Kajori & Baap

Kajori & Baap খেলতে খেলতে শেখা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কৌশল।

29/08/2025

বাচ্চাকে পড়ায় মনোযোগী করতে পারছি না, করণীয় কী #শিশুশিক্ষা #ছোটদেরপড়ালেখা

29/08/2025

বাচ্চার হাতের লেখা দ্রুত করার একটি সহজ পরামর্শ home education। kids learning

আরেক জনের বাচ্চাকে দেখামাত্রই  "বাবু এতো শুকনো কেন" প্রশ্ন করাটা চরম অভদ্রতা!!আপনাদের এসব অকারণ প্রশ্নে আহত হয়ে অনেক মা ...
29/08/2025

আরেক জনের বাচ্চাকে দেখামাত্রই "বাবু এতো শুকনো কেন" প্রশ্ন করাটা চরম অভদ্রতা!!
আপনাদের এসব অকারণ প্রশ্নে আহত হয়ে অনেক মা হতাশায় ভোগেন। অনেকে আবার আপনাদেরকে খুশি রাখতে গিয়ে বাচ্চাকে মোটা বানানোর চেষ্টায় নেমে পড়েন।

কাজেই, থামেন। অন্যের বাচ্চার শরীর-স্বাস্থ্য না দেখে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেন।

28/08/2025

শিক্ষকতা অনুকরণীয় বিষয়, বাচ্চার সামনে আপনাকে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে হবে #শিশুশিক্ষা #ছোটদেরলেখাপড়া

28/08/2025

বারবার পড়ানোর পরেও আবার ভুলে যায়, কী করব? | শিশুশিক্ষা

ত্রিশের পরের জীবনটাকে আমরা কোনো দামই দিইনি। অথচ এই বয়সটাও একরকম নতুন জন্ম। বুড়ো না, আবার তরুণও না। সংসার, দায়িত্ব, অভিজ্...
28/08/2025

ত্রিশের পরের জীবনটাকে আমরা কোনো দামই দিইনি। অথচ এই বয়সটাও একরকম নতুন জন্ম। বুড়ো না, আবার তরুণও না। সংসার, দায়িত্ব, অভিজ্ঞতা—সবকিছু মিলে এটি এক অদ্ভুত বয়স।

ত্রিশ পেরোনো নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্তত ৬–৭ বছরের সংসারী। কারো দুই-তিন সন্তানের মা হয়ে যাওয়ার পরও ভেতরের কিশোরী মনটা রয়ে যায় ঠিকই। সেই কিশোরী মনকে দমিয়ে রাখার ক্লান্তিকর চেষ্টার মধ্যেই কেটে যায় প্রতিদিন। সমাজ তাকে আর কিশোরী হতে দেয় না, অথচ মনের ভেতরে সেই চঞ্চলতা অটুট থাকে।

দিন শেষে যখন রান্নাঘর নিভে যায়, অফিসের ফাইল গুছিয়ে রাখা হয়, তখন মনের কোণে জমা হয় না পাওয়া গল্পগুলো। কে শোনে সেইসব? সংসারের লোকজন? তারা তো সবাই ব্যস্ত। বন্ধুত্ব নেই বললেই চলে। একসময় যে বন্ধুত্বগুলো প্রাণের সমান ছিল, ত্রিশ পেরোনো জীবনে সেগুলো কেবল স্মৃতির পাতায় আটকে থাকে।

ত্রিশের পর নারীরা এক অদ্ভুত রোগে ভোগে—নস্টালজিয়া। শৈশব, কৈশোর, কলেজজীবন, প্রথম প্রেম, বৃষ্টিভেজা দুপুর—সবকিছু অকারণেই মনে পড়ে যায়। একসময় যে মানুষ কষ্ট দিয়েছে বা যার কষ্ট সে দিয়েছে, তাকেও ভুলতে পারে না। রাতের অন্ধকারে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখে অচেনা লাগে। চুল পড়ে গেছে, মুখে বলিরেখা, শরীরে মেদ—সব মিলিয়ে একসময়কার মেদহীন সুন্দরী শরীরটা কেবল স্মৃতিতে রয়ে যায়।

হয়তো এ কারণেই অনেকে সাজগোজে, শাড়ি-গয়নায় নিজেকে লুকোতে চায়। এটা আত্মপ্রেম নয়, বরং বিষণ্ণতা ঢাকার উপায়।

ত্রিশ পেরোনো নারীরা হঠাৎ প্রেমে পড়তে চায় না। তারা আসলে চায় একজন শ্রোতা—যে কোনো জাজমেন্ট ছাড়াই সব কথা শুনবে। সংসারে থাকা মানুষটিকেই আবার নতুন করে পেতে চায়। চোখের তারা হয়ে থাকার সাধ আবার জাগে। কিন্তু বাস্তবতা কানে কানে বলে দেয়—সবকিছু আগের মতো আর হয় না।
এই বয়সে বাবা-মায়ের অভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয়। যাদের বাবা-মা বেঁচে আছেন, তারাও চান না মেয়েটা অতিরিক্ত অধিকার খাটাক। অথচ ভেতরে ভেতরে মেয়ে হয়ে যতটুকু আদর পেতে ইচ্ছে করে, তা আর বলা হয়ে ওঠে না। নিজের সন্তানদের আঁকড়ে ধরে সে অন্যরকম সমাজের স্বপ্ন বুনে চলে।

ত্রিশ পেরোনো কোনো নারী যদি অবিবাহিতা হয়, সন্তান না থাকে, কিংবা ডিভোর্সি হয়, তবে সমাজ তাকে নিয়ে অযথা চিন্তিত হয়ে পড়ে। অথচ যে মেয়েটা সংসার করছে, বাচ্চা সামলাচ্ছে, তার মনের খবর কে রাখে? কে জিজ্ঞেস করে—কেমন আছো? আজ তোমাকে ক্লান্ত লাগছে কেন?

আজকাল মেয়ে মানেই ফাইন্যান্সিয়ালি ইন্ডিপেন্ডেন্ট হওয়ার ডাক। কিন্তু ত্রিশ পেরোনো নারী বুঝে যায়—শুধু আর্থিক স্বাধীনতা যথেষ্ট নয়। অর্থ থাকলে সময় থাকে না, সময় থাকলে অর্থ থাকে না। তাছাড়া সমাজ তো কখনোই পুরোপুরি স্বাধীনতা দেয় না। মেয়েরা যতই উপার্জন করুক, মানসিকভাবে সমাজের শেকল ভাঙা কঠিন।

এ বয়সে প্রায়শই মন চায় একা থাকতে। নিজের মতো করে। কোনো দায়িত্ব ছাড়া। অথচ মুহূর্তের মধ্যেই সন্তানদের মুখ মনে পড়ে যায়। মায়ের সবচেয়ে বড় ভয় হলো মৃত্যু—কারণ সন্তানদের ছাড়া চলে যাওয়ার কথা সে ভাবতেই পারে না।

ত্রিশের কাছে এসে মেয়েদের সবুজ মন ধীরে ধীরে নীল হয়ে যায়। যে মেয়ে সামান্য আঘাতেই কেঁদে ফেলত, সে নিঃশব্দ কান্না করতে শিখে যায়। যে মেয়ে আগে স্বপ্নে ভরা ছিল, সে এখন ব্যালান্স করতে করতে নিজের স্বপ্নই ভুলে যায়।

দুই বা তিনবার সন্তান জন্ম দেওয়ার ধকল শরীরের উপর যে কতটা প্রভাব ফেলে, তা সে-ই বোঝে। মেরুদণ্ডে ইনজেকশন, অস্ত্রোপচারের ব্যথা—সব সহ্য করেও রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে, সন্তান সামলে, সংসারের চাকায় সে ঘুরতেই থাকে। পরিবারের অন্য সদস্যরা অসুস্থ হলে তার কষ্টকে গৌণ মনে হয়। অথচ সে-ও চায়, কেউ একবার জিজ্ঞেস করুক—আজ তোমার শরীরটা কেমন আছে?

ত্রিশ পেরোনো নারীর মনের সবচেয়ে গভীর চাহিদা হলো যত্ন। তারা খুব সামান্য কিছুই চায়—কেউ যদি বলে “আজ তোমাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে” বা “তুমি অনেক কষ্ট করো”—এটুকুই তার কাছে বিশাল প্রাপ্তি।

ত্রিশ পেরোনো নারীর জীবন হলো নীরব এক সংগ্রাম। সমাজ তাকে নানা নামে ডাকতে ভালোবাসে—মা, স্ত্রী, কর্মজীবী নারী। কিন্তু তার ভেতরের মানুষটিকে চেনে কয়জন? এই বয়সে নারীরা শুধু দায়িত্ব নয়, একটু যত্ন, একটু বোঝাপড়াও প্রাপ্য। আমরা যদি সেটা মনে রাখতে পারি, তবে ত্রিশ পেরোনো জীবনের নাম হয়তো একদিন পাওয়া যাবে—আর সেই নাম হবে আত্মিক পরিপূর্ণতার আরেক নাম।

নারী শব্দটি কেবল একটি জৈবিক পরিচয়ই নয়, এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ধারণা যা লিঙ্গভিত্তিক ভূমিকা, সম্পর্ক এবং ইতিহাসক...
27/08/2025

নারী শব্দটি কেবল একটি জৈবিক পরিচয়ই নয়, এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ধারণা যা লিঙ্গভিত্তিক ভূমিকা, সম্পর্ক এবং ইতিহাসকে নির্দেশ করে।

বাচ্চাদের জন্য কালোজিরা খেলে তাদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজমশক্তি উন্নত করা এবং লিভারের সুর...
27/08/2025

বাচ্চাদের জন্য কালোজিরা খেলে তাদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, হজমশক্তি উন্নত করা এবং লিভারের সুরক্ষায় সাহায্য করতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের জন্য এটি স্তনদুধ বাড়াতেও সহায়ক। তবে, শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর আগে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বা ভুল উপায়ে খাওয়ালে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
বাচ্চাদের জন্য কালোজিরার উপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
কালোজিরায় থাকা বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা তাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি:
নিয়মিত কালোজিরা সেবন শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
হজমশক্তি উন্নত করে:
কালোজিরা পেটের যেকোনো রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
লিভারের সুরক্ষা:
এটি লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্দি ও কাশি:
সর্দি বা কাশির সমস্যা হলে কালোজিরা তেল ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এটি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করতে হবে।
শিশুর জন্য পুষ্টি:
যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের জন্য কালোজিরা স্তনদুধ বাড়াতে সাহায্য করে, যার ফলে শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়।

কীভাবে খাওয়ানো যেতে পারে
মধুর সাথে:
১ চা চামচ কালোজিরা গুঁড়োর সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
সরাসরি বা গুঁড়ো করে:
শুধু দানা চিবিয়ে বা অন্য কোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে বা পিষে খাওয়া যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
শিশুদের কালোজিরা খাওয়ানোর আগে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

সঠিক মাত্রা:
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ কালোজিরা খাওয়া নিরাপদ। এর বেশি খাওয়া হলে গ্যাস্ট্রিক বা অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
#

হ্যাঁ, বাচ্চাদের অহংকারী করে তোলার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের কিছু আচরণ, যেমন অতিরিক্ত প্রশংসা, অবহেলা, বা তাদের নিজের অপূর্ণ ...
27/08/2025

হ্যাঁ, বাচ্চাদের অহংকারী করে তোলার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের কিছু আচরণ, যেমন অতিরিক্ত প্রশংসা, অবহেলা, বা তাদের নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন সন্তানের উপর চাপিয়ে দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া, সামাজিক ও মানসিক কারণও এর সাথে জড়িত থাকে।
বাবা-মায়ের যে আচরণগুলো বাচ্চাদের অহংকারী করে তোলে:
অতিরিক্ত প্রশংসা:
যখন কোনো বাচ্চাকে তার সামর্থ্যের চেয়ে বেশি প্রশংসা করা হয়, তখন সে নিজেকে সেরা ভাবতে শুরু করে এবং অহংকারী হয়ে ওঠে।
অতিরিক্ত আদর বা অবহেলা:
অতিরিক্ত আদর করলে যেমন বাচ্চা অবাধ্য ও চাহিদা পূরণ না হলে রেগে যায়, তেমনি অবহেলা করলে বা সবসময় সমালোচনা করলে তাদের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং এক ধরনের মানসিক সমস্যা তৈরি হয়, যা অহংকারের জন্ম দিতে পারে।
অপূর্ণ স্বপ্ন চাপিয়ে দেওয়া:
নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দিলে তারা নিজেদের ইচ্ছা বা পছন্দকে গুরুত্ব দিতে শেখে না এবং নিজেদের যা ভালো লাগে তা করতে চায় না, যা তাদের মধ্যে এক ধরনের জেদ ও অহংকার সৃষ্টি করে।
কাজের মূল্যায়ন না করা:
বাচ্চারা যখন তাদের নিজস্ব কাজ বা নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেয় না, তখন তারা নিজেদের মূল্যহীন মনে করে। এই কারণে তারা অন্যের উপর নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করে এবং অহংকারী হয়ে ওঠে।
অন্যান্য কারণ:
সামাজিক প্রভাব:
পরিবার এবং পরিবেশের বাইরে অন্যান্য সামাজিক প্রভাবও একটি শিশুর আচরণে বড় ভূমিকা রাখে।
মানসিক কারণ:
মানসিক ও পারিপার্শ্বিক কারণও একটি শিশুকে অহংকারী করে তুলতে পারে।
সুতরাং, একটি সুস্থ ও স্বাভাবিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে শিশুদের প্রতি বাবা-মায়ের আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

26/08/2025

বাচ্চাকে পড়াতে গিয়ে মাথা ঠান্ডা করতে না পারা মায়ের প্রশ্ন, নার্সারির বাচ্চাকে বানান শেখাব কীভাবে?

বিশ্বে প্রথমবারের মতো টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন পুরুষ রোগী নিজের শরীরে স্বাভাবিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদনে সক্ষম হয়েছেন।...
26/08/2025

বিশ্বে প্রথমবারের মতো টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত একজন পুরুষ রোগী নিজের শরীরে স্বাভাবিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদনে সক্ষম হয়েছেন। জিন এডিট (জিন সম্পাদন) করা কোষ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই সফলতা এসেছে। সাধারণত যেসব রোগীকে সারা জীবন রোগ প্রতিরোধে ওষুধ সেবন করতে হয়, এমন জিন প্রতিস্থাপনের পর এই রোগীকে সেটিও করতে হচ্ছে না।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই যুগান্তকারী সাফল্যের ঘটনা সম্প্রতি নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে ৯৫ লাখ মানুষ টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই রোগে শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্যানক্রিয়াসে অবস্থিত আইলেট কোষ ধ্বংস করে ফেলে। এসব কোষ ইনসুলিন তৈরি করে।
তাই টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়। তবে রোগটি এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়।
আইলেট কোষ প্রতিস্থাপন চিকিৎসার একটি সম্ভাব্য পন্থা হলেও এতে প্রধান বাধা রোগীর শরীর নতুন প্রতিস্থাপিত কোষকে ‘বহিরাগত’ মনে করে আক্রমণ করে বসে। এ ধরনের জটিলতা এড়াতে এখন পর্যন্ত রোগীদের সারা জীবন ইমিউনোসাপ্রেসিভ (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দমনকারী) ওষুধ সেবন করতে হয়। তবে এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এই সমস্যার সমাধান করতেই সুইডেন ও যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক সিআরআইএসপিআর বা ক্রিস্পার (CRISPR) প্রযুক্তি ব্যবহার করে দাতার প্যানক্রিয়াস থেকে নেওয়া আইলেট কোষকে জিনগতভাবে পরিবর্তন করেন, যাতে রোগীর শরীর তা সহজে প্রত্যাখ্যান না করে।
এই প্রথমবারের মতো জিন সম্পাদিত কোষ মানবদেহে প্রতিস্থাপন করা হলো। প্রতিস্থাপনের ১২ সপ্তাহ পরও রোগীর শরীর ইনসুলিন উৎপাদন করে চলেছে এবং এতে কোনো রোগ প্রতিরোধী প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গবেষকেরা তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ‘প্রাথমিক হলেও এই গবেষণার ফলাফলে প্রতিস্থাপিত কোষ বা অঙ্গকে শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এড়াতে জিন সম্পাদনার কৌশল যে কার্যকর, তা প্রতীয়মান হয়েছে।’
গবেষণায় ক্রিস্পার প্রযুক্তির মাধ্যমে দাতার কোষে তিনটি জিনগত পরিবর্তন আনা হয়। এর মধ্যে দুটি পরিবর্তনে কোষের ওপর থাকা এমন প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়। এসব প্রোটিন শরীরের শ্বেত রক্তকণিকাকে সংকেত দেয় কোন কোষ বহিরাগত। তৃতীয় পরিবর্তনে সিডি ৪৭ নামে একধরনের প্রোটিনের উৎপাদন বাড়ানো হয়, যা শরীরের অন্যান্য প্রতিরক্ষা কোষকে কোষটি আক্রমণ না করার সংকেত দেয়।
এই জিন সম্পাদিত কোষ রোগীর হাতে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। রোগীর শরীর কোষগুলো ‘বহিরাগত’ হিসেবে চিহ্নিত করেনি এবং তারা স্বাভাবিকভাবেই ইনসুলিন উৎপাদন করেছে।
যদিও পরীক্ষামূলকভাবে রোগীকে এখনো ইনসুলিন নিতে হচ্ছে এবং তার অল্পমাত্রায় কোষ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, এই পদ্ধতি নিরাপদ এবং ভবিষ্যতের চিকিৎসায় এটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
গবেষক দল এখন পরবর্তী ধাপে যাচ্ছেন—দীর্ঘ মেয়াদে এই কোষগুলো টিকে থাকে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবেন। পাশাপাশি অন্য রোগীদের ওপর একই পদ্ধতি কার্যকর কি না, সেটিও যাচাই করা হবে।
এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে টাইপ-১ ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় নতুন আশার দ্বার খুলল।

#

Address

12 DIT Project, Merul Badda
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kajori & Baap posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kajori & Baap:

Share