হুইসেল হোসেন

হুইসেল হোসেন জীবন এগিয়ে যায় গল্পের মধ্য দিয়ে। কলমের মাধ্যমে নিজের গল্প অন্যকে বলি।

বেঁচে থাকতে জীবন অনেক ভুল করতে পারে, তবে বেঁচে থাকা ভুল নয়। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করা এ এক পরম সত্য, সত্যের আদলে মিথ্যা ...
24/09/2025

বেঁচে থাকতে জীবন অনেক ভুল করতে পারে, তবে বেঁচে থাকা ভুল নয়। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করা এ এক পরম সত্য, সত্যের আদলে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে দিতে পারলেও জীবনকে মৃত্যু না দিয়ে মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেনি।

দিকপাল উপন্যাসের প্রি-অর্ডার চলছে।
প্রি-অর্ডার করতে নবকথন প্রকাশনীর পেজে অথবা আপনার বিশ্বস্ত বুকস্টোরে যোগাযোগ করুন।

09/09/2025

আমার লিখা সপ্তম উপন্যাস " দিকপাল " প্রি-অর্ডার শুরু হয়েছে।

দিকপাল উপন্যাস নিয়ে আমার কিছু কথা

এ উপন্যাসটি লিখতে আমার প্রায় দেড় বছর সময় লেগেছে। এতোটা সময় আমি কোনো উপন্যাস লিখতে ব্যয় করিনি।
প্রশ্ন আসতে পারে, এতোটা সময় লাগার কারণ কী? এ উপন্যাসে আমি তুলে ধরতে চেয়েছি, আল্লাহর সৃষ্ট পৃথিবীতে মানুষের আগমন করার পর আজকের মানুষ কিভাবে এতোটা ধর্ম শিক্ষা, ভাষা শিক্ষায় উপনীত হলো। ধর্ম শিক্ষা ও ভাষা শিক্ষার মাঝে কিভাবে সংস্কৃতি চর্চার দুয়ার খুলে আগলে রাখতে ইচ্ছে পোষণ করলো।

কিভাবে ভাতৃত্ব বন্ধনে থেকে ক্ষমতার জন্য মানুষ আর মানুষ থাকে না। হয়ে উঠে পশুর সমান।

উপন্যাসটি পাঠ করার পর আপনি এমন একটা অধ্যায়ে প্রবেশ করবেন, যার জন্য আপনি মুখিয়ে ছিলেন এতোদিন।

" দিকপাল " উপন্যাসটি আপনাকে ভাবাবে, হাসাবে, কাঁদাবে।

বিঃ দ্রঃ- দিকপাল উপন্যাসের প্রি-অর্ডার চলছে।
প্রি-অর্ডার করতে নবকথন প্রকাশনীর পেজে ইনবক্স করুন।
ও ছাড়াও দেশের সকল অনলাইন বুকস্টোরে যোগাযোগ করতে পারেন।

06/09/2025

হাড়ভাঙা খাটনি করার লোকগুলো সারাজীবন দরিদ্রই থাকে। ভালো হাড় নিয়ে মাতৃগর্ভে থেকে এলেও মৃত্যু সময় ব্যথায় কাতরাতে কাতরাতে ক্ষয় যাওয়া হাড় নিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এই হাড় ভাঙা খাটনি করা লোকগুলো সমাজে গর্ধব, মূর্খ, পাতিলের তলা নামে পরিচিতি পায়। যারা দেখবেন খাটনির বাইরে গিয়ে আয়-রোজগারের পথ বের করে, সমাজের তারাই নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বই: ❝দিকপাল❞
লেখক: হুইসেল হুসেন
নবকথন প্রকাশনী

📌আগামীকাল সন্ধ্যা ৭:৩০ প্রি অর্ডার পোস্ট আসছে।

" মানুষ ফুলকে ভালোবাসে বিদ্বেষ গোছানো থেকে মুক্তি পেতে।"প্রি-অর্ডার করতে চোখ রাখুন নবকথন প্রকাশনীর পেজে
04/09/2025

" মানুষ ফুলকে ভালোবাসে বিদ্বেষ গোছানো থেকে মুক্তি পেতে।"

প্রি-অর্ডার করতে চোখ রাখুন নবকথন প্রকাশনীর পেজে

18/08/2025

" কাউকে না কাউকে তো ভালোবাসবেই সেটা আমি নই কেনো?"

দিকপাল প্রি অর্ডার শুরু এই সপ্তাহে।

13/08/2025

" দিকপাল ' আসছে।

06/04/2025

তোমার প্রেমে আমি জ্বললে
তোমার যদি চলে
তোমার সুখে আমারও চলে।

~ হুইসেল হুসেন

13/03/2025

এক সময় নদীর ঢেউ মিশে যায়
থেমে যেতে পারে স্রোত,
আমার এই কষ্টের পাশে
তোমাকে না রাখা আজন্ম বিরোধ।

~ হুইসেল হুসেন

12/03/2025

সুবেহ সাদিকের নরম আলো জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ছে। বাইরে মসজিদের মাইকে ফজরের আজান শোনা যাচ্ছে। "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার!" ধীর লয়ে মধুর সুর বয়ে চলেছে, যেন রাতের শেষ নিঃশ্বাসের সঙ্গে নতুন দিনের আশার কথা বলছে।

আমি চোখ মেলে চেয়ে থাকে ছাদের দিকে। মনে আজ এক অদ্ভুত ব্যথা। রোজার মাস চলছে, রহমতের দিনও শেষ হয়ে গেলো। অথচ কতদিন হয়ে গেল মা-বাবার সঙ্গে একসঙ্গে ইফতার করা হয়নি। কর্মব্যস্ত জীবনের তাড়নায় গ্রাম ফেলে শহরে চলে এসেছি, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যেন দূরত্ব বেড়েই চলেছে।

আজান শেষ হলে সে ধীরে ধীরে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়াই। অজু করার জন্য ঘটি ভর্তি পানি নিই। শীতল পানির ছোঁয়া লাগতেই আমার মনে পড়ে, মা কী যত্ন করে আমাকেছোটবেলায় ফজরের নামাজে তুলতেন! বাবা পাশে বসিয়ে সুরা ইয়াসিন শেখাতেন। কিন্তু আজ আমি একা। এই শহরের ব্যস্ততায় সে নামাজ পড়লেও সেই তৃপ্তি খুঁজে পায় না।

রোজার সময় হলে মায়ের হাতের ইফতার যেন এক অন্যরকম আনন্দ দিত। খেজুর, মুড়ি, পেঁয়াজু, বেগুনি, আর ঠান্ডা শরবতের স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। বাবা প্রতিদিন কোরআন তিলাওয়াত করতেন, আর মা দোয়া করতেন—"আল্লাহ, আমাদের সন্তানকে হেফাজত করো।"

এখন ইফতারের সময় হলে আমি একা একাই মা-বাবার স্নেহ হাতড়ে ভিক্ষারির মতো মোবাইলের পর্দায় মা-বাবার পুরোনো ছবি দেখতে দেখতে খেতে বসি। কিন্তু সেই স্বাদ, সেই অনুভূতি আর আসে না। আম্মা আমার ভেতরটা খালি খালি লাগে।

আব্বা ও আব্বা, তোমারে দেখতে মন চায়, মন চায়, তুমি রোজার মুখে আমাকে শাষণ করো। আসরের নামাজের পর বলো, " গাছে উইঠা একটা নিমের ডাল ভাইঙ্গা নিয়ে আসো, আমি মেস ওয়াক করবো।"
আব্বা আমি বাড়ি যাচ্ছি, তোমার মেসওয়াকের নিমের ডাল ভাইঙ্গা দিতে, অজুর জন্য ঘটি ভর্তি পানি দিতে, পাঞ্জাবিতে আতর লাগাইতে।

শাওয়াল মাসের চাঁদের জ্যোৎস্নায় ভেসে আসে, আমি অফিসে ছুটির দরখাস্ত করেছে গত সপ্তাহে, বাড়িতে যাবো তাই। অথচ এখনো ছুটি মঞ্জুর করেনি। অথচ কত ভাবনা টুকে রেখেছিলাম মনে মনে।
সে দাগ-চিহ্ন ট্রেনের জানালার পাশে বসে সে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকবো। বাইরের সবুজ মাঠ, ছোট ছোট গ্রাম, মাটির ঘর দেখে তার শৈশবের দিনগুলোর কথা মনে পড়বে।

বাড়ির গেটে পা রাখতেই ছোটবোন দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরবে মা দৌড়ে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলবে, "কত দিন পর দেখলাম তোর মুখটা!"
বাবা চুপচাপ তাকিয়ে থাকবে, তারপর ধীরে ধীরে কাছে এসে কপালে একটা চুমু দিয়ে বলবে, "আমার ছেলে, অনেক বড় হয়ে গেছে!"

আমার বিভ্রম কাটে! মুখের রুচি কমে গিয়েছে।মা-বাবার মুখ দেখা, তাদের কণ্ঠ শুনা আমার কাছে বড় খাদ্য। এখনো তো আমার ছুটি হয়নি। ঘরের মেঝেতে খেজুর, এক চামচ দই, এক গ্লাস স্যালাইন মিশ্রিত পানি নিয়ে মাগরিবের আজানের জন্য উপেক্ষা করছি। আজানের ধ্বনি কানে আসে, বুঝতে পারি —এই আজান, এই পরিবেশ, এই মায়া—এগুলো ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ। মা-বাবার সঙ্গে নামাজ পড়ে, একসঙ্গে বসে ইফতার করে সে যেন জীবনের আসল শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়।

বাবাকে সকালে পাশে বসিয়ে বলবো, "জীবনে কত কিছু পেছনে পড়ে যায়, কিন্তু আল্লাহর রহমত কখনও পেছনে পড়ে না। দোয়া করুন যেনো, সময় থাকতেই আপন মানুষদের সময় দিতে শেখি।"

আমি যেনো বুঝতে পারি—জীবনের আসল সফলতা শুধু চাকরি বা টাকা নয়, বরং মা-বাবার দোয়া, পরিবার, আর আল্লাহর নৈকট্য।

ইফতার খেতে খেতে চোখ বন্ধ করে দোয়া করি ' আল্লাহ, আমাকে আমার পরিবার থেকে কখনো দূরে রাইখো না।

হুইসেল হুসেন

02/02/2025

নয়ন পূরণের কানের ফিসফিস করে ভরা গলায় বললো ' আমার দাদা যহন মরছিলো, আমি দেখছি মানুষে সদকা কইয়া চাইল-ডাইল নগদ ট্যাকা দান করছে। যে মরে তারে কব্বর দেওয়ার পর অই চাইল-ডাইল, ট্যাকা কোনো ফকির-মিসকিন দেইখ্যা ভাগ বাটুয়ারা কইরা দিছিলো। আমরাও চাইল ডাইল দিমু নাকি। যদি চাইল ডাইল ওঠে আমারে দিস। তাইলে অন্তত চার-পাঁচ দিন খাবারের চিন্তা করতে হইবো না।'

প্রত্যেকটা মানুষ কোনো না কোনো ভাবে ভিখারী হয়ে জীবন যাপন করে। ভিখিরী বিষয়টা হতে পারে আদর- স্নেহ, প্রেম -ভালবাসা, আর্থিক। আর্থিক কষ্টের বিষয়টা মানুষকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

নয়নের কথা শুনে পূরণ ক্ষীয়মান হয়ে যায়। সে কি উত্তেজিত স্বরে কথা বলবে, না নয়নেরা আর্থিক কষ্টে আছে তা সবাইকে জানিয়ে দেবে। মনে মনে অনুধাবণ করে বিচলিত হয়ে যায়। চোখ বেয়ে ভাদ্রের বৃষ্টির লোনা পানি বের হতে থাকে।

এ কথাটি প্রকাশ করে দিলে নয়ন বন্ধুদের নিকটে আজীবন ছোট হয়ে রবে। সে যেহেতু নয়নকে বড় করতে পারছে না, তাই ছোট করার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেললো। বন্ধু থাকবে বুকের ভিতর, বেঁচে থাকার ফুসফুস হয়ে। সবার থেকে একটু দূরে নয়নকে টেনে নিয়ে পূরণ জবাব দিলো ' তুই মরার চাইলের ভাত খাইতে পারবি?'

~ দিকপাল
বইমেলায় প্রকাশিতব্য হুইসেল হুসেনের উপন্যাস

23/01/2025
21/01/2025

দুঃখ ছুয়ে দেখো
হুইসেল হুসেন

দুঃখ ছুঁয়ে দেখো,
রোদের মতো ছড়িয়ে পড়া আলো।
সর্ষে ফুলের রঙে মাখা এক পৃথিবী,
ঘুঘুর চোখে ঝিলিক দেয় সবুজ ঘাস।
নিঃশ্বাসে ভেসে আসে বাতাসের গান,
তোমার হাত ছুঁয়ে যায় সূর্যাস্ত।

আকাশের নীল গায়ে মেঘের গর্জন,
যেনো এক থমকে থাকা সময়।
পাখির ডানায় খুঁজে পায়
চুপচাপ রাতের গল্প।

দুঃখের গায়ে রোদের ছায়া,
আলতো করে শীতল বাতাস।
জমে থাকা কুয়াশা
ভিজিয়ে দেয় শহরের দেয়াল।
সূর্যের হাত ধরে
নতুন দিনের স্বপ্ন।

মনে হয়!
সবুজের বুক ভাঙতে চায় অন্ধকার।
আলো আর ছায়ার মিশেলে
এক অদ্ভুত নীরবতা।
তুমি তাকিয়ে দেখো,
দুঃখেও রঙ লেগে থাকে।

Address

Uttor Badda Dhaka
Dhaka

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হুইসেল হোসেন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to হুইসেল হোসেন:

Share