Ashrafi Rebellious

Ashrafi Rebellious I don’t think of myself as pretty. I am what I am. This is who I am. Bless me for live long in world. Welcome to our motivational page!

We are dedicated to inspiring and empowering individuals to achieve their full potential and live their best lives. Our page is a community of like-minded people who believe that with the right mindset and motivation, anything is possible. Here, you'll find daily doses of inspiration, motivational quotes, and life-changing content that will help you stay focused, energized, and motivated. Whether

you're looking to improve your personal or professional life, our page is here to support and guide you every step of the way. Join our community and connect with other individuals who are on a similar journey. Share your stories, your struggles, and your triumphs, and let us help you achieve your goals and aspirations. Together, we can create a positive and uplifting environment that fosters growth, resilience, and success. So, if you're ready to take charge of your life and become the best version of yourself, follow our page and join our community today!

#সফলতার_গল্প

19/09/2025

শিবিরের কাছে ছাত্রদলের নির্লজ্জ পরাজয়ের গোপন রহস্য কি???

#শিবির #ছাত্রদল #ডাকসু #ঢাবি #ছাত্রশিবির

মির্জা গালিব ব্যাক্তি হিসেবে কেমন?
19/09/2025

মির্জা গালিব ব্যাক্তি হিসেবে কেমন?

26/08/2025

ডাকসুর ইতিহাসে সেরা জুটি? 🔥 সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদ | ছাত্র রাজনীতির নতুন ভোর | DUCSU
গত ১৭ বছরের ছাত্র রাজনীতিতে এমন বলিষ্ঠ যুক্তি ও অদম্য নেতৃত্বের কথা কি শুনেছেন? এই ভিডিওতে আমরা আলোচনা করেছি এস এম ফরহাদকে নিয়ে, যার ক্ষুরধার যুক্তি, কৌশল এবং কথা বলার ভঙ্গি জুলাই আন্দোলনকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছিল।

তার অসামান্য দক্ষতা ও সুদূরপ্রসারী চিন্তা কীভাবে একটি আন্দোলনকে গণমানুষের আন্দোলনে পরিণত করেছিল, তা জানলে আপনি অবাক হবেন।

কিন্তু শুধু দক্ষতা কি নেতৃত্বের জন্য যথেষ্ট? এখানেই আসে সততার প্রশ্ন। আর তাই সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদের ডাকসু প্যানেল ব্যতিক্রম। এই প্যানেলে রয়েছে সাদিক কায়েমের মতো ঠাণ্ডা মাথার সৎ ও স্থিতধী একজন ভিপি প্রার্থী, যার সাথে যুক্ত হয়েছেন এস এম ফরহাদের মতো একজন দক্ষ ও শক্তিশালী জিএস প্রার্থী।

একদিকে সততা, অন্যদিকে আপসহীন দক্ষতা—এই দুইয়ের মিশ্রণ কি ডাকসুর ইতিহাসে সেরা কম্বিনেশন হতে পারে? তাদের নেতৃত্ব কীভাবে আপনার ক্যাম্পাসের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে? আপনার একটি ভোট কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এই ভিডিওটি শুধুমাত্র একজন ছাত্রনেতার প্রশংসা নয়, এটি আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্বাচনের একটি গভীর বিশ্লেষণ। দেখুন, ভাবুন এবং আপনার সিদ্ধান্ত নিন।

আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন: আশরাফী রিবেলিয়াস

ডাকসু, DUCSU, সাদিক কায়েম, এস এম ফরহাদ, Sadik Kayem, SM Forhad, ছাত্র রাজনীতি, বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতি, student politics Bangladesh, জুলাই আন্দোলন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, Anti-discrimination Student Movement, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, Dhaka University, ডাকসু নির্বাচন, DUCSU Election, ভিপি-জিএস প্যানেল, ছাত্র নেতা, motivational video Bengali, নতুন নেতৃত্ব, সততা ও দক্ষতা, আশরাফী রিবেলিয়াস।

#ছাত্ররাজনীতি #ডাকসু #সাদিক_কায়েম াদ #আশরাফী_রিবেলিয়াস

22/08/2025

গুপ্ত কেনো শিবির??

#শিবির #ছাত্রশিবির #জুলাই

21/08/2025

বিনয়ী হও এবং কখনও নিজেকে অন্য কারো চেয়ে ভালো মনে করো না। "তুমি ধূলির থেকে এসেছো এবং ধূলিতে ফিরে যাবে।"🌼

দ্ররুত ভোট দিন
07/07/2025

দ্ররুত ভোট দিন

07/07/2025

Celebrating my 10th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

লীগের আমলে ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানতাম:১। উনি সু'দ খায়।২। উনি আ্য'মে'রি'কার দা'লা'ল।বিএনপি ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানাচ্ছে:১। ...
29/03/2025

লীগের আমলে ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানতাম:
১। উনি সু'দ খায়।
২। উনি আ্য'মে'রি'কার দা'লা'ল।

বিএনপি ড. ইউনুসকে নিয়ে যা জানাচ্ছে:
১। উনি মুক্তিযুদ্ধ করে নাই।
২। উনি জিয়ার নাম না নিয়ে ভুল করসে।
৩। উনি নির্বাচন দিতে চায় না।

আমি ফেসবুকে গত দুইদিন যা জানলাম:

১। মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনারত। সেখানে জন্মভূমির স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে নেমে পড়েন তিনি।মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের খবর পৌঁছে দিতে সেখানকার স্থানীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনের সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজটি নিয়মিত করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন জোগাতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে প্রকাশ করতেন ‘বাংলাদেশ নিউজলেটার’।

২। চীনের হাইনানে প্রাদেশিক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।

৩। মাইক্রোসফটের বিল গেটস নিজে গাড়ি ড্রাইভ করে প্রফেসর ইউনুসকে পুরো সিলিকন ভ্যালি শহর দেখিয়েছিলেন।

৪। নোবেল, অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড, মার্কিন কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড- পৃথিবীর ইতিহাসে ৩ টা পুরস্কারই জিতেছেন এমন মানুষ মাত্র ১২ জন! সেই ১২ জনের একজন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

৫। 'অলিম্পিক গেমস' পৃথিবীর সম্মানজনক প্রতিযোগিতার একটি। আর অলিম্পিকে সবচেয়ে সম্মানিত মেহমান হলেন মশাল বাহক, জাপানে অনুষ্ঠিত ২০২০ অলিম্পিকে মশাল বাহক ছিলেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

৬। ২০২৪ সালের ফ্রান্সে অনুষ্ঠিতব্য প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজক কমিটির ৩ জনের একজন হচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে আরেকজন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো। ২০২৬ ইতালী অলিম্পিকের জন্য ইতালিয়ানরা উনাকে পাওয়ার জন্য তদবির করছে। পুরা অলিম্পিকের মডেলই ছিল থ্রি-জিরো।

৭। সারা পৃথিবীর ১০৭ টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাকে এবং তার গ্রামীন ব্যাংককে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিলো।

৮। ড. ইউনূস হচ্ছেন পৃথিবীর ওয়ান অব দ্যা হায়েস্ট পেইড স্পীকার। স্পীচ দেয়ার জন্য ওনাকে টাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওনার বক্তব্য শোনার জন্য খরচ করতে হয় ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ ডলার। কখনো আরো বেশী।

৯। বিশ্বের লিডিং ইন্টালেকচুয়ালের যেকোনো তালিকায় টপ ১০ এর ভিতরে থাকেন ড. ইউনূস। মুসলিম বিশ্বে নোবেল বিজয়ী ইউনূসের বিকল্প খুঁজে পাওয়াটা খুবই কঠিন, কিন্তু তিনি আমাদের বাংলাদেশের! এদেশে আর এমন ইউনূস জন্মাবে কিনা আজও সন্দেহ।

১০। কোর্ট-কাছাড়ির ৮ তলার এজলাসে তাকে যখনই হাজিরা দিতে হতো সেসময় কোর্ট বিল্ডিং এর লিফট বন্ধ করে দেয়া হতো। ৮২ বছরের অশীতিপর এই বৃদ্ধকে প্রতিবারই হেটে হেটে ৮ তলায় যেতে হতো। এবং এই ঘটনা নাকি ৪০ বারের মত ঘটেছে।

বিএনপির ফজলু একদম উচিত কথা বলছে। আমরা উনাকে যত বড় মাপের ভাবি উনি তত বড় মাপের না। উনাকে আল্লাহ এত বড় মাপের মানুষ বানাইসেন যে বিএনপির নব্য দি'ল্লীর দা'লা'লদের পক্ষে সেটা মাপা কোনদিম সম্ভব না।

- শেখ আশিক
সাবেক শিক্ষার্থী, বুয়েট

বেঁচে থাকাটাই আসলে আশ্চর্য ! সকালে ঘুম থেকে উঠে কোলগেট পেস্ট নিলাম-তার মধ্যে ক্যান্সারের উপাদান!তারপর নাস্তায় পরোটা খাই...
04/03/2025

বেঁচে থাকাটাই আসলে আশ্চর্য !
সকালে ঘুম থেকে উঠে কোলগেট পেস্ট নিলাম-তার মধ্যে ক্যান্সারের উপাদান!
তারপর নাস্তায় পরোটা খাইলাম- তার মধ্যে অ্যামোনিয়ার তৈরি সল্টু মিশানো!
তারপর কলা খাইলাম - কার্বাইড দিয়ে পাকানো!
তারপর কফি নিলাম - এতে তেঁতুলের বিচির গুড়া মিশানো!
তারপর বাজারে গেলাম টাটকা শাক সবজি কিনলাম-
কপার সালফেট ছিটায়ে সতেজ করা, হাইব্রিড সার দিয়ে ফলানো!
মসলা আর হলুদের গুড়া নিলাম - লেড এবং ক্রোমাইট ক্যামিকেল মিশানো!
গরমের দিন বাসায় এসে তরমুজ খাইলাম - পটাশিয়াম পারম্যাংগানেট দিয়ে লাল করা!
আম এবং লিচু বাচ্চাকে দিলাম খেতে - কার্বাইড দিয়ে পাকানো এবং ফরমালিন দিয়ে সংরক্ষিত!
দুপুরে ভাত খাবো - ইউরিয়া দিয়ে সাদা করা!
মুরগী নিলাম প্লেটে- ক্রমাগত এন্টিবায়োটিক দিয়ে বড় করা!
সয়াবিন তেলে রান্না সব - ভিতরে অর্ধেক পাম অয়েল মেশানো!
খাওয়ার পর মিষ্টি জিলাপি নিলাম - পোড়া মবিল দিয়ে মচমচে করা!
রোজা থাকলে সন্ধ্যায় রুহ আফযা নিলাম - ক্যামিকেল আর রং ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি পরীক্ষায়!
খেজুর খাইলাম - বছরের পর বছর স্টোরেজে ফরমালিন দিয়ে রেখেছিলো!
সরিষার তেল দিয়ে মুড়ি মাখানো খাইলাম- মুড়ি ইউরিয়া দিয়ে ফুলানো আর সাদা করা এবং সরিষার তেলে ঝাঁঝালো ক্যামিকাল মিশানো!
রাতে আবার একই বিষ ডবল খাইলাম!
ঘুমানোর আগেও বাদ যাবেনা। গরম দুধ আর হরলিক্স খাইলাম- গাভীর পিটুইটারি গ্রন্থিতে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর অতিরিক্ত দুধ দোওয়ানো হয়, এরপর ইউরিয়া মেরে সাদা করা হয়।আর হরলিক্সে পরীক্ষা করে ক্যামিকাল ছাড়া কোন পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়নি!
এত ভেজাল খেয়ে দু একটা ঔষধ না খেলে তো শরীর টিকবেনা। ৭০ ভাগ ঔষধ কোম্পানি দেশে মান সম্মত ঔষধ তৈরি করেনা।
এইসব খাওয়ার পর ভাবতেছি, কেমনে বেঁচে আছি!..মানুষের ঈমান তো নাই নাই, দুর্নীতির ভিতরেও এরা দুর্নীতি করে। আসলে আমরা কেউই বেঁচে নাই।
ভালো লাগলে শেয়ার করবেন পোস্ট টা।

22/02/2025

শিবির ছাড়া আগামীর রাজনীতি কোন পথে ? Pinaki Bhattacharya || The Untold

22/02/2025

সাংবাদিক নবনিতা চৌধুরীর দৃষ্টিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

#জামায়াত #রাজনীতি #জামাতশিবির #জামাত #নির্বাচন #বিএনপি

অস্রু জলে ভেসে উঠে!আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এটাই আমার বিস্তারিত এবং শেষ লেখা; ১/আপনাদের ইতিমধ্যেই বলেছি, অনেকটা এরকম রুমে ...
15/02/2025

অস্রু জলে ভেসে উঠে!
আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা নিয়ে এটাই আমার বিস্তারিত এবং শেষ লেখা;
১/আপনাদের ইতিমধ্যেই বলেছি, অনেকটা এরকম রুমে আমি আর মীর ইবরাহীম দুজন ছিলাম।এখানে আবছা আলো আর ২০১৯ এর জুন মাসের প্রচন্ড গরমে টিকতে না পেরে আমরা ফ্যানের বাতাস চাইতাম।

আমাদের যিনি খাবার দিতো, সে দরজার নিচ দিয়ে ফ্যান শুইয়ে রেখে বাতাসের ব্যাবস্থা করতো,সেই ফ্যান ছাড়লে,প্রচন্ড বিকট মাথা ধরা শব্দ হতো,আর বাতাসের গরম এতোটাই বেশি ছিলো যে,সেই বাতাসে মনে হতো আমাদের শরীরে যেন শত শত শুই ফুটিয়ে দিচ্ছে কেউ।
২/আমাদের রুমের ঠিক বাম পাশে ফারুক থাকতো,ফারুকের বাড়ি ছিলো কক্সবাজার, ফারুক গাজীপুরে গার্মেন্টস এ জুটের ব্যাবসা করতো।

ফারুকের ভাষ্যমতে ফারুক সেখানে কমপক্ষে ৫ বছর ধরে গুম আছে,তার ব্যাবসায়ীক পার্টনার Rab কে মাত্র এক লক্ষ টাকা কনটাক্ট দিয়ে তাকে গুম করে ফেলে।
সে যেহেতু কোন রাজনীতি করেনা তাকে উদ্ধারের জন্য কেউ হয়তো এগিয়ে আসবেনা।।
ফারুক প্রচণ্ড আতংক নিয়ে প্রায় বলতো,তার মলদ্বার দিয়ে আজ মাছ বেড় হয়েছে,আবার সাপ বেড় হয়েছে,আমরা যাতে পানি পড়া দেই।।

আমি বোঝতাম,ফারুকের হয়তো মতিভ্রম হচ্ছে, নয়তো কৃমি রোগ হয়েছে,কিন্তুু আয়নাঘরে কোন চিকিৎসা করা হয়না।তাই দাওরা হাদীসের ছাত্র ইব্রাহিম, ফারুক ভাইকে ছোট বোতলে পানি পড়া দিতো,এটা খেয়ে ফারুক খুব আত্মতৃপ্তিতে বলতো,পানি পড়া খেয়ে সে ভাল হয়ে গেছে,আমরা নিশ্চয় আল্লাহর খুব প্রিয় বান্দা, আমাদের শীঘ্রই ছেড়ে দিবে ইনশাআল্লাহ।।
৩/আমাদের রুমের ডান পাশে থাকতো জামাল ভাই,তার ভাষ্যমতে সে দেড় বছর ধরে সেখানে থাকছে।।তার পকেটে RAB ইয়াবা ডুকিয়ে দিয়ে এখানে তুলে আনে।
আমাদের দেখা আয়নাঘরে যাকে যে পোশাকে তুলে আনা হতো,সপ্তাহ হোক,মাস হোক কিংবা বছরের পর বছর হোক তাকে সে পোশাকেই থাকতে দেওয়া হতো।
চুল কাটা,ব্রাশ করা,ভালভাবে গোসল করা,গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করা মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এসবের কিছুই ঘটতো না।।

এভাবে থাকতে থাকতে ইব্রাহিমের দাত গুলো কালো হয়ে ওঠেছিলো, Saiful আর হেমায়েত ভাইয়ের শরীর সাপের খোলস পড়ার মতো ময়লা হয়ে ফেটে গিয়েছিলো!
৪/ওদের নির্যাতন তো আছেই,সাথে তীব্র গরম থেকে বাঁচতে জামাল,ফারুক সহো আয়নাঘরের অনেক বন্দি উলঙ্গ থাকতো।
আমি কখনও শুধু শার্ট পরতাম,কখনও শুধু প্যান্ট,নিরুপায় হয়ে পড়লে বাধ্য হয়ে কখনও অন্তর্বাস পড়ে কম্বলে জড়িয়ে থাকতাম।।
মাস্ক পড়ে টর্চ লাইট দিয়ে আমাদের উলঙ্গ শরীর দেখতে আসা RAB কর্মকর্তারা হয়তো পৈচাশিক আনন্দই পেতো।
আমাদের টর্চ লাগতো না,অন্ধকারে থাকতে থাকতে সবাই বেশ ভালই দেখতাম,বরং আমাদের চোখে আলো সহ্যই হতোনা।

৫ বছর চুল দাড়ি না কাটা ফারুক দেখতে কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা নিয়ে আমার বেশ কৌতুহল ছিলো।কিন্তু আমাদের যখন টর্চার/জিজ্ঞাসাবাধে নিয়ে যেতো,তখন কয়েকজন এসে এই রুমে থাকতেই পিছনে হাত নিয়ে হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে চোখ বেধে নিয়ে যেতো।
তাই টর্চারসেলে নেওয়ার সময় ফারুক আমাকে দেখলেও আমার আর দেখা হয়নি।।
ফারুক ভাই,আমাদের কাছে তার পরিবারের নম্বার মুখস্থ বলে অনুরোধ করেছিলো, আমরা যাতে সুযোগ পেলে তার বউকে জানাই "ফারুক তার তিন সন্তান আর বউকে অনেক ভালবাসে,বউ যাতে ফারুককে তালাক না দেয়"।
দেড় বছরের জামাল, মাইরের চোটে সব ভূলে যাওয়াতে আমাদের কোন নম্বার দিতে পারেনি।।

পরবর্তীতে একই রকম টর্চারে আমরাও ফারুকের দেওয়া নম্বার মনে রাখতে পারিনি।
যখন বিদুৎ চলে যেতো,তখনি কেবল আমরা কথা বলার সুযোগ পেতাম,বিদ্যুৎ আসলেই ফ্যানের গরম বাতাস আর বিকট শব্দে বেঁচে থাকাটাই দ্বায় হয়ে দাড়াতো..
৫/আপনি যদি প্রশ্ন করেন আয়না ঘরের সব থেকে বেশি নির্যাতন কিভাবে করা হয়।
আমরা বলবো,আয়নাঘরের অবস্থান করা প্রতিটা মুহুর্ত এতো বড় নির্যাতন যে মুক্তজীবন দিয়ে এর তূলনায় করা যায়না।।

সেখানে অসুস্থ হলে কোন ডাক্তার বা চিকিৎসা দেওয়া হয়না,আমি প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে ইব্রাহিম অনেক বলে কয়ে দুটো প্যারাসিটামল নিয়েছিলো সেটাও ছিলো মেয়াদোত্তীর্ণ।।
একটা ভেজা গামছা মুখের উপর দিয়ে তারা অল্প অল্প করে পানি ডালতো,আমরা শ্বাস নিতে গেলেই দম বন্ধ হয়ে মনে হতো মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যেতাম,পিছনে হাত মুড়ে বেধে লাঠি দিয়ে দুজন করে সে হাতের উপর দাড়িয়ে যেতো,উপুর করে ফেলে পায়ের উপর ডান্ডা দিয়ে দুজন দাড়িয়ে যেতো,তাদের মনমতো উত্তর না হলেই চুল টেনে এলোপাতাড়ি চড় মাড়তো,এতো নির্যাতনেও তারা মজা না পেলে তলপেটে আর অন্ডকোষে লাথি মারতো এভাবে চলতো যতদিন ভিক্টিম তাদের মনমতো না হয়ে ওঠে...
৬/
আয়নাঘরের সমাপ্তি ঘটতো মূলত ৩ ভাবে;
এক: এরকম অমানবিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে আয়নাঘরে বন্দি ভিক্টিম যেকোন শর্তে রাজি ছিলো,সেই সুযোগে তাদের থেকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়ে তাদের মনমতো স্কীপ্ট সাজিয়ে মামলা দিয়ে নতুন করে গ্রেফতার দেখাতো।এরফলে ভিক্টিম সরাসরি কারাগারের সেলে চলে যাওয়াতে গণমাধ্যম বা মিডিয়াতে কোন মন্তব্য করতে পারতোনা,সহসা তাদের জngi ও মাদক মামলা দেওয়াতে তাদের অপরাধকেও অনেক বড় করে দেখানো হতো।
হেমায়েত আর ইব্রাহিমকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের একটা কাউন্টারে সিভিলে RAB এভাবেই একটা কালো ব্যাগ দিয়ে রেখে আসে,১০ সেকেন্ড না যেতেই সেখানে পোশাকধারী RAB এসে তাদের নাটক সাজিয়ে গ্রেফতার দেখায়,পাবলিক কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের স্বাক্ষর নিয়ে সাক্ষী বানিয়ে, তাদের মনগড়া মামলা সাজায়।

একই ভাবে সাইফুল কে সিভিল পোশাকে রাস্থায় ছেরে কয়েক সেকেন্ড না যেতেই পোশাক পরিহিত RAB দিয়ে হৈ চৈ করে গ্রেফতার করায়, যেনো মাত্রই ধরে নিয়ে আসলো।
বিশেষ করে আয়নাঘর থেকে বেঁচে যাওয়া,নিরীহ মাজলুম ও তার পরিবারের সদস্যদের পরবর্তী RAB এর মনগড়া জngi মামলার অপবাদ বয়ে বেড়াতে হতো আজীবন।
কোন গণমাধ্যম, ভাল আইনজীবী,প্রভাবশালী আত্মীয়,রাজনৈতিক দল, মানবাধিকার সংস্থা তাদের নিয়ে কথা বলতো না।
অনেকক্ষেত্রে কারাগারে থাকা সিরিয়াল কিলার, এবং সত্যিকার জngi দের দ্বারা তাদের প্রতিনিয়ত নতুন ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হতো।

দুই: ঐ যে বললাম, চুল দাড়ি কাটার কোন সুযোগ মাসের পর মাস আয়নাঘরে থাকতো না।এর ফলে গ্রেফতার দেখানো বা ক্রসফায়ারে দেওয়ার আগে তাদের চুল দাড়ি সাইজ করে দেওয়া হতো,এর ফলে একদিকে মনে হতো তারা বুঝি মুক্তই ছিলো,নইলে চুল কাটতো কিভাবে.?!আবার বড় চুল দাড়ির কারণে প্রফেশনাল মাদক ব্যাবসায়ী বা জngi হিসেবে মিডিয়াকে সহজে বিশ্বাস করানো যেতো...
এর মাঝে কাউকে ইব্রাহিম আজিমের মতো গুলি করে মেরে ফেলে মিডিয়া কাভারেজ দিতো,বন্দুকযুদ্ধ বলে।
আবার কাউকে ইলিয়াস আলীর মতো ঠান্ডা মাথায় মেরে, পেটের নারীভূড়ি কেটে চিরস্থায়ী ভাবে নদী বা সমুদ্রে ফেলে দিতো,কখনই তাদের বিষয়ে মিডিয়া প্রশ্ন করলে দ্বায় স্বীকার করতো না।

তিন; অনেকের শেষ পরিণতি হতো ব্যারিষ্টার আরমান,জেনারেল আযমীদের মতো, মানে কোনদিনই আর আয়নাঘর থেকে বের হতে পারবেনা।।
এই ক্যাটাগরিতে সাজেদুল, শিবির নেতা ওয়ালিউল্লাহ,মোকাদ্দাস ও আমাদের সাথের ফারুক ও জামাল ভাইয়েরা পড়ে।
এই ক্যাটাগরির লোকেরা বেঁচে আছে না মরে গেছে তারা দ্বায় শিকার না করলে আপনি নির্দিষ্ট করে বলতেও পারবেন না।

৭/আমি এতোক্ষন যা লিখলাম খুব দায়িত্ব নিয়ে আমরা এর সত্যতা প্রমান করতে পারবো।গতকাল থেকে আয়নাঘরের অনেক ভিক্টিম আমাদের মতো লিখছে,উনাদের মাঝে যারা মোহাম্মদপুর, বসিলা Rab ক্যাম্পে ছিলো তারা আশা করি আমাদের দেওয়া বিবরণে একমত হবেন।

এর প্রতিটা বাক্যের সত্যতা নিশ্চিতে ২০১৯ এর জুন জুলাইতে মোহাম্মদপুর, বসিলা RAB ক্যাম্পে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মধ্যস্থতায় আমাদের মুখোমুখি করুন..
গুম পরবর্তী দ্বায়েরকৃত সকল মিথ্যা,বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করুন,হাসিনা সহো দোষীদের গ্রেফতার করুন,এখনো নিখোঁজদের দ্রুত উদ্ধার করুন।
আমার এই লিখা,তাদের পক্ষ থেকে, যারা আয়নাঘর অমানুষিক নির্যাতনের স্বীকার হয়েও আমাদের মতো লিখতে বা বলতে জানেন না।
আফজাল বিন আকরাম হোসাইন

Address

Kamalapur
Dhaka
1700

Website

https://sahittorosh.com/members/ashrafi/, https://www.youtube.com/@AshrafiReb

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ashrafi Rebellious posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ashrafi Rebellious:

Share

Category

My Story

Dear Followers;I am a content creator & this is my youtube video page.You will watch all of my videos through this page & live updates with me for your better things.