28/10/2025
নিজেই নিজেকে ব'লাৎ'কার করেছেন মুফতি মুহিব্বুল্লা!
আমি ইসকনকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট মনে করি। একইভাবে যেসব আলেম নামের জালেমরা সমাজে ধর্মীয় প্রতিহিংসা তৈরি করে তাদেরকেও ঘৃণা করি। এইতো কয়েকদিন আগে মুফতি মুহিব্বুল্লাহ নামের একজন নাকি অপহৃত হন। আজ শুনছি তিনি নিজেই নিজেকে অপহরণ করেছেন। অথচ তিনি নিজেই চরম নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। বলেছেন তাকে নাকি ব'লা'ৎকা'রও করা হয়েছে। তার রুহানি সন্তানরা সরাসরি উ'গ্র হি'ন্দুত্ববাদী ইসকনের ওপর দোষ দিচ্ছিলেন। এর আগে আরেকজন অপহৃত হন নাম আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান। পরে জানা যায়, বউয়ের ভয়ে তিনি নিজেই নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন কয়েক দিন। এরা ইসলামকে নিয়ে খেলছে। অথচ প্রিয় নবী নিজেই মুনাফিকের চরম শাস্তির কথা বলে গেছেন। আজ যদি ওই মুফতির কারণে ধর্মীয় দা'ঙ্গা'য় কেউ মারা যেত তার দায়ভার কে নিতো? রাষ্ট্রের উচিত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া। আসুন তিনি পরে কী বলেছেন তা জানি। তিনি বলেছেন, “আমি নিজেই সব করেছি। নিজের পরিকল্পনায় পঞ্চগড়ে গিয়েছি, গুম হওয়ার অভিনয় করেছি, ঘটনাটি ভাইরাল করেছি। তাই তোমরা আর এই বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না।” এবার গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মিয়াজী (৬০) স্বীকার করেছেন যে তিনি নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন। গত রাতে আতাউর রহমান বিক্রমপুরীর লাইভে যোগ দিয়ে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। গত রাত ১২টার দিকে আতাউর রহমান বিক্রমপুরী ফেসবুক লাইভে আসেন। লাইভ চলাকালে ফোনে মুহিব্বুল্লাহর মেয়েকে সংযুক্ত করা হয়। সেখানে মেয়েটি জানান, তার বড় ভাই ফোনে জানিয়েছে— তাদের বাবা নিজেই স্বীকার করেছেন যে, সব কিছু তিনি নিজের ইচ্ছায় করেছেন। এরপর রাত আড়াইটার দিকে বিক্রমপুরী আবার লাইভে আসেন। সে সময় তার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পুলিশ তাকে জানায়, তিনি চাইলে মসজিদের ভেতরে যেতে পারেন, তবে তার সঙ্গে সর্বোচ্চ একজন মুরিদ যেতে পারবেন। কিন্তু বিক্রমপুরী সেই শর্তে ভেতরে যেতে রাজি হননি। ঠিক তখনই তার মোবাইলে ফোন আসে মুফতি মুহিব্বুল্লাহর ছোট ছেলের কাছ থেকে, তিনিও একজন আলেম। ফোনে মুহিব্বুল্লাহ নিজেই কথা বলেন এবং জানান, “আমি নিজেই সব করেছি। নিজের পরিকল্পনায় পঞ্চগড়ে গিয়েছি, গুম হওয়ার অভিনয় করেছি, ঘটনাটি ভাইরাল করেছি।”