Sober Babies

Sober Babies নম্র ভদ্র

আমি খুব ছোটবেলায় জীবনের অন্ধকার সব দিক দেখে ফেলেছিলাম। বাবা-মা'র সরকারি চাকরির সুবাদে কখনো কোন এক জায়গায় স্থায়ী হওয়া ...
10/08/2025

আমি খুব ছোটবেলায় জীবনের অন্ধকার সব দিক দেখে ফেলেছিলাম। বাবা-মা'র সরকারি চাকরির সুবাদে কখনো কোন এক জায়গায় স্থায়ী হওয়া হয়নি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন পোস্টিং, নতুন জায়গা আর আমার জন্য নতুন ইশকুল। স্বভাবতই বন্ধু বানাতে পারিনি কখনো কাউকে। সারাদিন একলা ঘরে আমার সময় কাটতো বই পড়ে, বারান্দার রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আমি নিজেকে একটা প্রশ্নই করতাম সবসময়- ‘কেন?'
টিনেজের শুরুর দিকে এসে একটা মফস্বল শহরে স্থায়ী হয়ে গেলাম আমরা। ততোদিনে অল্পবিস্তর বই পড়ে আমার মাথায় যতোসব ফিলোসফিকাল চিন্তা কিলবিল করতে শুরু করে দিয়েছে। অল্প দু'একজন বন্ধু যা জুটিয়ে ফেলেছিলাম, তারা যখন রোজ বিকেলে ক্রিকেট খেলায় কীভাবে আরও বেশিক্ষণ ব্যাটিং করা যায় সে চিন্তায় ডুবে থাকতো তখন আমি আবুল হাসানের কবিতা আওড়াতাম। ওই বয়েসে আমার কোনমতেই আবুল হাসানের নাম জানার কথা নয়। অথচ আমি রীতিমতো নিৎসে আর কাম্যু পড়ে বসে আছি।

কোন জায়গায় স্থায়ী হয়ে থাকাটা বোধহয় আমার জন্য কখনোই ঠিক হয়নি। বন্ধুত্ব থেকে বাজে সঙ্গোপাঙ্গ এবং তারপর মাদকের পথ ধরতে খুব বেশি সময় লাগেনি আমার। হাইস্কুল পার করার বছরখানেক পর একদিন মনে আবার প্রশ্ন জেগেছিলো- ‘কেন?'

উত্তর খুঁজে না পেয়ে এক লহমায় ছেড়ে দিয়েছিলাম সবকিছু। মাদক, নারী, বন্ধু, পরিবার, শহর- সবকিছু। ঢাকায় এসে উঠলাম। শুরু হলো আমার জীবনের অন্ধকারতম অধ্যায়ের। পালপিটিশন, অস্থিরতা এবং খুবই ভয়ঙ্করভাবে একাকীত্ব। সারা জীবন একলা বদ্ধ ঘরে বড় হওয়া একজন মানুষকে একাকীত্ব গ্রাস করতে পারে ওভাবে এ ব্যাপারটা এখনো কেন যেন ঠাহর করতে পারি না আমি সেভাবে। বেঁচে থাকার উৎসাহে এন্টি ডিপ্রেসেন্টে ডুব দিয়েছিলাম তখন।

শুরুর দিকে বেশ ভালো কাজে দিতো। তারপর শুরু হতে লাগল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। শূন্যতার তীব্র অনুভূতি নিয়ে আমি ফাঁসির দড়ি টানাতে শুরু করে দিয়েছিলাম ফ্যানের আঙটায়। কিবোর্ডে হাত রেখে মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকতাম রাতের পর রাত অথচ লিখতে পারতাম না। যার ভেতর অনুভূতি বলে কিছু নেই সে লিখবে কী করে? কিন্তু একবছর আগেও ওই লেখাটা ছিলো আমার একমাত্র মুক্তির পথ।

তারপর একদিন দার্জিলিংয়ের এক পাবে পরিচয় দ্রুকির সাথে। প্রচণ্ড মাতাল আমাকে মুখের ওপর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে মেয়েটা শুনিয়েছিলো গৌতম বুদ্ধের নির্বাণের গল্প।

পরিচয়ের তৃতীয় দিনে, দার্জিলিং থেকে প্রায় শতকিলোমিটার দূরের এক পাহাড় চূড়োয় ঠিক ভোর চারটার দিকে ঘুম ভেঙে গেল আমার। স্লিপিং ব্যাগে মুড়ে নেয়া শরীরটা শীতে ঠক ঠক করে কাঁপছে। বাইরে শন শন শব্দ করে হিমেল হাওয়া বয়ে চলে, বের হওয়া মাত্র হাড় কাঁপিয়ে দেবে। তবু কেন যেন ভেতরে থাকতে পারি না আর, দম বন্ধ হয়ে আসে। স্লিপিং ব্যাগ থেকে বের হয়ে উইন্ডব্রেকার গায়ে চাপাই। কানটুপি ব্যাগের ভেতর, বের করতে ইচ্ছে করে না। তাঁবুর চেইন খুলে বাইরে বের হয়ে যাই। আকাশে চাঁদের সাথে মেঘেরা খেলা করে। দূরে, যেখানে পাহাড়ি খাদ নেমে গিয়েছে অতল গহ্বরে- সেখানে এক পাথরের চাতালের ওপর দ্রুকি বসে আছে। আরও দূরে দাঁড়িয়ে আছে হিমালয়– চাঁদের আলো পড়ে চক চক করছে শ্বেত শুভ্র দানবগুলো। কাছে যেতে যে খাদটাকে অতল গহ্বর মনে হচ্ছিল সেটাকে আর অতল গহ্বর মনে হয় না। অন্ধকারের স্থান দখল করে নিয়েছে ধব ধবে সাদা মেঘ। আর মাঝের পাহাড়গুলো দেখে মনে হয় যেন সফেন সমুদ্রের বুকে দ্বীপ জেগে উঠেছে।

কানটুপি ছাড়া বের হওয়া যে ভুল হয়ে গিয়েছে সেটা টের পেতে দেরী হয় না। তাপমাত্রা নেমে এসেছে শূন্যেও ষোল ডিগ্রি নিচে। দাঁত কপাটি লেগে যাচ্ছে বারবার। সে শব্দে দ্রুকি আমার দিকে ফিরে তাকায়, মুখে স্নিগ্ধ হাসি। আমি যে ব্যগ খুলে আলসেমি করে নিয়ে আসব না এ যেন আগে থেকেই জানতো এই মেয়েটা। পকেট থেকে কানটুপি বের করে এগিয়ে দেয় সে আমার দিকে।

ওর পাশে গিয়ে বসি আমি। মিডিওকোর ম্যাটারিয়েলিস্টিক জীবন যাপন আমাদের ছুঁতে পাচ্ছে না, এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। ভোর হয় খানিক পরে। সূর্যের প্রথম কিরণ এসে পড়ে পৃথিবীতে। স্বর্ণালি পৃথিবীটাকে দেখে সাররিয়েলিস্টিক মনে হয়। দ্রুকি ক্যামেরা বের করে বলে, সামনে দাঁড়াও, এই সাররিয়েলিস্টিক পৃথিবীর সাথে তোমার একটা স্মৃতি রেখে দিই। সেই স্মৃতি নিয়ে আমি আবার ম্যাটারিয়েলিস্টিক পৃথিবীতে ফিরে আসি। কোন মানে হয় এর?

তারপর আসে কবিতা-

দূরপাল্লার গাড়িতে করে ছুটে চলা এইসব গোধূলিবেলায় ওমন হয়
দিগন্ত ভেসে আছে রাজসিক হলদে রঙা আলোতে, বাসে খুব ভীড়
জানালা দিয়ে ফুরফুরা বাতাস আসছে আর কানে সাইকোডেলিক রক
হঠাৎ করে ডিএনএ-র ভেতর থেকে অস্তিত্বের প্রশ্ন ছুটে আসে মনে।
এনজাইমের সাথে এনজাইম জুড়ে যে শরীরাবয়ব তৈরি হয়েছে, তার
সূত্রপাত হয়েছিলো কতগুলো ক্রমোজোম মিলে অথচ আমার শরীরের
অস্তিত্ব আমার সৃষ্টি নয়। পারিবারিক আর সামাজিক মিথস্ক্রিয়া
সৃষ্টি করেছে আমার মানসিক জগতে অস্তিত্বের প্রশ্ন— একটা দর্শন।
ধরা যাক, মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত নয়, সভ্যতার চাদরে নিজেদের বাঁধা
হয়নি আমাদের। বরং পাহাড় পাহাড় কোন বুনো প্রান্তরে তক্ষক আর বুনো
হাতির ডাক শুনে আমরা সঙ্গমে লিপ্ত হই। তাহলে আমাদের মাঝে
প্রেম হতো? পরীযায়ী প্রাণী যদি হয়েও যেতাম জাগতো কি মনে কোন
প্রশ্ন কোন ঝিরিতে বুনো মোষের মতো মুখ ডুবিয়ে পানি পানের সময়—
গোধূলিবেলায়? অথচ তবু আমাদের অস্তিত্ব জুড়ে থাকতো এনজাইমের
সাথে এনজাইমের রাসায়নিক বিক্রিয়া— ডিএনএ। আমাদের সৃষ্টি হতো আরও
দুই সৃষ্টির সঙ্গম থেকে। কেবল স্তনে মুখ ডোবানোর আনন্দ নিতে হতো না।
ধরা যাক আমি আজরাইল, মৃতদের তালিকা কেবল লম্বা করেই যাচ্ছি, মাটিতে
মিশিয়ে দিচ্ছি জৈব শরীর। ডিএনএ-র লেখা মুছে গিয়ে সেখানে সৃষ্টি
হচ্ছে ঘাসেদের খাবার, পোকাদের বাসস্থান। মিকাইল মিটিয়ে চলেছে ক্ষুধা।
আর যে ক্ষুধায় এই ডিএনএ-র প্রতিলিপিরা সৃষ্টিকর্তার কথা ভুলে মত্ত
হচ্ছে নিষিদ্ধ অজস্র ভাবনা ও ক্রিয়ায়— তাদের কাছে ওহী নিয়ে আসতে
ব্যস্ত জিব্রাইল। জিব্রাইলের দায়িত্ব অবসান হলে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন মুছে যাবার
অপেক্ষায় ইস্রাফিল— অনন্তকাল ধরে হাতে শিঙ্গা নিয়ে। অথচ দেখো,
ওরা কেউ বন্দী নয় ডিএনএ-র কাছে, প্রবৃত্তির কাছে; নেই কোন ক্রাইসিস।
এইসব পাপ-শোক-অস্তিত্ব-ডিএনএ-ক্রমোজোম-প্রবৃত্তি ভুলে বা মেনে নিয়ে
আমি মানুষ হতে চাই না। কিন্তু সবার মতো আমিও বন্দী আমাদের ডিএনএ-র কাছে।

- গুপ্ত, মার্লবরো এ. হাসান

10/08/2025

ব্যাংককে নাইট ক্লাব কেনার পর জীবনটা পুরা ম্যান্দায় গেসে। কিছু ভালো লাগে না। অদ্ভুত কোন এক কারণে রিকশার গ্যারেজে সস্তা মদ, মুজরা নৃত্য আর মাকসের কাওয়ালি গানের আসর - এসব খুব মিস করতেসি।

সজিব, আউয়াল মাস্টারের মার্ডার কেস আবার খুলবে শুনলাম। কেন যেন মনে হইতেসে এইবার দেশে আসলে ফাঁসিতে ঝুলায় দিবে। আর তাছাড়া এখন অনুতপ্তও অনেক। বুঝিতেসি যে মার্ডার করা ঠিক হয়নাই।

তারপরও দেশে আসবো। বিদেশে মরার কোন মানে হয় না।

- সভাপতি

10/08/2025

যে রাতে আমার বয়স পঞ্চাশ হলো, সেদিন মাকস হ্যাহ্যা করে হাসতে হাসতে বলেছিল, "ব্র তো বৃদ্ধ হয়ে গেলেন, এখন অন্তত নষ্টামি ছাইড়া দেন।" ওর বয়স তখন ৪৯ ছুঁইছুঁই। অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, ৪১-৪৯ পর্যন্ত পুরো সময় জুড়েই আপনি মনে করবেন আপনার বয়স ৪০। কিন্তু ৫০ হওয়ামাত্র মনে হবে, যাবতীয় চাওয়া-পাওয়া ফুরিয়ে গেছে, জীবনের এখন পড়ন্ত বেলা। মানসিক এই বিচিত্র অনুভূতির কারণেই বুঝি ৪৯ এর সাথে ৫০ এর পার্থক্য প্রায় দশ বছর।

সঙ্গত কারণেই মাকসকে কিছু বলিনি সেদিন। ভোরবেলা বারান্দায় বকুল গাছে পানি দিতে দিতে আলতো করে মাথা নেড়েছি। এর ঠিক ১১ মাস পর যেদিন মাকসের বয়স ৫০ হলো, সেদিন বিকেলে আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদেছিল ও। আমি মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করেছিলাম, তবে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারিনি।

মাকসের বয়স ৫৩ হলো আজ। পঁচিশ বছর আগে যদি আমাকে কেউ বলতো ৫৩ আর ৫৪ বছর বয়স্ক দুইজন বৃদ্ধ মানুষ প্রচণ্ড আনন্দ নিয়ে জন্মদিন উপভোগ করতে পারে/সময় পেলে গান-বাজনা করতে পারে/রাত জেগে লেখালেখি করতে পারে/অফিস শেষে চুটিয়ে আড্ডা দিতে পারে, সর্বোপরি সোবার নামের শাউয়ামার্কা একটা পেজ চালাতে পারে- তবে হয়তো হেসেই উড়িয়ে দিতাম। কিন্তু আজ অবিশ্বাস্যভাবে আমরা সেটাই করে যাচ্ছি। জীবনের এই গোধূলিবেলায় এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে?

মাকসকে তিপ্পান্নতম জন্মবার্ষিকীর শুভেচ্ছা। সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মাকসের সাথে এক কাপ মোকাচিনো পান করব। তারপর বাইক চালিয়ে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবো দুজন। শ্রাবণ মেঘের ফুরফুরে বাতাসে ভেসে আসা ভেজা মাটির ঘ্রাণ। এই আবহাওয়ায়, এসব দিনে জাগতিক প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সব হিসেব গুলিয়ে যায়।

রাতের বেলা হয়তো জাদুকাটা নদীর ধারে হাঁটব, কখনও থমকে দাঁড়িয়ে ব্রি সেবন করব দুজন। মার্লব্রো গোল্ড, মার্লব্রো এডভান্স। একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে হয়তো একে অন্যের অলক্ষ্যে আকাশের দিকে তাকাব আড়চোখে। ওপর থেকে যেই সর্বশক্তিমান সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন, তার উদ্দেশ্যে ভাবব:

"আমি অকৃতি অধম বলেও তো কিছু
কম করে মোরে দাওনি;
যা দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া
কেড়েও তা কিছু নাওনি..."

- ডা: ফাকতাড়ুয়া।

 : (স্পয়লার অ্যালার্ট)অনলিফ্যানস কিংবা টিকটকের যুগে বিভিন্ন কারণে আপনার বই পড়া দরকার। বিনোদন হোক কিংবা মানসিক শান্তির জন...
09/08/2025

: (স্পয়লার অ্যালার্ট)

অনলিফ্যানস কিংবা টিকটকের যুগে বিভিন্ন কারণে আপনার বই পড়া দরকার। বিনোদন হোক কিংবা মানসিক শান্তির জন্যই হোক। যদি বইপড়ুয়া হয়ে থাকেন, তাহলে তো কথা নাই। আর যদি বই পড়ার অভ্যাস না থাকে, তাও আলগা ভাব মারানোর জন্য মাঝে-মধ্যে বই পড়া উচিত। যেহেতু সমকালীন সাহিত্য পড়ে আলগা ভাব শোধানো যায় না, তাই সেক্ষেত্রে ক্লাসিক সাহিত্য গুরুত্বপূর্ণ। কথার মধ্যে দস্তয়েভস্কি, তলস্তয়ের রেফারেন্স দিতে পারলে আরও বেশি হ্যাডম দেখাতে পারবেন। কিন্তু সমস্যা হলো আপনার বই পড়ার অভ্যাস নাই এবং দস্তয়েভস্কি মোটাসোটা ভাবগম্ভীর বই লিখেছেন। এই সমস্যার সমাধানেই সোবার হাজির হয়েছে দস্তয়েভস্কির ছোট্ট সাইজের একটি বই "White Nights" নিয়ে। এই বই অনায়াসে পড়তে পারবেন, তর্ক করার সময় সবাইকে দস্তয়েভস্কি পড়েন বুঝিয়ে তাক লাগাতে পারবেন। একই সাথে সুন্দ্রীদের সাথে চ্যাট করার সময় নিজের ছোট্ট নুন্টুর ছবি না পাঠিয়ে বইয়ের এস্থেটিক ছবি দেখানোর মাধ্যমে সহজে রিজেক্টেড না হয়ে আরও কিছুদিন লদকা-লদকির সুযোগ পাবেন।

এখন মূল প্রসঙ্গে আসি। রাশিয়াসহ আশেপাশের কয়েকটা দেশে জুন-জুলাই মাসে রাত অনেক লম্বা হয় (লোকজন লদকা-লদকিতে লিপ্ত হতে পারে কম, কিন্তু তাতে সমস্যা নাই)। অনেকক্ষণ আলো থাকে বলে জ্ঞানী-গুণীরা আবেগাপ্লুত হয়ে এই ঘটনাকে সাদা রাত বলে থাকেন। এমনই চারটি সাদা রাতের কাহিনী নিয়ে হোয়াইট নাইটসের মূল কাহিনী।

গল্পের নায়ক একজন আন্তর্জাতিক মানের বোকাচু, পচিশোর্ধ আসোদা যুবক। আসোদা থাকার কারণে তার জীবনে তেমন কোন আনন্দ নাই। রাস্তাঘাটে লোকজন দেখে আর উল্টাপাল্টা ভাবে। নিজেকে স্বপ্নচারী দাবী করে (কারণ বেশিরভাগ সময়ে তার স্বপ্নদোষ হয়)।

এই আসোদা ভাইয়া একদিন রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় দেখতে পায়, এক কচি সুন্দ্রী আপ্পিকে রাস্তায় ব্রিজের কাছে এক ছিনতাইকারী আক্রমণ করেছে। ছোটবেলায় ওমর সানির সিনেমা দেখার কারণে আমাদের নায়ক ভাইয়া ফাচুকি ফাপড় দিয়ে নায়িকাকে বাঁচাতে যায়। সেখানেই তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর নাস্তানকা নামের কচি সুন্দ্রীকে সে দুনিয়ার বালছাল মিনিংলেস কথা বলতে থাকে। নাস্তানকা বোরড হয়ে বাসায় চলে যায়, কিন্তু পরেরদিন একই সময়ে আবার দেখা করতে চলে আসে। কারণ, মেয়েরা শুধু ছেলেদের দেহ চায় (ছেলে বোকাসোদা হলেও সমস্যা নাই)

দ্বিতীয় রাতে নায়ক ভাইয়া আরও অনেক ডায়লগবাজি করে নাস্তানকার মাথা সুদে দেয়৷ তৃতীয় রাতে আবার নাস্তানকা তার সাথে দেখা করে। এবার মেয়েটা নিজের গল্প শোনায়। আমরা জানতে পারি, নাস্তানকা এতিম, নিজের দাদীর সাথে থাকে। অন্ধ দাদী আগেই বুঝতে পেরেছিল উঠতি বয়সের সাথে সাথে নাস্তানকা অনেক বেশি হর্নি হয়ে উঠেছে। তাই ওকে সেফটিপিন দিয়ে নিজের কাপড়ের সাথে আটকে রাখত সবসময়। কিন্তু দাদীর বাড়িতে এক যুবক চিলেকোঠায় ভাড়া ওঠার পর নাস্তানকার মারাত্মক ভ্যাড়া উঠে যায়। সে মাঝরাতে ওই যুবকের কাছে গিয়ে আকারে-ইঙিতে দেহ চেয়ে বসে (বালছাল পেমের কথা বলে)। ওই যুবক কিঞ্চিৎ দুর্বল পুরুষ হওয়ায়, নাস্তানকাকে বলে সে এক বছরের জন্য মস্কো যাবে। সেখানে গিয়ে নুন্টুতে মর্দে জোয়ানী তেল মালিশ করে একবছর পর ফিরে এসে নাস্তানকাকে বিয়ে করবে।
তিনদিন হলো এক বছর পার হয়ে গেছে, কিন্তু সেই যুবক ফিরে আসেনি। নাস্তানকা বুঝতে পারে, নুন্টু শক্ত করার পর এখন সে অন্য মেয়েদের সাথে লদকা-লদকিতে ব্যস্ত। তাই আর নাস্তানকাকে ধিপধাপ ঠাপাতে আগ্রহী নয়। যেহেতু পুরুষের সবচেয়ে বড় শত্রু তার নিজের নুনু, তাই নুন্টুর উত্তেজনায় চতুর্থ রাতে আমাদের আসোদা স্বপ্নদোষী নায়ক নাস্তানকাকে ন্যাকামি করে প্রেম নিবেদন করে বসে। হর্নি নাস্তানকা ভাবে, এই ছেলেটার দেহ চুষে ছিবড়ে করে ফেলা যাবে। তাই সে হ্যাঁ বলে দেয়। এমনকি নায়ককে বুদ্ধিও শিখিয়ে দেয়, পরেরদিন যাতে ওর দাদীর চিলেকোঠায় ভাড়াটে হিসেবে উঠে আসে। সেক্ষেত্রে ওরা চাইলেই গাদনলীলায় লিপ্ত হতে পারবে।

একদিকে যখন প্রেম ফিক্স হয়ে যাচ্ছে, এমন সময় মর্দে জোয়ানী তেল মালিশ করা যুবক ফিরে আসে। নাস্তানকা বুঝতে পারে, যুবকের নুন্টু এখন মোটাতাজা হয়েছে। চরম সুখের আশায় সে পল্টি মেরে যুবকের কাছে চলে যায়। তবে আমাদের আসোদা নায়ককে বোঝায়, ও অনেক দু:খিত। নায়কের মতো ভালো মানুষ আর হয় না।

আমাদের আসোদা নায়ক তখন মনে মনে নাস্তানকার কথা ভাবতে থাকে, কিন্তু নুন্টু দুর্বল হওয়ায় হাতও মারতে পারে না। কাল্পনিক সুখের কথা চিন্তা করেই সে ভাবে,

" My God, a moment of bliss. Why, isn't that enough for a whole lifetime?"

দস্তয়েভস্কি'র White Nights এর মূল বার্তা হচ্ছে "মানুষ মূলত একা"। দস্তয়েভস্কি না লিখে অন্য কেউ এই উপন্যাস লিখলে অন্তত ৯০% পাঠক এই উপন্যাসকে বাতিলের তালিকায় ফেলে দিতো৷ কিন্তু যেহেতু দস্তয়েভস্কি লিখেছে, তার মানে ঠিকই আছে!

ভালো ভালো ডায়লগ শেখার জন্য এই বই পড়তে পারেন। ইংরেজি চিজি ডায়লগ মারলে স্যাপিওসেক্সুয়াল আপ্পিরা পটে যেতে পারে। তাছাড়া সিচুয়েশনশিপ, ফ্রেন্ডজোনড কমপ্লেক্সসহ আধুনিক জমানার অনেক কায়দা-কানুন সম্পর্কে ধারণা পেতেও ১৮৪৮ সালে প্রকাশিত এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

- ডা. ফাকতাড়ুয়া

08/08/2025

টিন্ডারে পরিচয়। তারপর একদিন দুই ছিলিম কফি খেলাম মেয়েটার সাথে। বললো, আগামীকাল আমার বাসায় আসবা? আমি এর চেয়েও ভালো কফি বানাই। খাওয়াবো তোমাকে। আমার বারান্দা থেকে লেক দেখা যায়। অনেক বাতাস … বাসায় ডাকছি দেখে আবার ভাইবো না যে অন্যকিছু করবো!

আমি বললাম, আরে না। কি যে বলো! উল্টা-পাল্টা ভাববো ক্যান?

তারপর তার বাসায় গেলাম কফি খেতে।

আমি জীবনে প্রথম কারো বেডশিটে কদম ফুলের ছবি দেখলাম। কালারটা বেশ রিয়েলিস্টিক। কদমফুলের পাশে আবার একটা করে রঙ্গন ফুল। প্রতি সারিতে মোট ষোলোটা ফুল। আটটা কদম, আটটা রঙ্গন।

আর ওর বেডরুমের ফ্যানটা ওয়ালটনের। সাদা রঙ। দেখতে বেশ সুন্দর। তিনটা পাখাই মোটরের ভেতর থেকে সেট করা। টিপিক্যাল ফ্যানের মতো বাইরে তিনটা স্ক্রু দিয়ে আটকানো না। নিঃশব্দে চলে। তবে প্রতি দুই মিনিট পরপর হালকা করে ঘ্যারঘ্যার আওয়াজ আসে চার-পাঁচ সেকেন্ডের মতো। তখন ফ্যানটা হালকা কাঁপে।

যাইহোক, ভালো লাগলো।

07/08/2025

দীর্ঘকাল যাবত আমার বিশ্বাস ছিল মেয়েরা গালি গালাজ করে না, সুন্দ্রী-অসুন্দ্রী কোন মেয়েই না। এখানে আসলে কোন স্টেরিওটিপিকাল ব্যাপার-স্যাপার নাই, পুরো ব্যাপারটাই নির্দোষ রোমান্টিসিজিম।

বলতে সংকোচ নাই, আপনাদের সবার শুভকামনায় ইন্টারে পড়ার সময় আমি তুখোড় ফাকবয় ছিলাম। বয়েজ স্কুল থেকে তখন সদ্য ঢাকার একটা শীর্ষস্থানীয় কম্বাইন্ড কলেজে ভর্তি হয়েছি। স্কুলের যেই বন্ধুরা বয়েজ কলেজে ভর্তি হয়েছিল, তারা এই ব্যাপারে প্রায়সই হিংসা প্রকাশ করত। চাইনবোদ ক্যাটাগরির কয়েকজন বন্ধুর রুটিন ওয়ার্ক ছিল আমি কোন বান্ধবীর সাথে ফেসবুকে ছবি দিলে তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠানো। শুধু বান্ধবীকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েই ওরা থেমে যেতো না, সেই বান্ধবীর লিস্ট ঘেটেঘুটে আরও একশটা মেয়েকে নিজের ফ্রেন্ড বানানোতে তুখোড় পারদর্শী ছিল ওরা। এক ছ্যাচড়া দুচির্ভাই আমার এক বান্ধবীর প্রফাইল ঘেটে ওর মাকে পর্যন্ত ফেসবুকে এড করে ফেলেছিল। ছবিতে কমেণ্টও করেছিল, "আসসালামু আলাইকুম আন্টি। আপনি দেখতে অনেক সুন্দর, এখন বুচ্ছি তাসনিম কীভাবে এত সুন্দর হইছে!"

মূল প্রসঙ্গ থেকে সরে যাচ্ছি। দু:খিত। কী নিয়ে কিথা হচ্ছিল? মেয়েরা গালি-গালাজ করতে জানে না, তাই তো?

আমার এই ভুল ধারণা সর্বপ্রথম ভাঙ্গল ইন্টার ফাস্ট ইয়ারের শেষের দিকে। সায়েন্স ফেয়ার (বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশা এবং লদকালদকির সুযোগ) সংক্রান্ত কাজে তখন দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গার্লস কলেজে যাওয়া হয়েছিল আমার। নাম বলব না, বললে আপনারা বুঝে ফেলবেন।

তো যাই হোক, সেই সায়েন্স ফেয়ারে তিনদিন ঘোরাঘুরি করার পর মোবাইল ভর্তি করে প্রচুর মেয়েদের নাম্বার নিয়ে বিজয়ীর বেশে ফিরলাম। সারারাত এর-ওর সাথে কথা হয়। নিজের কলেজের সুন্দ্রীদের কথা বেমালুম ভুলে যেতে বসেছিলাম তখন। এরই মাঝে এক রাতে আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসল। জনৈক সুন্দ্রীর কল কেটে রিসিভ করলাম।

"হ্যালো, ইয়ে, আপনি ফাকতাড়ুয়া বলছেন?"
মিষ্টি নারীকণ্ঠ শুনে বুকের ভেতর ধক করে উঠল।
"হ্যা, বলছি। আপনি কে?"
"আমি এলিজাবেথ (ছদ্মনাম) বলছি। আপনাকে সায়েন্স ফেয়ারে দেখেছিলাম। আমরা কি ফ্রেন্ড হতে পারি?"
"হ্যা পারি। ব্লাব্লাব্লাব্লা....."

আপনারা জানেন, শক্ত ধোনের পাশাপাশি নরম মনও পুরুষের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই দুই মহাশত্রুর পাল্লায় পড়েই জনৈক আপ্পির সাথে সারারাত কথা বলে আমি ভীষণ মুসিবতে পড়লাম। সেই রাতের পর দিন নাই, রাত নাই, আপ্পি খালি ফোনে কথা বলতে চায়। মিসকল মিসকল নামে এক শাউয়ার খেলায় তখন যুবসমাজ চরমভাবে আসক্ত। সেই খেলাও আপ্পি সমানতালে চালিয়ে যেতে চায়। তার ওপর শত শত ম্যাসেজ তো আছেই। সেই ম্যাসেজের বিষয়বস্তুরও তেমন আগামাথা নাই...

" ki koro"
"coaching e aschi"
"Abbu Icecream niye asche"
"bhaat khailam"
"Avatar dekhso?"
"miscall dawna kano?"
বালছাল বালছাল বালছাল বালছাল.....

তখনই আমি প্রথমবারের মতো আবিষ্কার করলাম, নারীর সৌন্দর্য রহস্যময়তায়। মানে ঠিক আছে, মেয়েরা শুধু ছেলেদের দেহ চায়, মানলাম। কিন্তু সেই চাওয়ার ভেতরে একটা রহস্য থাকতে হবে। একটু-আধটু এভয়েড করা, নিজেকে আস্তেধীরে চেনানো, লাস্যময়ী আচরণ - এসব না থাকলে মেয়ে যতই সুন্দ্রী হোক, ব্যালেন্স থাকবে না।

অত:পর সেই আপ্পির আচরণে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে আমি পাগলপ্রায় হয়ে গেলাম। বাস্তব জীবনে সে সুন্দ্রী নাকি অসুন্দ্রী- হালকা ডেটিং এ গিয়ে সেটা যাচাই করার ইচ্ছাও শেষ বিকেলের পাদের মত উড়ে গেলো। এদিকে সরাসরি ফোন করতে মানাও করতে পারি না। আপনারা তো জানেনইন, মেয়েদেরকে কখনোই না বলতে পারি না আমি!

শেষমেশ একটা নাটক সাজালাম। নিজের কলেজের এক অত্যন্ত সুন্দ্রী বান্ধবীকে পুরো ঘটনা খুলে বলে প্রস্তাব দিলাম, আজ রাতে সেই বিরক্তিকর আপ্পি যখন আমাকে ফোন করবে তখন আমি সেই কলের মাঝে কনফারেন্স করে আমার সুন্দ্রী বান্ধবীকে ঢুকিয়ে নেবো। তারপর অসহায়ের মতো অভিনয় করব যে ভুলবশত কনফারেন্স হয়ে গেছে। এই ফাঁকে আমার সুন্দ্রী বান্ধবী অভিনয় করবে যে সে আমার গার্লফ্রেন্ড। রাত বিরাতে আমাকে ডিস্টার্ব করার জন্য জনৈক ছ্যাবলা আপ্পিকে ঝাড়িও দেয়া হবে।

এই পরিকল্পনায় এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়। এক, ছ্যাবলা আপ্পির হাত থেকে মুক্তি পাই। দুই, আমার কলেজের সেই সুন্দ্রী বান্ধবী সত্যিকার অর্থেই অত্যধিক সুন্দ্রী ছিল। এইসব নাটকের মাধ্যমে সত্যি সত্যি তাকে জাস্ট ফ্রেন্ড বানানো গেলে ব্যাপারটা খারাপ হয় না!

তো যেই ভাবা সেই কাজ। রাত দেড়টার দিকে ছ্যাবলা আপ্পি আমাকে ফোন দেয়ার পর মিনিট পাঁচেক বালছাল আলাপ করলাম। এই ফাঁকে অন্য মোবাইল থেকে সুন্দ্রী বান্ধবীকে টেক্সট পাঠালাম আমাকে ফোন দেয়ার জন্য। ফোন আসামাত্র কনফারেন্স কল জয়েন করে যখন অভিনয় শুরু করতে যাব, তখনই একপাশ থেকে আমার সুন্দ্রী বান্ধবী খেকিয়ে উঠল:

"এই ফাকতাড়ুয়া, তোমার ফোন বিজি কেন?"
ছ্যাবলা আপ্পি তোতলাতে তোতলাতে বলল, "হ্যা...লো? কে?"

আমি সুযোগ বুঝে বিড়বিড় করলাম। "ও শিট। কনফারেন্স হইছে নাকি? ইয়ে, এলিজাবেথ, ও আমার ফ্রেন্ড, ভিক্টোরিয়া।"

আমার সুন্দ্রী বান্ধবী বলল, 'ফ্রেন্ড মানে কি? ঠিকমতো বলো, আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড? এই মাতারি কে?'

আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারলাম না? ভিক্টোরিয়া কি সত্যিই মাতারি শব্দটা উচ্চারণ করেছে? আমার মনে হতো ওর মুখে শুধু শরতের রোদ উছলে পড়ে, ক্যামেলিয়ার সুঘ্রাণ ছড়িয়ে থাকে দিনমান।

এদিকে ততক্ষণে ধুন্দুমার অবস্থা। শুধু কান পেতে শুনলাম:

"এই মানকি খাগি? রাত্রেবেলা অন্যের বয়ফ্রেন্ডকে ফোন দেস কেন?"
"মুখ সামলায়া কথা বল, মুতচারানি। তোর বয়ফ্রেন্ড্রে তুই চোদ। আমার সাথে গরম দেখাস কেন?"
"চুপ, মাউয়াশারানি। একদম চুপ। আমার বয়ফ্রেন্ডরে আমি একলাই চুদব। তোর এত চুলকায় কেন? সাহস থাকলে সামনে আয়, শাউয়া ছিইড়া হাতে ধরায়া দিব।"
"গামির ঘরের গামি। তোর এত সাহস। তোর ভো...."

হতবাক হয়ে শুনলাম একটানা অনেকক্ষণ। তারপর ফোন কেটে দিলাম। এরই মাধ্যমে আমার দীর্ঘদিনের রোমান্টিসিজমের সমাপ্তি ঘটল। মেয়েরা গালি-গালাজ করে। কিছুক্ষেত্রে ছেলেদের জ্ঞানের পরিধির বাইরেও করে। মন খারাপ করে সেই রাত আমি একফোটাও ঘুমাতে পারিনি।

বি:দ্র: এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই সুন্দ্রী বান্ধবীর সাথে আমি পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলাম।

- ডা: ফাকতাড়ুয়া।

07/08/2025

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছোট্ট গুপ্তকে দেখে আমি ভাবতাম, বাহ! কি ভদ্র ছেলেটা! কারণ সে কথা খুব কম বলতো। মাথা নিচু করে ছবি আঁকতো।কোনো হাওকাও ছিলো না।

একদিন দেখলাম, আমাদের কেয়ারটেকার গ্যারেজে নামাজ পড়ছে। এর একটু সামনে গুপ্ত সাইকেল চালাচ্ছিলো। হঠাৎ দেখলাম, গুপ্ত এক লাফে কোত্থেকে জানি একটা অ্যারোসলের বোতল বের করলো। তারপর নামাজে দাঁড়ানো কেয়ারটেকারের লুঙ্গির নিচে হাত ঢুকিয়ে স্প্রে করে এক দৌড়ে পালিয়ে গেলো। ঘটনার আকষ্মিকতায় আমি চোদনা হয়ে গেলাম।

পরে কেয়ারটেকার কইলো, ভাই, এই শাউয়ার নাতি প্রায়ই আমার লগে এমন করে।

সেদিন আমি বুঝেছিলাম, এই ছেলে একদিন অনেকবড় নষ্ট, চরিত্রহীন ও লম্পট হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলবে। মেয়েদের দেহ ও মন নিয়ে কিছুদিন গোপনে খেলে টেলে ভেগে যাবে।

তাই ওকে অ্যাডমিন বানানোর সময় ওর নামকরণ হয়েছিলো – দ্যা অ্যাসাসিন ফাকার। বাংলায়, গুপ্তচোদক।

- মাকস

07/08/2025

ল্যাওড়া ইয়ামিন নামে আমাদের এক মহাছ্যাচড়া বন্ধু ছিল। পৃথিবীর তাবত মেয়েদের পিছে ঘোরা ছাড়া ওর জীবনে তেমন কোন উদ্দেশ্য ছিল না। ইয়ামিনের জীবনের একটাই মূলমন্ত্র: চেহারা-ছবি যেমনই হোক না কেন, মেয়ে হলেই হবে। ফেসবুক, ইয়াহু মেইল, মিগ থার্টি থ্রি, হাই ফাইভ, মোবাইল, চিরকুট, টিএনটি ফোনসহ সমস্ত উপায়ে সে একেকবার এক মেয়ের সাথে প্রেম করার চেষ্টা করে প্রত্যাখ্যানের শিকার হতো। অত:পর নুন্টুতে সরিষার তেল মেখে সেই মেয়ের কথা ভেবে হাত মারতে মারতে হাউমাউ করে কেঁদে বুক ভাসাত।

ল্যাওড়া ইয়ামিনের এই ছ্যাচড়ামি স্বভাবে আমরা এত বেশি বিরক্ত ছিলাম যে আড্ডার সময় সে কোন মেয়ের প্রসঙ্গ আনলে দলবেধে ওর পাছায় লাথি মারা হতো। লাথি খেয়ে অবশ্য ওর লজ্জা হতো না। দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে সে আমাদেরকে মোবাইলে নতুন নতুন মেয়েদের ছবি দেখিয়ে বলতো, কালকে ওকে প্রপোজ করব আর পরশুদিন ওকে...

প্রায় সাত-আটশ মেয়ের সাথে প্রেম করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ২০১১ সালের শুরুর দিকে ইয়ামিন জনৈক সুন্দ্রী আপ্পিকে প্রেমের জালে জড়াতে সক্ষম হয়। প্রথম ডেটেই সে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ফার্মগেটের একটা "সামাজিক হোটেলে" গাদনলীলায় লিপ্ত হয়। এই তথ্য অবশ্য আমরা পেয়েছিলাম আমাদের আরেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু মানিক (ছদ্মনাম) এর মাধ্যমে। কারণ ফার্মগেটের সেই হোটেলে যাবার আগে মানিকের মাধ্যমেই এলাকার ফার্মেসী থেকে লেবুর সুগন্ধীযুক্ত কনডম সংগ্রহ করেছিল ল্যাওড়া ইয়ামিন।

প্রায় মাস তিনেক ধিমধাম লাগালাগি চলে এই কপোত-কপোতীর। এই সময়টায় ইয়ামিন আমাদের কাছে খুব গর্ব করে বলত, মেয়েটার প্রতি ও একদমই উইক না। শুধুমাত্র দৈহিক প্রশান্তির জন্য রিলেশন কন্টিনিউ করে যাচ্ছে। ভালোবাসা নামক কিছুতে ওর বিন্দুমাত্র বিশ্বাস নেই। ইয়ামিনের আচার-আচরণ দেখে তখনই আমরা উপলব্ধি করতে সক্ষম হই: নিজের নুনুর মতো বড় শত্রু পুরুষের জীবনে আর কেউ নেই।

আরো এক মাস পর সেই সুন্দ্রী আপ্পি হঠাত করেই নিজের ভার্সিটির এক ক্রাইম পার্টনার বন্ধুর সাথে রিলেশনে জড়িয়ে পড়ে ইয়ামিনের সাথে ব্রেক আপ ঘোষণা করে। ব্রেক আপ হবার পর প্রথম রাতেই ইয়ামিন হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে আমাদের কাছে স্বীকার করে, মেয়েটাকে সে পাগলের মতো ভালবাসত। ওকে ছাড়া বেচে থাকার কোন মানে হয় না। এই বক্তব্য শুনে আমাদের আবারও উপলব্ধি হয়: শক্ত নুনুর পাশাপাশি কোমল হৃদয়ও পুরুষের আরেক শত্রু।

এরপর ছ্যাচড়াদোচা ইয়ামিন বারবার ওর এক্স ফাকবাডির সাথে প্যাচ আপ করার চেষ্টা করে। এমনকি একদন টিএসসি চত্বরে দিনে দুপুরে সবার সামনে মেয়েটার পায়ে ধরে চিৎকার করে বলে, "আমার জীবনে ফিরে এসো। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না।" কিন্তু জনৈক সুন্দ্রী আপ্পির হৃদয় যে ওর নু*র চেয়েও অনেক বেশি শক্ত, সেই ধ্রুব সত্য ইয়ামিনের আগে জানা ছিল না।

এরপর ইয়ামিন আমাদেরকে কয়েকবার করে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে, এখন আর বেঁচে থাকার কোন অর্থ নেই। যেকোন দিন সে সুইসাইড করে জীবনের অবসান ঘটাবে। রাখাল বালকরূপী ইয়ামিনের ছ্যাচড়ামি দেখতে দেখতে আমরা তখন বিরক্তির শেষ পর্যায়ে পৌছে গেছি। একদিন প্রচণ্ড রেগে আমাদের নির্মম বন্ধু সাইফুল ওকে বলেই বসে, "এখনই বাসায় গিয়ে মর, মাচার্দোচ।"

ইয়ামিন উঠে দাঁড়ায়। একবারও পেছনে না তাকিয়ে সরাসরি চলে যায় নিজের ভার্সিটির হোস্টেলে। তারপর হোস্টেলের। বন্ধুদের কাছে এটেনশন সিকিং এর ধান্দায় বারবার করে বলতে থাকে, "আমি আজকে সু**সাইড করব।" সেই বন্ধুরাও একইভাবে ইয়ামিনের ছ্যাচড়ামিতে বিরক্ত। ওরাও একইভাবে ইয়ামিনকে বলে, "যা গিয়া মর, বানইদোচ।"

অত:পর ইয়ামিন নিজের ঘরের ভেতর ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। ফ্যানের সাথে একটা গামছা বেধে ফাঁস দেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এখানে বলে রাখা ভালো, ইয়ামিন বরাবরই কিছুটা কিপটাচোদা স্বভাবের। রাস্তার পাশ থেকে বিশ টাকা দামের সস্তা গামছা কেনার কুফলটাও সে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল সেদিন। ফ্যানের সাথে গামছা বেধে যখন ও পৃথিবীকে চিরবিদায় জানিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে যাবে, ঠিক তখনই সস্তা গামছাটা ওর বিশাল ভুড়ি আর পাছার ভার সামলাতে না পেরে ফ্যাস্ফ্যাস করে ছিড়ে যায়। অত:পর ইয়ামিন লটকানো অবস্থা থেকে বিকট শব্দে আছড়ে পড়ে সিমেন্টের মেঝের ওপর। মাটির সাথে সরাসরি সংঘর্ষে ওর থুতনি ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। পাশের ঘর থেকে বিকট শব্দ শুনে কতিপয় জুনিয়র ছাত্ররা এসে দরজা ভেঙে ইয়ামিনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে থুতনিতে সেলাই দেয়ানোর ব্যবস্থা করে।

না, এই কাহিনি পড়ে ইয়ামিনের জন্য সমব্যথী হবেন না। উপরিউক্ত ঘটনার সপ্তাহ দুয়েক পরেই ইয়ামিন নিজের সেলাই দেয়া থুতনির ছবি বিভিন্ন মেয়েদের ম্যাসেঞ্জার ইনবক্সে পাঠিয়ে ম্যাসেজ দিতে শুরু করে, "আমি অনেক লোনলি। তুমি কি আমার সাথে একটু কথা বলবে?"

তারও এক মাস পর আমরা মানিকের কাছ থেকে জানতে পারি, নতুন এক সুন্দ্রী আপ্পিকে নিয়ে ফার্মগেটের সেই সস্তা হোটেলে যাতায়াত শুরু করেছে ইয়ামিন। নতুন আপ্পির পছন্দ চকোলেট ফ্লেভারের ডটেড কনডম।

মানিক নিজের হাতে ইয়ামিনকে সেই কন্ডমের চারটা বাক্স ডেলিভারি দিয়ে এসেছে।

- ডা: ফাকতাড়ুয়া

06/08/2025

একটি ভৌতিক গল্প:

মাঝরাতে রাস্তার কোণায় পেচ্ছাব করার জন্য প্যান্টের জিপার খুলতে যাচ্ছিল দীপু। এমন সময় পাশে একটা সাদা জোব্বা পরা লম্বামতন লোক এসে দাঁড়াল। দীপু তাকিয়ে দেখল, লোকটার পা মাটি থেকে অন্তত চার ইঞ্চি ওপরে ভেসে আছে।

দীপুর বয়স ৩১, তবে এই বয়সেও সে দামী ব্র‍্যান্ডের অলিভ অয়েলের মতো এক্সট্রা ভার্জিন। সঙ্গত কারণেই ওকে দেখে অশরীরী সেই আত্মার মায়া হলো। কোমল কণ্ঠে দীপুকে উপদেশ দিলো সে, "ভয় পাসনে বাবা। তুই আগে মোত।"

দীপু ঠকঠক করে কাপতে কাপতে বলল: "সমস্যা নাই, ওস্তাদ। লাগবে না।"

অশরীরী আত্মা ক্ষেপে গেলো এবার। প্রচণ্ড জোরে ধমকে উঠল, "এজন্যই আদোচাদেরকে মায়া দেখাতে নাই। তোর ঘাড় না মটকে আমি আগে মোতার সুযোগ করে দিলাম। আর তুই বলতেছিস লাগবে না। আজকে প্রমাণ পেলাম, মানুষ অথবা ভূত, দুই জগতেই ২৬+ বয়স্ক ভার্জিন হচ্ছে সমাজের বোঝা।"

দীপু এবার হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল। কাঁদতে কাঁদতে যখন হেচকি উঠে অজ্ঞান হবার উপক্রম, তখন অবস্থা বেগতিক দেখে অশরীরী আত্মা ওকে জড়িয়ে ধরল। সেই অবস্থাতেই উটকো গন্ধে তার নাড়িভূড়ি উলটে বমি চলে এলো।

বমি করতে করতে দীপুর দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠল সে, "তোর গায়ে এমন বিশ্রি গন্ধ কেন রে শ্লা? এই গন্ধে আমারই বমি হচ্ছে, মানুষের না জানি কী অবস্থা হবে! মৃত লাশকে কখনো বমি করতে দেখেছ?"

দীপু চোখের পানি মুছল। তারপর আস্তে করে প্যান্টের জিপার খুলে নুনু বের করে বলল, "আপনাকে দেখে আমি প্যান্টেই মুতে দিছি, ওস্তাদ। এইজন্যই বলছিলাম, আমার আর মোতা লাগবে না। আপনি মোতেন। সেই কথা শুনে আপনি আরও দ্বিগুণ ক্ষেপে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করলেন। আবার পেচ্ছাবের গন্ধে এখন বমিও করলেন। এইযে দেখেন, ৩১ বছর বয়স্ক ভার্জিনের নুনু। এই নুনু কখনও দোচে না, এই নুনু শুধু মোতে। এখন বলেন, মৃত নুনুকে কখনও কথা বলতে দেখেছেন?"

উপদেশ: ২৬+ বছর বয়স্ক ভার্জিনের নুন্টু মাত্রই মৃত। মৃত নুন্টুকে জীবন্ত করা স্পুনিং পজিশনে রতিক্রিয়ার চেয়েও দুরূহ কাজ।

- ডা: ফাকতাড়ুয়া

06/08/2025

এইচএসসির পর ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েই প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীর মস্তিষ্ক ভীষণভাবে দুচে যায়। এই সময়ে বেশ রঙ ঢঙ করা একটা বড়সড় ফ্রেন্ডসার্কেল হয়, এইসব ফ্রেন্ডসার্কেলে অন্তর্ভুক্ত ৭০% সদস্যের ধারণা থাকে তারা খুবই ইউনিক একটা সার্কেল, এই বন্ধুত্ব কোনদিন ভাঙবেনা, অন্যরা সবাই তাদের নিয়ে জেলাস। ফ্রেন্ড সার্কেলে সবাই ভাই-বোনের মতো এবং একজন আরেকজনকে জীবন দিয়ে হলেও হেল্প করবে।

* ২৫% সদস্য সার্কেলে ঢোকে ফ্রেন্ড সেজে মেয়েদের সাথে প্রেম করার জন্য অথবা মেয়েদের সাথে ছবি দিয়ে পুরনো লোননক ফ্রেন্ডদের কাছে শো অফ করার জন্য- "দ্যাখ মামা, আমি তো চিক্স নিয়া ঘুরি।"

* ২৫% থাকে বিশুদ্ধ চাদার্মোদ। এরা সার্কেল পাতায় মূলত নিজের কাজ বাগানোর জন্য। অন্যের ঘাড়ে চড়ে নিজের কাজ আদায় করে নেয়া, টং এ চা-ব্রি মাগনা খাওয়া, এক জায়গার ইনফো আরেক জায়গায় সাপ্লাই দেয়া, সার্কেলের একজনের সাথে আরেকজনের প্যাচ লাগানো - এইসব কর্মকাণ্ড এদের জীবনের মূল উদ্দেশ্য। ফ্রেন্ডগ্রুপের সুন্দ্রী বান্ধবীকে বিছানায় নেয়ার চিন্তা এবং সময়ে-অসময়ে তাদের কথা ভেবে হাত মারাও এদের ধ্যান-ধারণার অন্তর্ভুক্ত।

* ১০% এর উদ্দেশ্য থাকে ইনডিভিজুয়াল ডমিনেশন সৃষ্টি করা। এরা নিজেদের নেতৃত্বে মেইন সার্কেলের ভেতর বেশ কিছু সাবগ্রুপ সৃষ্টি করে। সেই সাবগ্রুপে মেইনটেইন করার জন্য আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ/টেলিগ্রাম গ্রুপ ক্রিয়েট করে নিয়মিত কুটনামি করার মাধ্যমে এরা আধিপত্য খাটায়। মূলত এই সাবগ্রুপগুলোর জন্যই আল্টিমেটলি মেইন সার্কেলের "আকাশ ভরা রঙ্গ, পোঙ্গা মারা সঙ্গ" হয়ে যায়।

অত:পর এসব সার্কেল সাধারণত এক/দেড় বছর টিকে থাকে। ভার্সিটির শেষের দিকে এসে এসব "বেস্ট ফ্রেন্ডগ্রুপ এভার" / "কুলনেস ওভারলোডেড" সার্কেল চুদে খাল হয়ে যায়।

নব্য ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া ফার্স্ট/সেকেন্ড ইয়ারে পড়া যেসব জাদুমণিরা এই পোস্ট দেখে মুখ বাঁকিয়ে হাসছ আর ভাবছ, "আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেল অনেক ইউনিক, এরকম কোনদিনও হবে না"; তাদেরকে আজকের তারিখ ডায়রিতে লিখে রাখার আহবান জানাচ্ছি। দুই বছর পর মনে করে জীবিনের সাথে মিলিয়ে নিয়ো এবং সেই রাতে কনডম পরে ঘুমিয়ে যেয়ো।

- ডা: ফাকতাড়ুয়া

06/08/2025

আমার কলিগ ইরফানের সাথে একটা মেয়ে ইন্সটাগ্রামে চ্যাট করতো। ধরা যাক, সেই মেয়ের নাম বনলতা সেন। এভাবে সপ্তাহখানেক সুখ-দুখের আলাপ চলার পর ওরা দু'জনই হর্নি হয়ে যায় ও ভিডিও কলে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। তারপর একদিন বনলতা সেন বলে, তুমি তো বাসায় একা থাকো। কি খাও না খাও কে জানে? আমি এসে রান্না করে দিয়ে যাই?

কথা শুনে ইরফানের নুনু তড়াক করে ফাল মেরে নাচানাচি শুরু করে দেয়। তারপর বনলতা সেন বাসায় আসে। এরপর আর কিসের রান্না? লদকা-লদকি কইরাই কেউ কুল পায় না।

কাজ-কাম শেষে বনলতা জানায়, আমি একজন প্রফেশনাল এন্টারটেইনার। এই যে তোমাকে এন্টারটেইন করলাম, এটার চার্জ ত্রিশ হাজার টাকা। ভিডিও কলে তুমি যেসব করসো, সবকিছু রেকর্ড করা আছে। এখন টাকা না দিলে এগুলো তোমার ফ্যামিলিকে পাঠায় দিবো।

এরপর আমার কলিগ ইরফান তাকে টাকা দিতে বাধ্য হয়। যাওয়ার আগে বনলতা বলে যায়, আমাকে মিস করলে ফোন দিও।

এ ঘটনা থেকে আমরা এ শিক্ষা পাই যে, পুরুষের সবচেয়ে বড় শত্রু তার নিজের নুনু।

06/08/2025

বহুবছর পূর্বে "রিচার্ড (ছদ্মনাম)" নামক এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কল্যাণে অনিকের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। রিচার্ড আর আমি স্কুল ফ্রেন্ড, তবে এসএসসির পর আমাদের কলেজ আলাদা হয়ে যায়। তারপর নতুন কলেজে গিয়ে অনিকের সাথে বন্ধুত্ব হয় ওর। ফোনে কথাবার্তা বলার সময় প্রায়ই ওর মুখে অনিকের নাম শুনতাম।

বেশ আগ্রহ নিয়েই কিছুদিনের ভেতর অনিকের সাথে পরিচিত হই আমি। তখন ওরা সেগুনবাগিচা এলাকায় থাকত। এক বিকেলে রিচার্ডের সাথে অনিকের বাসার নিচে হাজির হয়েছিলাম। একটা টং দোকানে দাঁড়িয়ে 'মোর' নামক বালছাল ব্রি (তখনও বাংলাদেশে মার্লব্রোর আগমন ঘটেনি) সেবন করতে করতে রিচার্ডের মুখে শুনছিলাম, এলাকায় নাকি অনিকের ভীষণ দাপট। মেয়েদের কাছে তার যতটুকু সফট হার্ট, এলাকার অন্যান্য ছেলেদের কাছে সে ততোধিক টাফ বডি! এলাকায় কোন অনাচার ঘটলে অনিক তাৎক্ষণিক বিচার করে দেয়।

প্রথম পরিচয়ের দিনেই আমাদেরকে প্রায় আধ ঘণ্টা দাড় করিয়ে রাখার পর অনিক হেলেদুলে নিচে নামল। আমার দিকে হাত বাড়িয়ে হেই ব্র, হোয়াসসাপ বলে সরাসরি রিচার্ডকে জিজ্ঞেস করল, "তোরে চুদির ভাইয়ের কথা বলছি না? ও তো একটা মেয়েকে ডিচ করছে বুচ্ছিস? ওই মেয়েটা আবার খুব নরম স্বভাবের। আমার বাসায় এসে কান্নাকাটি করতেছিল, ওকে সান্ত্বনা দিতে দিতেই দেরি হয়ে গেছে..."

ফার্স্ট ইমপ্রেশনেই অনিককে দেখে বেশ "লেবেলের ছেলে" মনে হয়েছিল আমার। সেই সাথে জন্মেছিল অনিকের এলাকার বন্ধু "চুদির ভাইয়ের" প্রতি একরাশ ঘৃণা। সেগুনবাগিচা এলাকায় এরপর থেকে আমরা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন নিয়ম করে আড্ডা দিতাম। মাঝে মাঝে দেখা যেত গলির আরেক মাথায় লম্বা একটা হ্যাংলা-পাতলা ছেলে হেটে যাচ্ছে। অনিক ওর দিকে ঈঙ্গিত করে আমাদেরকে বলত, "ওই দেখ, চুদির ভাই যায়। হারামজাদা নির্ঘাত কোন অসহায় মেয়েরে লাগায়া আসছে। বদ স্বভাবের কারণেই এলাকায় ওরে সবাই চুদির ভাই ডাকে, বুঝলি? এই বাইঞ্চোদের সাথে জীবনেও কথা কবি না।"

এভাবে অনেকদিন কেটে যায়। সামান্য পরিচয় থেকে আমরা ততদিনে বোজম ফ্রেন্ড। একদিন বিকালবেলা অনিকের বাসার নিচে টং দোকানে দাঁড়িয়ে আছি, অনিক যথারীতি নামতে দেরি করছে, এমন সময় হঠাৎ চুদির ভাইয়ের সাথে দেখা। দেখেই এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু ছেলেটা হাসিমুখে এগিয়ে এলো বিধায় ভদ্রতার খাতিরে হাত মেলাতে হলো। হাই হ্যালোর এক পর্যায়ে বললো ও, "তোমরা তো চুদির ভাইয়ের ফ্রেন্ড তাই না? আজকেও তোমাদের নিচে দাড় করায়া বাসায় মাইয়া লাগাইতেছে, তাই না? ওর জন্য তো এলাকার মান সম্মান থাকবে না দেখি। আসো দেখি, আমার বাসায় এসে বসো!"

চুদির ভাইয়ের কথা শুনে অবাক হলাম। আমাদের জানামতে সে নিজেই এলাকার চুদির ভাই। অথচ এখন সে অনিককে চুদির ভাই ডাকছে কেন। আমতা আমতা করেই জিজ্ঞেস করলাম, "ইয়ে ব্র, তুমি কি অনিকের কথা বলতেছ?"

চুদির ভাই মাথা নেড়ে সম্মতি জানাল। "হ্যাঁ, ও ছাড়া আর কে? একেকদিন এক মেয়েরে পটায়া ভুগিচুগি বুঝায়া বাসায় আইনা নষ্টামি করে দেখেই তো এলাকায় ওরে সবাই চুদির ভাই ডাকে। অনিক নামটা তো কেউ জানেই না। কেন, তোমরা জানতা না?"

আমি আর রিচার্ড কোন উত্তর খুঁজে পেলাম না। তবে সেদিন একটা উপলব্ধি হয়েছিল:

"দুশ্চরিত্র লম্পট মানেই একে অপরের চুদির ভাই"

- ডা: ফাকতাডুয়া।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sober Babies posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share