25/10/2025
শেখ হাসিনা যেদিন ফিরবেন, বিমানবন্দর ভেংগে পড়বে। নিরাপত্তাকর্মীরা হাল ছেড়ে দেবে। অশীতিপর বৃদ্ধ, রাস্তার ভিক্ষুক,খেটে খাওয়া মানুষ দূরদূরান্ত থেকে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে 'শেখের বেটি আইছে' বলে ছুটে আসবে।
তৃণমূলের কান্না থামানোর সাধ্য কারোর থাকবে না।
অনেক ঘরে স্পেশ্যাল প্রার্থনা হবে। মানুষের চোখের নোনাজল বেয়ে নামবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতায়। বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে অনেক বড় পাথর নেমে গিয়ে বহু মানুষ নির্ভার হবেন।
'তিনি চলে এসেছেন, আর কোনো ভয় নেই'-এই অভয়বাণী বাংলার আকাশ বাতাসে ছড়িয়ে যাবে। মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যাবে। বিষাক্ত সাপ-হায়েনা গুলো গর্ত খুঁজবে, কিছু সীমানা পেরোবে, কিছু ছদ্মবেশে ভীড়ে মিশে যাবে আর কিচ্ছু ক্ষমাভিক্ষার জন্য দেনদরবার করবে।
একটা অংশ রয়ে যাবে নিঃশব্দে ছুড়ি হাতে আততায়ীর মতো...গুটি চেলে যাবে আগের মতোই...ছুড়ি হাতে অপেক্ষায় থাকবে সুযোগ বুঝে বুকে কিংবা পিঠে মেরে দেবার জন্য।
তাদের থেকে সাবধানে থেকো।
আমি জানি উনি ফেরার পর কোথায় যাবেন। ৩২ নাম্বার...টুংগীপাড়া।
'বাংলাদেশে'র পরবর্তী যাত্রা শুরু হবে ৩২'এর জিরো গ্রাউন্ড থেকে। পথে-প্রান্তরে বাংলাদেশের পতাকা, প্লাকার্ডে মুজিব, সাত মার্চের ভাষণ আর জয় বাংলা স্লোগানে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল প্রকম্পিত হবে।
হায়েনাদের হাতে আটক জেলফেরত মানুষগুলো মুক্তি পেয়ে সেই স্লোগান দিতে দিতে ফিরে যাবে বাস্তচ্যুত প্রিয়জনদের কাছে।
ওই ভীড়ে আমাকে খুঁজে পাবে না। আলাদা করে খুঁজতেও হবে না। সেদিনের পুরো বাংলাদেশটাই আমি।
তবে এই দৃশ্য তোমরা ঠিক দেখতে পাবে...বাবার পর মেয়ের আরেক ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন!
বাংলাদেশ ফিরে পাবে বাংলাদেশকে।
লিখেছেন-পাপ্পু দত্ত।