15/07/2025
পূর্ব প্রকাশিতের পর...
দালীলুর রহমান আরো বলেন, ‘এছাড়াও ইসলাম ধর্মের প্রতিটি বিধানই জীবনঘনিষ্ট। সম্পূর্ণ মানবিক। পক্ষান্তরে হিন্দু ধর্মের কিছু বিষয় আগাগোড়াই অমানবিক। যেখানে মানবতার লেশ মাত্র নেই। যেমন, হিন্দু ধর্মে কেউ মারা গেলে ছেলেরা যত বিত্তবানই হোক না কেন, তাদেরকে চল্লিশ দিন পর্যন্ত কেবল ধুতি পরে কাটাতে হয়। এ সময় মাছ-মাংস কিছুই খেতে পারে না। আর ‘কাকবলি’ প্রথা পালন ছাড়া রান্না করা কিছু খাওয়া তো মহাপাপ!
শবদেহ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার মতো ভয়ংকর বিষয় মনে হয় পৃথিবীতে অন্যটি নেই। অথচ দেখো, ইসলাম ধর্মে এসব অমানবিকতার লেশমাত্র নেই। নেই অমানবিক নিয়মের বালাই। কেউ মারা গেলে সবাই কতো সুন্দর করে গোসল করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে দাফন করে। পরকালীন মুক্তি-কামনায় দোয়া-মোনাজাত করে। মৃত ব্যক্তির পরিবার-পরিজন শোকাহত থাকায় পড়শীরা তাদের জন্য খাবার রান্না করে নিয়ে যায়। এর চেয়ে সুন্দর জীবনব্যবস্থা আর কী হতে পারে? আশা করি বিষয়গুলো তুমি স্বাধীনভাবে একটু ভেবে দেখবে।’
কথাগুলো ঠাকুরমার বেশ মনে ধরে। তাই সুযোগ পেলেই নাতির কাছে ছুটে যান। ইসলামের সৌন্দর্য ও সাম্যের কথা শোনেন। একসময় তার হৃদয়েও হেদায়াতের দ্যুতি বিচ্ছুরিত হয়। তিনিও ইসলাম গ্রহণ করেন। তার মাধ্যমে দালীলুর রহমানের জন্য পরিবারের অন্যান্যদের কাছে ইসলামের বার্তা পৌঁছানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়। অবশেষে মহান আল্লাহর অশেষ অনুগ্রহে মাত্র দুই মাসের মাথায় তার পরিবারের সবাই একসাথে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়।
وَاللَّهُ يَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
‘আল্লাহ তা‘আলা যাকে খুশি তাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন’
(চলবে ইনশাল্লাহ!...)
বই: কফি হাউজের সেই আড্ডাটা
লেখক: রবিউল হাসান
ধরন: দ্বীনে ফেরার গল্প
প্রকাশিতব্য