14/08/2025
কি নিদারুণ নিষ্ঠুর নিয়তি। বাপদাদার ভিটেমাটি ছেড়ে অজানা অচেনা যায়গায় অনিশ্চিত সফর৷ খেলার সাথী, সহপাঠী, বন্ধু, প্রতিবেশি রাতারাতি সব অচেনা হয়ে গেলো।
আহ্, কল্পনা করেন একবার। জীবনের জন্য সব ছেড়ে ছুঁড়ে চলে যাচ্ছেন ভিন্ন এক দেশে অজানা পরিবেশে। যেখান থেকে ফিরে আসার রাস্তাও বন্ধ।
শত কষ্ট হলেও অনেক কিছু বাস্তবতার কারনে বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হয়। অনিচ্ছা সত্বেও লাখ লাখ মানুষকে ৪৭ মেনে নিতে হয়েছিলো।
তাই আমার কাছে দেশ ভাগ আনন্দের বা উৎযাপনের কিছু না। বরং দেশ ভাগের যত গল্প, প্রবন্ধ পড়েছি বা মুভি, ডকু দেখেছি সব গুলাতেই চোখ ছল ছল করেছে।
তবুও, বাস্তবতা এসব আবেগের অনেক উর্ধ্বে।
যখন শুনি ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসে গরুর মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।
আসামের লাখ লাখ মুসলমানদের বাড়ি ঘরে বুলডোজারল চালানো হয়।
বাংলা ভাষায় কথা বলায় বাংলাদেশী বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মুসলিম পরিচয়ের কারনে চাকরি চলে যায়। ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়৷
পশ্চিম বাংলায় মুসলমানদের ৪র্থ শ্রেনীর নাগরিক করে রাখা হচ্ছে।
মন্দির রক্ষার নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে হরহামেশাই মসজিদ ভাঙা হচ্ছে।
স্কুল কলেজে হিজাব পড়ায় হেনস্তা হতে হচ্ছে ও নানান বৈষম্যের স্বীকার হতে হচ্ছে।
গো রক্ষার নামে দিনেদুপুরে পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে ইত্যাদি ইত্যাদি...! তখন কষ্ট লাগলেও দেশভাগ-ই সমাধান মনে হয়।
চিন্তা করেন ভারত এক থাকলে মাগরেব ও মাশরেকের গরিব চাষাভুষা মুসলিমদের কি অবস্থা হতো?
ভাগ না হলে আজকের পরিস্থিতিই বা কেমন হতো? আমরা কি ভালো থাকতাম নাকি দাঙ্গায় বলি হয়ে যেতাম...!
দেশভাগ আসলেই কষ্টের ও বেদনাদায়ক। তবুও বৃহত্তর স্বার্থে এটাই হয়তো সমাধান ছিলো।
আজাদী মোবারক ✊