01/11/2025
১ নভেম্বর থেকে এক এনআইডিতে সর্বাধিক ১০টি সিম, অতিরিক্ত সিম স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিষ্ক্রিয়
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম রাখা যাবে না। এর আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সব অপারেটর মিলিয়ে একজন ব্যবহারকারী সর্বাধিক ১০টি সিম রাখতে পারবেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী জানিয়েছেন, “শনিবার (১ নভেম্বর) থেকে অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে, কোনো এনআইডির নামে ১০টির বেশি সিম সক্রিয় থাকবে না।”
বিটিআরসি জানিয়েছে, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো এবং বিভিন্ন প্রতারণা রোধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনে অথবা *16002 # ডায়াল করে নিজের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন।
সিম বন্ধের প্রক্রিয়ায় ‘দৈবচয়ন’ নীতি অনুসরণ করা হবে। সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেন, “দৈবচয়ন অর্থাৎ র্যান্ডম সিলেকশনের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলো বাছাই করা হবে। কোনো মানবিক সিদ্ধান্ত বা প্রভাবের সুযোগ থাকবে না। পুরো প্রক্রিয়াটি স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। অতিরিক্ত সিমগুলোর মধ্যে কোনগুলো নিষ্ক্রিয় হবে তা কম্পিউটারই এলোমেলোভাবে নির্ধারণ করবে।”
বিটিআরসি আরও জানিয়েছে, আগামী মাসগুলোতে সিম ও মোবাইল ডিভাইস একত্রে ট্র্যাকিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে অবৈধ বা নিবন্ধনবিহীন সিম ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ, যেখানে প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০% গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, ৬–১০টি সিম আছে প্রায় ১৬% গ্রাহকের, আর ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন মাত্র ৩% গ্রাহক।