24/10/2025
জীবন এক অদ্ভুত যুদ্ধ। যত বয়স বাড়বে, তত বেশি করে এই সত্যটা টের পাবেন। এই যুদ্ধ আবার ফেয়ারও না।
চোখের সামনে দেখবেন কেউ অসাধারণ ব্রেন নিয়ে জন্মেছে, পরীক্ষার আগের রাতে বইয়ের পাতা উল্টিয়ে ফাটাফাটি রেজাল্ট করছে, আর আপনি দিনের পর দিন পাগলের মতো পড়ছেন, কিন্তু লাভ হচ্ছে না।
এর মাঝে দেখবেন, অর্থ প্রাচুর্যে ভরা পরিবারে কারো কারো জন্ম। কোনো কিছুর অভাব নাই তার। আর আপনার সেমিস্টার ফি জোগাড় করতে গিয়ে আপনার বাবার ঘাম ছুটে যায়। তখন পৃথিবীর উপর অভিমান হবে অনেক। কিন্তু ওই যে বললাম, জীবনের যুদ্ধটা ফেয়ার না।
আপনার চেয়ে খারাপ রেজাল্ট নিয়ে কারো লাখ টাকার চাকরি হয়ে যাবে। ইউটিউবারের বা ফেসবুকারের লাখ লাখ টাকা দেখে আপনার ক্যারিয়ার চয়েজ নিয়ে প্রশ্ন জাগবে প্রতিদিন।
কারো কারো বছরে বছরে প্রোমোশন হবে, কেউ কেউ নিউইয়র্কে পিএইচডি শেষ করে লাইফ ইভেন্ট দিবে। অন্যদিকে, ব্যবসায় লস খেয়ে লোন শোধ করতে না পেরে জেলের ভাত খাবে কেউ কেউ। শত চেষ্টায়ও চাকরি মিলবে না কারো কারো — বাইশটা ইন্টারভিউ দেওয়ার পর তার মনে হবে, জীবনের চেয়ে নিষ্ঠুর কিছু আর নেই।
আপনি চাইলে সারাদিন অন্যের সাথে নিজের তুলনা করতে পারেন। জীবনযুদ্ধে যে এগিয়ে গেল, তার কথা ভাবলে আফসোস ছাড়া কিছুই হবে না। হিসাব মিলাতে পারবেন না আপনি। ভাগ্য, মেধা, স্কিল, পরিশ্রম, নিয়তি — এত এত ভ্যারিয়েবল নিয়ে জীবনের সমীকরণ মেলানো যায় না।
ভালো থাকার কোনো শেষ নেই। যার কোনো ঠাঁই নাই, সে একটা ঘর চায়। বাসে ঝুলতে থাকা মানুষটা একটা গাড়ির স্বপ্ন দেখে আর সেডান গাড়িতে চড়া মানুষটা এসইউভি কারের ক্যাটালগ উল্টেপাল্টে দেখে। এসইউভির মানুষটা আবার দুই হাজার স্কয়ার ফিটের অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে।
ভালো থাকার যুদ্ধটা এরকমই। একটা সীমাহীন অসম দৌড় প্রতিযোগিতা, যার কোনো ফিনিশিং লাইন নাই। শুধুই ছুটতে থাকা, ছুটতেই থাকা, প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্ত!