
10/07/2025
ঢাকার ধানমন্ডির একটি পুরনো বিল্ডিং।
তৃতীয় তলার ৭ নম্বর ফ্ল্যাটটা প্রায় এক বছর খালি পড়ে ছিল।
হঠাৎ একদিন আচমকাই খবর ছড়াল—ফ্ল্যাটটা কেউ ভাড়া নিয়েছে।
বাড়িওয়ালার মুখে হাসি, কিন্তু আশপাশের মানুষ অস্বস্তিতে ভরা।
“এতদিন খালি ছিল, হঠাৎ এত রাতে কেউ এসে উঠল! ছেলেটা কথা কম কয়…”
নতুন ভাড়াটিয়া
নাম – সাফওয়ান রহমান।
চেহারায় গম্ভীর, বয়স ৩০-৩২।
নিজেকে বলল, “ফ্রিল্যান্স সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।”
বাড়িওয়ালাকে জানাল – “স্ত্রী আর ছোট ভাই আসবে কয়েক দিনের মধ্যে।”
রাতে ফ্ল্যাটে আলো জ্বলে, ছায়া দেখা যায়, কিন্তু কেউ ওই ফ্ল্যাট থেকে বের হয় না।
প্রতিবেশীদের সন্দেহ
ফ্ল্যাট ৬ নম্বরের পারভীন ভাবি বললেন,
“একদিন বেল বাজিয়ে খোঁজ নিতে গেলাম—দরজা খুলল না। ভেতর থেকে বাচ্চার গলার আওয়াজ শোনা গেল… অথচ সে তো বলেছিল তার বাচ্চা এখনো আসেনি!”
ফ্ল্যাট ৮ নম্বরের মালেক সাহেব বলেন,
“কাউকে দেখলাম না, কিন্তু রান্নার গন্ধ আসে… কে রান্না করে?”
প্রথম অদ্ভুত ঘটনা
তিন দিন পর, একটি খাবার ডেলিভারি আসে ৭ নম্বর ফ্ল্যাটে।
ডেলিভারিম্যান সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় সে ফ্ল্যাটে ঢোকে, কিন্তু বের হওয়ার কোনো দৃশ্য নেই।
ডেলিভারিম্যানের খোঁজ পাওয়া যায় না, ফোনও বন্ধ।
পরিবার থানায় রিপোর্ট করে।
তদন্তে রাশেদ অফিসার
থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাশেদ আহমেদ দায়িত্ব নেন।
তিনি বাড়িওয়ালাকে বলেন,
“আপনি যার হাতে চাবি দিয়েছেন, তার ভাড়া চুক্তিপত্র দেখান।”
চুক্তিতে দেওয়া তথ্য:
নাম: সাফওয়ান রহমান
এনআইডি: ভুয়া
ফোন নম্বর: বন্ধ
স্থায়ী ঠিকানা: মোহাখালী
কিন্তু মোহাখালীর কেউ সাফওয়ানকে চিনে না।
রাশেদের প্রথম শঙ্কা
রাশেদ রাতে বিল্ডিংয়ে গিয়ে দেখেন ৭ নম্বর ফ্ল্যাটে আলো জ্বলছে।
বেল দিলেও কেউ দরজা খুলল না।
দরজায় কান দিয়ে ফিসফিস করে শুনতে পান –
“আসলে সে এখানেই আছে... শুধু ভিন্ন রূপে।”
রাশেদের গায়ে কাঁটা দেয়।
শেষ দৃশ্য
পরের দিন সকালে পুরো বিল্ডিং চমকে ওঠে—
৭ নম্বর ফ্ল্যাটের দরজা ভেতর থেকে লাগানো, অথচ খোলা।
মেঝেতে পড়ে আছে খাবারের ব্যাগ আর ডেলিভারিম্যানের মোবাইল ফোন।
ফ্ল্যাটের ভেতর কেউ নেই।
🎬 TO BE CONTINUED…
পর্ব ২: "ডেলিভারিম্যান গেল কোথায়?"
৭ নম্বর ফ্ল্যাট
পর্ব ১: নতুন ভাড়াটিয়া রহস্য