
18/06/2025
19/8/2021দূর্ঘটনার সাবধানতা।
এইমাত্র একটি দুর্ঘটনা দেখে খুব কষ্ট আর কান্না পেলো। সবকিছু আল্লাহর হুকুমে হয় , কিন্তু আল্লাহ আমাদের এমন বুদ্বি বেবেক দিয়েছেন,যা অন্য কোন প্রানী কে দেইনি।বুদ্বি,বিবেক, বিবেচনা করে চললে , আল্লাহ আমাদের সহায়তা করবেন।
আসুন সবাই আমরা দুর্ঘটনা এড়াতে কিছু নিয়মাবলী মেনে চলি।
১)আপনি রাস্তা পারাপার হবেন।ফ্লাইওভার থাকলে কখনোই নিচ থেকে যাবো না।ফুটঅভার দিয়ে চলবো।সবচেয়ে গরুত্বপূর্ন,কখনো কোন গাড়ি, ট্টাক,বাস,এদের সামনে দিয়ে পারাপার হবো না,কারন আমি ডানপাশে কি আসতেছে তা দেখতে পাই না।এভাবেই দূর্ঘটনা ঘটে।এটা খুবই জরুরী।
২)রেল ক্রসিং কখনও রেল দেখলেই আর পারাপার করবো না।সেটা যতদূর থাকুক।
৩)মোটর সাইকেল খুব বেশী দূর্ঘটনা ঘটে।কারন গতি নিয়ন্ত্রণ হীন,অন্য মনসকতা,৩জন চললে,একজন আরেকজনকে টপকাতে, পাকা হাত না হয়ে রাস্তায় বের হওয়া,মহিলাদের ওড়লানা,বোড়কা,সাবধান না রাখা ,সবকিছু মিলিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।
হেলমেট বিহীন কখনো মোটরসাইকেল চালানো উচিৎ না।
৩)যেকোন যানবাহন একটি চলে গেলে আরেক একটি পাবোই,মনে রাখতে হবে জীবনের চেয়ে বড় মূল্যবান কিছু নেই।অতত্রব তাড়াতাড়ি করে কোন যানবাহনে উঠবো না,গরুত্বপূর্ন যতই হোক,তার সমাধান আছে,কিন্তু জীবন চলে গেলে ফিরে আসেনা।
রাগ থেকে আমাদের বেশী দূর্ঘটনা হয়ে থাকে।ছোট ছোট ব্যপারে আমরা হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলি,ভাবতে হবে ভবিষ্যতে আমার কি হাল হবে, সুতরাং রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪)্ররাস্তায় চলাফেরায় অন্য মনস্ক থাকার পরিহার করতে হবে।
৫)একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ,জীবন মূল্যবান, আমার কিছু হলে আমার পরিবারের কি হবে।
সোসাল মিডিয়ায় ,সংবাদ মাধ্যমে, পত্রিকায় দেখতে পাই লঞ,ফেরী,রেল,যেভাবে হুড়োহুড়ি করে উঠে কতলোকের জীবন চলে গেল।এভাবে রিস্ক আর নিবো না।মানুষ মরনশীল চিরন্তন সত্য, কিন্তু অকাল মৃত্যু বড় বেদনা দায়ক।
লেখার কিছু আগে ৩জন মোটরসাইকেল আরোহী ২বাচ্চা ও মায়ের গায়ের উপরে নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে দুর্ঘটনা ঘটলো।নিজেরদের বড় ক্ষতি, সাথে সাথে ৩টি জীবন মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
দয়া করে চালকদের উদ্দেশ্য করে বলছি, আপনারা সাবধানে গাড়ি চালাবেন,আপনার উপর অনেকের জীবনের দায়িত্ব, আপনার পরিবার আপনার উপর নির্ভরশীল, সুতরাং সাবধানে গাড়ি চালাবেন।
চলবে
সম্পূর্ণ নিজের মতামত।