03/11/2025
গত ১৫ বছর ধরে বাকশাল টিকে থাকার অন্যতম সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে তথাকথিত ছোট দলগুলো। তারা ১৪ দলীয় জোটের হয়ে বারবার ‘নৌকা’ প্রতীকে নির্বাচন করেছে।
এসব ছোট দলের সারা বছর কোনো কার্যক্রম থাকে না। কিন্তু পাঁচ বছর পর তারা নিজ প্রতীকের বদলে বড় দলের প্রতীকে নির্বাচন করে এক প্রকার ভাড়ায় খাটে।
এই প্রবণতা বন্ধ করতে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ায় ২১ ধারায় পরিবর্তন আনে।
এই খসড়া গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদিত হয়। অর্থাৎ জোট করলেও ছোট দলগুলোকে নিজেদের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।
বিএনপি এই ঐতিহাসিক সংস্কারের বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতি শুরু করেছে। তারা ১৪ দলীয় জোটের মতো গৃহপালিত কিছু দল নিয়ে সরকার গঠন করতে চায়।
কিছু নামমাত্র দলের তথাকথিত জাতীয় নেতাকে ‘ধানের শীষ’-এর লোভ দেখিয়ে তাদের রাজনৈতিক কমিটমেন্ট অফ রাখতে চায়।
সরকার যদি বিএনপির চাপে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে, তবে তারা জাতীয় নির্বাচন করতে আয়োজন করতে পারবে না। জামায়াত ও এনসিপিসহ অনেক দলও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
রাজনীতিতে সক্ষমতা ও সততা গুরুত্বপূর্ণ। কারও প্রতীকে ভর না করে যারা নিজেদের রাজনীতি দাঁড় করাতে চায়, তাদের জন্য সবসময় শুভকামনা। বিএনপির প্রত্যেক আসনে নিজ দলের শত শত ত্যাগী নেতাকর্মী আছে। দলটি তাদের মূল্যায়ন করতে পারে।
অপরদিকে, জোট করে ছোট দলগুলো নিজেদের মার্কা নিয়ে নির্বাচন করলে দীর্ঘমেয়াদে তাদের রাজনীতি পরিচিতি পাবে মানুষের কাছে।অন্যের প্রতীকের ভরসায় নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়া মানে পরগাছার রাজনীতি করা।