Ananda Binodon

Ananda Binodon National Fortnightly Bangla Magazine Entertainment & lifestyle...! Best Magazine in Bangladesh.

চলে গেলেন লালনকন্যা খ্যাত লোকসংগীতের বরেণ্যশিল্পী ফরিদা পারভীন। আনন্দ বিনোদন পরিবার শোকাহত।
13/09/2025

চলে গেলেন লালনকন্যা খ্যাত লোকসংগীতের বরেণ্যশিল্পী ফরিদা পারভীন। আনন্দ বিনোদন পরিবার শোকাহত।

07/09/2025
১৯৮০-৯০ দশকের সময়কার বাংলা চলচ্চিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে মুহম্মদ কলিক। যিনি সেই সময়ের উল্লেখযোগ্য “গো...
21/08/2025

১৯৮০-৯০ দশকের সময়কার বাংলা চলচ্চিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় নায়ক হিসেবে মুহম্মদ কলিক। যিনি সেই সময়ের উল্লেখযোগ্য “গোল্ডেন এরা” বা স্বর্ণযুগের বাংলা ছবির একজন

মাহমুদ কলি: স্বর্ণযুগের বাংলা চলচ্চিত্রের একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন

পরিচয় ও কর্মজীবন

মাহমুদ কলি বাংলাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এর দশকে নিজের প্রতিভা ও এক পরিচ্ছন্ন পর্দার উপস্থিতির মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নেন। তিনি “Mastan” (১৯৭৫) চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং পরবর্তীকালে মোট ৬১টি ছবিতে কাজ করেছেন ।

তাঁর খেয়ালযোগ্য কিছু চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

Mastan (১৯৭৫) — তাঁর আত্মপ্রকাশ

Nepali Meye (১৯৮৫) — জনপ্রিয় ছবি

Rani Amar Naam (১৯৯২) — পরবর্তীতে নির্মিত

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য: Toofan, Dhoni Gareeb, Moti Mahal, Apon Ghar, Shidur Niona Muchhe, Swashur Bari, Griho Bibad, Love in Singapore, Golmaal, Superstar, Khamosh প্রভৃতি ।

চলচ্চিত্রে অবদানের গুরুত্ব

মাহমুদ কলি বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে তাঁর দৃঢ় অভিনয় ও জনপ্রিয়তা দ্বারা ‘অইন’ হয়ে উঠেছিলেন। যেসব ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন, সেরাগুলো তখনকার দর্শকদের স্মৃতিতে এখনও জীবন্ত। তিনি বাংলার চলচ্চিত্রে নিজস্ব সময়ের “কালজয়ী” নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।

শিল্পকলা সংঘে নেতৃত্ব

মুক্তর পর্দার বাইরেও মাহমুদ কলির অবদান উল্লেখযোগ্য—বাংলাদেশ ফিল্ম আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনে (BFAA) তিনি দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন:

১৯৯১ সালে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, এবং ১৯৯৫–১৯৯৭ পর্যন্ত একই পদে দায়িত্ব পালন করেন ।

পরবর্তীতে, ১৯৯৭–২০০২ সালে দুইবার ধারাবাহিকভাবে সভাপতি হিসেবে BFAA-তে দায়িত্ব পালন করেন ।

সর্বশেষ, ২০২৪ সালে আগামী BFAA নির্বাচনে নূপুর অভিনেত্রী নীপুর আকতির প্যানেলের সভাপতি হিসেবে তিনি যুক্ত হন ।

ক্যারিয়ার শুরু "Mastan" (1975)
মোট চলচ্চিত্র প্রায় ৬১টি
প্রমুখ ছবি Nepali Meye, Rani Amar Naam সহ অনেকগুলো
সাংগঠনিক ভূমিকা BFAA-তে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান
স্বীকৃতি ১৯৮০-৯০ সালের বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের একজন আইকন
মোটকথা, মাহমুদ কলি শুধু পর্দার নায়কই নন—তাঁর নেতৃত্ব, শিল্পসেবা এবং সাংগঠনিক ভূমিকা তাঁকে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়েছে। আনন্দ বিনোদন নিয়মিত পড়তে ভিজিট করুন আমাদের ফেইজ বুক পেইজ ও ওয়েব সাইটে www.ananadabinodon.com

৮০/৯০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক জাফর ইকবালবাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ১৯৮০ ও ৯০-এর দশককে বলা হয় বাণিজ্যিক সিনেম...
18/08/2025

৮০/৯০ দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক জাফর ইকবাল

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ১৯৮০ ও ৯০-এর দশককে বলা হয় বাণিজ্যিক সিনেমার এক সোনালী অধ্যায়। এ সময় ঢালিউডে কয়েকজন তারকার আবির্ভাব ঘটে, যারা দর্শকের মনে স্থায়ী আসন গড়ে নেন। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নায়ক জাফর ইকবাল—যিনি শুধু অভিনয়েই নয়, তার নিজস্ব ব্যক্তিত্ব ও গানের প্রতি ভালোবাসার জন্যও দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন।

শৈশব ও পরিবার

জাফর ইকবাল জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫০ সালের ২৫ এপ্রিল সিলেটে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ** ফেরদৌসী রহমানের ছোট ভাই** এবং কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ ওবায়েদুল হক খানের ছেলে। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠার কারণে ছোটবেলা থেকেই শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি তার ঝোঁক ছিল প্রবল।

চলচ্চিত্রে আগমন

সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। প্রথমে সহ-অভিনেতা হিসেবে হাজির হলেও অল্পদিনেই নায়ক হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেন। তার রোমান্টিক লুক, হাসি এবং স্বাভাবিক অভিনয় দ্রুত দর্শকদের আকর্ষণ করে। ১৯৮০ দশকে এসে তিনি হয়ে ওঠেন ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক।

অভিনয় জীবন

জাফর ইকবাল প্রায় ১৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে—

নয়নের আলো

প্রেম পিয়াসী

দূর নক্ষত্র

সারেং বৌ

প্রতিজ্ঞা

শত্রু শত্রু খেলা

বিচার হবে

তিনি শাবানা, কবরী, ববিতা, রোজিনা, অঞ্জনা, দিতি, রেশমি প্রমুখ জনপ্রিয় নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন।

নায়কোচিত ব্যক্তিত্ব

অভিনয়ে যেমন দক্ষ ছিলেন, তেমনি তার ব্যক্তিত্বও ছিল আলাদা। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হলেও তিনি পারিবারিক ও সামাজিক গল্পনির্ভর সিনেমাতেও সমানভাবে সফল হন। তার সংলাপ বলার ভঙ্গি, ভরাট কণ্ঠ আর প্রাণবন্ত উপস্থিতি তাকে আলাদা করে তুলেছিল।

গানের প্রতি ভালোবাসা

অভিনয়ের পাশাপাশি গানের প্রতিও তার গভীর টান ছিল। তিনি গিটার বাজাতে পারতেন এবং কণ্ঠও ছিল চমৎকার। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি কনসার্ট ও স্টেজ শোতে তিনি পারফর্ম করতেন, যা তাকে অন্য নায়কদের থেকে আলাদা মর্যাদা দিয়েছিল।

ব্যক্তিজীবন ও মৃত্যু

জাফর ইকবাল ছিলেন দুই সন্তানের জনক। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি মাত্র ৪২ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার অকাল প্রয়াণে পুরো চলচ্চিত্র অঙ্গন শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়ে।

অবদান ও স্মরণীয়তা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে জাফর ইকবালের অবদান আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তিনি ছিলেন একজন রোমান্টিক হিরো, সুদর্শন অভিনেতা এবং সংস্কৃতিমনা মানুষ। অল্প সময়ে হলেও তার কাজ বাংলা চলচ্চিত্রের ভক্তদের হৃদয়ে এক অমর স্মৃতি হয়ে আছে।
বলা যায়, জাফর ইকবাল ছিলেন ৮০/৯০ দশকের ঢালিউডের নায়কপ্রতিম ব্যক্তিত্ব, যিনি নিজের অভিনয়, গানের প্রতি ভালোবাসা এবং ব্যক্তিত্ব দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। আনন্দ বিনোদন পরিবার চিরকাল স্মরণ রাখবে। @আনন্দবিনোদন

Address

25/3 Bardan Bari Mazier Road Darossalam. Mirpur 1
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ananda Binodon posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ananda Binodon:

Share

Category