চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা চিন্তা পত্রিকা ও পাঠচক্রের পাতা

পাক্ষিক চিন্তাকে কেন্দ্র করে এই ওয়েব পাতা।

মতান্ধতার মধ্যে খাবি না খেয়ে বাস্তবে যে আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংকট ও সমস্যার মুখে আছি তাকে মোকাবিলা করবার পথ অন্বেষণের জন্যই সকলকে নিয়ে এই চেষ্টা।

আমরা চাই আপনি সক্রিয় ভাবে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন, লিখুন, মন্তব্য করুন। সম্ভব হলে প্রতি বৃহস্পতিবার চিন্তা পাঠ চক্রে যোগ দিন।

https://www.prothomalo.com/opinion/interview/ta4bka4zzl
22/12/2024

https://www.prothomalo.com/opinion/interview/ta4bka4zzl

ফরহাদ মজহার। কবি, ভাবুক এবং পরিবেশ ও মানবাধিকারকর্মী। বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্ম নিয়ে কয়েক দশক ধর....

07/12/2024
https://www.youtube.com/live/4KI80iCgl5M?si=EeK-0aodc0IuYZu4
07/12/2024

https://www.youtube.com/live/4KI80iCgl5M?si=EeK-0aodc0IuYZu4

আলাপবাংলাদেশ ও সংবিধানআলাপ করবেনফরহাদ মজহারকবি ও ভাবুকসঞ্চালনায়নাদিয়া ইসলাম ও তন্ময় কর্মকারসদস্য, গণতান্ত্রি...

https://samakal.com/samakal-anniversary/article/268739
05/12/2024

https://samakal.com/samakal-anniversary/article/268739

llপ্রথমত, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো– এটি আমাদের জনগণের অভিপ্রায়; ব্যক্তি হিসেবে সে যে এক স্বাধী....

https://youtu.be/IXJo8xGvWrg?si=t0FJ8WWYnXNJ-Wua
03/12/2024

https://youtu.be/IXJo8xGvWrg?si=t0FJ8WWYnXNJ-Wua

আগ্রাসী হিন্দুত্ববাদী প্রপাগান্ডা এবং সর্বধর্মসম্প্রীতি সভার প্রয়োজনীয়তাআজ সারা পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশকে নি....

চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকাতে পড়ুন 'ভাসানী ও আগামী রাজনীতি' সিরিজের ছয়টি প্রবন্ধ। পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকেঃ
17/11/2024

চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকাতে পড়ুন 'ভাসানী ও আগামী রাজনীতি' সিরিজের ছয়টি প্রবন্ধ। পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকেঃ

ফরহাদ মজহার || Thursday 16 December 21 || ভাসানী ও আগামী রাজনীতি

16/11/2024

২. গ ঠ নে র ত র্ক : গ ণ অ ভ্যু ত্থা ন ও বাং লা দে শ
আচ্ছা, গঠনের তর্ক বলতে আমরা কি বুঝব?

তথাকথিত 'সংবিধান' প্রণয়ন বা 'সংবিধান' লেখালিখি সম্পর্কে আমাদের যে অনুমান বা ধারণা তা আদতে গণবিরোধী ধারণা এবং জনগণের ওপর বাইরে থেকে চাপিয়ে দেওয়া শাসনবিধি তৈয়ারির এলিট কারবার মাত্র। এটা আমরা এখন কিছুটা বুঝতে পারি। এটা আমরা সহজেই বুঝবো যদি 'জনগণের অভিপ্রায়' কথাটা মনে রাখি। সংবিধান 'জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি' -- এটা বাংলাদেশের সংবিধানও প্রস্তাবনা অংশে কাগজে কলমে স্বীকার করে, কিন্তু এইটুকু কথার কথা মাত্র। সংবিধানের বাকি সবই জনগণের অভিপ্রায়ের সম্পূর্ণ বিপরীত এবং সাংঘর্ষিক। যে কারণে এই সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নাই।

আমরা আশা করব 'গণ অভ্যুত্থান ও গঠন' বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায় ('গঠন ও গঠনতন্ত্র') দয়া করে পড়ে নেবেন, তাহলে আমরা আলোচনাকে অনেক গভীরে নিতে পারব। কারণ আমরা ধরে নিয়েছি এ বিষয়ে আমাদের প্রাথনিক ধারণা হয়েছে।

এবার ভাববৈঠকিতে বিভিন্ন দার্শনিক 'গঠনতন্ত্র'-কে কিভাবে বিচার করেছেন সে সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনার ইচ্ছা আছে। যেমন, কান্ট, হবস, রুশো, হেগেল, লক, মার্কস, প্রমুখ। বর্ণাশ্রমভিত্তিক হিন্দু সমাজের সংস্কারের কথা ভেবে আম্বেদকার ভারতের গঠনতন্ত্র সম্পর্কে কি ভেবেছেন সেটা আমাদের জানা উচিত। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: ক্ষুদ্র জাতিসত্তার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং তাদের সম্পত্তিতে গোষ্ঠ মালিকানার চরিত্র বাহাত্তর সালের সংবিধান অস্বীকার করেছে। এর সমাধান এখন কি ভাবে হতে পারে?

বলাবাহুল্য, ইসলাম বা কোরানের দৃষ্টিতে 'গঠনতন্ত্র সংক্রান্ত আলোচনা কি হতে পারে এবং পাশ্চাত্য চিন্তার সঙ্গে ইসলামের মৌলিক ফারাক কোথায়, ইত্যাদির বিচার জনগণের অভিপ্রায়কে ধারণ করবার জন্য জরুরি। এই সকল গুরুতর প্রশ্ন বা তর্ক আমরা অস্বীকার করে বাংলাদেশে শক্তিশালী রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি আমরা গঠন করতে পারব না। অর্থাৎ সবার আগে আমাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা-পর্যালোচনার শক্তিশালী ধারা গড়ে তুলতে হবে।

ভাববৈঠকি সবসময় গুরুতর জিজ্ঞাসাগুলোকে সামনে আনবার চেষ্টা করে। ভাববৈঠকি ১৪ গঠনতন্ত্র সংক্রান্ত আলোচনা-পর্যালোচনার ধারাকে শক্তিশালি করবে, আমরা তা আশা করি

https://youtu.be/JhD8u5l6JhY?si=FpUQZm7RtRIxXD9D
13/11/2024

https://youtu.be/JhD8u5l6JhY?si=FpUQZm7RtRIxXD9D

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠন প্রশ্নে যে রাজনৈতিক-সাংবিধানিক সংকট দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে অন্তর্বর.....

13/11/2024

ভাসানী আমাদের সঙ্গে নাই ৪৮ বছর।

গণঅভ্যুত্থানের ইমাম তিনি, মজলুমের সেনাপতি। তাঁর মতো 'খামোশ' বলে হুংকার দেবার কেউ না থাকলেও ২০২৪-এ জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেছে। এটা অভূতপূর্ব ঘটনা। কিন্তু ফ্যাসিস্ট শক্তিকে সম্পূর্ণ পরাস্ত করা এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা উৎখাত করে গণক্ষমতাকে গাঠনিক ক্ষমতায় (Constituent Power) রূপান্তর এবং নতুন ভাবে বাংলাদেশ 'গঠন' করবার তরিকা জনগণ এখনও আবিষ্কার করতে পারে নি। এর নানান কারন আছে।

বুদ্ধিবৃত্তিক পশাচাৎপদতা প্রধান একটি কারণ। ক্ষমতা কি, রাষ্ট্র কি, কিভাবে জনগণের ক্ষমতা পয়দা হয় এবং কিভাবে জনগণ তাদের সামষ্টিক ক্ষমতার শক্তিতে বলীয়ান হয়ে নিজেদের নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিশাবে 'গঠন' (Constitute) করে সেই সকল আলোচনা আমরা সবে করতে শুরু করেছি। আমরা শিখছি, আবিষ্কার করছি, জিতেছি, আবার হেরেছি, পিছু হটেছি, আবার সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এতে হতাশ হবার কিছু নাই।

বাংলাদেশ একটি উত্তর-ঔপনিবেশিক দেশ; আমরা বাস করছি পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থায় যেখানে 'রাষ্ট্র' নামে যা আছে তা পুঁজির আত্মস্ফীতি ও পুঞ্জিভবনের হাতিয়ার মাত্র। আসলে বিশ্ব পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় 'রাষ্ট্র' বলতে আমরা আসলে কি বুঝি সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার কি? না পরিষ্কার নয়।

পাশ্চাত্যের গ্রিক-খ্রিস্টীয় আধুনিক রাষ্ট্র জনগণের মুক্তি দিতে পারে ভাসানী সেটা বিশ্বাস করতেন না, অতএব টমাস হবসের লেভিয়াথান তত্ত্বে তাঁর মোটেও আস্থা ছিল না। তিনি বিশ্বাস করতেন 'রবুবিয়াত' বা পালনবাদে, শাসনবাদে না। শাসনের নামে বিশাল জন্তুর রূপ নিয়ে জনগণের ঘাড়ের ওপর যে দানব চেপে বসে সেই দানবকে ঘাড় থেকে নামানো ছাড়া মজলুমের মুক্তি নাই -- এই হোলো সংক্ষেপে মওলানা ভাসানীর রাজনীতি। একালে সে লড়াই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের নামে যে সিকিউরিটি স্টেইট হয়ে দেশে দেশে গড়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে লড়াই ছাড়া মজলুমের মুক্তি নাই।

মওলানা ভাসানী মনে করতেন একালে আমাদের দেশে জনগণের দুষমণ দুই প্রকার। এক প্রকারের নাম তথাকথিত 'কমিউনিস্ট' -- যারা সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত মালিকানার বিরোধিতা করে, কিন্তু জনগণকে বঞ্চিত করে নিজেরাই খোদ রাষ্ট্রের মালিক হয়ে বসে। এদের দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। আর আরেক প্রকারের গণদুষমণ আছে, তারা মৌলভি-মওলানা আলেম-হুজুরের ভেক ধরে পরকালের ব্যবসা করে। এরা দাবি করে দুনিয়ায় গরিব আর মজলুমের কিছুই পাবার নাই, যা তারা পাবার সেটা তারা পাবে মইরা গেলে, মৃত্যুর পরে। যা পাবার পরকালেই শুধু পাওয়া যাবে, জীবিত জীবনে তাগোরে মজলুম ও বঞ্চিত হৈয়াই বেঁচে থাকতে হবে। । এই সকল পরকালবাদী মওলানা-মৌলভি-আলেম গণ ইহলৌকিক জীবন অস্বীকার করে, মজলুম, শোষিত ও বঞ্চিতকে তারা ইহলোকের বিপরীতে পরকাল দেখায়। পরকালের লোভ কিম্বা ভয় দেখিয়ে তাদের টুঁটির ওপর চেপে বসে।

তাদের খোদার ওপর খোদকারি বোঝা কঠিন কিছুই না। তারা মুখে বলে আল্লা সব কিছুর 'মালিক', কিন্তু নিজেরা জমি-জমা সয়-সম্পত্তি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে নিতে ভোলে না। অর্থাৎ আল্লা সব কিছুর মালিক দাবি করলেও নিজে খোদ মালিক হয়।

অর্থাৎ মওলানা ভাসানীর কাছে সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত মালিকানার প্রশ্ন ছিল গুরুতর আইনী, রাষ্ট্রীয় এবং রুহানি তর্কের বিষয়। কেউ যদি কমিউনিস্ট হয় তাহলে সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত মালিকানার বিষয় অবশ্যই ফয়সালা করতে হবে। আর যদি মোমিন হয়, তাকে বুঝতে হবে ইসলাম স্রষ্টার সৃষ্টির ওপর আদম সন্তানদের ভোগের অধিকার স্বীকার করে, কিন্তু আল্লার সৃষ্টির ওপর ব্যক্তিগত মালিকানা ব্যবস্থা স্বীকার করে না।

আল্লাহু আকবর।

এই ভাসানীকে আমরা এখনও পুরাপুরি বুঝে উঠতে পারি নাই। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্যে আমাদের ভাবের ঘরের ফাঁকি বা চিন্তাশীলতার মারাত্মক অভাবগুলো যদি আমরা শনাক্ত করতে ও শোধরাতে পারি, তাহলে বিশাল উল্লম্ফনের জন্য বাংলাদেশে তৈরি। এই অভাব কাটয়ে তোলাই হবে তাঁর ওফাত দিবসে আমাদের প্রধান অঙ্গীকার।

ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা:

Share

Category