিয়ত ভালো নয়; কিন্তু সামগ্রিক বিচারে তাদের এ কথার ফলাফল যে সুখকর নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তারা সম্ভবত মনে করেন, অনৈসলামিক রাষ্ট্রে সুদ থেকে যেহেতু পুরোপুরি বের হওয়া কখনও সম্ভব নয়, তাই সুদযুক্ত ব্যাংকের সাথে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম চালানো, লেনদেন করা দূষণীয় নয় এবং এ ধারণা থেকেই তারা হয়তো আজীবন সুদের মধ্যেই কাটান। অপরদিকে যারা মনে করেন, সুদমুক্ত ব্যাংকিং সম্ভব; কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে উঠছে না, তারা সেই কারণগুলো নির্ণয় করে ধাপে ধাপে সেগুলো থেকে উত্তরণের চেষ্টা করেন।

আমরা মনে করি, উভয় পক্ষেরই নিয়ত নিশ্চয় ভালো; কিন্তু এক পক্ষের বক্তব্যের ফলাফলে সুদযুক্ত অর্থব্যবস্থা শক্তিশালী হয় এবং অন্য পক্ষের কাজকর্মের কারণে সুদমুক্ত ব্যবস্থার দিকে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। বাস্তবে সুদমুক্ত ব্যাংকব্যবস্থা ও যাকাতভিত্তিক পুঁজিবাজার তৈরির লক্ষ্যে গত অর্ধশতাব্দীকাল ধরে বিশ্বের বড়ো বড়ো ফকীহ ও মুসলিম অর্থনীতিবিদগণ সুদীর্ঘ সময় ব্যয় করেছেন, গবেষণা করেছেন, সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সুখের বিষয় হলো-এর ফলে আজ পুরো বিশ্ব হাঁটিহাঁটি পা পা করে ইসলামী ব্যাংকিং ও ফাইন্যান্সের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে

বই : ইসলামী ব্যাংকিংয়ে শরীয়া পরিপালন ও লঙ্ঘন : সমস্যা ও উত্তরণ ভাবনা
লেখক : ড. আহমদ আলী

পুরুষের প্রতি নারীদের সবচেয়ে কমন অভিযোগ হলো—‘স্বামী আমার কথা শোনে না।’ নারী যখন তার পুরুষের সাথে কথা বলে, তখন পুরুষ হয় ত...
23/11/2025

পুরুষের প্রতি নারীদের সবচেয়ে কমন অভিযোগ হলো—‘স্বামী আমার কথা শোনে না।’ নারী যখন তার পুরুষের সাথে কথা বলে, তখন পুরুষ হয় তার কথা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে অথবা কিছুটা শোনেই সঙ্গীর সমস্যাকে মূল্যায়ন করে ফেলে; অতঃপর সঙ্গীর মন ভালো করার জন্য নিজের মনমতো একটি তাৎক্ষণিক সমাধান দিয়ে দেয়। পুরুষ গোলকধাঁধায় পড়ে যায়, যখন দেখে সঙ্গী তার এই ভালোবাসার নিবেদনে খুশি হয়নি। নারী যতবারই বলছে যে, তুমি আমার কথা শুনছ না, কিন্তু পুরুষ তাতে কর্ণপাত করে না; বরং সে আগের মতো চলছে তো চলছেই। নারী চাচ্ছে সহমর্মিতা; কিন্তু পুরুষ মনে করছে, সে চাচ্ছে সমাধান।

নারীর প্রতি পুরুষের সবচেয়ে কমন অভিযোগ হলো—নারী সবসময় তাদের পরিবর্তন করার চেষ্টা করে। যখন একজন নারী তার পুরুষকে ভালোবাসে, তখন সে অনুভব করে, পুরুষকে বিকশিত হতে সাহায্য করা তার একান্ত কর্তব্য। পুরুষ যেভাবে কার্যসম্পাদন করছে, তাতে উন্নতির জন্য তাকে সহযোগিতা করা দরকার। নারী যেন এক গ্রহ-উন্নয়ন কমিটি গঠন করে বসেছে। আর স্বামী বেচারা হয়ে পড়েছে তার উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রধান বিষয়বস্তু। স্বামী তার স্ত্রীর সাহায্য নিতে যতই অনাগ্রহ প্রদর্শন করুক না কেন, স্ত্রী নাছোড়বান্দা! নারী কেবল প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে, কখন স্বামীকে সাহায্যের একটা সুযোগ পাওয়া যাবে কিংবা কীভাবে কী করতে হবে, সে সম্পর্কে নির্দেশনা দেওয়া যাবে। নারী ভাবছে, সে তার স্বামীকে বিকশিত হতে সহযোগিতা করছে। অন্যদিকে স্বামী ভাবছে, তাকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মূলত পুরুষ স্ত্রীর সহযোগিতা চায় না; বরং চায় সমর্থন।
এ দুটি সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করা সম্ভব। প্রথমে বুঝতে হবে, পুরুষ কেন সমাধান পেশ করে আর নারী কেন উন্নতিবিধান করতে চায়।

বই : মেন আর ফ্রম মার্স উইমেন আর ফ্রম ভেনাস
লেখক : ড. জন গ্রে
রূপান্তর : মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে অফিস অব দ্য হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (Office of the High Commissioner...
23/11/2025

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে অফিস অব দ্য হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (Office of the High Commissioner for Human Rights : OHCHR) ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে একটি স্বাধীন তথ্য-অনুসন্ধানী (ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং) তদন্ত পরিচালনা করে, যা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক বিক্ষোভ ও উত্তেজনা এবং তার তাৎক্ষণিক পরিণতির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়। সংগৃহীত সকল তথ্যের ব্যাপক ও স্বাধীন মূল্যায়নের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর মনে করে যে, প্রাক্তন সরকার এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো, আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট সহিংস উপাদানগুলোর সাথে মিলে পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে লিপ্ত ছিল। এর মধ্যে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের গুরুতরভাবে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে আহত করা, ব্যাপক নির্বিচার গ্রেফতার ও আটক, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ অন্তর্ভুক্ত। ওএইচসিএইচআর-এর যুক্তিসঙ্গত বিশ্বাস রয়েছে যে, এই মানবাধিকার লঙ্ঘনগুলো রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, সমন্বয় ও নির্দেশনার মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল বিক্ষোভ ও সংশ্লিষ্ট ভিন্নমত দমন করা। এই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকেও উদ্বেগের বিষয়, যা অতিরিক্ত ফৌজদারি তদন্তের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করে; যাতে নির্ধারণ করা যায় যে, এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে নির্যাতন ও দেশীয় আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধের পর্যায়ে পড়ে কি না।
৫ জুন, ২০২৪ তারিখে উচ্চ আদালতের একটি রায়ের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত এই বিক্ষোভের তাৎক্ষণিক কারণ ছিল। তবে দেশের জনগণের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে আরও গভীর অসন্তোষ ছিল, যার শেকড় প্রোথিত ছিল রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কাঠামোর মধ্যে। ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার না পাওয়ার কারণে এটি আরও প্রকট হয়ে উঠেছিল। নারী-শিশুসহ বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন সামাজিক, পেশাগত ও ধর্মীয় পটভূমি থেকে এসে অর্থবহ সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবিতে এই বিক্ষোভে যোগ দেয়।প্রাক্তন সরকার জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ দমন করতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই বিক্ষোভগুলোকে পদ্ধতিগতভাবে দমন করার জন্য ক্রমবর্ধমান সহিংস পন্থা অবলম্বন করে।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে প্রাক্তন সরকার ও আওয়ামী লীগ ক্রমবর্ধমান সংখ্যক সশস্ত্র শক্তি সংহত করে। প্রথমদিকে, আওয়ামী লীগের নেতারা (যার মধ্যে সরকারের মন্ত্রীরাও অন্তর্ভুক্ত) ছাত্রলীগের সমর্থকদের উসকে দেয়। ছাত্রলীগ বিভিন্ন ধরনের ভোঁতা ও ধারালো অস্ত্র এবং কিছু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে ও আশপাশে শান্তিপূর্ণভাবে সমবেত ছাত্রছাত্রীদের ওপর আক্রমণ চালায়। শিক্ষার্থীরা কখনও কখনও আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকার আরও গুরুতর সহিংসতার আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশ পুলিশ আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সমর্থকদের সহযোগিতায় ১৭ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি প্রধান বিক্ষোভসহ শান্তিপূর্ণ ছাত্র বিক্ষোভকে অত্যধিক ও অপ্রয়োজনীয় শক্তি প্রয়োগ করে দমন করে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থি।

বাংলাদেশে ২০২৪ সালের
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত
মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়ন
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের
তথ্য-অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
অনুবাদ : রোকন উদ্দিন খান

আল কুদসগাজি সালাহুদ্দিন আইয়ুবি রাজনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক—এসব সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সংস্কার সাধনের পর তাঁ...
22/11/2025

আল কুদস

গাজি সালাহুদ্দিন আইয়ুবি রাজনৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক—এসব সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সংস্কার সাধনের পর তাঁর সেনাবাহিনীকে ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে সেই মহাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে আদেশ করেন, যেটি ইসলামি সালতানাতের ওপর ক্রুসেডারদের আক্রমণের শুরু থেকে দীর্ঘকালব্যাপী চলে আসা লড়াইয়ের ইতিহাসকে নতুনভাবে লিখতে বাধ্য করে। এই মোকাবিলা ‘হিত্তিনের যুদ্ধ’ নামে প্রসিদ্ধ। এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২২ রবিউস সানি, ৫৮৩ হিজরি মোতাবেক ১ জুলাই, ১১৮৭ খ্রিষ্টাব্দে। এটি ছিল মুসলিম ভূখণ্ডে ক্রুসেডার কর্তৃক আক্রমণের সূচনার প্রায় ৯০ বছর পর।
ফিলিস্তিনের হিত্তিন অঞ্চলে ক্রুসেডাররা তেষট্টি হাজার অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনীকে একত্রিত করে। দুই দলই বুঝতে পেরেছিল যে, এটি হচ্ছে চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণকারী যুদ্ধ। ক্রুসেডের ইতিহাস লিপিবদ্ধকারী বিখ্যাত ঐতিহাসিক ইবনে শাদ্দাদের (৬১৩-৬৮৪ হি.; ১২১৭-১২৮৫ খ্রি.) ভাষায়—
“দুই দলের প্রত্যেকেই জেনে গেছে যে, এখানে যে দল হেরে যাবে, সে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হবে। তাদের জীবনের বিনাশ ও ভূমি হাতছাড়া হওয়া অবধারিত। কারণ, হিত্তিন হলো জেরুসালেম নগরীর প্রবেশদ্বার—যে নগরী সংঘাতের মূল কেন্দ্রবিন্দু।”
জুলাই মাসের গ্রীষ্মের তাপদাহকে আরও উষ্ণ করে তুলেছে ক্রুসেডশক্তির চারপাশে ছড়িয়ে দেওয়া আইয়ুবি বাহিনীর লড়াইয়ের আগুন। দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ ও লড়াইয়ে সেই উত্তাপ-উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করে।
ইতিহাসবিদ ম্যাক্সিমাস মনরন্ড লিখেছেন,
“উভয় পক্ষের মধ্যে এমন তুমুল লড়াই চলছিল যে, পাখির ছোটাছুটির ন্যায় বাতাসে তিরের ছোটাছুটি পরিলক্ষিত হচ্ছিল! আর তরবারি থেকে ঝরা রক্ত, বৃষ্টির পানির মতো জমে ছিল জমিনে!”
অবশেষে হিত্তিন রণাঙ্গনে যখন ক্রুসেডার রাজা গাই অব লুজিনানের (Guy of Lusignan) বাহিনী পরাজিত হয় এবং রাজা তাঁবু খুলে পলায়ন করে, তখন সালাহুদ্দিন আইয়ুবি এই মহাবিজয়ের শুকরিয়াস্বরূপ ঘোড়া থেকে নেমে আল্লাহর রাহে মাটিতে সিজদায় লুটিয়ে পড়েন। এই বিজয় তাঁর জন্য পবিত্র আল-কুদসের পথ খুলে দেয়।
ঐতিহাসিক আবু শামা (৫৯৯-৬৬৫ হি.; ১২০২-১২৬৭ খ্রি.) সেদিনের ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন—
“সেদিন এত অধিকসংখ্যক ক্রুসেডার নিহত হয়েছিল যে, তাদের কেউ দেখলে বলবে—বন্দি করার মতো হয়তো তাদের মধ্যে আর কেউ বেঁচে নেই। অপরদিকে অধিকসংখ্যক বন্দিদের দেখলে বলবে—সেখানে হয়তো নিহত কেউ নেই, সবাইকে বন্দি করা হয়েছে। শামের উপত্যকায় ফিরিঙ্গিদের দখলদারির পর থেকে মুসলিমদের আজকের মতো অর্জন আর অর্জিত হয়নি।”
গাজি সালাহুদ্দিন আইয়ুবি কয়েক ডজন গ্রাম, শহর, কেল্লা ও দুর্গ স্বাধীন করার পর তাঁর বাহিনীকে জেরুসালেম অবরোধের নির্দেশ দেন—যেই জেরুসালেমের অধিকার নিয়েই সংঘাত ও সংঘর্ষ। ফিলিস্তিনের গাজা বিজয় অর্জন করার পর কবি ইমাদ সালাহুদ্দিন আইয়ুবিকে উদ্দেশ্য করে কাব্যিক ভাষায় বলেন—
غزوا عقر دار المشركين بغزة + جهاراً وطرف الشرك خزيان مطرق
وهيجت للبيت المقدّس لوعة + يطول بها منه إليك التشوّق
هو البيت إن تفتحه، والله فاعل + فما بعده باب من الشام مغلق .
“তারা গাজায় মুশরিকদের আস্তানায় প্রকাশ্যে হেনেছে আঘাত,
ফলে শিরিকের দোস্তদের হয়েছে আজ চরম অপমান ও মুণ্ডুপাত।
হৃদয়ের দহন বেড়েছিল বহু, বায়তুল মাকদিসের বিরহব্যথায়,
বিজয়ের তরে পবিত্র গৃহ সদা ছিল ব্যাকুল আপনার অপেক্ষায়।
আল্লাহ করুন, যদি এই ঘর হয় অবমুক্ত,
তবে রবে না শামের পানে কোনো দ্বার রুদ্ধ।”
আসলেই, আল-কুদস হচ্ছে মর্যাদার প্রতীক, স্বাধীনতার চূড়ান্ত মনজিল ও বিজয়ের চাবি।

চার বছর পর ২০২৯-এ ইংল্যান্ড থেকে যখন দেশে ফিরলাম, প্রত্যাশা ছিল এদেশে হয়তো ব্যাপক পরিবর্তন দেখব। যে ছেলেটি গলায় লেক্সাস ...
22/11/2025

চার বছর পর ২০২৯-এ ইংল্যান্ড থেকে যখন দেশে ফিরলাম, প্রত্যাশা ছিল এদেশে হয়তো ব্যাপক পরিবর্তন দেখব। যে ছেলেটি গলায় লেক্সাস বিস্কুটের প্যাকেট জড়িয়ে ছুটে গিয়ে আন্দোলনকারীদের হাতে বিস্কুটের প্যাকেট ধরিয়ে দিচ্ছিল, তারপর ৫ আগস্টে শনির আখরায় স্নাইপারের গুলিতে শহীদ হয়, যে বোনেরা ভাইয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে মিছিল করেছিল, যে মা ছয় মাস পর্যন্ত ছেলের খোঁজে রাস্তায় বসে থাকত, তাদের স্বপ্ন বোধহয় কিছুটা হলেও পূরণ হয়েছে!

কিন্তু হতাশার সাগরে ডুবলাম।

মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে এদেশের মানুষ সব ভুলে গেল। অথবা ভুলিয়ে দেওয়া হলো। জুলাই যেন সবার গলার কাঁটা। জুলাইয়ের শহীদদের নাম কোথাও নেই। জুলাই যেটুকু টিকে আছে, তা ‘ব্যাবসা’র স্বার্থে। সত্যিকার স্পিরিট কারও মাঝে নেই।

আমি আলমগীরের বইপত্র ঘাঁটতে গিয়ে চার-পাঁচটি মোটা মোটা নোটবুক পাই। খুলে পড়তে পড়তে আমি মুগ্ধ থেকে মুগ্ধ হতে থাকি। প্রতিদিন ইউনিভার্সিটি থেকে ফিরে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়ি। সবগুলো গল্প পড়তে প্রায় এক মাস লেগে যায়। গুণে দেখি, মোট ৬৬টি গল্প। সবগুলো গল্পই অসাধারণ।

একদম শেষ গল্পের সাথে একটা চিরকুট পাই। হলুদ কালারের একটা কাগজ স্ট্যাপলিং করে লাগানো। মোটা কালিতে লেখা-
“ভাইয়া, আমার এ জীবনের জন্য আমি তোমার কাছে ঋণী। তোমাকে আমি শুধু কষ্টই দিয়েছি। তোমার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। আমার এ গল্পগুলো আমার পক্ষ থেকে তোমার জন্য ছোট্ট উপহার। আমি যদি ফিরে না আসি, এ গল্পগুলো তুমি তোমার নামে ছাপাবে। এটা আমার শেষ অসিয়ত।”

ভাবনার অতল তলে তালিয়ে যাই। আমার ভাই। আমার ভাই। একা একাই চিৎকার করে উঠি। হাউমাউ করে কাঁদি।

প্রতিজ্ঞা করলাম, আমি তার শেষ ইচ্ছে পূরণ করব। তবে এমনভাবে করব, যাতে একদিন জুলাই ফিরে আসে। রক্তাক্ত জুলাইকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এক যুগ দুই যুগ পরে হলেও জুলাইকে আবার জাগিয়ে তুলব। জুলাইয়ের সব শহীদ পরিবারের মর্যাদা ফিরিয়ে আনব।
স্বপ্ন দেখলাম, একদিন শুধু আমার ভাই নয়, জুলাইয়ের সব বীরদের মানুষ আবার শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। যে স্বপ্ন আর যে সাহস নিয়ে তারা লড়াইয়ে নেমেছিলেন, সেই স্বপ্নের কথা এদেশের তরুণরা আবার জানবে। আবার উদ্বুদ্ধ হবে।

মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিলাম।

অবশ্য নিজের নামে বই ছাপাতে গিয়ে কিছুটা দ্বিধাও লাগছিল। নিজেকে প্রতারক মনে হচ্ছিল। মনকে সান্ত্বনা দিলাম, নিয়তের ব্যাপারে তো আল্লাহই ভালো জানেন। সারা পৃথিবীর মানুষ ভুল বুঝলেও আল্লাহ মানুষকে ভুল বোঝেন না।

অধ্যাপক জুবায়েরের পরিচিত এক প্রকাশক ছিল। তার মাধ্যমে ছাপিয়ে দিলাম প্রথম বই। প্রতি বইয়ে তিনটির বেশি গল্প না ছাপানোর পরিকল্পনা করলাম।

বই ছাপানোর পর প্রতিদিন খোঁজ নিতাম। নাহ, কেউ বই কেনেনি। কেনে না।

দেড় মাস পার হলো। একদিন লেখক পরিচিতিতে আমার নাম দেখে ডিপার্টমেন্টের এক ছেলে ক্লাসের সবাইকে বইয়ের কথা জানায়।

এরপরের ইতিহাস সবার জানা। নতুন করে কিছু বলার নেই।

আমি সফল হলাম কি না, তা জানার সুযোগ আমার নেই। কারণ, যেদিন সফলতা বা ব্যর্থতার হিশাব হবে, সেদিন আমি দুনিয়াতে থাকব না।

তরুণ প্রজন্মকে বলব, ২৫ বছর আগে জুলাইয়ে কেন একদল ‘পাগল’ সব পিছুটান ভুলে এভাবে রাস্তায় নেমে এসেছিল, একবার জানার চেষ্টা করো।

বয়স্কদের বলব, তোমরা শহীদদের সাথে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছ, তোমাদের ক্ষমা নেই। মরেও তোমরা শান্তি পাবে না।

ডায়েরি পড়া শেষ হলো। সবাই বাক্রুদ্ধ হয়ে রইল। কারও মুখে রা নেই। যে যেখানে ছিল, সেখানেই বসে রইল। কী থেকে কী হয়ে গেল কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না। রুমের ভেতর পিনপতন নীরবতা। সবাই সবার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে। কিন্তু কারও মুখ হতে কোনো শব্দ বেরুল না।

এ বছরই জুলাইয়ে ‘অবিশ্বাস্য ইতিহাস’ নামে তিনটি গল্প নিয়ে একটি বই বেরুলো। লেখকের নামের স্থলে লালকালিতে লেখা আছে-
শহীদ আওরঙ্গজেব মুহাম্মদ আলমগীর।

প্রচ্ছদে ছাপা হলো সেই চিঠি। ৫ তারিখ সকালে যে চিঠি লিখে বেরিয়ে গিয়েছিলেন লেখক
“ভাইয়া,

তুমি আমাকে ভুল বোঝো না। শাহানা বড়ো দুঃখী মেয়ে। এই দুনিয়াতে ওর কেউ নেই। আমি ওর দায়িত্ব নিয়েছিলাম। আমি যদি না ফিরি, ওকে দেখো। ভালো ছেলে দেখে ওকে বিয়ে দিয়ে দিয়ো। আমার অনাগত সন্তানের সব দায়িত্ব তোমাকে দিয়ে গেলাম।
শাহানা,

তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়ো। তোমার দুঃখ ঘোচাতে পারলাম না। যে ভরসা নিয়ে তুমি আমার হাত ধরেছিলে, তোমার সে আশা পূরণ করতে পারলাম না। ভাইয়ার কথামতো চলো।

সন্তানের উদ্দেশে-
(ফাঁকা, কিছুই লেখা নেই। কে জানে! হয়তো লিখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু লেখার ভাষা খুঁজে পাননি। কিংবা নীরবতা দিয়েই বুঝিয়ে গেছেন সব কথা।)”

বই : সূর্যগ্রহণ
লেখক : কাউসার আলম
ধরণ : জুলাই উপন্যাস

তখন মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। আনুমানিক রাত দুইটার মতো হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কার মধ্যে চলছি। অবশেষে গাড়ি আস্তে আস্তে এক ...
20/11/2025

তখন মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে। আনুমানিক রাত দুইটার মতো হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কার মধ্যে চলছি। অবশেষে গাড়ি আস্তে আস্তে এক জায়গায় গিয়ে থেমে গেল। এরপর প্রচণ্ড ভারী দরজা খুলে যাওয়ার শব্দ শুনলাম। প্রচণ্ড জোরে ঘরঘর করে আওয়াজ হচ্ছে, অনেকটা লোহার দরজার মতো। এরপরে হঠাৎ করে বৃষ্টির শব্দ বন্ধ হয়ে গেল। বুঝলাম, গাড়িটি কোনো একটি বিল্ডিংয়ের মধ্যে প্রবেশ করেছে। বিল্ডিংয়ে প্রবেশের পর আবার ঘরঘর শব্দ করে দরজাটি বন্ধ হয়ে গেল। থেমে গেল গাড়িটি।
বুঝতে পারলাম, আমার আশপাশ থেকে সমস্ত প্রহরী নেমে যাচ্ছে। শুধু একজন প্রহরী আমাকে ধরে বসে থাকল। কিছুক্ষণ পর আবার কিছু লোক এলো। গলার আওয়াজ শুনে বুঝতে পারলাম-নতুন গ্রুপের লোক এরা। কারণ, পুরাতন গ্রুপের লোকদের গলার আওয়াজ কিছুটা পরিচিত হয়েছিল দু-সপ্তাহে। এই গ্রুপের লোকজনকে মনে হলো আরও অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। খুবই খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করছে ওরা। দরজা খুলে দেওয়ার পর একজন আমাকে গালিগালাজ করে বলল, ‘তোর নাম কী?’
‘ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম।’
তাদের গালাগালি আরো বেড়ে গেল। একজন গালি দিতে দিতে বলল, ‘ভাব দেখছিস? কীভাবে নামটা বলে!’
আমি ভাবলেশহীন বসেই থাকলাম। তাদের প্রত্যেকটা কথার সাথে গালাগালি চলছে। সম্ভবত গালি ছাড়া তারা কোনো কথাই বলতে পারে না। এরপর তারা পুরাতন প্রহরীদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করল।
নতুন প্রহরী জিজ্ঞেস করল, ‘তার সাথে কী কী আছে?’
আমি একটি পলিথিন হ্যান্ডওভার করার শব্দ শুনতে পেলাম। এই পলিথিনের মধ্যে আমার ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ছিল। পুরাতন প্রহরী নতুনদের আমার ওষুধ বুঝিয়ে দিচ্ছিল। তখন নতুন প্রহরী গালাগালি করতে করতে বলল, ‘এত খাতির কীসের?’
পুরাতন প্রহরী বলল, ‘এই বন্দি মরতে বসেছিল। এই জন্য এত ধরনের ওষুধ তাকে দেওয়া হয়েছে।’
তারপর খুব আস্তে আস্তে বলতে শোনা গেল, ‘বন্দি যেন মরতে না পারে। ওপরের নির্দেশ আছে।’
চোখ বেঁধে রাখা হলে কান অতিরিক্ত সজাগ হয়ে ওঠে। সেটা বন্দি হওয়ার পর থেকে বুঝতে পারছি। এমনকি কিছু শব্দ পেলাম কাগজে সাইন করার। বুঝতে পারলাম, আমাকে এক বন্দিখানা থেকে আরেক বন্দিখানায় নেওয়া হয়েছে। এজন্য সেখানকার নতুন প্রহরীরা আমাকে বুঝে নিচ্ছে কাগজে সাইন করে। অনেকটা পণ্যের মতো মনে হচ্ছে নিজেকে।
নতুন প্রহরীরা গাড়ির দরজা খুলে আমার জামার কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে নামাল। মুখে গালিগালাজ চলছে অনবরত। তারা টানতে টানতেই আমাকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করল। দুই পাশে দুজন প্রহরী। আগের বন্দিখানায় যখন আমাকে রাতে নিয়ে গিয়েছিল, তারা আমাকে গাইড করছিল-সামনে সিঁড়ি, সামনে নিচু, সামনে উঁচু ইত্যাদি। কিন্তু এই নতুন বন্দিখানায় প্রহরীরা আমার সাথে কোনো কথাই বলছে না। আমার বুঝতে বাকি রইল না-এক ভয়ংকর জায়গা থেকে আমি আরও বড়ো ভয়ংকর কোথাও এসে পড়েছি। সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন এক সময়।

আমাকে অনেকটা টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে আর গালিগালাজ চলছে সমানে। আমার চোখ বাধা, কিন্তু আমি চলাচলের সময় সিঁড়িতে হোঁচট খেলে অথবা পড়ে গেলে তারা এমন গালিগালাজ করছে, যেন দোষ আমার!

আয়নাঘরের সাক্ষী : গুম জীবনের আট বছর
ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম (আরমান)

বই : ইমামুল ওসাতিয়্যাহ ইউসুফ আল কারযাভীসংকলন : মুহাম্মদ আবু সুফিয়ানলেখার ধরণ : জীবন-চিন্তাধারা-অবদানবইটি ৫ পর্বে বিভক্ত ...
20/11/2025

বই : ইমামুল ওসাতিয়্যাহ ইউসুফ আল কারযাভী
সংকলন : মুহাম্মদ আবু সুফিয়ান
লেখার ধরণ : জীবন-চিন্তাধারা-অবদান

বইটি ৫ পর্বে বিভক্ত । ৩৬৮ পৃষ্টার এই বইটিতে রয়েছে ড. ইউসুফ আল কারযাভীকে নিয়ে ২৫ জন বিশ্ববিখ্যাত মনীষীর গুরুত্বপূর্ণ লেখা ও সাক্ষাৎকার ।

সূচিপত্র

# প্রথম পর্ব : অভিবাদন ও মূল্যায়ন

* একজন অগ্রপথিক
মুহাম্মাদ আল গাযালি

* ইউসুফ আল কারযাভী : হার্দিক অভিবাদন গ্রহণ করুন
সাইয়িদ আবুল হাসান আলী নদভী

* আমাদের ফকিহ ইউসুফ আল কারযাভী
আবদুল ফাতাহ আবু গুদ্দাহ

* একজন সত্যিকার আলিমের প্রতিচ্ছবি
ড. হাসান তুরাবি

* স্মৃতিতে ভাস্বর ড. কারযাভী
মুহাম্মাদ তাকি উসমানি

* মাওলানা আবদুরর রহীমের মূল্যায়নে ইউসুফ আল কারযাভী

* ইলম ও দাওয়াহর প্রতিষ্ঠান ইউসুফ আল কারযাভী
কাজী হুসাইন আহমাদ

* আল কারযাভী : মুসলিম উম্মাহর ইমাম
ড. আবদুল্লাহ বিন বায়্যাহ

* যুগের ইমাম ইউসুফ আল কারযাভীর কিছু স্মৃতি
অধ্যাপক ইবরাহিম মুনির

* সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব
ইসমাইল হানিয়া

* আল কারযাভীর অনন্য উপস্থাপন দক্ষতা
ড. আবদুল্লাহ উমর নাসিফ

* একজন যুগশ্রেষ্ঠ আলিম
ড. আবদুল হামিদ আবু সুলাইমান

* জ্ঞান ও দাওয়াতের উজ্জ্বল নক্ষত্র
ড. তারিক আস সুয়াইদান

* শাইখ কারযাভী একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব
ড. মুহাম্মাদ বিন আবদুর রহমান আল আরিফি

# দ্বিতীয় পর্ব : ব্যক্তি ও জীবন

* আমার বাবা ইউসুফ কারযাভী
ড. আবদুর রহমান আল কারযাভী

* যে কথাটি আমি আজীবন ভুলব না
ড. জামাল বাদাভি

* প্রিয় শ্রদ্ধেয় বাবা
ড. আসমা কারযাভী

* এক প্রেমিকের হৃদকলমে
মুহাম্মাদ মুরসি

* উসতায ইউসুফ আল কারযাভীর সংক্ষিপ্ত জীবনচিত্র
ইউসুফ আবদুল্লাহ

# তৃতীয় পর্ব : চিন্তাধারা

* ড. কারযাভী : জীবনসংগ্রাম, লিগ্যাসি ও চিন্তাধারা
ড. ইয়াসির ক্বাদি

* ইউসুফ আল কারযাভী
ফাহমিদ-উর-রহমান

* দাঈদের ফকিহ, ফকিহদের দাঈ
ড. তহা জাবির আল আলওয়ানি

* সুন্নাতে নববি ও ইউসুফ আল কারযাভী
ড. আকরাম জিয়া উমরি

* ইউসুফ আল কারযাভীর ইসলামি রাষ্ট্রতত্ত্ব
ড. হাফিজুর রহমান

* কারযাভীর চিন্তায় ওসাতিয়্যাহ
মু. সাজ্জাদ হোসাইন খাঁন

* ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে কারযাভীর সাত দফা প্রস্তাব
মুসান্না মেহবুব

# চতুর্থ পর্ব : সাক্ষাৎকার, ভাষণ, সফরনামা

* উসতায কারযাভীর সাক্ষাৎকার
ড. সালমান আল আওদাহ

* তাহরির স্কয়ারে কারযাভীর ঐতিহাসিক জুমার খুতবা

* আমার প্রথম বাংলাদেশ সফর
ড. ইউসুফ আল কারযাভী

# পঞ্চম পর্ব : উসতায ইউসুফ আল কারযাভীর রচনাবলি

Address

34, Northbrook Hall Road, Bangla Bazar, Madrasah Market (2nd Floor) Dhaka-1100
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to প্রচ্ছদ প্রকাশন - Prossod Prokashon:

Share

Category