24/08/2025
থেকে।”
বিকালে আম্মু ফিরে আসে। আপুর পা দেখে বলে, “নিশা, আরেকটু সাবধানে থাক। তমাল, তুই ওকে দেখিস।”
আমি হাসি দিয়ে বলি, “আম্মু, আমি তো সারাদিন দেখছি। এখন আপু আমাকে গাধা ডাকছে।”
আপু চোখ টিপে বলে, “গাধা না, তুই আমার হিরো। তবে হিরোর কাজ বেশি, তাই তৈরি থাক।”
সন্ধ্যায় আপু আমাকে ডেকে বলে, “তমাল, চল বারান্দায় বসি।”
আমরা বারান্দায় বসি। শহরের আলো জ্বলছে, হালকা হাওয়া দিচ্ছে। আপু হঠাৎ আমার কাছে এসে বসে, ওর কাঁধ আমার কাঁধে ঠেকে যায়। ওর শরীরের উষ্ণতা আমার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আমি বলি, “আপু, তুই এত কাছে বসলে আমার কিন্তু সুড়সুড়ি লাগবে।”
আপু ফিসফিস করে বলে, “সুড়সুড়ি? তুই যদি সুড়সুড়ি দিস, আমি কিন্তু পাল্টা কুড়কুড়ি দিয়ে দেব।”
আমি ওর কাছে আরেকটু ঝুঁকে বলি, “কুড়কুড়ি? তাহলে তুই প্রথমে শুরু কর। দেখি তোর সাহস কত।”
আপু হঠাৎ আমার গলায় হাত রেখে, ওর ঠোঁট আমার কানের কাছে নিয়ে বলে, “সাহস? আমার সাহস দেখতে চাস? তাহলে ধর।” ওর গরম নিশ্বাস আমার কানে লাগতেই আমার শরীরে একটা বিদ্যুৎ খেলে যায়। আমি ওর কোমরে হাত রেখে বলি, “আপু, এটা কিন্তু খেলা নয়। তুই এমন করলে আমি পাগল হয়ে যাব।”
আপু হেসে বলে, “পাগল হবি? তাহলে আমি কি করব? তুই আমাকে কোলে তুলিস, সুড়সুড়ি দিস, এখন আমি একটু কাছে এলে দোষ?”
আমি ওর চোখে চোখ রেখে বলি, “দোষ না, তবে তুই যদি এত কাছে থাকিস, আমার মাথায় আরেকটু শয়তানি চলে আসবে।”
আপু হাসি দিয়ে বলে, “শয়তানি? তুই শয়তানি করলে আমি কিন্তু ছাড়ব না।”
আমি ওর কোমরে হাতটা আরেকটু শক্ত করে ধরে বলি, “ছাড়বি না? তাহলে আমি আরেকটু এগিয়ে যাই?” আমার হাত ওর কোমর থেকে একটু নিচে নামে, ওর উরুর কাছে। আপু হালকা শিহরণে কেঁপে ওঠে, কিন্তু কিছু বলে না। শুধু আমার চোখে চোখ রেখে বলে, “তমাল, তুই কিন্তু সীমা পার করছিস।”
আমি ফিসফিস করে বলি, “সীমা? তুই যদি সীমা পার করতে দিস, তাহলে আমি কি করব?”
আপু হঠাৎ আমার বুকে মাথা রেখে বলে, “তুই আমার ভাই, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তুই আরেকটু বেশি কিছু।”
আমার শরীরে আগুন জ্বলে ওঠে। আমি ওর চুলে হাত বুলিয়ে বলি, “আপু, তুই যদি এমন বলিস, আমি কিন্তু নিজেকে আর ধরে রাখতে পারব না।”
আপু আমার বুকে আরেকটু ঘনিষ্ঠ হয়ে বলে, “তাহলে ধরে রাখিস না। দেখি তুই কতদূর যেতে পারিস।”
ঠিক তখনই দরজায় শব্দ হয়। আম্মু ফিরে এসেছে। আমরা দুজনেই চমকে উঠি। আপু দ্রুত সরে যায়। আমি হলরুমে চলে যাই। মনে একটা অদ্ভুত উত্তেজনা, একটা গিলটি ফিলি