Priyo Barta

Priyo Barta page for Bangladeshi Video Content Creator Priyo Barta. It has a huge audience for its onli

বিশ্ববাজারে এক দিনে কয়েক বার লাফিয়ে বাড়ল স্বর্ণের দাম। ফলে আবারও স্বর্ণের দাম সব রেকর্ড ভেঙেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণ...
14/10/2025

বিশ্ববাজারে এক দিনে কয়েক বার লাফিয়ে বাড়ল স্বর্ণের দাম। ফলে আবারও স্বর্ণের দাম সব রেকর্ড ভেঙেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাণিজ্য সংকট এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণে ঝুঁকছেন। তাই দাম উঠেছে নতুন উচ্চতায়।

রয়টার্স জানায়, সোমবার প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্স ৪,১০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এ দিন নতুন করে মার্কিন-চীন বাণিজ্য উত্তেজনা এবং মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশার ফলে স্বর্ণে চাহিদা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে। অন্যদিকে রুপাও সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে।

ওই দিন বিকেলে স্পট স্বর্ণের দাম ২.২% বেড়ে প্রতি আউন্স ৪,১০৬.৪৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডিসেম্বরের জন্য মার্কিন স্বর্ণের ফিউচার ৩.৩% বেড়ে ৪,১৩৩ ডলারে স্থির হয়েছে। ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা এবং বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বর্ণ ক্রয় বাড়ানোসহ বিভিন্ন কারণে স্বর্ণের দাম এই বছর এখন পর্যন্ত ৫৬% বাড়ে। গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ৪,০০০ ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে এবং প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে।

কেবল সোমবারেই স্বর্ণের দামে কয়েক বার বড় পরিবর্তন ঘটে। দুপুর ১টার দিকে স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ৬৭ দশমিক ৭৯ ডলারে লেনদেন হয়েছে। সেশনের শুরুতে এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৭৮ দশমিক ৫ ডলারে পৌঁছায়। বিকেল নাগাদ দাম বেড়ে আগের সব রেকর্ড ভাঙে মূল্যবান ধাতুটি।

পাশাপাশি ফিউচার মার্কেটেও ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণের দাম। এই বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৯৩ দশমিক ৫০ ডলারে। এদিকে একই কারণে স্বর্ণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রুপার দামও সর্বকালের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। বিশ্ববাজারে স্পট সিলভার ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৫১ দশমিক ৬০ ডলারে পৌঁছেছে।

ব্লু লাইন ফিউচার্সের প্রধান বাজার কৌশলবিদ ফিলিপ স্ট্রেইবল বলেন, স্বর্ণের দাম সহজেই তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রাখতে পারে। ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ আমরা ৫,০০০ ডলারেরও বেশি দাম দেখতে পাব।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হংকং। ম্যাচ হারলে বা ড্র করলেও বাদ পড়ে য...
14/10/2025

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে টিকে থাকতে হলে আজ জিততেই হবে বাংলাদেশকে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হংকং। ম্যাচ হারলে বা ড্র করলেও বাদ পড়ে যেতে হবে হাভিয়ের কাবরেরার দলকে। তাই সমীকরণ একটাই জয়।

বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় হংকংয়ের কাই তাক স্টেডিয়ামে শুরু হবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ। প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ছাদঢাকা এই স্টেডিয়ামে স্বাগতিক সমর্থকদের গর্জনে কাঁপবে পুরো মাঠ। এমন চাপে খেলাটা সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। তার ওপর হংকং সফরে শুরু থেকেই ভোগান্তিতে আছে দল। টানা দুদিন অনুশীলনের জন্য ভালো মাঠ পায়নি তারা। তবে ম্যাচের আগের দিন কাই তাক স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ মিলেছে।

৯ অক্টোবর ঢাকায় হওয়া প্রথম দেখায় দারুণ লড়াই করেছিল বাংলাদেশ। ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩-৩ গোলে সমতা ফেরায় তারা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ৪-৩ ব্যবধানে হারে কাবরেরার শিষ্যরা। সেই হারের প্রতিশোধ নিতেই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ।

গ্রুপ ‘সি’-তে হংকং তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে, আর বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে। আজ হারলে বাংলাদেশের সামনে বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ ৭ পয়েন্ট নেওয়ার সুযোগও চলে যাবে। হংকং জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১০, ড্র করলেও থাকবে ৮।

তবে বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা জানি, আমাদের জিততেই হবে। সে অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন,“গত ম্যাচের শেষটা ছিল খুবই কষ্টের। তবে আমরা সামনে তাকাচ্ছি। খেলোয়াড়দের বার্তা একটাই—আগাতে হবে, থেমে গেলে চলবে না।”**

বাংলাদেশের শক্তির জায়গা হিসেবে দেখা হচ্ছে মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর দিকে। ঢাকায় হওয়া ম্যাচের আগে যাকে ‘বেঞ্চের খেলোয়াড়’ বলেছিলেন হংকং কোচ অ্যাশলি ওয়েস্টউড, তিনিই এখন হামজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ওয়েস্টউড বলেন,“বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা দারুণ লড়াই করে। তাদের মধ্যে কয়েকজন খুব দ্রুতগতির। হামজা চৌধুরীর উপস্থিতি তাদের আরও শক্তিশালী করেছে।”

সব মিলিয়ে আজকের ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য শুধু পয়েন্টের লড়াই নয়, এটা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এবং প্রতিশোধ নেওয়ার লড়াইও। এখন দেখার বিষয়, হংকংয়ের বিপক্ষে সেই লড়াইয়ে জয় তুলে নিতে পারে কি না লাল-সবুজের দল।

কবিতার পঙক্তির মতো ক্রিকেটের মাঠেও ধুলোবালির আস্তরণ পড়ে। স্কোরকার্ড আর পরিসংখ্যানের ধুসর রূপের নীচে ঢাকা পড়ে যায় অনেক...
14/10/2025

কবিতার পঙক্তির মতো ক্রিকেটের মাঠেও ধুলোবালির আস্তরণ পড়ে। স্কোরকার্ড আর পরিসংখ্যানের ধুসর রূপের নীচে ঢাকা পড়ে যায় অনেক কাহিনী, কৌশল আর লড়াইয়ের গল্প। তবু, সেই ধুলোর আড়ালে জ্বলে উঠে ক্রিকেটের রোমান্টিসিজম। যেখানে বাইশ গজের মাটিতে উইলোর শব্দ, সবুজ গালিচা আর শুকনো মাটির গন্ধ মিশে এক অমর কাব্য রচনা করে। এই কাব্যের এক অমোঘ নায়ক গৌতম গম্ভীর জন্মদিন আজ, যিনি রেকর্ডের হিসেবে না থেকেও ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে অমলিন।

২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ডের নেপিয়ারে ভারতীয় ক্রিকেট দল যখন দ্বিতীয় টেস্টে ফলো-অনে পড়ে পরাজয়ের মুখে, তখন গৌতম গম্ভীরের ব্যাটে উঠেছিল প্রতিরোধের অগ্নি। তিনশোর বেশি রানের লিড নিয়ে ভারত মাঠে নামে। সমর্থকদের আশা প্রায় নিঃশেষ, আকাশে পাখিরাও যেন জানত ম্যাচের ভাগ্য। কিন্তু গম্ভীর, দ্রাবিড়, লক্ষ্ণণ আর শচীনের সঙ্গে মিলে ক্রিজে টিকে রইলেন।

কিউইদের আগ্রাসী ফিল্ডিং আর ভেট্টোরির কৌশলের মুখে তিনি একের পর এক ওভার পার করলেন। চারশোর বেশি ডেলিভারি খেলে তিনি ভারতকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। পরের টেস্টে ওয়েলিংটনে ১৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে তিনি শতরান হাঁকিয়ে ভারতকে সিরিজ জয়ের পথে এগিয়ে দেন। এই ইনিংসের ছাপ আজও ওয়েলিংটনের ঘাসে লেগে আছে।

গম্ভীরের ক্যারিয়ারে রেকর্ডের ঝড় নেই, কিন্তু তাঁর ব্যাটে ছিল লড়াইয়ের আগুন। ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের ৯৭ রানের ইনিংস ছাড়াও তাঁর রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের দাগ বাইশ গজে আজও অমলিন। তিনি কেবল খেলোয়াড় নন, জাতীয় পতাকার বিনিদ্র প্রহরী। ভাঙা কনুইয়ের যন্ত্রণা সহ্য করে, ফ্লাডলাইটের আলোয় তিনি স্কোয়ার কাটে মুড়ে দিয়েছেন লড়াইয়ের গল্প।

কাঞ্চনজঙ্ঘার ওপারে যেন এক মহাজাগতিক কুটিরে গম্ভীরের এই গল্প সংরক্ষিত। সেখানে মানবতার ফুলের সঙ্গে মিশে আছে বিশ্বজয়ের সুবাস। গৌতম গম্ভীর এমন এক সিপাহী, যিনি ক্রিকেটের মাঠে শেষ ঘামটুকুও ফেলে দিয়েছেন। তিনি কেবল ক্রিকেট রোমান্টিসিজমের প্রতীক নন, তিনি এক প্রাচীর—যিনি ভারতীয় ক্রিকেটের হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেললাইনে পাশে ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকা এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্ট...
14/10/2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেললাইনে পাশে ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকা এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেললাইনের পাশে একটি লাল পলিথিন দেখে কয়েকটি কুকুর অনবরত ডাকছিল। এই অবস্থায় পথচারীদের মাঝে কৌতূহল তৈরি হয়। কয়েকজন এগিয়ে গিয়ে ব্যাগটি খুলে দেখেন একটি নবজাতকের মরদেহ পড়ে আছে। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে রেলওয়ে পুলিশকে অবগত করা হয়।

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নবজাতকের জন্ম আজই হয়েছিল। তবে মৃত জন্ম নিয়েছে নাকি জন্মের পর মারা গেছে তা বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর তা বলা যেতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হচ্ছে। কে বা কারা এই মরদেহ ফেলে গেছেন, তা তদন্ত করা হচ্ছে।

ভারতের ৩টি কফ সিরাপের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গা...
14/10/2025

ভারতের ৩টি কফ সিরাপের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও)। এই কফ সিরাপগুলো তৈরি করা হয়েছে ১ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য।

এই তিনটি কফ সিরাপ হলো ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি কোল্ডরিফ, রেডনেক্স ফার্মাসিউটিক্যালের তৈরি সিরাপ রেসপিফরেশ টিআর এবং শেপ ফার্মার তৈরি সিরাপ রিলাইফ। এই সিরাপগুলোতে ডায়াথিলিন গ্লাইকোল নামের একটি রাসায়নিকের অস্বাভাবিক উপস্থিতির কারণেই এই সতর্কবার্তা দিয়েছে ডব্লিউএইচও। শিশুদের কাশির সিরাপ তৈরির জন্য ডায়াথিলিন গ্লাইকোল একটি প্রয়োজনীয় রাসায়নিক, তবে কোনো সিরাপে যদি অনুমোদিত বা নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি ডায়াথিলিন গ্লাইকোল ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা রীতিমতো বিষে পরিণত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এই তিন কফ সিরাপে ডায়াথিলিন গ্লাইকোলের উপস্থিতি নির্ধারিত বা অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি।

গত আগস্টে ভারতে শ্রেসান ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি কোল্ডরিফ সিরাপ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জন শিশুর। এর আগে ২০২৩ সালে অপর এক ভারতীয় কোম্পানির সিরাপ খেয়ে উজবেকিস্তান, ক্যামেরুন ও গাম্বিয়ার ১৪১ জন শিশুর প্রাণহানি হয়েছিল।

ভারতের ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (সিডিসসিও) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডব্লিউএইচও’র সতর্কবর্তা সম্পর্কে তারা ওয়াবিহাল এবং এই সতর্কবার্তাকে আমলে নিয়ে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও কঠোর ও নিখুঁত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তারা।

সূত্র : রয়টার্স

সিনেমার ঝলক আর ওয়েবের উত্তাপ শেষে আবারও ছোট পর্দার চেনা জগতে ফিরছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত। একসময় ...
14/10/2025

সিনেমার ঝলক আর ওয়েবের উত্তাপ শেষে আবারও ছোট পর্দার চেনা জগতে ফিরছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্ত। একসময় স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ভজ গোবিন্দ’-এর মাধ্যমে তিনি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সেই সাফল্যের পথ ধরে বড় পর্দা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন এই অভিনেত্রী। কিন্তু এবার দীর্ঘ বিরতির পর আবারও ধারাবাহিকে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, আর তা-ও সেই স্টার জলসার হাত ধরেই।

২০২৪ সালে ‘চালচিত্র’, ‘আলাপ’-এর মতো সিনেমা কিংবা ২০২৩ সালে ব্লকবাস্টার ‘ফাটাফাটি’-তে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে স্বস্তিকা যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন, তেমনই 'গভীর জলের মাছ', 'খুঁজেছি তোকে রাত বেরাতে' (মুক্তির অপেক্ষায়), বা 'ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল'-এর মতো ওয়েব সিরিজেও তিনি নজর কেড়েছেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দর্শকদের।

তবে এত সফলতা, খ্যাতি এবং ব্যস্ততার মধ্যেও স্বস্তিকার এই ছোট পর্দায় ফেরা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘তোমার খোলা হাওয়া’-তে অভিনয় করার পর তিনি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আর ধারাবাহিকে নয়! সেই সিদ্ধান্ত থেকেই সরে এলেন অভিনেত্রী।

কিন্তু কেন এই পরিবর্তন? স্বস্তিকা জানাচ্ছেন, চরিত্রটি তার মন কেড়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘মনের মতো চরিত্র হলে সব সিদ্ধান্তই বদলানো যায়।’ দীর্ঘ আট বছর পর তিনি ফের স্টার জলসার পর্দায় ফিরছেন ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’ শিরোনামের একটি নতুন ধারাবাহিকে। এখানে নাম ভূমিকায় 'বিদ্যা ব্যানার্জি' চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি।

জানা গেছে, এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন এই ধারাবাহিকের শুটিং। যদিও স্বস্তিকা দত্ত ছাড়া অন্য কোনো চরিত্রের নাম বা কখন থেকে এটি সম্প্রচার হবে, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। দর্শক এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন 'প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি'-কে ছোট পর্দায় দেখার জন্য।

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর কোনো কোনো ধাপে টাকাও ...
14/10/2025

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর আসামিকে ১২টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। এর কোনো কোনো ধাপে টাকাও খরচ করতে হয়। সব ধাপে হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই এসব নিরসনে ১৫ অক্টোবর থেকে অনলাইনে জামিননামা পাঠানো হবে। এর ফলে জামিন পাওয়ার পর এক ক্লিকে জামিননামা সংশ্লিষ্ট কারাগারে চলে যাবে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, আমরা আইন মন্ত্রণালয় থেকে অনেকগুলো সংস্কার করেছি। একদম নিজেরা করেছি। কারো কোনো সহযোগিতা ছাড়া। কাল অনলাইন জামিননামা (বেইল বন্ড) উদ্বোধন করবো। এই জামিননামাটা, একটা লোক জামিন পাওয়ার আদালত থেকে শুরু করে ছাড়া (মুক্তি) পাওয়া পর্যন্ত ১২টা প্রক্রিয়াতে যেতে হয়। কোনো কোনো ধাপে টাকা দিতে হয়। ১২টা ধাপে তাকে হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। আগামীকাল আমরা পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে জামিননামা সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে যেখানে আসামি আছে। এটা সরকারের টাকা দিয়ে করেছি। কারো সহযোগিতা লাগেনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরবকারের অনেক টাকা বিশ্বাস করেন। অনেক টাকা। আমার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে ১৬শ' কোটি টাকা আছে। আমাদের আইজিআর অফিসে (রেজিস্টার অফিস) ১৫শ' কোটি টাকা আছে। এগুলো কেউ খেয়াল করে না। আমরা নিজের টাকা নিজে ব্যবহার করে অনেক ভালো কাজ করতে পারি।

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ছোট পর্দা ও ওটিটিতে সফলতার পর এখন বড় পর্দাতেও নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন এই ...
14/10/2025

বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। ছোট পর্দা ও ওটিটিতে সফলতার পর এখন বড় পর্দাতেও নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন এই অভিনেত্রী। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে নতুন কোনো প্রজেক্টে ব্যস্ত নন, তবুও বিভিন্ন ব্র্যান্ড ইভেন্ট ও অনুষ্ঠানগুলোতে নিয়মিতই দেখা যায় তাকে। সম্প্রতি একটি সুগন্ধি বা পারফিউম ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে হাজির হয়েছিলেন সাবিলা নূর। সেখানে পারফিউম প্রসঙ্গে নিজের পছন্দ ও অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণও, যিনি একই ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন।

পারফিউমের প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করে সাবিলা নূর বলেন, ‘আমি পারফিউম খুবই পছন্দ করি। আমার পছন্দের ফ্রেগরেন্স সাধারণত ফ্রেশ ধরনের— যেমন ওশান বা গাছ-পাতার ঘ্রাণ। এই ধরনের সুগন্ধ আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি মনে করি, লেয়ারিং পারফিউম ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করে তোলে। ফারিণের সাথেও এই বিষয়ে আমি একমত।’

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ১৬ বছরে হওয়া সব নির্বাচন ভুয়া ও কারচুপিপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরক...
14/10/2025

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ১৬ বছরে হওয়া সব নির্বাচন ভুয়া ও কারচুপিপূর্ণ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। স্থানীয় সময় সোমবার ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) আয়োজিত ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরামের ফাঁকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

বৈঠকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে কপ৩০ সম্মেলনে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় হয়তো তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের জন্য একটি বাস্তব ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ এটি হবে গত ১৬ বছরের মধ্যে প্রথম সুষ্ঠু নির্বাচন। পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে সব নির্বাচন ছিল ‘ভুয়া ও কারচুপিপূর্ণ’। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে গভীর সহযোগিতা এবং বাণিজ্য বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে লুইজ ইনাসিও কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে।

বৈঠকে সামাজিক ব্যবসা, সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং দারিদ্র্য দূরীকরণের কৌশলসহ পরস্পরের আগ্রহের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

লুইজ ইনাসিও বলেন, ‘ব্রাজিল তার নাগরিকদের জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসা ও মাইক্রোক্রেডিটের কাজ থেকে শিখতে চায়।’ জবাবে মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, সেটি দারুণ হবে।

বৈঠকে দুই নেতা গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, ফার্মাসিউটিক্যালস বিশেষত টিকা পেটেন্টমুক্ত ও সাশ্রয়ী করার উদ্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পদক্ষেপ নিয়ে সহযোগিতার সুযোগ নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশের তরুণদের নেতৃত্বে সংঘটিত আন্দোলনের প্রসঙ্গও উঠে আসে।

প্রধান উপদেষ্টা তার ব্রাজিল সফরের স্মৃতিচারণ করেন, যার মধ্যে ছিল ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দেশটির বিভিন্ন শহর পরিদর্শন। বৈঠকের এক পর্যায়ে দুই নেতা ফুটবলকে বৈশ্বিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেন। মুহাম্ম ইউনূস হাস্যরসের সুরে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে ব্রাজিল ফুটবল দলের অসংখ্য সমর্থক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামেই মানুষ ব্রাজিলকে সমর্থন করে।’

বৈঠকে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ ও পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম উপস্থিত ছিলেন। কয়েকজন ব্রাজিলিয়ান মন্ত্রী ও সিনিয়র কর্মকর্তাও বৈঠকে ছিলেন।

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির আওতায় বন্দিবিনিময় করেছে হামাস ও ইসরায়েল। সোমবার হামাস ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে জীবিত ২০ জন...
14/10/2025

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির আওতায় বন্দিবিনিময় করেছে হামাস ও ইসরায়েল। সোমবার হামাস ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করেছে জীবিত ২০ জন জিম্মিকে। এছাড়া ৪ জন মৃত জিম্মির মরদেহও ফেরত দেওয়া হয়েছে। একই দিনে ইসরায়েলও মুক্তি দিয়েছে ১ হাজার ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে। বন্দিবিনিময় সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে দুই বছরের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শেষ হলো বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে প্রাণ হারান প্রায় ১ হাজার ২০০ জন। ওই হামলার পর হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর জেরে গাজায় নির্বিচারে বিমান ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল, যা চলে টানা দুই বছর। এই সময়ে নিহত হয় ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ও গৃহহীন হয় আরও বহু মানুষ। বিভিন্ন পর্যায়ে ধাপে ধাপে অনেক জিম্মিকে আগেই মুক্তি দেয় হামাস। সর্বশেষ গাজায় থাকা ৪৮ জন জিম্মির মধ্যে ২০ জন জীবিত এবং ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় হামাস। সোমবার আন্তর্জাতিক সংস্থা রেডক্রসের মাধ্যমে দুই ধাপে জীবিতদের ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃতদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে।

বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ১ হাজার ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়। ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওফের ও কেতজিওত কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দিয়ে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও কেরেম সালোম এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারাগারের বাইরে জড়ো হন বন্দিদের স্বজনরা। অনেকেই পতাকা হাতে অপেক্ষায় ছিলেন প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার আশায়। অনেক বছর পর বন্দিদের ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক পরিবার।

গাজার খান ইউনিসে বন্দিমুক্তির আনন্দে ছোটখাটো উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার দিয়ে চত্বর সাজানো হয়। এক ফিলিস্তিনি বাবা ইয়াসির আবু আজুম বলেন, ২০২৩ সালে আমার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দুই বছর পর ওকে ফিরে পেয়েছি। এত খুশি লাগছে যে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

অন্যদিকে তেল আবিবেও দেখা গেছে স্বস্তির চিত্র। মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলি জিম্মিদের দেখতে ‘হোস্টেজ স্কয়ারে’ ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। জিম্মিদের রেইম সামরিক ঘাঁটিতে নিয়ে গিয়ে পরিবারদের সঙ্গে মিলিত করা হয়। এক জিম্মির মা বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

এদিকে, বন্দিমুক্তির পাশাপাশি ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে চলা নিপীড়নের বিষয়েও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি সাংবাদিক আলা–রিমায়ি জানান, কারাগারে দীর্ঘদিন অনাহারে থাকতে হয়েছে তাকে। ওজন কমেছে প্রায় ৫০ কেজি। মেয়েকে জড়িয়ে ধরলে সে বলে, ‘বাবা তুমি ব্যথা দিচ্ছ।’ তার শরীর এতটাই শুকিয়ে গেছে যে হাড় বেরিয়ে এসেছে।

পশ্চিম তীরের বিরজেইত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বাসিল ফারাজ জানান, কয়েকজন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলেও কারাগারে এখনো ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত আছে। অনেকে শারীরিক নিপীড়নের পাশাপাশি যৌন হয়রানির শিকারও হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বন্দিবিনিময়ের এই দিনটিতেই ইসরায়েলে মধ্যপ্রাচ্য সফরের অংশ হিসেবে যান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এক আরব বংশোদ্ভূত ইসরায়েলি আইনপ্রণেতা আয়মান ওদেহ ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ ও ‘জেনোসাইড’ লেখা একটি কাগজ তুলে ধরেন। এর ফলে কিছু সময়ের জন্য পার্লামেন্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে আয়মান ও আরেক আইনপ্রণেতা ওফের কাসাইফকে পার্লামেন্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

ভাষণে ট্রাম্প বলেন, বন্দুক নীরব হয়েছে, সাইরেন থেমে গেছে। পবিত্র ভূমির আকাশে এখন সূর্য উঠছে। শান্তি ফিরে এসেছে। তিনি হামলা বন্ধে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ভূমিকার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর মধ্যস্থতাকারী ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

নেসেটে ভাষণ শেষ করে ট্রাম্প যোগ দেন মিসরের শারম আল–শেখে আয়োজিত আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে। গাজায় যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন ও তা দীর্ঘমেয়াদে বজায় রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত এ সম্মেলনে অংশ নেন ২৮টি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। এখানে গাজা যুদ্ধবিরতির ওপর ভিত্তি করে তৈরি একটি নথিতে সই করেন ট্রাম্পসহ অন্যান্য বিশ্বনেতা।

সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল–সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎস, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তো।

সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আমরা যা করেছি, তা পৃথিবী চিরকাল মনে রাখবে। এটি এক অনন্য ও বিশেষ অর্জন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলে আমরা এমন একটি ঐতিহ্য গড়ে তুলবো, যা একদিন সবার গর্বের কারণ হবে।’

গাজা যুদ্ধবিরতির নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় মিসর, কাতার, তুরস্কসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প। সম্মেলনের সময় মিসরের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘দ্য অনার অব দ্য নিল’ গ্রহণ করেন তিনি। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভূমিকাও সম্মেলনে বিশেষভাবে তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সূত্র: রয়টার্স ও আল–জাজিরা

চলমান শান্তি প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে না গেলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন জর্ডানের ...
14/10/2025

চলমান শান্তি প্রক্রিয়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে না গেলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে বলে সতর্ক করেছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। মিসরের শার্ম আল-শেখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনার ওপর অনুষ্ঠিত একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে বিবিসিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শীর্ষ সম্মেলনটি সেই দিনে অনুষ্ঠিত হয় যখন হামাস গাজায় আটক শেষ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিদের ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দিদের বিনিময়ে মুক্তি দেয়।

বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন, ‘যদি আমরা এই সমস্যার সমাধান না করি, যদি আমরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নাগরিকদের জন্য একটি ভবিষ্যৎ এবং আরব ও মুসলিম বিশ্ব এবং ইসরায়েলের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি না করি, তাহলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার অনেক প্রচেষ্টা অতীতে ব্যর্থ হয়েছে। একমাত্র সমাধান হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান; ইসরায়েলের পাশাপাশি পশ্চিম তীর ও গাজায় একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।’ বাদশাহ আশা প্রকাশ করেন, ‘রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি ঠিক করা সম্ভব হবে। যদি আমরা সমাধান না করি, আবারও এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।’

বর্তমান ইসরায়েলি সরকার বারবার দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তবে একই অধিবেশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তি পরিকল্পনার রূপরেখা তৈরির জন্য বাদশাহ আবদুল্লাহসহ আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।

বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন, “তিনি আমাদের সকলকে যে বার্তাটি দিয়েছিলেন তা হলো-‘এটা বন্ধ করতে হবে, এটা এখনই বন্ধ করতে হবে‘ এবং আমরা বলেছিলাম, যদি কেউ এটা করতে পারে, তাহলে তিনি তা করতে পারেন।”

ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলাসহ গত দুই বছরের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে জর্ডানের বাদশাহ বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক, অথবা উত্তর-দক্ষিণে বিভাজিত হয়ে সংঘাতে জড়ানো, যা সমগ্র বিশ্বকেই প্রভাবিত করতো, যার কতটা কাছাকাছি পৌঁছে গেছি?।

নেতানিয়াহুর কথা বলতে গিয়ে বাদশাহ আবদুল্লাহ বলেন, তিনি তার কথায় বিশ্বাস করেন না। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে এমন কিছু ইসরায়েলি আছেন যাদের সঙ্গে আরব নেতারা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে পারেন।

হামাস এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তাবলীর অধীনে গাজার শাসনভার একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে জর্ডানের এই নেতা বলেন, ‘কাতার এবং মিশরের মতো দেশগুলো তাদের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যারা মনে করে, যে এই চুক্তি সবাই মেনে চলবে। তারা খুবই আশাবাদী।’

বাদশাহ আবদুল্লাহ সতর্ক করে বলেন, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা ‘চুক্তির বিষয়বস্তুর ভেতরেই শয়তান রয়েছে’ এবং গাজায় একবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জর্ডানের বাদশাহ বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আমাদের আলোচনায়, তিনি জানেন যে এটি কেবল গাজা নয়, এটি কেবল একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক বিষয় নয়। তিনি পুরো অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার দিকে তাকিয়ে আছেন। ফিলিস্তিনিদের ভবিষ্যৎ না থাকলে যা ঘটবে না।

জর্ডানের অনেকের বিরোধিতা সত্ত্বেও ১৯৯৪ সাল থেকে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি রয়েছে। দেশটির জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও বেশি ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত। এছাড়া কিছু নিরাপত্তা ইস্যুতেও দেশ দুটি সহযোগিতা করে।

বর্তমান রাজার প্রয়াত বাবা বাদশাহ হুসেন এবং ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিন এই শান্তি চুক্তিতে সম্মত হন। পরের বছর এক ইহুদি চরমপন্থি রবিনকে হত্যা করে।

নিজের জীবদ্দশায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রসহ একটি চূড়ান্ত শান্তি চুক্তি দেখতে পাবেন, এটি বিশ্বাস করেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বাদশাহ আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাকে করতেই হবে, কারণ বিকল্পের অর্থ সম্ভবত এই অঞ্চলের শেষ হবে। আমার মনে আছে, আমার বাবা তার জীবনের শেষের দিকে বলতেন, ‘আমি আমার সন্তানদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য শান্তি চাই।' আমার দুই নাতি-নাতনি আছে; তারা সেই শান্তির যোগ্য। তাদের জন্য কতই না খারাপ হবে যদি তারা বড় হয়ে একই কথা বলে যা আমার বাবা বহু বছর আগে বলেছিলেন?’

‘আমি মনে করি এটাই আমাকে এবং এই অঞ্চলে আমাদের অনেককে উৎসাহিত করে যে, শান্তিই একমাত্র বিকল্প। কারণ যদি তা না ঘটে, তাহলে পশ্চিমারা, বিশেষ করে আমেরিকা, কতবার এতে জড়িয়ে পড়ে? ৮০ বছর হয়ে গেছে। এবং আমার মনে হয় আমাদের সকলের এখন বলার সময় এসেছে যে যথেষ্ট হয়েছে।’

প্রথম টেস্টে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আড়াই দিনে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় টেস্টেও শুরুটা অন্ত...
14/10/2025

প্রথম টেস্টে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আড়াই দিনে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় টেস্টেও শুরুটা অন্তত তেমন হয়েছিল। যদিও নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে প্রতিরোধে কিছুটা মান বাঁচাল সফরকারীরা। তিন দিনেই শেষ হতে বসা টেস্টের মীমাংসা হলো পঞ্চম দিনে এসে। কোনো রকমে ইনিংসে হার এড়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ম্যাচ বাঁচাতে পারল না তারা। ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজ জিতল ভারত। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজ জিতলেন শুভমান গিল। দাপুটে সিরিজ জয়ে একাধিক কীর্তি গড়েছে ভারত। প্রতিপক্ষ হিসেবে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে টানা ১০ টেস্ট সিরিজ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এ ছাড়া ভারতের মাটিতে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে টানা ৬ সিরিজ হেরেছে উইন্ডিজরা। এই ধারা শুরু হয়েছিল ড্যারেন স্যামি অধিনায়ক থাকাকালে, এখন সে ক্যারিবীয়দের হেড কোচ। একই ধারা চলমান আছে।

আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের পঞ্চম দিনে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫৮ রান। হাতে ছিল ৯ উইকেট। এই পরিস্থিতি থেকে যে ভারত অনায়াসে জিতবে তা নিশ্চিতই ছিল। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার লোকেশ রাহুল ও সাই সুদর্শন জুটি দলকে জেতাতে পারবেন কি না নাকি আরও উইকেট পড়বে এ নিয়ে আলোচনা ছিল।

ব্যক্তিগত ৩৯ রানের মাথায় রোস্টন চেজের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন সুদর্শন। ফলে অধিনায়ক শুভমানকে নামতে হয়। তিনি নেমে বড় শট খেলার চেষ্টা করছিলেন। সেই চেষ্টায় ১৩ রান করে আউট হন তিনিও। রাহুল অবশ্য এক দিকে টিকেছিলেন। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন। ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকলেন রাহুল।

Address

Rampura
Dhaka
1219

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Priyo Barta posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

priyo barta

This is the Official Facebook Fan page of Priyo Barta. Our official website is www.priyobarta.net It's one of the Reliable News & Entertainment Source in Bangladesh.

Here worldwide viewers can get the update news on this portal.

Our youtube channel link https://www.youtube.com/channel/UCF0WGOHy2rOShSnCPQ1t5vg

Here viewers can Get entertainment & news videos.