
08/05/2025
দালাল দিয়ে দেশটা ভরে গেছে। সাধারণ মানুষ কি জিম্মি নাকি দালালের কাছে?
সকাল ৮ টাই পৌছে গেলাম টাঙ্গাইল জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে। যেয়েই দেখি সেখানে প্রায় সবাই এসেছে সেবা পেতে। কিছুক্ষণ যাওয়ার পরেই অফিসের সকল কর্তৃপক্ষ আসেন এবং লাইনে দাঁড়িয়ে ফিঙ্গারের অপেক্ষায় থাকেন বিদেশগামী মানুষেরা। পাশেই হচ্ছিলো ক্লাস ট্রেনিং সেন্টারে, তিনদিন ভর্তি হওয়ার পরে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় সেটার জন্য। ক্লাস ছিলো ১০ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত কাজ ছিলো না,তাই কিছু না ভেবে বসে বসে দেখতে থাকলাম মানুষের কার্যকলাপ। ১১ টার দিকে বাহিরে গেলাম চা খাওয়ার জন্য পথে দেখা হয় একজনের সাথে তিনি ডেকে বলছিলো আমি সব করে দেই।
দালাল: কোন দেশে যাবেন আমার কাছে আসেন আমিই সব করে দিচ্ছি।
আমি : বললাম ভাই আমি কোথাও যাবো না এমনিতেই আসছি এখানে। নিশাদ আলী স্টোরের পাশের দোকানে বসে চা খাচ্ছি আর তার কার্যকলাপ দেখছি কি করে।
পরে দেখি কয়েকজন নারী ফিঙ্গার দিতে এসেছে তাদেরও রাস্তা থেকেই ডেকে ডেকে বলছে আসেন সব আমি করে দিচ্ছি। কেউ তার কাজে এগিয়ে এলেন না। দালাল : বেশ-কিছুক্ষন পরেই একজন ছেলের হাত থেকে কাগজ নিয়েই কি যেনো লিখলো কাগজে আর ছেলেটাকে বললো মধ্যের রুমে যেয়ে এটা দেখাবেন আর ফিঙ্গার দিয়ে আসবেন দেখবেন হয়ে গেছে টাকা লাগবে ১ হাজার কিন্তু সে এতো টাকা দিতে নারাজ পরে ৫০০ টাকায় রাজি হয়ে কাগজ নিয়ে যাওয়ায় সব হয়ে যায় ওই ছেলের।
ছেলে: পরে এসেই তাকে ৫০০ টাকা দিয়ে বলে আরেকটু কম রাখেন।
দালাল: না ভাই কম রাখা সম্ভব না। আপনি আবার আসলে বা আমাকে বললেই হবে।
ছেলে : কথা না বালিয়ে চলে গেলো।
আমি : জিজ্ঞেস করলাম ভাই একটা সাইন করেই ৫০০ টাকা তাহলে তোহ ইনকাম ভালোই।
দালাল : আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে খুজতে লাগলো আর কাকে মুরগী বানানো যায়।
তবে নাম শুনতে পারি নি দালালের। তবে যতটা জানা গেছে, বাবুল নামে কে জানি ডাকছিলো বাবুল ভাই বলে।
আপনাদের কাছে প্রশ্ন : আসলে দালান ছাড়া কি সাধারণ মানুষ নিজের কাজ নিজে করতে পারে না?
নাকি দালালের খপ্পরে পরে আছে সাধারণ মানুষ?