21/09/2025
চলুন দেখি গতকাল সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তির মূল পয়েন্টস:
১) একের উপর আক্রমণ দুটোর উপর আক্রমণ (ন্যাটো-সদৃশ অনুচ্ছেদ ৫ প্রয়োগ)।
২) নির্দিষ্ট হুমকি অনুসারে উভয় দেশ সব ধরনের প্রতিরক্ষামূলক ও সামরিক উপায় ব্যবহার করবে।
৩) সংকটকালে যৌথ কমান্ড কাঠামো গঠিত হবে।
৪) বার্ষিক উচ্চপর্যায়ের প্রতিরক্ষা সংলাপ চলবে।
৫) আঞ্চলিক আক্রমণকারীদের (ইরান/ইসরায়েল প্রক্সির বিরুদ্ধে) প্রতিরোধে ফোকাস।
৬) যৌথ উদ্যোগে $১০ বিলিয়ন (যেমন মিসাইল উৎপাদন); পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় $৫ বিলিয়ন সাহায্য; প্রযুক্তি স্থানান্তরে আরও $৫ বিলিয়ন। মোট $২০ বিলিয়ন চুক্তি।
৭) ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে পাকিস্তান ১০,০০০ সেনা/কর্মী সৌদিতে মোতায়েন করবে।
৮) রিয়াদ ও ইসলামাবাদে জয়েন্ট কমান্ড পোস্ট গঠিত হবে।
৯) ৫০০ যৌথ বিশেষ বাহিনী প্রশিক্ষক নিয়োগ।
১০) পাকিস্তানের পরমাণু প্রতিরোধের ইঙ্গিত আছে, যদিও অফিসিয়ালি অস্বীকার। পাকিস্তান $২ বিলিয়ন মূল্যের শাহিন-৩ মিসাইল, বাবুর ক্রুজ মিসাইল ও বুরাক সিরিজ ড্রোন সোয়ার্ম স্থানান্তর করবে; সৌদি লেজার-গাইডেড গোলাবারুদ শেয়ার করবে।
১১) ১০ বছরের চুক্তি, পরে নবায়নযোগ্য।
১২) চুক্তির ফলে পাকিস্তানে প্রায় ৫০,০০০ কর্মীর কর্মসংস্থান হবে।
এই চুক্তির মূল কারণ রিসেন্ট ইজরায়েলও বোমা হামলা অন কাতার । আর তারপর নতনীয়াহুর বলা যে বিশ্বের যেখানে তার হুমকি দেখবে সেখানেই তার বোমা হামলা করবে, কাউকে ছাড় দিবে না। কাতারে ইসরায়েলি হামলার পর আরব দেশগুলো আমেরিকার উপর নির্ভরতার সীমাবদ্ধতা বুঝেছে—ট্রাম্পকে $৫০০ মিলিয়ন দিলেও আমেরিকা ইসরায়েলকে গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে, যা কাতার-সৌদির হজম হয়নি। টাকা দিয়েও তারা আমেরিকার সাপোর্ট কিনতে সক্ষম হয়নি।
সৌদি তার প্রতিরক্ষা দুর্বলতা জানে, যদিও গত দুই দশকে মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে সৌদি আরব। কিন্তু রিয়াদকে ইসরায়েল থেকে রক্ষা করার মিসাইল বা পরমাণু ওয়ারহেডের অভাব আছে তাদের । ওদিকে পাকিস্তানের ১৭০টি পরমাণু ওয়ারহেড (২০২৫ অনুমান) এবং উন্নত মিসাইল সক্ষমতা আছে। ১৯৫০ সাল থেকেই পাকিস্তান সৌদির প্রতিরক্ষায় সাহায্য করছে।
সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাত (২০২৫) পাকিস্তানের এয়ার পাওয়ার প্রমাণ করেছে: ভারতের চেয়ে কম সক্ষমতা সত্ত্বেও একটি জেট না হারিয়ে ৫টি ভারতীয় জেট ভূপতিত করেছে, যা বিশ্বে তার মর্যাদা বাড়িয়েছে।
এই চুক্তি দিয়ে পাকিস্তান-সৌদি ইস্পাত-কঠিন জোট গঠন করেছে। পাকিস্তানের একদিকে চীন (প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি), অন্যদিকে সৌদি (অর্থ)। সৌদি পাকিস্তানের আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক লোন পরিশোধে বহুবার সাহায্য করেছে। আমাদের তেমন যেন কখনও করো সাহায্য প্রয়োজন না হয় সেদিকে খুব খেয়াল রাখতে হবে, কারণ আমাদের জন্য কেউ নাই। পাকিস্তান চীনের সাথে যৌথভাবে ফাইটার জেট (জেএফ-১৭) ও ট্যাঙ্ক তৈরি; ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চিন লজিস্টিক সাহায্য দিচ্ছে। আমদের লজিস্টিক সাহায্যের জন্য দেশটাকে কারো কাছে হয়তো বিক্রি করে দিতে হবে, কারণ সেই সম্পর্ক আমরা কারও সাথে গড়ে তুলিনি।
১৯৭১-এর যুদ্ধে জয়ের পর আমরা চেতনা নিয়ে পরে রইলাম: কপালে টিপ, রবীন্দ্রসংগীত, স্কুলে নাচ-গান। প্রতিরক্ষা শিল্প গড়িনি, মিসাইল-জেট-ট্যাঙ্ক বানাইনি। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিরক্ষা সেক্টর পঙ্গু করে রেখেছি। টুকটাক ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে প্রতীরক্ষা বাহিনীকে তৃপ্ত করে রেখেছি।
সৌদি-পাকিস্তান চুক্তি কেবল দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত জোট নয়, বরং আঞ্চলিক ভারসাম্যের একটি শক্তিশালী সংকেত—যেখানে অর্থ, প্রযুক্তি ও সামরিক শক্তির সমন্বয়ে দুর্বলতা রূপান্তরিত হচ্ছে শক্তিতে। পাকিস্তানের এই অগ্রগতি আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য একটি জাগরণের ডাক: ১৯৭১-এর জয়কে শুধু স্মৃতিতে সীমাবদ্ধ না রেখে, প্রতিরক্ষা শিল্পকে স্বনির্ভর করে তোলার সময় এসেছে। যদি আমরা এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে আঞ্চলিক ঝড়ে আমাদের স্বাধীনতা কেবল কাগজের উপর থেকেই থেকে যাবে। শক্তিশালী প্রতিরক্ষাই হলো সত্যিকারের শান্তির চাবিকাঠি।
-collected
-Link given in the comment section