Computer Bichitra

Computer Bichitra Computer Bichitra is the one of the leading `Information and Communication Technology (ICT) related monthly magazine in Bangladesh.

মোমো কিস্তিতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই কিনুন ভিভো ওয়াই৪০০ ক্রেডিট কার্ডের কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই, সহজেই মোমো কিস্তিতে ভিভো ওয়াই...
09/08/2025

মোমো কিস্তিতে ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই কিনুন ভিভো ওয়াই৪০০

ক্রেডিট কার্ডের কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই, সহজেই মোমো কিস্তিতে ভিভো ওয়াই৪০০ কেনার সুযোগ দিচ্ছে ভিভো। ৩ থেকে ৬ মাস মেয়াদি এই কিস্তিতে ফোনের ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ইএমআই সুবিধায় ক্রেতারা সহজেই ফোনটি কিনতে পারবেন। সাশ্রয়ী কিস্তি এবং আধুনিক ফিচারের সমন্বয়ে ভিভো ওয়াই৪০০ হাতে পাওয়া এখন আরও সহজ।

আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি সম্পন্ন ভিভো ওয়াই৪০০ এ থাকছে আইপি৬৮ ও আইপি৬৯ রেটিংস। ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুটি ভিন্ন স্টোরেজ অপশনে। ৮ জিবি র‍্যামের সঙ্গে ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ২৭,৯৯৯ টাকা এবং ২৫৬ জিবি ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ২৯,৯৯৯ টাকা। সঙ্গে থাকছে ৮ জিবি র‍্যাম এক্সটেন্ড করার অপশন। ডাইনামিক গ্রিন ও পার্ল হোয়াইট দুটি ভিন্ন এবং ইউনিক কালার অপশনে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।

ভিভো ওয়াই৪০০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ফান টাচ ওএস১৫ ভার্সন, স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর, ৬০০০ এমএএইচ ব্লুভোল্ট ব্যাটারি এবং ৪৪ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি প্রযুক্তির ফলে ৪ বছর পরও ব্যাটারির ক্ষমতা থাকবে প্রায় ৮০% অক্ষত। মাত্র ৭.৯ মিমি পাতলা ফ্ল্যাট-ফ্রেম ইউনিবডি ডিজাইন, আল্ট্রা স্লিম বেজেল এর ৬.৬৭ ইঞ্চি ডিসপ্লের ফোনটি।

নতুন নাকি পুরোনো ল্যাপটপ? সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যা জানা জরুরি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা): তথ্যপ্রযুক্তির এই আ...
09/08/2025

নতুন নাকি পুরোনো ল্যাপটপ? সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে যা জানা জরুরি

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা): তথ্যপ্রযুক্তির এই আধুনিক যুগে ল্যাপটপ আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ। ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে পেশাজীবী সবার জন্যই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। কিন্তু নতুন ল্যাপটপ কিনতে গেলে যখন মূল্যের বিষয়টি সামনে আসে, তখন অনেকেই পুরোনো বা ব্যবহৃত ল্যাপটপের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হন।

উন্নত দেশগুলো থেকে বৈধ বা অবৈধ পথে আমাদের দেশে প্রচুর সংখ্যক ব্যবহৃত ল্যাপটপ আসে, যা মূল্যে সাশ্রয়ী হওয়ায় অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় মনে হয়। কিন্তু একটি পুরোনো ল্যাপটপ কেনা কতটা যুক্তিসঙ্গত, এর গুণগত মান, স্থায়িত্ব এবং ব্যবহারিক দিকগুলো কেমন থাকে- এই সব প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।

পুরোনো ল্যাপটপের উৎস ও বাজার
বাংলাদেশে ব্যবহৃত বা পুরোনো ল্যাপটপ মূলত দুটি উপায়ে আসে- বৈধ এবং অবৈধ উপায়ে। বৈধ উপায়ে দেশের কিছু বড় প্রতিষ্ঠান উন্নত দেশগুলোর (যেমন: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, দুবাই, সিঙ্গাপুর) কর্পোরেট অফিস থেকে ব্যবহৃত ল্যাপটপগুলো দেশে নিয়ে আসে। এই ল্যাপটপগুলো নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত ৩-৪ বছর) ব্যবহারের পর পরিবর্তন করা হয়। আমদানির পর ল্যাপটপগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ বদলে দিয়ে আবার তা দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি পন্যের বাজারে ছাড়া হয়।

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা
অন্যদিকে, ব্যবহৃত বা পুরোনো ল্যাপটপের একটি বড় অংশ আসে অবৈধ বা নন-চ্যানেল পদ্ধতিতে, যা কোনও শুল্ক বা বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে না। এই ল্যাপটপগুলোর মান বা কার্যক্ষমতার কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। এগুলোর মূল্য খুব কম হওয়ায় কিছু অসাধু বিক্রেতা এগুলো নিয়ে আসে এবং দেশের বিভিন্ন প্রযুক্তি পন্যের বাজারে বিক্রি করে।

পুরোনো ল্যাপটপের বাজার
ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে পুরোনো ল্যাপটপের একটি বিশাল বাজার গড়ে ওঠেছে। ঢাকার কিছু জনপ্রিয় প্রযুক্তি পণ্যের বাজার রয়েছে- ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি পন্যের বাজার। ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে রয়েছে প্রযুক্তি পন্যের বাজার। মিরপুর ১০ নম্বর সহ চৌরঙ্গী মার্কেট এবং এর আশেপাশে রয়েছে কয়েকটি বাজার। ঢাকার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে রয়েছে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি পন্যের বাজার এবং উত্তরা সেক্টর ৩ থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত গড়ে ওঠেছে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি পন্যের বাজার। এই সকল প্রযুক্তি পন্যের বাজারে নতুন ল্যাপটপের পাশাপাশি পুরোনো ও ব্যবহৃত ল্যাপটপ পাওয়া যায়।

এসব ফিজিক্যাল বাজার ছাড়াও, বর্তমানে অনলাইনেও পুরোনো ল্যাপটপ কেনা-বেচার প্রচলন বেড়েছে। জনপ্রিয় কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হলো:
বিক্রয় ডট কম: এটি একটি ক্লাসিফাইড সাইট, যেখানে ব্যক্তি বা ছোট বিক্রেতারা পুরোনো ল্যাপটপ বিক্রি করে থাকেন।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং বিভিন্ন গ্রুপ: ফেসবুকের মাধ্যমেও অনেকেই পুরোনো ল্যাপটপ বিক্রি করেন। এখানে দরদাম করার সুযোগ থাকে।
দারাজ: কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজও তাদের প্ল্যাটফর্মে পুরোনো ল্যাপটপ বিক্রি করে।

ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার সুবিধা
সাশ্রয়ী মূল্য: এটি পুরোনো ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় সুবিধা। একটি নতুন ল্যাপটপের মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে পুরোনো ল্যাপটপ কেনা যায়। এতে যারা সীমিত বাজেটে ল্যাপটপ কিনতে চান, তাদের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প।
উন্নত কনফিগারেশন: পুরোনো ল্যাপটপে অনেক সময় নতুন ল্যাপটপের চেয়ে উন্নত কনফিগারেশন পাওয়া যায়। যেমন, একটি নির্দিষ্ট বাজেটে নতুন ল্যাপটপে কোর আই৩ প্রসেসর পাওয়া গেলেও পুরোনো ল্যাপটপে আপনি কোর আই৫ বা কোর আই৭ প্রসেসর পেতে পারেন।
টেকসই ডিজাইন: কিছু কর্পোরেট বা পুরোনো মডেলের ল্যাপটপ খুব টেকসই এবং মজবুত করে তৈরি করা হয়। এদের বডি নতুন বাজেট ল্যাপটপের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হতে পারে।

ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার ঝুঁকি
অনিশ্চিত কার্যক্ষমতা: পুরোনো ল্যাপটপের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো এর কার্যকারিতা। ল্যাপটপটি আগে কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, তার ব্যাটারির অবস্থা কেমন, কোনও গোপন ত্রুটি আছে কিনা- এসব বাইরে থেকে বোঝা কঠিন।
ওয়ারেন্টি এবং গ্যারান্টির অভাব: নতুন ল্যাপটপের সঙ্গে সাধারণত ১ থেকে ৩ বছরের ওয়ারেন্টি থাকে। কিন্তু পুরোনো ল্যাপটপে কোনও ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি থাকে না। যদি কোনও বিক্রেতা ওয়ারেন্টি দেনও, তার মেয়াদ খুব কম হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাংশের সম্ভাবনা: ব্যাটারি, হার্ড ড্রাইভ, বা মাদারবোর্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশগুলো যেকোনও সময় কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। এতে মেরামতের জন্য অনেক টাকা খরচ হতে পারে।
সফটওয়্যার সংক্রান্ত জটিলতা: পুরোনো ল্যাপটপে অনেক সময় পাইরেটেড অপারেটিং সিস্টেম বা সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, যা নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায়।

বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস)-এর নির্দেশনা এবং নীতিমালা
বাংলাদেশ কমপিউটার সমিতি (বিসিএস) পুরোনো বা ব্যবহৃত ল্যাপটপ আমদানির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়। বিসিএস-এর মতে, এসব পণ্যের ব্যাপক আমদানি দেশের বাজারে নিম্নমানের পণ্য ছড়িয়ে দিতে পারে এবং ক্রেতাদের মধ্যে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। তারা সবসময় নতুন এবং বৈধ ল্যাপটপ কেনার জন্য গ্রাহকদেরকে উৎসাহিত করে। বৈধ আমদানির ফলে ক্রেতারা মানসম্পন্ন পণ্য এবং সঠিক ওয়ারেন্টি সেবা পেতে পারেন, যা পুরোনো ল্যাপটপে প্রায়ই অনুপস্থিত থাকে।

একটি নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা
বাংলাদেশে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর নীতিমালা থাকা জরুরি। এতে করে একদিকে যেমন অবৈধ আমদানির লাগাম টেনে ধরা যাবে, তেমনি ক্রেতারাও মানসম্পন্ন পণ্য কিনতে পারবেন। একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকলে আমদানিকারকরা মান যাচাই এবং সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পণ্য আনতে বাধ্য হবেন। এর ফলে, গ্রাহকরা ব্যবহৃত ল্যাপটপ কিনে ঠকে যাওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচবেন। সরকারের উচিত এই বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করা এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।

পুরোনো ল্যাপটপ কেনার সময় যা খেয়াল রাখবেন
যদি আপনি পুরোনো ল্যাপটপ কেনার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে কিছু বিষয় অবশ্যই যাচাই করে নেবেন-
অবস্থা: ল্যাপটপের বডি, স্ক্রিন, কি-বোর্ড এবং টাচপ্যাডে কোনও ফাটল বা দাগ আছে কিনা, তা ভালো করে দেখুন।
ব্যাটারির স্বাস্থ্য: ল্যাপটপটি চার্জার ছাড়া কতক্ষণ চলে, তা পরীক্ষা করুন। বিক্রেতাকে ব্যাটারি পরিবর্তনের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন।
হার্ডওয়্যার পরীক্ষা: ল্যাপটপটি চালু করে এর হার্ডওয়্যার (প্রসেসর, র‍্যাম, স্টোরেজ) পরীক্ষা করুন। একটি ভারী অ্যাপ্লিকেশন চালিয়ে এর পারফরম্যান্স দেখুন।
পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি: ইউএসবি, এইচডিএমআই এবং অডিও পোর্টগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তা যাচাই করুন। ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ সংযোগও পরীক্ষা করে নিন।
বিক্রেতার নির্ভরযোগ্যতা: বিশ্বস্ত দোকান বা বিক্রেতার কাছ থেকে ল্যাপটপ কিনুন, যিনি আপনাকে কিছুটা হলেও সার্ভিসিং বা স্বল্প মেয়াদের ওয়ারেন্টি দিতে পারেন।

নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে যা বিবেচনা করবেন
বর্তমানে ল্যাপটপ কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। যারা সামর্থ্যবান বা নতুন ল্যাপটপ কিনতে আগ্রহী, তাদের জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার আগে সঠিক তথ্য যাচাই না করলে পরবর্তীতে হতাশ হতে পারেন। একটি নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত, তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

কোথা থেকে কিনবেন: বৈধ না নন-চ্যানেল
ল্যাপটপ কেনার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর উৎস। বাজারে দুই ধরনের উৎস থেকে ল্যাপটপ কেনা যায়:
বৈধ চ্যানেল: ল্যাপটপ কেনার জন্য সবসময় অনুমোদিত বা বৈধ চ্যানেল বেছে নেয়া উচিত। এর মধ্যে রয়েছে ব্র্যান্ডের নিজস্ব শোরুম, অনুমোদিত পরিবেশক, পরিবেশকদের শোরুম এবং তাদের ডিলার বা রিসেলার বা পার্টনার। বৈধ উৎস থেকে কেনা ল্যাপটপে আপনি ব্র্যান্ডের ওয়ারেন্টি এবং জেনুইন পণ্য পাওয়ার নিশ্চয়তা পাবেন। কোনও সমস্যা হলে ওয়ারেন্টির অধীনে সহজে সার্ভিসিং সুবিধা পাবেন।

নন-চ্যানেল বা অবৈধ: কিছু অসাধু বিক্রেতা অবৈধ বা নন-চ্যানেল পদ্ধতিতে ল্যাপটপ বিক্রি করে। এই ল্যাপটপগুলোর কোনও ওয়ারেন্টি থাকে না এবং অনেক সময় ব্যবহৃত বা ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রাংশ থাকে। এগুলোর প্যাকেজিং বা সিল নকল হতে পারে। মূল্যে কিছুটা সাশ্রয়ী হলেও দীর্ঘমেয়াদে এগুলো ব্যবহারকারীর জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই এই ধরনের উৎস থেকে ল্যাপটপ কেনা থেকে বিরত থাকা উচিত।

নতুন ল্যাপটপ কেনার সময় যে বিষয়গুলো বিবেচনা করবেন
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা ল্যাপটপটি বেছে নিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা জরুরি-
প্রয়োজন এবং ব্যবহার: ল্যাপটপ কেনার আগে আপনার প্রয়োজন কী, তা স্থির করে নিন। আপনি যদি সাধারণ কাজের জন্য (যেমন: ইন্টারনেট ব্রাউজিং, মাইক্রোসফট অফিস) ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চান, তাহলে একটি সাধারণ কনফিগারেশনের ল্যাপটপ যথেষ্ট। কিন্তু আপনি যদি গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের মতো ভারী কাজ করতে চান, তাহলে উচ্চ কনফিগারেশনের ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে।

বাজেট: ল্যাপটপ কেনার আগে একটি নির্দিষ্ট বাজেট ঠিক করে নিন। বাজেটের ওপর ভিত্তি করে আপনি কোন ধরনের ব্র্যান্ড বা মডেল কিনবেন, তা নির্ধারণ করতে পারবেন। তবে শুধু মূল্য দেখে নয়, ল্যাপটপের কনফিগারেশন এবং মানও বিবেচনা করুন।

প্রসেসর: ল্যাপটপের পারফরম্যান্সের জন্য প্রসেসর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টেলের কোর আই ৩,৫,৭ বা এএমডি রাইজেন ৩,৫,৭ প্রসেসরগুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। সাধারণ ব্যবহারের জন্য কোর আই ৩ বা রাইজেন ৩ যথেষ্ট, তবে গেমিং বা ভারী কাজের জন্য কোর আই ৫,৭ বা রাইজেন ৫,৭ প্রসেসর বেছে নেয়া ভালো।

র‍্যাম: ল্যাপটপের গতি এবং মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য র‍্যাম জরুরি। বর্তমানে সাধারণ ব্যবহারের জন্য ৮ জিবি র‍্যাম আদর্শ। তবে পেশাদার কাজ বা গেমিংয়ের জন্য ১৬ জিবি বা ৩২ জিবি র‍্যাম প্রয়োজন হতে পারে।

স্টোরেজ: স্টোরেজ ল্যাপটপের ফাইল সংরক্ষণে সাহায্য করে। বর্তমানে দুই ধরনের স্টোরেজ প্রচলিত- এইচডিডি ( হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ) কম খরচে বেশি স্টোরেজ পাওয়া যায়, কিন্তু গতি কম। এসএসডি (সলিড এস্টেট ড্রাইভ) ল্যাপটপের গতি অনেক বেশি হয়, কিন্তু খরচ বেশি। সাধারণত, এসএসডি যুক্ত ল্যাপটপ কেনা বেশি যুক্তিযুক্ত। আপনি চাইলে কম স্টোরেজের এসএসডি-এর সঙ্গে অতিরিক্ত এইচডিডি যুক্ত ল্যাপটপও কিনতে পারেন।

ডিসপ্লে: ল্যাপটপের স্ক্রিনের মানও গুরুত্বপূর্ণ। ডিসপ্লের আকার (১৪ বা ১৫.৬ ইঞ্চি), রেজ্যুলেশন (ফুল এইচডি) এবং প্যানেলের ধরন আইপিএস দেখে নিন। যারা গ্রাফিক্সের কাজ করেন, তাদের জন্য ভালো মানের ডিসপ্লে অপরিহার্য।

ব্যাটারি লাইফ: যদি আপনি ল্যাপটপটি প্রায়শই বাইরে নিয়ে যেতে চান, তাহলে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ প্রয়োজন হবে। বিক্রেতাকে ব্যাটারি লাইফের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করুন এবং অনলাইন রিভিউ দেখে নিশ্চিত হোন।
পোর্ট এবং কানেক্টিভিটি: আপনার প্রয়োজনীয় সব ধরনের পোর্ট যেমন- ইউএসবি, এইচডিএমআই, টাইপ-সি ইত্যাদি আছে কিনা, তা দেখে নিন।

নতুন ল্যাপটপ কখন কেনা দরকার?
প্রথম ব্যবহারকারী: যারা প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্য নতুন ল্যাপটপ কেনা সবচেয়ে ভালো। এতে তারা সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন এবং ওয়ারেন্টি সুবিধা পাবেন।
নির্দিষ্ট পেশাগত প্রয়োজন: গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর, প্রোগ্রামার বা গেমারদের জন্য পুরোনো ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করা কঠিন। তাদের সুনির্দিষ্ট সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশনের জন্য নতুন ও শক্তিশালী কনফিগারেশনের ল্যাপটপ প্রয়োজন হয়।
নির্ভরযোগ্যতা এবং নিরাপত্তা: কোনও ধরনের ঝামেলা ছাড়া দীর্ঘ মেয়াদে একটি নির্ভরযোগ্য ডিভাইস ব্যবহার করতে চাইলে নতুন ল্যাপটপ কেনাই শ্রেয়। এতে তথ্যের নিরাপত্তা এবং সঠিক সার্ভিসিংয়ের নিশ্চয়তা থাকে।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত: নতুন নাকি পুরোনো
নতুন ল্যাপটপ নাকি পুরোনো ল্যাপটপ কিনবেন, এই সিদ্ধান্ত নির্ভর করে আপনার বাজেট, চাহিদা এবং ঝুঁকির প্রতি আপনার মনোভাবের ওপর। যদি আপনার বাজেট ভালো থাকে এবং আপনি দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স, ওয়ারেন্টি এবং নিরাপত্তা চান, তাহলে নতুন ল্যাপটপ কেনাই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। ল্যাপটপ কেনার আগে ভালো করে গবেষণা করুন। বিভিন্ন মডেলের ফিচার ও মূল্যের তুলনা করুন এবং বিশ্বস্ত বিক্রেতার কাছ থেকে কিনুন।

অন্যদিকে, যদি আপনার বাজেট খুব সীমিত হয় এবং আপনি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকেন, তাহলে পুরোনো ল্যাপটপ আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। তবে কেনার আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সাহায্যে ল্যাপটপটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। মনে রাখবেন, পুরোনো ল্যাপটপ কেনা অনেকটা লটারি খেলার মতো- কখনও আপনি ভাগ্যবান হতে পারেন, আবার কখনও বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারেন। তাই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে সবদিক ভালোভাবে বিবেচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ।

লেখক: মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা)- প্রতিষ্ঠাতা কিনলে ডটকম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ই-ক্যাব

বাড়ি কিংবা অফিসে সম্পূর্ণ প্রিন্ট সমাধানে ব্রাদার প্রিন্টারযাদের প্রয়োজন স্থান সংরক্ষণ করে পেশাদার পর্যায়ে ব্রিলিয়ান্ট ক...
08/08/2025

বাড়ি কিংবা অফিসে সম্পূর্ণ প্রিন্ট সমাধানে ব্রাদার প্রিন্টার

যাদের প্রয়োজন স্থান সংরক্ষণ করে পেশাদার পর্যায়ে ব্রিলিয়ান্ট কালার আউটপুট, তাদের জন্য ব্রাদার বাজারে নিয়ে এসেছে ব্রাদার নিউ ইঙ্ক ট্যাঙ্ক সিরিজ। এই সিরজটি একটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য প্রিন্টিং সমাধান, যেখানে রয়েছে দ্রুত গতি, উজ্জ্বল রঙ এবং জায়গা বাঁচানোর মতো স্মার্ট ডিজাইন। গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি সেই সেরা সমাধান পৌঁছে দিচ্ছে আপনার হাতের নাগালে, বিশ্বস্ততা আর মানের নিশ্চয়তা দিয়ে।

ব্রাদার নিউ ইঙ্ক ট্যাঙ্ক সিরিজ একই সঙ্গে কাগজের দুই পাশে প্রিন্ট- অর্থ বাঁচায়, সময়ও বাঁচায়। মিনিটে ৩৪ পৃষ্ঠা পর্যন্ত প্রিন্ট দ্রুত কাজের জন্য আদর্শ। ২৫০ শিট ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ট্রে, বারবার কাগজ ভরার ঝামেলা নেই। ছোট জায়গাতেও ফিট হয়, কিন্তু রেজাল্ট দেয় বড়- প্রফেশনাল লুকের প্রিন্ট। বিভিন্ন আকারের কাগজ প্রিন্ট করার সহজ সুবিধা এবং অটোমেটিক ডকুমেন্ট ফিডার।

যে মডেলগুলো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে:- এমএফসি- টি৯৩০ডিডব্লিউ, ডিসিপি- টি৮৩০ডিডব্লিউ, ডিসিপি- টি৭৩০ডিডব্লিউ, ডিসিপি- টি৫৩০ডিডব্লিউ। প্রতিটি মডেলেই রয়েছে প্রিন্ট, স্ক্যান, কপি এবং ওয়্যারলেস সুবিধা। এমএফসি- টি৯৩০ডিডব্লিউ এই মডেলটি অতিরিক্তভাবে ফ্যাক্স ফিচারও সমর্থন করে। নতুন এই ব্রাদার নিউ ইঙ্ক ট্যাঙ্ক সিরিজের মডেলগুলো পাওয়া যাচ্ছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি-এর ওয়েবসাইট, সকল শাখা এবং অনুমোদিত ডিলার হাউজে।

বাংলাদেশে ড্রোন: ড্রোন কেনা, ব্যবহার, প্রচলিত আইন, নীতিমালা ও ভবিষ্যৎ নির্দেশনা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা):...
08/08/2025

বাংলাদেশে ড্রোন: ড্রোন কেনা, ব্যবহার, প্রচলিত আইন, নীতিমালা ও ভবিষ্যৎ নির্দেশনা

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা): তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির এই যুগে ড্রোন শুধু একটি খেলনা বা শখের বস্তুই নয়, এটি এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই সময়ে ড্রোন যোগাযোগ, নিরাপত্তা, ডেটা সংগ্রহ এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রমে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কৃষি খাতের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে নির্মাণকাজের পর্যবেক্ষণ, সাংবাদিকতা, চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উদ্ধার কাজে ড্রোন এখন অপরিহার্য।

তবে, এই প্রযুক্তির বহুমুখী সুবিধার পাশাপাশি এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সমাজের নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। দুঃখজনকভাবে, বাংলাদেশে অনেকেই ড্রোন কেনা এবং ব্যবহারের আগে এর সম্পর্কিত আইন-কানুন সম্পর্কে অবগত নন, যার ফলস্বরূপ প্রায়ই আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। এই লেখায় আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ড্রোন কেনা, ব্যবহার এর আইনি কাঠামো এবং অননুমোদিত ব্যবহারের ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ড্রোন কেনা: অনুমোদিত বনাম অননুমোদিত চ্যানেল
বাংলাদেশে ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এর বিক্রয় পদ্ধতির অনিয়ম। অনেকেই শখের বশে বা সস্তা হওয়ায় ‘নন-চ্যানেল’ বা অননুমোদিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে ড্রোন কেনেন। এই ড্রোনগুলো সাধারণত সরাসরি সরকারের অনুমতি নিয়ে আমদানি করা হয় না।

অনুমোদিত বিক্রেতা: কিছু প্রতিষ্ঠান বা বিক্রেতা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, যেমন- বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) থেকে যথাযথ অনুমতি নিয়ে ড্রোন আমদানি এবং বিক্রি করেন। এই ড্রোনগুলোর সঙ্গে সাধারণত আমদানির বৈধ কাগজপত্র থাকে, যা ভবিষ্যতে নিবন্ধন এবং অনুমতির জন্য সহায়ক।

অননুমোদিত বা নন-চ্যানেল বিক্রেতা: অনেক বিক্রেতা বৈধ অনুমতি ছাড়াই ড্রোন আমদানি করেন এবং খুচরা বাজারে বিক্রি করেন। এই ধরনের ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতা সরাসরি আইনি ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। কেননা, এই ড্রোনগুলোর কোনও বৈধ কাগজপত্র থাকে না, ফলে এগুলোর নিবন্ধন বা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেক সময় বিদেশি মার্কেটপ্লেস থেকে সরাসরি ড্রোন আমদানি করলেও একই সমস্যা হয়।

অনুমোদিত চ্যানেল থেকে ড্রোন কেনার অন্যতম সুবিধা হলো বিক্রেতা আপনাকে ড্রোনের আইনি বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করতে বাধ্য। বিপরীতে, অননুমোদিত ড্রোন কেনা মানে শুরুতেই আইনি জটিলতার মুখে পড়া। তাই ড্রোন কেনার আগে বিক্রেতার বৈধতা এবং পণ্যের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আছে কিনা তা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।

ড্রোনের আইনি কাঠামো: প্রচলিত আইন ও নীতিমালা
বাংলাদেশে ড্রোন পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে একটি আলাদা আইন না থাকলেও, এটি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭ (বেবিচক অ্যাক্ট ২০১৭) এবং দণ্ডবিধি, ১৮৬০ (প্যানেল কোড অব ১৮৬০)-এর অধীনে পরিচালিত হয়। এ ছাড়াও বেবিচক সময়োপযোগী বিভিন্ন সার্কুলার ও নীতিমালা জারি করে ড্রোনের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর ভূমিকা
বেবিচক বাংলাদেশে ড্রোন ব্যবহারের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তারা ড্রোন উড্ডয়নের জন্য অনুমতিপত্র প্রদান, নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা এবং ড্রোনের শ্রেণিবিভাগ (ওজন, ব্যবহার, ক্ষমতা অনুসারে) নির্ধারণ করে। তাদের জারি করা নীতিমালায় স্পষ্ট করে বলা আছে, কোন ধরনের ড্রোন কোন এলাকায় কত উচ্চতায় উড়ানো যাবে এবং কোন কোন এলাকায় এর ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

নতুন নীতিমালার প্রয়োজনীয়তা
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার ড্রোনের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে একটি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার জন্য একটি নতুন ‘ড্রোন নীতিমালা ২০২৫’ প্রণয়নের কাজ করছে। এই খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, খেলনা ড্রোন ছাড়া অন্য সব ড্রোন পরিচালনার জন্য লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এতে অপারেটরকে কমপক্ষে ১৬ বছর বয়সী হতে হবে এবং বেবিচক থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে।

এ ছাড়াও, প্রতিটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটের জন্য বেবিচক ছাড়াও সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো যেমন- এয়ার ডিফেন্স অপারেশন্স সেন্টার, ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টিলিজেন্স (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে। এই নতুন নীতিমালা কার্যকর হলে ড্রোনের ব্যবহার আরও সুশৃঙ্খল হবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।

পেশাদার ব্যবহার ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা
ড্রোন ব্যবহারের সবচেয়ে বড় নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ হলো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন। ড্রোন ব্যবহারকারীরা প্রায়ই মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে অনধিকার প্রবেশ করেন, যা সমাজে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে।

সাংবাদিকতা এবং মিডিয়া: সাংবাদিকরা যখন জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনও বিষয় কাভার করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করেন, তখন তাদের অবশ্যই বেবিচক এবং স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি নিতে হয়। কোনও জনসভায় বা সংবেদনশীল স্থানে ড্রোনের ব্যবহার অনেক সময় নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তার স্বার্থে ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন, তবে এক্ষেত্রে তাদের নির্দিষ্ট আইন এবং আদালতের নির্দেশনা মেনে চলতে হয়। জনগণের ওপর নজরদারির জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হলেও তা হতে হবে কঠোর নজরদারির আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী।

সাধারণ মানুষের প্রাইভেসি: একজন সাধারণ নাগরিকের ওপর ড্রোন ব্যবহার করে ভিডিও ধারণ করা বা নজরদারি করা তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা অধিকারের লঙ্ঘন। এর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।

অননুমোদিত ড্রোন চালালে কী হবে
অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড়ালে ব্যবহারকারীকে কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড়ালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ড্রোনটি জব্দ করতে পারে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, অবৈধভাবে ড্রোন ব্যবহার করলে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। এর ফলে জরিমানা, এমনকি কারাদণ্ডও হতে পারে। অননুমোদিত ড্রোন ব্যবহারের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা, বিমান চলাচল বা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি হলে তার জন্য কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হতে পারে। বিমানবন্দরের আশেপাশে ড্রোন উড়ালে তা বিমানের চলাচলের জন্য বড় বিপদ সৃষ্টি করতে পারে, যার ফলে চরম দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকে।

ড্রোনের ব্যবহার বিধি ও সীমাবদ্ধতা
বাংলাদেশে ড্রোন কোথায় ব্যবহার করা যাবে এবং কোথায় ব্যবহার করা যাবে না, তা সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা আছে। এই নিয়মগুলো মূলত নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা রক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে।

নিষিদ্ধ এলাকা: সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়, সামরিক স্থাপনা, বিমানবন্দর, জেলখানা, হাসপাতাল এবং অন্যান্য সংবেদনশীল সরকারি ভবনের আশেপাশে ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বিমানবন্দর ও এর আশেপাশের এলাকা: বিমানবন্দরের আশেপাশের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রোন উড়ানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এটি বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত জরুরি।
জনবহুল এলাকা: জনবহুল এলাকা, যেমন: স্টেডিয়াম, বড় বাজার, বা কোনও জনসভা চলাকালীন সময়ে ড্রোন উড়ানো সীমিত বা নিষিদ্ধ হতে পারে।
সীমান্তবর্তী এলাকা: দেশের সীমান্ত এলাকায় কোনও প্রকার ড্রোন উড়ানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

ড্রোন একটি শক্তিশালী ও কার্যকরী প্রযুক্তি। এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে আইন, নিয়ম এবং নৈতিকতার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ড্রোন কেনার সময় বৈধ বিক্রেতা থেকে কেনা এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেবিচক-এর নিয়ম মেনে চলা অত্যাবশ্যক। ড্রোন নিয়ে যেকোনও প্রশ্ন বা তথ্যের জন্য সরাসরি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ। সঠিক নিয়ম মেনে চললে আমরা ড্রোন প্রযুক্তির সুবিধাগুলো উপভোগ করতে পারব এবং একই সঙ্গে নিরাপত্তা ও গোপনীয়তাও নিশ্চিত করতে পারব।

লেখক: মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মৃধা (সোহেল মৃধা)- প্রতিষ্ঠাতা কিনলে ডটকম, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ই-ক্যাব

টাকা-পে’ নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক জাতীয় কার্ড স্কিম ‘টাকা-পে’-এর নামে একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের ম...
07/08/2025

টাকা-পে’ নামে ভুয়া ওয়েবসাইট, সতর্ক করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

জাতীয় কার্ড স্কিম ‘টাকা-পে’-এর নামে একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনসাধারণের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি লক্ষ্য করা গেছে, www.takapaycard.com নামের একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনসাধারণের সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য সংগ্রহের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক স্পষ্ট করেছে যে, টাকা-পে-এর জন্য তাদের কোনও ওয়েবসাইট বা অ্যাপ বর্তমানে প্রচলিত নেই।

গত সোমবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পাবলিকেশন্স থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশীয়ভাবে কার্ডভিত্তিক লেনদেনের নিয়ন্ত্রণ, ব্যয় সাশ্রয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবহার হ্রাসের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা-পে নামে একটি জাতীয় কার্ড স্কিম চালু করেছে। ইতোমধ্যে ১৫টি তফসিলি ব্যাংক এই সেবার আওতায় গ্রাহকদের টাকা-পে ডেবিট কার্ড দিচ্ছে। প্রতারণামূলক এই ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা-পে এবং এনপিএসপি এর লোগো/ট্রেডমার্ক অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার করা হয়েছে। যা ‘ট্রেডমার্ক আইন, ২০০৯’-এর পরিপন্থী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এ ছাড়া ‘পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪’-এর ধারা ৪(২), ১৫(২) এবং ৩৭(৩)-এর আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অর্থ লেনদেন, বিনিয়োগ গ্রহণ কিংবা ঋণ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। এই ধরনের কার্যক্রম আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশ ব্যাংক জনসাধারণকে অনুরোধ জানিয়েছে, ভুয়া ওয়েবসাইটে কোনও তথ্য না দিতে এবং কোনও ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হতে। যে কেউ ওয়েবসাইটে প্রবেশ বা তথ্য দিলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি হয়রানির শিকার হতে পারেন বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে রোমিং প্যাক কেনার সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতো মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে টাকায় রোমিং প...
07/08/2025

মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে রোমিং প্যাক কেনার সুবিধা দিচ্ছে গ্রামীণফোন

দেশে প্রথমবারের মতো মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে টাকায় রোমিং প্যাক কেনার সুবিধা নিয়ে এসেছে গ্রামীণফোন। বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াই রোমিং সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। স্থানীয় মোবাইল ব্যালেন্স ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রার বদলে টাকায় আন্তর্জাতিক রোমিং প্যাক কেনার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাশ্রয়ী মূল্যের এই প্যাকগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকরা দেশের বাইরে ভ্রমণের সময় সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন।

গ্রামীণফোন গ্রাহকরা ভ্রমণের আগে মাইজিপি অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ব্যালেন্স ব্যবহার করে সহজে রোমিং প্যাক এক্টিভ করতে পারবেন। দেশভিত্তিক অফারগুলো থেকে তাদের পছন্দের প্যাকটি নিতে পারবেন। রয়েছে দৈনিক ডেটা প্যাক, সাপ্তাহিক ডেটা ও কম্বো প্যাক। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর ভ্রমণের ক্ষেত্রে রয়েছে ১০ দিনের বিশেষ ট্রাভেল প্যাক। সবগুলো প্যাক দেখতে https://mygp.li/NFb লিঙ্কটি ভিজিট করতে পারেন। বিস্তারিত জানতে গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

রোমিং সেবার আওতায় ইনকামিং এসএমএস সম্পূর্ণ ফ্রি। সেবাটি গ্রহণ করতে একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে যাতে উল্লেখ থাকবে গ্রাহকের বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা ও টিকিট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) আছে। প্রত্যয়নপত্রে এটাও উল্লেখ করতে হবে যে, প্রতি ট্রিপে রোমিং ব্যয় ছয় হাজার টাকা এবং বছরে মোট রোমিং ব্যয় (সকল মোবাইল নম্বর ও অপারেটর মিলিয়ে) ত্রিশ হাজার টাকার বেশি হবেনা।

প্রতি বছর ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিদেশ ভ্রমণ করেন। বিদেশি সিম কার্ড কেনার জন্য এসব গ্রাহকদের আর লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি পোহাতে হবে না। এখন থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে ও বিশ্বমানের সংযোগ ব্যবহার করে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়েই প্রিয়জনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন ভ্রমণকারীরা। ওমরাহ পালনে যাওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য এই উদ্যোগটি বিশেষভাবে সহায়ক। তারা গ্রামীণফোনের ব্যালেন্স ব্যবহার করেই সৌদি আরবে রোমিং সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

প্রাইম ব্যাংক ও ইএসডিও-এর মধ্যে পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তিইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-এর কর্মীদের জন্য আধুন...
07/08/2025

প্রাইম ব্যাংক ও ইএসডিও-এর মধ্যে পে-রোল ব্যাংকিং চুক্তি

ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-এর কর্মীদের জন্য আধুনিক, নিরাপদ ও সুবিধাজনক বেতন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে প্রাইম ব্যাংক। ইএসডিও-কে পে-রোল ব্যাংকিং সেবা সরবরাহ করবে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ইএসডিও’র প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠান এ সম্পর্কিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইএসডিও’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান এবং প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম নাজিম এ চৌধুরী।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইএসডিও’র পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার; প্রাইম ব্যাংকের হেড অব পে-রোল ব্যাংকিং হাসিনা ফেরদৌস, রিজিওনাল হেড অব ব্রাঞ্চেস (উত্তর অঞ্চল) মো. আব্দুল হালিম, সিনিয়র ম্যানেজার পে-রোল ব্যাংকিং সেলিম ওয়াহেদ সিদ্দিকি, ক্ষুদ্র ব্যবসা ও পুনঃঅর্থায়ন প্রধান শেখ নূর আলম এবং ঠাকুরগাঁও শাখা প্রধান আবু ফারুক আহমেদ।

বাংলাদেশে লেনোভোর সেরা পার্টনার হলো গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রযুক্তি বাজারে নিজেদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নির্ভরযোগ্যতার প্রম...
07/08/2025

বাংলাদেশে লেনোভোর সেরা পার্টনার হলো গ্লোবাল ব্র্যান্ড

প্রযুক্তি বাজারে নিজেদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ বহুবার দিয়েছে গ্লোবাল ব্র্যান্ড। আর এবার লেনোভোর পক্ষ থেকেও সেই সম্মাননা পেল প্রতিষ্ঠানটি, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের টেক ইন্ডাস্ট্রির জন্য একটি আনন্দের বার্তা। বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লেনোভো আয়োজিত ‘লেনোভো ৩৬০ ইভলভ ২০২৫’-এ বাংলাদেশে লেনোভোর সেরা পার্টনার স্বীকৃতি পেল গ্লোবাল ব্র্যান্ড পিএলসি।

সম্প্রতি মানিকগঞ্জের একটি রিসোর্টে অনুষ্ঠিত ‘লেনোভো ৩৬০ ইভলভ ২০২৫’ অনুষ্ঠানে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জসিম উদ্দিন খন্দকার লেনোভোর সেরা পার্টনার স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।।

লেনোভোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের বাজারে ইন্টেল ভিত্তিক লেনোভো পণ্যের বিস্তার, নিরবচ্ছিন্ন ডিস্ট্রিবিউশন চেইন এবং দৃঢ় পার্টনারশিপ গড়ে তোলার জন্যই গ্লোবাল ব্র্যান্ডকে এই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।

জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘‘প্রযুক্তি খাতে নিরবিচারে কাজ করে যাওয়া এক সফল অভিযাত্রার আরেকটি গর্বের অধ্যায় যোগ হলাম আমরা। এই অর্জন প্রতিষ্ঠানটির মানের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং গ্রাহক সন্তুষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়ার নীতির স্বীকৃতি। পাশাপাশি এটি বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় ভূমিকা রাখার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের নিবেদিত কর্মী, সেলস টিম, প্রোডাক্ট টিম, চ্যানেল পার্টনার এবং রিটেইলারদের যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ছাড়া এই অর্জন সম্ভব হতো না।’’

লেনোভো ৩৬০ ইভলভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা পেয়েছেন এআই, ক্লাউড এবং চ্যানেল স্ট্র্যাটেজি বিষয়ক সেশন ও অভিজ্ঞদের দিকনির্দেশনা। লেনোভোর দৃষ্টিতে- ‘স্মার্ট পার্টনারশিপ’-ই আগামী দিনের এআই-চালিত প্রযুক্তিকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানোর পথ খুলে দিতে পারে।

রিয়েলমি বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জন করেছেবৈশ্বিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি মাত্র ৭ বছরে বিশ্বজুড়ে ৩০ ক...
07/08/2025

রিয়েলমি বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জন করেছে

বৈশ্বিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি মাত্র ৭ বছরে বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জন করেছে। সম্প্রতি এই খাতের আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২১ সালে ১০ কোটি ও ২০২৩ সালে ২০ কোটি ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জনের পর, রিয়েলমি এর ‘মেইক ইট রিয়েল’ ধারণায় অবিচল থেকে দ্রুত বর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে বিশ্বব্যাপী নিজেদের অবস্থান আরও দৃঢ় করেছে। রিয়েলমির কাছে ৩০ কোটি ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জন করা মানে আসলে ৩০ কোটি আলাদা গল্প।

রিয়েলমি ২০১৮ সালে যাত্রার পর থেকেই নতুন প্রজন্মের কাছে প্রযুক্তিকে জনপ্রিয় করে তুলতে নেতৃস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। গেমিং, ফটোগ্রাফি, আউটডোর কার্যক্রম ও তরুণদের আগ্রহের অন্যান্য নানা কাজে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসার মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি নিয়মিত ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশাকে অতিক্রম করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, এর বিস্তৃত প্রোডাক্ট লাইন বাজেট ও লাইফস্টাইলের মধ্যে সমন্বয় করছে। এর বিশেষ ফ্ল্যাগশিপ জিটি সিরিজ থেকে শুরু করে মিড-রেঞ্জের নাম্বার সিরিজ বা সাশ্রয়ী সি সিরিজ; প্রত্যেক তরুণ ব্যবহারকারীই নিজের চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত ডিভাইসটি খুঁজে পাচ্ছেন।

তরুণদের আগ্রহ ও মনোযোগ বাড়াতে ব্র্যান্ডটি ভ্রমণ ও লাইফস্টাইল বিষয়ক লোনলি প্ল্যানেট, অ্যানিমে বিষয়ক ড্রাগন বল অ্যান্ড নারুতো এবং ইস্পোর্টস ফ্রিফায়ারের মতো জনপ্রিয় আইপিগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রিয়েলমির তৈরি করা গ্লোবাল কমিউনিটিতে দেড় কোটিরও বেশি ফ্যান রয়েছে। ব্র্যান্ডটি এই সক্রিয় কমিউনিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে নিয়মিত অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে।

প্রতিবছর, রিয়েলমির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২৮ আগস্ট এই ৮২৮ গ্লোবাল ফ্যান ফেস্টিভাল অনুষ্ঠিত হয়। গতবছর চীনের শেনঝেনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মাত্র ৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ হতে সক্ষম এমন ৩২০ ওয়াট চার্জিং সলিউশনের মতো অত্যাধুনিক উদ্ভাবন উন্মোচন করা হয়। এই বছরেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণরা ব্র্যান্ডটির নিয়ে আসা উদ্ভাবনগুলো দেখতে আগ্রহী। বিস্তারিত: www.realme.com/bd

TEAMGROUP Unveils NV5000 M.2 PCIe 4.0 SSD As a global leader in memory technology, Team Group Inc. has long been providi...
07/08/2025

TEAMGROUP Unveils NV5000 M.2 PCIe 4.0 SSD

As a global leader in memory technology, Team Group Inc. has long been providing diverse storage solutions powered by cutting-edge technology. Recently, the company announced the launch of it’s brand-new NV series of M.2 solid-state drives, starting with the TEAMGROUP NV5000 M.2 PCIe 4.0 SSD, a high-efficiency entry-level drive utilizing the PCIe Gen 4×4 interface.

The new NV series, short for Nova Value, symbolizes a shining new star in TEAMGROUP’s product lineup, delivering an optimal combination of performance and quality at outstanding value. Fully compatible with the latest Intel and AMD platforms, the NV5000 is designed for both desktops and laptops, offering smooth performance for storing high-resolution photos, 4K videos, and large files, making it an ideal upgrade for seamless productivity and entertainment.

The TEAMGROUP NV5000 M.2 PCIe 4.0 SSD features advanced 3D NAND flash technology and utilizes a PCIe Gen 4×4 interface compliant with the NVMe 1.4 standard. Offering up to 2TB of capacity and read speeds of up to 5,000 MB/s, it delivers performance that’s over twice as fast as PCIe Gen3 SSDs and more than nine times faster than traditional SATA SSDs. The NV5000 reduces load times and enhances multitasking performance for everyday tasks, including productivity activities such as document management and data backup, as well as entertainment activities like video editing and game launching.

The SSD is equipped with TEAMGROUP’s exclusively patented heat-dissipating graphene label, which effectively lowers operating temperatures. Measuring under 1mm thick, the label eliminates installation interference and works seamlessly with motherboard M.2 heatsinks to further improve cooling efficiency.

The TEAMGROUP NV5000 M.2 PCIe 4.0 SSD supports TEAMGROUP’s proprietary S.M.A.R.T. monitoring software. This feature enables users to quickly configure and monitor the drive health and performance in real-time. It also utilizes eco-friendly, recyclable packaging materials and complies with international environmental standards such as RoHS and REACH, demonstrating TEAMGROUP’s commitment to sustainability.

For more information on the availability of the TEAMGROUP NV5000 M.2 PCIe 4.0 SSD, please stay tuned to TEAMGROUP’s latest updates on all major distribution channels. Looking ahead, TEAMGROUP plans to expand the NV series lineup with additional Gen4 SSD models, aiming to provide consumers with more efficient and remarkable storage options.

দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প সংযুক্তি ও কর্মসংস্থানে আইএসসি দেশের ইনফরমাল সেক্টরের জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির পাশাপাশি এই খাতে নিয়...
06/08/2025

দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প সংযুক্তি ও কর্মসংস্থানে আইএসসি

দেশের ইনফরমাল সেক্টরের জন্য দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির পাশাপাশি এই খাতে নিয়োজিত কর্মজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং তাদের শিল্পখাতে সংযুক্তির ক্ষেত্রে সমন্বয়ের উপায় খুঁজে বের করার লক্ষে ‘দক্ষতা উন্নয়ন, শিল্প সংযুক্তি ও কর্মসংস্থানে শিল্প দক্ষতা পরিষদ (আইএসসি)’ বিষয়থ এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বুধবার (৬ আগস্ট) ঢাকায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনএসডিএ’র নির্বাহী চেয়ারম্যান রেহানা পারভীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনএসডিএ’র সদস্য (নিবন্ধন ও সনদায়ন) আলিফ রুদাবা, ইনফরমাল সেক্টর শিল্প দক্ষতা পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা নুরুল গণি শোভন এবং ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর হাসান খন্দকার। সভাপতিত্ব করেন এনএসডিএ’র সদস্য (পরিকল্পনা ও দক্ষতামান) মিনা মাসুদ উজজামান।

কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে এনএসডিএ-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ইনফরমাল সেক্টর শিল্প দক্ষতা পরিষদ (আইএসসি)-এর ১৬টি শিল্প দক্ষতা পরিষদের প্রতিনিধিবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

রেহানা পারভীন বলেন, ‘‘দক্ষতা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও সনদায়নের মাধ্যমে ইনফরমাল সেক্টরের কর্মীদের মর্যাদাসম্পন্ন ও স্থায়ী কর্মসংস্থানে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে ইনফরমাল সেক্টর শিল্প দক্ষতা পরিষদকে টেকসই করা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এনএসডিএ একটি মানসম্পন্ন স্কিলস ইকোসিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্প দক্ষতা পরিষদ শক্তিশালী হলেই স্কিলস ইকোসিস্টেম এগিয়ে যাবে।’’

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ‘‘দেশের একটি বিশাল অংশ কর্মরত রয়েছে ইনফরমাল সেক্টরে, যাদের দক্ষতা উন্নয়ন, সক্ষমতা ও আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের আওতায় আনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এনএসডিএ এই খাতকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের দক্ষতা যাচাই, সনদ প্রদান ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে। নীতিগত সুপারিশ, বাস্তবধর্মী দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়, যা আগামীর কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে।’’

শিল্প প্রতিনিধিরা বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক (বিএনকিউএফ) এর আওতায় তৈরিকৃত সিএস ও সিবিসি প্যাকেজ প্রোগ্রাম হাতে নেয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সিএস এর আউটপুট-ভিত্তিক পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য দক্ষ কর্মশক্তি তৈরি করার ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার কথা বলেন প্রতিনিধিরা। প্রজেক্ট-ভিত্তিক সমাধান না খুঁজে টেকসই শিল্প সংযোগ তৈরি করা প্রয়োজন, পাশাপাশি টেকনোলজি ও দক্ষ জনশক্তির সমন্বয়ের করা প্রয়োজন।’’

Address

House # 9, Block # B, Avenue # 1, Section # 10, Mirpur/10
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Computer Bichitra posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Computer Bichitra:

Share