Babu'S Philosophy

Babu'S Philosophy সুখের অকাল মৃ'ত্যু হয়েছে -
দুঃখ পেয়েছে আয়ু..!! Our channel's heart is touched by love, poems and stories of love.
(2)

Stay with us Check out our videos and restore your lost emotions. Your own story, poem, shayari can send us a comment.

🕌✨ যেসব আবিষ্কার মুসলমানরা প্রথম করেছিল, কিন্তু ক্রেডিট নিয়েছে পশ্চিমারা🔬 ১️⃣ ক্যামেরা📜 আবিষ্কারক: ইবন আল-হাইথাম (Alhaz...
22/10/2025

🕌✨ যেসব আবিষ্কার মুসলমানরা প্রথম করেছিল, কিন্তু ক্রেডিট নিয়েছে পশ্চিমারা

🔬 ১️⃣ ক্যামেরা

📜 আবিষ্কারক: ইবন আল-হাইথাম (Alhazen)

🕰 সময়কাল: ১০ম শতাব্দী

📸 আধুনিক রূপ: ক্যামেরা, সিনেমা, চশমা

🏛 পশ্চিমে ক্রেডিট: Thomas Edison / Wright Brothers যুগে

⚗️ ২️⃣ রসায়ন (Chemistry)

📜 আবিষ্কারক: জাবির ইবন হাইয়ান (Jabir ibn Hayyan)

🧪 প্রথম ল্যাবরেটরি ও এসিড তৈরি করেন

🧴 আধুনিক ফার্মা ও কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রির ভিত্তি

🏛 পশ্চিমে ক্রেডিট: Robert Boyle

🩺 ৩️⃣ চিকিৎসা বিজ্ঞান (Medicine)

📜 আবিষ্কারক: ইবন সিনা (Avicenna)

📘 বই: Canon of Medicine — ইউরোপে ৬০০ বছর ধরে পড়ানো হত

🏥 হাসপাতাল, চিকিৎসা নীতিমালা, সার্জারি পদ্ধতি

🏛 পশ্চিমে ক্রেডিট: Hippocrates / Galen / Modern Doctors

🧮 4️⃣ Algebra ও Algorithm

📜 আবিষ্কারক: আল-খোয়ারিজমি (Al-Khwarizmi)

➕ “Al-Jabr” থেকেই এসেছে Algebra শব্দটি

🧠 Algorithm থেকেই এসেছে কম্পিউটারের গণনা পদ্ধতি

🏛 পশ্চিমে ক্রেডিট: Newton / Leibniz / Pascal

🕰 5️⃣ রোবোটিক্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং

📜 আবিষ্কারক: আল-জাজারি (Al-Jazari)

⚙️ স্বয়ংক্রিয় পানি তোলার যন্ত্র, ঘড়ি, রোবট বানিয়েছিলেন

🏛 পশ্চিমে ক্রেডিট: Leonardo da Vinci

🌍 6️⃣ জ্যোতির্বিজ্ঞান ও পৃথিবীর আকৃতি

📜 আবিষ্কারক: আল-বিরুনি, আল-সুফি

🌞 সূর্য ও পৃথিবীর ঘূর্ণন প্রমাণ করেন

🏛 পশ্চিমে ক্রেডিট: Copernicus, Galileo

💡 মূল বার্তা

> 🌙 ইসলামিক সভ্যতা ছিল আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি।
🧭 পশ্চিমারা সেই জ্ঞান থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রযুক্তিকে উন্নত করেছে,
কিন্তু শেকড় এখনো মুসলমানদের হাতে রোপিত 🌾

20/10/2025

গ্লোয়িং স্কিন পেতে হলে বেশি বেশি পানি খেতে হবে।

জেনারেল এম এ জি ওসমানী অবিস্মরণীয় মহীরুহসম ব্যক্তিত্ব।পাকিস্তানিরা তাকে ডাকতো পাপা টাইগার! তার নাম শুনলে ত্রাস সৃষ্টি হত...
13/10/2025

জেনারেল এম এ জি ওসমানী অবিস্মরণীয় মহীরুহসম ব্যক্তিত্ব।
পাকিস্তানিরা তাকে ডাকতো পাপা টাইগার! তার নাম শুনলে ত্রাস সৃষ্টি হতো পাকিস্তানি ক্যান্টনমেন্টে। তিনি ছিলেন তিনটি দেশের সেনাবাহিনীর অফিসার। ১৯৪২ সালে তৎকালীন বৃটিশ সাম্রাজ্যের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ মেজর ছিলেন তিনি। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি হয়েছিলেন একটি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক। একটি দেশের স্বাধীনতার পথে মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান,একটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়ার রণাঙ্গনের অন্যতম মহারথী। তিনি মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী।

আতাউল গণি ওসমানীর জন্ম ১৯১৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জে। যদিও তাদের বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ থানায়। যা এখন ওসমানী নগর। তার বাবা খান বাহাদুর মফিজুর রহমান একসময় ছিলেন সুনামগঞ্জের এসডিও। সেখানেই জন্ম ওসমানীর। বাবার চাকরির সুবাদে ওসমানীর শৈশব-কৈশোর কেটেছে বিভিন্ন জায়গায়। একসময় তারা সুনামগঞ্জ থেকে চলে গিয়েছিলেন গোহাটিতে৷ ওখানেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় হাতেখড়ি হয় ওসমানীর। ১৯৩৪ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় তিনি পুরো ভারতবর্ষে প্রথম হয়েছিলেন। এই দারুণ ফলাফলের জন্য ব্রিটিশ সরকার ওসমানীকে প্রাইওটোরিয়া পুরস্কার দেয়।

আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক পাস করেছিলেন ১৯৩৮ সালে। এরপর তৎকালীন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। ১৯৩৯ সালে রয়্যাল আর্মড ফোর্সে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দিয়ে দেরাদুনে ব্রিটিশ-ভারতীয় মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৪০ সালে যোগ দিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কমিশনড অফিসার হিসেবে। ১৯৪২ সালে মেজর পদে পদোন্নতি পেয়েছিলেন ওসমানী।

১৯৪২ সালে ওসমানী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বকনিষ্ঠ পদোন্নতি পাওয়া মেজর। দেশবিভাগের পর ১৯৪৭ সালের ৭ অক্টোবর ওসমানী যোগ দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। এসময় তার পদমর্যাদা ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল। ১৯৫১ সালে তিনি যখন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক তখন তার হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম সেনানিবাস। ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নেন তিনি। পরে ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত‌ও হয়েছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের ২৫ মার্চ ঢাকাতেই ছিলেন ওসমানী। পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে বছর চারেক আগে অবসর নেওয়া ওসমানীর সামরিক দক্ষতা ও দূরদর্শিতা সম্পর্কে পাকিস্তান সরকার অবগত ছিল। তাই ওই রাতেই ওসমানীকে হত্যার চেষ্টায় হন্যে হয়ে খোঁজে পাকবাহিনীর এক কমান্ডো। কিন্তু একেবারেই ভাগ্যগুণে অনেকটা অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান ওসমানী।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ওসমানী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দেন৷ ওই ভাষণে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করে এম. এ. জি. ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে ঘোষণা দেন৷

উল্লেখ্য ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি ও সরকার গঠন করা হয় এবং পরবর্তীকালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার,ওসমানীকে করা হয় মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি।

এম এ জি ওসমানীর নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে এক একজন সেনাবাহিনীর অফিসারকে নিয়োগ দেয়া হয়। বিভিন্ন সেক্টর ও বাহিনীর মাঝে সমন্বয় করা,রাজনৈতিক নেতৃত্বের সাথে যোগাযোগ রাখা,অস্ত্রের যোগান নিশ্চিত করা,গেরিলা বাহিনীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা- প্রভৃতি কাজ সাফল্যের সাথে পালন করেন ওসমানী। ১২ এপ্রিল থেকে এম. এ. জি. ওসমানী মন্ত্রীর সমমর্যাদায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন৷

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ছিল দক্ষ এবং সংখ্যায় অনেক বেশি৷ এই বিবেচনায় ওসমানীর রণকৌশল ছিল প্রথমে শত্রুকে নিজেদের ছাউনিতে আটকে রাখা এবং তাদেরকে যোগাযোগের সবগুলো মাধ্যম থেকে বিছিন্ন করে রাখা৷ এজন্য এম. এ. জি. ওসমানী মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত পদ্ধতিতে যুদ্ধ পরিচালনা করেন৷ মে মাসের পর তার মনে হয় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কমসংখ্যক সৈন্য নিয়ে শত্রুকে ছাউনিতে আটকে রাখা গেলেও ধ্বংস করা সম্ভব নয়৷

এ বিষয়টি তিনি সরকারকে জানিয়ে যুদ্ধে কৌশলগত পরিবর্তন আনেন৷ প্রাক্তন ইপিআর এর বাঙালি সদস্য, আনসার,মোজাহেদ,পুলিশ বাহিনী ও যুবকদের নিয়ে একটি গণবাহিনী বা গেরিলাবাহিনী গঠন করে মুক্তির সংগ্রামে এম, এ. জি. ওসমানীর হাতে কোনো নৌবাহিনী ছিল না। তবে নিয়মিত নৌবাহিনীর কিছু অফিসার এম. এ. জি. ওসমানীর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতেন৷ তাছাড়া ফ্রান্সের জলাভূমিতে থাকা পাকিস্তানের ডুবোজাহাজের কিছু সংখ্যক কর্মীও মুক্তিবাহিনীর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন৷

কিছুদিন পর এম. এ. জি. ওসমানী তাদের এবং কিছু সংখ্যক গেরিলা নিয়ে একটি নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠন করেন। আগস্টের মাঝামাঝিতে তারা নদীপথে শত্রুর চলাচল প্রায় রুদ্ধ করে দেন। নৌবাহিনী গঠনের ফলে একটা বড় ধরনের সংকটের অবসান হলেও দেশ স্বাধীন হবার আগে আগে আরও একটি সঙ্কট এম. এ. জি. ওসমানী অনুভব করেন। সেটি হচ্ছে তার হাতে কোনো বিমানবাহিনী ছিল না। শেষের দিকে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি অটার আর তার নিজের চলাচলের জন্য একটি ডাকোটা নিয়ে ছোট্ট একটি বিমানবাহিনী গঠন করেছিলেন তিনি৷

একসময় সামরিক বাহিনীর কতিপয় অফিসার প্রশ্ন তুলেছিলেন,মুজিবনগরে বসে ওসমানীর পক্ষে এককভাবে যুদ্ধ পরিচালনা করা কতটুকু সম্ভব? সেক্টর কমান্ডাররা নিজ নিজ সেক্টরে নির্দেশ প্রদানের অবাধ ক্ষমতা দাবি করেন। এ ঘটনায় ওসমানী মানসিকভাবে আহত হয়ে ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের উপস্থিতিতে মুক্তিবাহিনীর প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরে তাকে বলা হয়, পুরো ঘটনাটিই একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল। সেক্টর কমান্ডার এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে তিনি স্বপদে পুনর্বহাল থাকেন।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানী অনুপস্থিত ছিলেন। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ওসমানী উপস্থিত না থাকার কারণ ছিল আর্মি প্রটোকল। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্ব ফ্রন্টের অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। অন্যদিকে পাকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সৈন্যবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজী। এরা দুজনেই ছিলেন আঞ্চলিক প্রধান। অন্যদিকে ওসমানী ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান। তাই সেনাবাহিনীর প্রটোকল রক্ষার্থে কোনো সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক প্রধানের সাথে তিনি কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেন না।

এম আর আক্তার মুকুল তার "আমি বিজয় দেখেছি" বইতে লিখেছিলেন,১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর দুপুর প্রায় বারো'টা নাগাদ কলকাতাস্থ থিয়েটার রোডে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের কাছে খবর এসে পৌঁছালো, ঢাকায় হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে সম্মত হয়েছে। আজ বিকেলেই ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ হবে। মুজিবনগর সরকারের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য উচ্চপদস্থ কাউকে উপস্থিত থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনকে তখন কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছিল।

প্রধানমন্ত্রী জেনারেল ওসমানীকে দেখে আনন্দে এক রকম চিৎকার করে উঠলেন,সি-ইন-সি সাহেব ঢাকায় সর্বশেষ খবর শুনেছেন বোধহয়? এখনতো আত্মসমর্পণের তোড়জোড় চলছে…! প্রধানমন্ত্রী বাকী কথাগুলো শেষ করতে পারলেন না। ওসমানী তাকে করিডোরের আর এক কোণায় একান্তে নিয়ে গেলেন। দুজনের মধ্যে মিনিট কয়েক কি কথাবার্তা হলো, আমরা তা শুনতে পেলাম না। …………… ওসমানী সাহেবের শেষ কথাটুকু আমরা শুনতে পেলাম - নো নো প্রাইম মিনিস্টার,মাই লাইফ ইজ ভেরী প্রেশাস,আই কান্ট গো।

এম এন এ মোহাইমেন তার "ঢাকা-আগরতলা-
মুজিবনগর" বইতে লিখেছিলেন "সৈন্যবাহিনীতে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে আমি জানতে পেরেছি এই মুহূর্তে ঢাকায় সম্পূর্ণ অরাজক অবস্থা চলছে। ঠিক এসময় ঢাকায় কোনো জনসমাবেশের মধ্যে আমার উপস্থিত থাকা মোটেও নিরাপদ নয়। তাই আমার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেছে,ঢাকার অবস্থা মোটামোটি আয়ত্বে আসলে তারা আমাকে জানাবে এবং আমি আশাকরি দু'একদিনের মধ্যে আমি যেতে পারব" ওসমানী সাহেব যাচ্ছেন কিনা জিজ্ঞাস করায় তিনি বললেন - তিনিও যাচ্ছেন না।

অন্যদিকে ওসমানীর পিআরও নজরুল ইসলাম বলেছিলেন - ঢাকার আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মুজিবনগর সরকারের পক্ষ থেকে কে উপস্থিত থাকবেন- এ নিয়ে যখন নানা গুজব ও কানাঘুষা চলছিল,সে সময় জেনারেল ওসমানী কলকাতায় অনুপস্থিত। তিনি কোথায় গেছেন বা কোথায় ছিলেন তা কেউ ভালো করে জানেনও না। এমনকি আমিও জানি না। তার দপ্তরের কোনো সামরিক কর্মকর্তা এ সম্পর্কে মুখ খুলছেন না।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের দু'দিন পর জেনারেল ওসমানী মুজিবনগর সদর দপ্তরে ফিরে আসেন। তাকে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন - দেখুন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখ হলো স্বাধীন জাতি হিসাবে আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদাবোধ সম্পর্কে কোনো চেতনা এখনো জন্ম হয়নি। ঢাকায় আত্মসমর্পণের অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার কোনো প্রশ্নই উঠে না। কারণ,এই সশস্ত্র যুদ্ধ ভারত-বাংলাদেশের যৌথ কমান্ডের অধীনে হলেও যুদ্ধের অপারেটিং পার্টির পুরো কমান্ডে ছিলেন ভারতীয় সেনা প্রধান লে. জেনারেল শ্যাম মানেকশ।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে জেনারেল মানেকশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন লে. জেনারেল অরোরা। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে মানেকশ গেলে আমার যাবার প্রশ্ন উঠত। সার্বভৌম ক্ষমতার ভিত্তিতে আমার অবস্থান জেনারেল মানেকশর সমান। সেখানে মানেকশর অধীনস্থ আঞ্চলিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল অরোরার সফরসঙ্গী আমি হতে পারি না। এটা কোনো দেমাগের কথা নয়। এটা প্রটোকলের ব্যাপার। আমি দুঃখিত,আমাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে আত্মমর্যাদার বড় অভাব।

ব্রিটিশ গণতন্ত্রকে মডেল হিসেবে মনে করতেন ওসমানী। রাজনৈতিক শঠতা,কপটতার ধারেকাছেও তার অবস্থান ছিল না। চিরকুমার ও ছিলেন ওসমানী। শেষ জীবনে মেঝেতে চাদর বিছিয়ে ঘুমাতেন। নিজের সব সম্পত্তি মৃত্যুর আগেই বিলিয়ে দিয়েছেন ট্রাস্টের মাধ্যমে,যেন তা মানুষের কাজে লাগে।।

সূত্রঃ- আমি বিজয় দেখেছি/এম আর আক্তার মুকুল।
ঢাকা-আগরতলা-মুজিবনগর/এম এন এ মোহাইমেন।
মুক্তিযুদ্ধে সেনানায়ক জেনারেল ওসমানী ও তার অ্যালবাম/শেখ আখতারুল ইসলাম।

রিয়াজ ও বাপ্পারাজ : নব্বই দশকের রুপালি জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র 😍বাংলাদেশের সিনেমার নব্বই দশক মানেই এক রঙিন সময়, আর সেই স...
06/10/2025

রিয়াজ ও বাপ্পারাজ : নব্বই দশকের রুপালি জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র 😍

বাংলাদেশের সিনেমার নব্বই দশক মানেই এক রঙিন সময়, আর সেই সময়কে উজ্জ্বল করে তুলেছিলেন দুই জনপ্রিয় নক্ষত্র—রিয়াজ এবং বাপ্পারাজ। দুজনের অভিনয় দক্ষতা ও জনপ্রিয়তা আজও দর্শকের হৃদয়ে অম্লান।

রিয়াজ নব্বই দশকের শেষের দিক থেকে এমনভাবে দর্শকের মন জয় করেছিলেন যে তাকে বলা হত "রোমান্টিক হিরো"। তার অভিনয়ে ছিল সরলতা, সংলাপে ছিল আবেগ, আর চোখের ভাষায় ফুটে উঠত সত্যিকারের প্রেমিকের প্রতিচ্ছবি। "প্রাণের চেয়ে প্রিয়" থেকে শুরু করে অসংখ্য সফল ছবিতে তার জুটি শাবনূর বা মৌসুমীর সঙ্গে দর্শকের মনে এক অবিচ্ছেদ্য স্থান করে নিয়েছিল। রিয়াজ শুধু নায়ক নন, ছিলেন এক প্রজন্মের ভালোবাসার প্রতীক।

অন্যদিকে বাপ্পারাজ ছিলেন একেবারেই ভিন্ন স্বাদের নক্ষত্র। কিংবদন্তি নায়ক নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে হয়েও তিনি নিজের দক্ষতায় আলাদা পরিচয় গড়ে তোলেন। বাপ্পারাজের অভিনয়ে ছিল আত্মবিশ্বাস, আর নায়ক হিসেবে তার উপস্থিতি ছিল পর্দায় স্বতন্ত্র। তার সংলাপের দৃঢ়তা এবং অভিনয়ের পরিমিত শৈলী তাকে এক অনন্য অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। তিনি অনেক ছবিতে চরিত্রনির্ভর নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করে প্রমাণ করেছিলেন, কেবল বাণিজ্যিক ধারা নয়, শিল্পধর্মী চলচ্চিত্রেও তার অবদান গুরুত্বপূর্ণ।

রিয়াজ ও বাপ্পারাজ দুজনেই নব্বই দশকের রুপালি পর্দার আসল নক্ষত্র। তাদের জনপ্রিয়তা, দর্শকের ভালোবাসা আর পর্দায় সৃষ্ট রসায়ন এখনো সিনেমাপ্রেমীদের মনে এক সোনালি অধ্যায়ের মতো বেঁচে আছে।

♦️  জিঞ্জিরা – বুড়িগঙ্গার ওপারের হারানো ঐতিহ্য ঢাকার ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায় যেন বুড়িগঙ্গা নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে আছ...
27/09/2025

♦️ জিঞ্জিরা – বুড়িগঙ্গার ওপারের হারানো ঐতিহ্য

ঢাকার ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায় যেন বুড়িগঙ্গা নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে মিশে আছে। সেই ইতিহাসের একটি অনন্য অধ্যায় হলো জিঞ্জিরা। আজ এটি জনবহুল এলাকা হলেও, কয়েক শতাব্দী আগে জিঞ্জিরা ছিল আভিজাত্য, শিল্প ও বেদনাময় স্মৃতির এক জীবন্ত সাক্ষী।

📌 নামকরণের ইতিহাস

“জিঞ্জিরা” শব্দের উৎপত্তি নিয়ে দুটি জনপ্রিয় মত রয়েছে—

1️⃣ আরবি শব্দ “Jazīrah” থেকে এসেছে, যার অর্থ “দ্বীপ”। বুড়িগঙ্গার ওপারের যে দ্বীপসদৃশ ভূমিতে প্রাসাদটি নির্মিত হয়েছিল, সেই ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য থেকেই নামটি গড়ে ওঠে।

2️⃣ অন্য কাহিনী বলছে—নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরিবার ও আত্মীয়দের শিকল (জিঞ্জির) দিয়ে বেঁধে রাখা হতো এখানে। সেই দুঃখজনক ইতিহাস থেকেই ‘জিঞ্জিরা’ নামের প্রচলন ঘটে।

🏞️ মুঘল-পূর্ব জিঞ্জিরা

মুঘল আমলের আগে জিঞ্জিরা ছিল জেলেদের বসতি ও কৃষিনির্ভর গ্রাম। নদীপথে যাতায়াতের সুবিধার কারণে ধীরে ধীরে এটি গুরুত্ব পেতে শুরু করে।

🕌 মুঘল আমলের জিঞ্জিরা প্রাসাদ

১৭শ শতাব্দীর শেষভাগে মুঘল সুবাহদার ইব্রাহিম খান (১৬৮৯–১৬৯৭ খ্রিঃ) বুড়িগঙ্গার ওপারে নির্মাণ করেন একটি আভিজাত্যমণ্ডিত অবকাশকেন্দ্র—জিঞ্জিরা প্রাসাদ।

🔹 প্রাসাদের বৈশিষ্ট্য:

দোতলা অট্টালিকা, বাগান, ফোয়ারা ও বিশ্রামাগার। শিকল-ঘেরা ঘাট ও রাজকীয় জলযাত্রার ব্যবস্থা। মুঘল স্থাপত্যের গম্বুজ, খিলান ও অলংকরণের অপূর্ব ছোঁয়া। এটি মূলত অভিজাত ও রাজপরিবারের অবকাশযাপনের জন্য ব্যবহৃত হতো।

👑 নবাবি আমল ও দুঃখজনক ইতিহাস

পলাশীর পরাজয়ের পর নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরিবারকে এখানে বন্দি রাখা হয়েছিল। শিকলে বাঁধা সেই দুঃখময় স্মৃতি আজও জিঞ্জিরাকে এক বেদনাময় ঐতিহাসিক অধ্যায়ে পরিণত করেছে।

🇬🇧 ব্রিটিশ ও 🇵🇰 পাকিস্তান আমল

ব্রিটিশ শাসনামলে প্রাসাদের জৌলুশ হারিয়ে যায়। ধীরে ধীরে ভেঙে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়। পাকিস্তান আমলে জিঞ্জিরা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হলেও নদীপথের যোগাযোগে এর কৌশলগত গুরুত্ব বজায় থাকে।

🛠️ “Made in Jinjira” – কারিগরি ঐতিহ্য

জিঞ্জিরা শুধু প্রাসাদের জন্যই বিখ্যাত ছিল না, বরং এর শিল্প-কারিগরির জন্যও প্রসিদ্ধ ছিল।

🔹 লোহার কাজ (শিকল, তালা)
🔹 কাঠের আসবাব
🔹 মাটির জিনিসপত্র
🔹 কাপড় ও তাঁতশিল্প

এখানকার নিখুঁত হাতের কাজ দেখে ঢাকাবাসী গর্ব করে বলত—“Made in Jinjira”।

অনেকে জিঞ্জিরাকে ডাকতেন—“আমাদের জাপান”, কারণ এখানকার কারিগরি দক্ষতা ছোটখাটো জিনিসেও ছিল অসাধারণ।

✨ আজকের জিঞ্জিরা

আজ জিঞ্জিরা হলো জনবহুল আবাসিক ও শিল্পাঞ্চল। প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ অতীতের গল্প শোনায়। কিন্তু মুঘল সুবাহদারের নির্মিত আভিজাত্যমণ্ডিত প্রাসাদ, নবাব পরিবারের বেদনাময় স্মৃতি আর “Made in Jinjira”-র কারিগরি ঐতিহ্য—সব মিলিয়ে জিঞ্জিরা আজও পুরান ঢাকার ইতিহাসে এক অমর অধ্যায়।

#জিঞ্জিরারঐতিহ্য #আমাদেরজাপান

#ঐতিহাসিকঢাকা
#জিঞ্জিরারনামকরণ #জিঞ্জিরাপ্রাসাদ

"কোথায় গেল রাত্রি জেগে চিঠি লেখার দিন,কোথায় গেল হারিকেন আর কোথায় কেরোসিন?কোথায় গেল সাইকেলের কিরিং কিরিং বেল বাঁজানো দ...
19/09/2025

"কোথায় গেল রাত্রি জেগে চিঠি লেখার দিন,
কোথায় গেল হারিকেন আর কোথায় কেরোসিন?
কোথায় গেল সাইকেলের কিরিং কিরিং বেল বাঁজানো দিন।।

01/09/2025

❝বিপদে পড়িবার ভয়েই লোকে ভয় পায়। কিন্তু বিপদের মধ্যে পড়িলে তখন আর সেই ভয় থাকে না।❞
—বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।।

রিপন মিয়া—পেশায় কাঠমিস্ত্রি, কিন্তু পরিচয়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। সাফল্যের পরেও তার মুখে একটা...
30/08/2025

রিপন মিয়া—পেশায় কাঠমিস্ত্রি, কিন্তু পরিচয়ে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
সাফল্যের পরেও তার মুখে একটাই কথা— “কাজ করতে ভালো লাগে।”
যেখানে অনেকে অর্জনের পর শিকড় ভুলে যায়, সেখানে তিনি প্রমাণ করেছেন— মাটির কাছাকাছি থাকলেই আকাশ ছোঁয়া যায়।

"নারী"--কাজী নজরুল ইসলাম।সাম্যের গান গাই -আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর...
30/08/2025

"নারী"
--কাজী নজরুল ইসলাম।
সাম্যের গান গাই -
আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর।

বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর,অর্ধেক তার নারী।

নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান?
তারে বল,আদি-পাপ নারী নহে,
সে যে নর-শয়তান।
অথবা পাপ যে - শয়তান যে - নর নহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।

এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল,
ফলিয়াছে যত ফল
নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল

তাজমহলের পাথর দেখেছে,
দেখিয়াছ তার প্রাণ?
অন্তরে তার মোমতাজ নারী,
বাহিরেতে শা-জাহান।

জ্ঞানের লক্ষ্ণী, গানের লক্ষ্ণী, শস্য-লক্ষ্ণী নারী,
সুষমা-লক্ষ্ণী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি’।

পুরুষ এনেছে দিবসের জ্বালা তপ্ত রৌদ্রদাহ,
কামিনী এনেছে যামিনী-শান্তি, সমীরণ, বারিবাহ।
দিবসে দিয়াছে শক্তি-সাহস,নিশীথে হয়েছে বধু,
পুরুষ এসেছে মরুতৃষা লয়ে,নারী যোগায়েছে মধু।

শস্যক্ষেত্র উর্বর হ’ল,পুরুষ চালাল হাল
নারী সে মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল।
নর বাহে হল,নারী বহে জল,সেই জল-মাটি মিশে’
ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালি ধানের শীষে।

স্বর্ণ-রৌপ্যভার
নারীর অঙ্গ-পরশ লভিয়া হয়েছে অলঙ্কার।
নারীর বিরহে,নারীর মিলনে,নর পেল কবি-প্রাণ
যত কথা তার হইল কবিতা,শব্দ হইল গান।

নর দিল ক্ষুধা,নারী দিল সুধা,সুধায় ক্ষুধায় মিলে’
জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে।
জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান
মাতা ভগ্নী ও বধুদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান।

কোন রণে কত খুন দিল নর, লেখা আছে ইতিহাসে,
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপাড়ি’ কত বোন দিল সেবা
বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?

কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,
প্রেরণা দিয়াছে,শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্ণী নারী।
রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন,রাজারে শাসিছে রানী
রানির দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি।

পুরুষ হৃদয়হীন,
মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।
ধরায় যাঁদের যশ ধরে না ক’ অমর মহামানব,
বরষে বরষে যাঁদের স্মরণে করি মোরা উৎসব।

খেয়ালের বশে তাঁদের জন্ম দিয়াছে বিলাসী পিতা।
লব-কুশে বনে তাজিয়াছে রাম,পালন করেছে সীতা।

" আমি চিরতরে দূরে চলে যাব"" আমি চিরতরে দূরে চলে যাবোতবু আমারে দিবোনা ভুলিতে,আমি বাতাস হইয়া, জড়াইবো কেশবেনী যাবে যবে খুলি...
30/08/2025

" আমি চিরতরে দূরে চলে যাব"

" আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো
তবু আমারে দিবোনা ভুলিতে,
আমি বাতাস হইয়া, জড়াইবো কেশ
বেনী যাবে যবে খুলিতে।

" তোমার সুরের নেশায় যখন
ঝিমাবে আকাশ, কাঁদিবে পবন,
রোদন হইয়া আসিব তখন
তোমারো বক্ষে দুলিতে।

" আসিবে তোমার পরম উৎসব
কত প্রিয়জন, কে জানে
মনে পড়ে যাবে কোন সেই ভিখারী
পাইনি ভিক্ষা এখানে।

"তোমার কুঞ্জ পথে যেতে হায়
চমকে থামিয়া যাবে বেদনায়
দেখিব কে যেন মরে পড়ে আছে
তোমার পথের ধূলিতে।

#কাজীনজরুলইসলাম
#নজরুলসঙ্গীত #নজরুলঅঞ্জলি #ধ্বনি #নজরুল

❝নজরুলের না পাওয়া ভালবাসা❞কবি নজরুল বেগম ফজিলাতুন্নেসা জোহাকে এতই ভালবেসেছিলেন যে তাকে বিখ্যাত ❝সঞ্চিতা❞ কাব্যগ্রন্থটি উ...
29/08/2025

❝নজরুলের না পাওয়া ভালবাসা❞
কবি নজরুল বেগম ফজিলাতুন্নেসা জোহাকে এতই ভালবেসেছিলেন যে তাকে বিখ্যাত ❝সঞ্চিতা❞ কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করতে চেয়েছেন।তবে ফজিলাতুন্নেসা তা কঠোরভাবে প্রত্যাখান করায় পরে তা রবীন্দ্রনাথকে উৎসর্গ করেন নজরুল।

কবির জীবনে অনেকবারই প্রেম এসেছিল।এদের মধ্যে অন্যতম ৩ জন হলেন নাগির্স আক্তার,প্রমিলা দেবি এবং ফজিলাতুন্নেসা।

সবার কাছ থেকে ভালবাসা পেলেও ফজিলাতুন্নেসা প্রথম নিবেদনেই কবিকে প্রত্যাখান করে ছিলেন।কবি হার না মেনে তাকে লিখে ফেলেন ৮ টি চিঠি।১ টি চিঠিতে ফজিলাতুন্নেসা কবিকে খুবই বিদ্রুপ,কঠোর ভাষায় আর চিঠি না লিখতে বলেন।

দু:খ ভারাক্রান্ত মনে কবি লিখেন,❝‘তুমি বসে রবে ঊর্ধ্বে মহিমা শিখরে নিঃপ্রাণ
পাষাণ দেবী?
কভু মোর তরে নামিবে না প্রিয়ারূপে ধরার
ধুলায়?
লো কৌতুকময়ী! শুধু কৌতুক লীলায়?
দোলাবে আমারে লয়ে? আর সবি ভুল❞?

পরে ফজিতুন্নেসা অন্যত্র বিয়ে করেন এবং বিদেশ গমন করেন।তার বিদায়ে কবি লিখেছেন ❝বর্ষা বিদায়❞ কবিতা।

নজরুলের একপাক্ষিক ভালবাসায় নজরুল ফজিলাতুন্নেসার ভালবাসা না পেলেও আমরা পেয়েছি অসাধারন সব গান,কবিতা,কাব্যসংকলন!

ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী।তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়ের কথা বলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা ছিল।নজরুল প্রথম দেখায়ই ফজিলাতুন্নেছার সাথে কথা বলে এই প্রথা ভেঙ্গে দেন।ফলস্বরুপ নজরুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।নজরুল কখনো আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাননি।তবে মৃত্যুর পর তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই শায়িত করা হয় এবং ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।

স্বাধীনচেতা কবি নার্গিসের বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসেছিলেন।কারন নার্গিসের পরিবার কবিকে ঘরজামাই করে রাখতে চেয়েছিল।আর কবি সবচেয়ে বেশি ভালবাসা পেয়েছেন তার স্ত্রী প্রমিলা দেবী থেকে।মৃত্যু অবধি সুখে-দুখে তারা একসাথে ছিলেন।

আপনাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি হে প্রিয় প্রেমের কবি।

Babu'S Philosophy

Address

Dhaka
Dhaka
1209

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Babu'S Philosophy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share