
22/06/2025
আজকের সকালটা যেন একটু অন্যরকম।
না, বড় কিছু হয়নি। কারো ফোন আসেনি, কোনো চমক নেই, চায়ের কাপটাও একটু ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।
তবুও মনে হচ্ছিল যেন আমি একটু বেশিই আছি, নিজের সঙ্গে।
ঘুম থেকে উঠেই জানালাটা খুলে দিলাম।
আকাশে হালকা মেঘ, তার ফাঁকে রোদের নরম ছায়া।
একটা শালিক পাখি জানালার গ্রিলে বসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপর উড়েও গেল।
কিন্তু তার এই ছোট্ট উপস্থিতিতেই যেন মনটা একটু ভরে উঠল।
আজ কোনো তাড়া ছিল না।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু থেমে গিয়েছিলাম।
নিজেকে দেখছিলাম। চুলটা একটু এলোমেলো, চোখে ঘুমের রেখা তবু খারাপ লাগছিল না।
আজকে কোনো সাজগোজ না করেও মনে হচ্ছিল, নিজেকে ভালোবাসা যায়।
হলুদ একটা সালোয়ার কামিজ পরেছিলাম।
নিজের জন্যই পরা।
যে রঙটা অনেকদিন আগেও আমাকে খুশি করত,
আজ আবার একটু সাহস করে সেটা পরে নিয়েছি।
কারো জন্য না।
নিজের জন্য।
রাস্তার ধারে হাঁটছিলাম, খুব ধীরে।
কানে হেডফোন নেই, ফোন সাইলেন্ট।
শুধু পায়ের শব্দ, হালকা বাতাস, আর আমার নিঃশ্বাসের ছন্দ।
চারপাশের মানুষদের ভিড়েও নিজেকে একা মনে হয়নি। বরং শান্ত লাগছিল। খুব নিজস্ব এক শান্তি।
আজ আমি নিজেকে বলেছি
"তুই ঠিক আছিস। তুই যেমন আছিস, ঠিক তেমন থাকলেই চলবে।"
এই কথাটা কেউ বলে না আমাদের।
সবাই চায় আমরা আরও কিছু হই, আরও এগোই, আরও বদলাই।
কিন্তু আজ আমি নিজেকে বদলাতে বলিনি।
বরং একটু জড়িয়ে ধরেছি নিজের ভেতরের মানুষটাকে।
ছোট একটা সকাল, কিন্তু মনে হচ্ছিল অনেক কিছু বুঝে ফেলেছি।
জীবন বড় হতে না পারলেও, আমি অনুভব করতে পারি এটাই অনেক।
আজ কোনো কান্না নেই, কোনো শক্ত থাকার অভিনয়ও না।
শুধু এক ফালি রোদ, এক টুকরো বাতাস, আর আমি একটা মানুষ,
যে নিজেকে একটু সময় দিয়েছে।
তবু হয়তো এটুকুই জীবন।