30/06/2025
একজন স্ত্রী যখন তার স্বামীকে হৃদয় থেকে সম্মান করতে শেখে, তখন তার জীবনের সবটুকু জায়গা যেন পূর্ণতায় ভরে ওঠে। স্বামী শুধুই কোনো সম্পর্কের নাম নয়—সে একজন নারীর জীবনের শ্রেষ্ঠ আশ্রয়, তার ভালোবাসা, তার আস্থার ঠিকানা।
আমার স্বামী... সে যেমনই হোক, আমি তাকে নিয়ে কোনোদিনই বিচার-বিশ্লেষণে যাইনি। সে আমার জীবনসঙ্গী, আমার দিনের প্রথম ভোর, রাতের শেষ নিঃশ্বাস। তার ছায়ার নিচেই আমার নিরাপত্তা, তার চোখেই আমার পৃথিবীর মানে। আমি বিশ্বাস করি, তার ভালো-মন্দ, রাগ-অনুরাগ—সবই আমার জন্যই। তার একটুখানি বিরক্ত মুখ বা উঁচু গলার আওয়াজেও আমার হৃদয় কেঁপে ওঠে, চোখ ভিজে যায়। অথচ পরিবারের আর কারো জন্য এমন অনুভব আসে না। হয়তো এটাই ভালোবাসার পরিণত রূপ।
আমার স্বামীর সাথে আমার সম্পর্কের গভীরতা এমন, যেখানে অন্য কারো মতামত, হস্তক্ষেপ, পরামর্শ আমার একটুও দরকার হয় না। এই সম্পর্কটা একান্ত আমার, আমাদের। আমি চাই না তার থেকে কিছু আলাদা করে স্বাধীনতা। আমি চাই না কোনো গোপনীয়তা। আমি স্বামীকে নিয়ে গর্ব করি—সে আমার প্রতিপালক, আমার রক্ষাকর্তা। তাই তার হাতে আমার সোশ্যাল মিডিয়ার পাসওয়ার্ড থাকুক, সে জানুক আমি কোথায় যাচ্ছি, কার সাথে সময় কাটাচ্ছি—এতে আমার সম্মানে একটুও আঘাত লাগে না।
অনেকে বলেন, প্রেম করে বিয়ে বলেই এতটা আবেগ! কিন্তু আমার বিশ্বাস, প্রেমে হোক বা পারিবারিক সিদ্ধান্তে—যার সাথেই বিবাহ হোক না কেন, যদি একজন নারী নিজের স্বামীকে সত্যিকারে ভালোবাসে, তাহলে সেই সংসারে কোনোদিন অশান্তি বা অবিশ্বাস আসতে পারে না। ঝগড়া, রাগ, অভিমান—এইসব তো ভালোবাসারই রং। আর এইসব রং মিশে থাকুক শুধুই স্বামীর সাথে—not with any outsider.
একজন ভালো স্বামী পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। যদি প্রতিটি নারী এই অনুভূতি নিয়ে চলতে পারতো, তাহলে আমাদের সমাজে সম্পর্কের সংকট অনেক কমে যেত। সংসার হতো শান্তির, ভালোবাসার এক অপার আশ্রয়।
ভগবান যেন প্রত্যেক নারীর মনে এমন এক স্নেহভরা চিন্তা দান করেন, যেন প্রতিটি সংসার হোক বিশ্বাস, ভালোবাসা আর সম্মানের স্বর্গ।