Raisa Proha

Raisa Proha Hello Good People, My name is "Raisa Porha", Being a girl is the best part of life. I love it ❤️❤️

Hello Everyone, my name is "Raisa Porha", Being a girl is the best part of life. I love it when it’s Raining; Am that girl who finds joy and peace of mind during rainy days, join me and be amazed

ছবিটা কেউ দেখলে ভাববে এই মেয়েটা নিশ্চয় কিছু ভুলে গেছে, কিংবা কাউকে। কিন্তু আমি জানি, ছবিটার পেছনে আছে একটা পুরো পৃথিবী য...
28/07/2025

ছবিটা কেউ দেখলে ভাববে এই মেয়েটা নিশ্চয় কিছু ভুলে গেছে, কিংবা কাউকে। কিন্তু আমি জানি, ছবিটার পেছনে আছে একটা পুরো পৃথিবী যে পৃথিবীটা আমার ছোটবেলায় আটকে আছে।

তখন আমি খুব ছোট। চুলগুলো এমনই ছিল উড়তে চাইত সব সময়, যেমন আমি চাইতাম। গ্রামের বাড়ির পেছনের সেই লম্বা রাস্তা, যেখানে বিকেল হলেই আমি দৌড়ে যেতাম, পেছনে আম্মুর ধমক আর পাশের বাসার খালার হো হো হাসি নিয়ে। কিছুদূর গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তাম যেমন ছবির এই মুহূর্তটা। কেউ থাকতো না, শুধু গাছের ছায়া আর ধুলো উড়িয়ে যাওয়া বাতাস।

আমার সবচেয়ে পছন্দের কাজ ছিল পানি দিয়ে মাটি ভিজিয়ে কাদা বানানো। কাদা দিয়ে আমি নাকি ‘রান্না’ করতাম। পাতার উপর ভাত, আর গাছের ফুল দিয়ে তরকারি। তখন আমার ‘রেঁস্তোরা’ চালু থাকত সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত! কাস্টমার? আমার পুতুলগুলো, আর আমার একমাত্র 'সহপাঠী' ভাইয়ার ছায়া।

একদিন পাশের বাড়ির মামা বললেন, “তুই তো একদিন লেখক হবি।” আমি বলেছিলাম, “লেখক না, আমি কাদায় মাছ ধরব!” সবাই হেসে উঠেছিল, কিন্তু আমি খুব গম্ভীর ছিলাম। তখনও জানতাম না, বড় হয়ে গেলে কাদায় নামার সময় আর সাহস দুটোই হারিয়ে যায়।

সবচেয়ে মজার সময়গুলো ছিল বৃষ্টির পর। আমি আর আমার বান্ধবী ছাতা ছাড়াই দৌড়ে বেড়াতাম। বাড়ি ফিরে জামাকাপড় কাদা-মাটি মেখে একাকার। আম্মু রেগে যেতেন, কিন্তু আমি জানতাম, গামছা দিয়ে মাথা মুছিয়ে দিতে দিতে তিনি আসলে হেসেই ফেলতেন।

আজ এত বছর পর, এই শহরের ব্যস্ত ভিড়ের মধ্যেও মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে, সেই পেছনের রাস্তা ধরে আবার একটু হেঁটে যাই। কেউ পেছন থেকে ডাকুক“এই তুই! দৌড় দে, না হলে ধরবি!”

কিন্তু এখন কেউ ডাকে না।

তাই হয়তো আমি দাঁড়িয়ে থাকি। ছবির এই মেয়েটার মতো চুপচাপ, পেছন ফিরে, যেখানে আমি আসলে আর নেই... কিন্তু হৃদয়ের একটা কোণ ঠিক এখনো ওখানেই রয়ে গেছে।

- Raisa❤️

উত্তরার মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: কিছু প্রশ্ন, কিছু কষ্ট, কিছু লজ্জা...একটা যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ল, আর আমরা সবাই দেখে ফেললাম আ...
22/07/2025

উত্তরার মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: কিছু প্রশ্ন, কিছু কষ্ট, কিছু লজ্জা...

একটা যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ল, আর আমরা সবাই দেখে ফেললাম আমাদের মানবিকতার অবস্থা।

১। দুর্ঘটনার পর যারা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, প্রচণ্ড গরমে তাঁরা একটু পানি খুঁজছিলেন। কলেজ ক্যান্টিনে গিয়ে শুনলেন, “পানি কিনতে হবে।” পরে যখন চাপ বাড়ে, তখন ক্যান্টিনই বন্ধ করে দেয়া হয়। কারণ— কে দেবে পানির দাম?

২। পোড়া শরীর নিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা যখন জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছিল, তখন আশপাশের অনেকেই দাঁড়িয়ে ভিডিও করছিল। তাদের জন্য ওটাই যেন ছিল ‘কনটেন্ট’। কারণ যত বেশি ভিউ, তত বেশি আয়। একজন শিশুর ছেঁড়া ইউনিফর্ম, আরেকজনের শরীরে আগুনের দাগ— এগুলোই যেন তাদের কাছে লাভজনক ফুটেজ।

৩। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য আশেপাশের সিএনজি, রিকশা, এমনকি প্রাইভেট কারও দেখা মেলেনি। কারণ আহত শিশুটি “নিজের সন্তান” ছিল না।

৪। কেউ যদি শেষমেশ হাসপাতালে পৌঁছাতে পেরেছে, সেটা ‘ভাগ্যের জোর’। কেউ মাইলস্টোন কলেজ থেকে আধুনিক হাসপাতালে যেতে সিএনজিকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হয়েছে।

৫। একইভাবে, মেট্রোর নিচ থেকে কাছের মনসুর আলী হাসপাতালে আসতেও রিকশা ভাড়া হয়েছে ১০০ টাকা! মানুষ নয়, যেন তখন সবাই ছিল কেবল ব্যবসায়ী।

৬। ফেসবুকে ঘুরছে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড। আহত না হলেও, তারা এতটাই আতঙ্কিত যে নিজের ঠিকানা বা পরিবারের ফোন নম্বর পর্যন্ত মনে করতে পারছে না। অথচ, কোনো আইডি কার্ডে নেই অভিভাবকের যোগাযোগ নম্বর। কত বড় অব্যবস্থা!

৭। আর এই দুর্ঘটনার কারণ সেই বিমান— যা ১৯৬৬ সালে তৈরি হয়েছিল। হ্যাঁ, প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো প্রযুক্তি নিয়ে এখনো উড়ে বেড়াচ্ছি আমরা।

এই দেশে বেঁচে থাকাটাও যেন এক যুদ্ধ।

সবচেয়ে করুণ দিক — যে শিশুরা এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে, হয়তো তারা স্বস্তিতেই আছে। কারণ তারা আর এই জাহান্নামের মুখোমুখি হতে হবে না।

যারা মারা গেছে, মহান আল্লাহ তাঁদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। আর যারা বেঁচে আছে, আমাদের শিক্ষা হোক— 'মানুষ' হয়ে ওঠার।

---

21/07/2025

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অনেক আহত রোগীর জরুরি রক্তের প্রয়োজন। মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে যাদের ব্লাড গ্রুপ মিলছে এবং শারীরিকভাবে রক্তদানে সক্ষম, তাদের অতিদ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালগুলোতে গিয়ে রক্তদানের অনুরোধ করা হচ্ছে।

রক্তদানের জন্য নিম্নোক্ত হাসপাতালগুলোতে এখনই যোগাযোগ করতে পারেন:

১. ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট
২. কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল
৩. উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
৪. কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, উত্তরায়
৫. উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ
৬. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, উত্তরা
৭. উত্তরা বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ
৮. ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, উত্তরা

⛑️ রক্ত দিন, জীবন বাঁচান। আপনার এক ব্যাগ রক্তই হতে পারে কারো জীবন রক্ষার চাবিকাঠি।

📣 এই বার্তাটি শেয়ার করুন, যাতে আরো মানুষ এগিয়ে আসে।

আজ হঠাৎ করেই আয়নার সামনে বসে নিজের একটা ছবি তুলে ফেললাম। পুরনো একটা অভ্যাস… ছোটবেলায় মায়ের সাজের ড্রেস পরতাম, ওড়নাটা গলা...
19/07/2025

আজ হঠাৎ করেই আয়নার সামনে বসে নিজের একটা ছবি তুলে ফেললাম। পুরনো একটা অভ্যাস… ছোটবেলায় মায়ের সাজের ড্রেস পরতাম, ওড়নাটা গলায় জড়িয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতাম, “আমি বড় হয়ে অভিনেত্রী হবো!”
আর আব্বু পেছন থেকে হেসে বলতেন, “অভিনেত্রী না, তুমি আমাদের বাসার রান্নাঘরের রানি হবে!”

সেই ছোটবেলা... যখন মায়ের বড় ওড়না গায়ে জড়িয়েই নিজেকে রাজকন্যা ভাবতাম, আর চুলে কাঁচি চালিয়ে নিজেই নিজের 'হেয়ার কাট' করতাম। তারপর সেই বিশ্রী কাট দেখে আয়নার সামনে কান্না জুড়তাম, কিন্তু তবুও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর বলতাম, "ভালোই তো হয়েছে!" আমার কাজিনরা এখনও সেটা মনে করে হাসে।

আজ যখন এই বেগুনি জামাটায় নিজেকে আয়নায় দেখছিলাম, মনে হলো… এত কিছু বদলে গেছে, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খোঁজার এই অভ্যাসটা এখনো রয়ে গেছে।

ছোটবেলায় যত সহজে হাসতাম, এখন তত সহজে পারি না। তখন একটা লজেন্স পেলেই যেন জীবন সফল মনে হতো। এখন অনেক কিছু পাওয়ার পরও কোথায় যেন একটা খালি জায়গা রয়ে যায়। কিন্তু আজ এই ছবিটা তোলার সময় হঠাৎ মনে হলো এই মুহূর্তটাই আসল।

হাসির মাঝে চোখের কোণে জমে থাকা ছোট্ট একটা কান্না যেমন সত্যি, তেমনি সেই কান্নার মধ্যে থেকেও নিজেকে ভালোবাসাটা সবচেয়ে বড় অর্জন।

ছবিটা দেখে কেউ বুঝবে না, আমার ভেতর কত গল্প জমে আছে ছোটবেলার দুষ্টামি, চুল কেটে কান্না, রান্না করতে গিয়ে লবণ চিনির যুদ্ধ, অথবা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে রাজকন্যা ভাবা সেই সরল বিশ্বাস...

আজও মাঝে মাঝে সেই রাজকন্যা ফিরে আসে আয়নার আড়ালে। শুধু এখন সে আর কাউকে দেখানোর জন্য না, নিজের জন্য সাজে।

--- Raisa.

সেদিন বিকেলে আমি একা ছিলাম নিজের সাথে। কোনো বিশেষ দিন ছিল না, তবু কেন জানি মনটা একটু বেশিই নরম হয়ে ছিল। গোলাপি একটা শাড়ি...
13/07/2025

সেদিন বিকেলে আমি একা ছিলাম নিজের সাথে। কোনো বিশেষ দিন ছিল না, তবু কেন জানি মনটা একটু বেশিই নরম হয়ে ছিল। গোলাপি একটা শাড়ি পড়েছিলাম, খুব হালকা, আরামদায়ক... জানি না কেন, শাড়িটা গায়ে দেওয়ার পর থেকেই যেন একটা অন্যরকম শান্তি লাগছিল। আয়নায় নিজেকে দেখে মনে হলো, এই মেয়েটাকে তো অনেকদিন ধরে আমি ভালো করে দেখিইনি।

চুপচাপ বসে ছিলাম সোফায়। বাইরের দুনিয়া যেন এক পাশে, আর আমার মাথায় কেবল ঘুরছিল কিছু পুরোনো গল্প। হঠাৎ মনে পড়লো, ক্লাস ফাইভে বৃষ্টিতে ভিজে স্কুল থেকে ফিরেছিলাম, আর মা রাগারাগি করতে করতে আমার চুল মুছিয়ে দিচ্ছিল, আমি কিন্তু হাসছিলাম। সেই রাগটাই তখন আদর মনে হয়েছিল।

হঠাৎ আমার বড় ভাইয়া পাশ দিয়ে যেতে যেতে বলে ওঠে,
"এই শাড়িতে তোকে পুরাই নায়িকার মতো লাগছে!" বলেই এমনভাবে হাসলো, যেন তার বলা কথায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মজা লুকিয়ে আছে। আমি কিছু বললাম না, শুধু হেসে ফেললাম, নিজের অজান্তেই। এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই তো জীবনের আসল গল্প।

কখনো কখনো মনটা খুব ভারী হয়ে আসে, একা লাগলেও চারপাশে অনেক মানুষ থাকে, আবার অনেক সময় একদম একা থেকেও মনে হয়, না, আমি একা না। আমার ভেতরে আছে আমার স্মৃতি, আমার শাড়ি, আমার আয়না, আর আমার কিছু ছোট ছোট হাসি-কান্নার গল্প। সেগুলো একেকটা জ্বলন্ত আলো, অন্ধকারকে হালকা করে দেয়।

সেদিন আমি অনেকক্ষণ বসে ছিলাম নিঃশব্দে। চোখ বন্ধ করলেই অনেক মুখ, অনেক হাসি, অনেক না বলা কথা মনে পড়ছিল। এমনকি এমন কিছু কথাও মনে হচ্ছিল, যেগুলো কখনো বলাও হয়নি কাউকে।

আমার মনে হয়, আমরা মেয়েরা মাঝে মাঝে এরকমই হই। ছোট একটা শাড়ি, একটু আয়নার সামনে দাঁড়ানো, একটু নরম আলো এইসব কিছুতেই নিজের ভিতরকার মানুষটা বের হয়ে আসে। অনেক সময় যে মানুষটা সারাদিনের ভিড়ে, দৌড়ঝাঁপে চাপা পড়ে যায়, সে ওই এক মুহূর্তে নিঃশব্দে নিজের পরিচয় দিয়ে যায়।

এখন যখন এই লেখাটা লিখছি, জানি এটা খুব সাধারণ কিছু... তবুও এটুকু বলতে পারি, এই গল্পটা শুধুই আমার। যেমন আমি নিজে, একদম আমার মতো।

09/07/2025

থাইল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে অসংখ্য স্মৃতি জমেছে, কিন্তু একটা মুহূর্ত আজও আমার মনে গেঁথে আছে, যখন আমি জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে দুপুরবেলার সাগর দেখছিলাম।

জাহাজের উপর তখন অনেক মানুষ, কেউ ছবি তুলছিল, কেউ চেঁচাচ্ছিল আনন্দে, কেউ কেউ আবার গল্পে মগ্ন। কিন্তু আমি যেন সেই কোলাহলের মধ্যেও একদম চুপচাপ, নিজের একটা ছোট জগতে ঢুকে গিয়েছিলাম। দাঁড়িয়ে ছিলাম ডেকের একপাশে, সাগরের দিকে তাকিয়ে।

দুপুরের রোদটা সোনালী আলো ছড়িয়ে দিচ্ছিল সাগরের গায়ে। বাতাসটা ছিল হালকা, কিন্তু যেন একেকটা ঢেউয়ের সঙ্গে আমার মনের কথাও উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল কোথাও দূরে। আমি তখন শব্দের বাইরে শুধু অনুভবের ভেতর।

সাগরের ঢেউগুলো একেকটা গল্প বলছিল যেন। মনে হচ্ছিল, আমি একা নই, এই বিশাল জলরাশি আমাকে আপন করে নিচ্ছে। আশেপাশে এত মানুষ থাকা সত্ত্বেও আমি ঠিক যেন একা হয়ে গিয়েছিলাম, এক ধরনের গভীর নির্জনতায় ডুবে।

জাহাজের উপর থেকে সাগরের সেই দৃশ্য আমাকে এক অন্যরকম শান্তি এনে দিয়েছিল। মনে হচ্ছিল, আমি প্রকৃতির একটা ক্ষুদ্র অংশ হয়ে গেছি, যেখানে কোনো চিন্তা নেই, কেবল মুহূর্তটাকে ধরা দেওয়া আছে।

আজও চোখ বন্ধ করলে সেই মুহূর্তটা স্পষ্ট মনে পড়ে, আমি জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে, চারপাশে মানুষের কোলাহল, আর সামনে এক নিরব নীল সাগর… এক রকম নিঃশব্দ ভালোবাসা।

অনেক কিছুর ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম।শহরের কোলাহল, দৌড়ঝাঁপ, সবকিছু মিলিয়ে যেন এক একটা দিন পেরিয়ে যাচ্ছিল কেবলই ব...
06/07/2025

অনেক কিছুর ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম।
শহরের কোলাহল, দৌড়ঝাঁপ, সবকিছু মিলিয়ে যেন এক একটা দিন পেরিয়ে যাচ্ছিল কেবলই বেঁচে থাকার তাগিদে।
কিন্তু সেদিন সেদিন হঠাৎ করে নিজেকে একটু সময় দিলাম।

চুপচাপ ফিরে গেলাম সেই চেনা গ্রামের রাস্তায়।
যে রাস্তা ধরে ছোটবেলায় হেঁটেছি কত শত বার,
যেখানে প্রতিটা গাছ, প্রতিটা মোড়, এমনকি বাতাসের শব্দটাও আমার চেনা।

হাঁটতে হাঁটতে একটা পুরনো শাড়ি পরেছিলাম, মায়ের দেয়া।
শাড়ির রংটা যেমন গাঢ়, তেমনই গাঢ় হয়ে জমে থাকা কিছু স্মৃতি মন ছুঁয়ে যাচ্ছিল।
চুলে হালকা বাতাস লাগছিল, আমি আঁচলটা একটু ঠিক করছিলাম।
আর ঠিক তখনই, ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি হলো সেই মুহূর্তটা।

কেউ ডাকে না এখন আর নাম ধরে,
সবাই যেন ব্যস্ত যার যার নিজ জীবনে, জীবনও আলাদা আলাদা খাতে বয়ে গেছে।
তবুও এই রাস্তাটা, এই নীরব বিকেলটা, আজও আগের মতোই পাশে থাকে।

এই ছবিটা শুধু একটা পেছন থেকে তোলা ছবি না
এটা আমার নিজের কাছে ফিরে আসার মুহূর্ত।
এই ছবিটা আমার নীরব স্বীকারোক্তি
যেখানে আমি বলেছি,
"হ্যাঁ, আমি এখনো ঠিক আগের মতোই আছি, শুধু একটু একা হয়ে গেছি।"

শহরের ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার আগে যেমন ছিলাম,
এই ছবিটার মধ্যে সেই আমিটাকে একটু ছুঁয়ে দেখা, একটু ফিরে পাওয়া।

📷
এটা শুধু একটা ছবি না, এটা একটা গল্প।
একটা ফিরে পাওয়া সময়,
একটা হারিয়ে যাওয়া আমি। 🌿

আজকের সকালটা অন্যরকম।বনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যখন চোখ বন্ধ করলাম, হালকা বাতাসে পাতার খসখস শব্দটা যেন আমার ভেতরের সব কথাগুলো ...
04/07/2025

আজকের সকালটা অন্যরকম।

বনের মাঝখানে দাঁড়িয়ে যখন চোখ বন্ধ করলাম, হালকা বাতাসে পাতার খসখস শব্দটা যেন আমার ভেতরের সব কথাগুলো শুনে ফেলল। সূর্যের প্রথম আলো গাছের ফাঁক দিয়ে এসে আমার গায়ে পড়ছে, আর আমি কমলা শাড়িটা জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছি একটা গাছের গায়ে হেলান দিয়ে নির্ভরতার মতো শক্ত, শান্ত সেই গাছ।

অনেকদিন পর এমনভাবে নিজেকে অনুভব করলাম। যেন আমি নিজের কাছে ফিরে এসেছি। এই বনটা আমার শৈশবের এক অংশ। বাবা-মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় এখানে আসতাম। বাবা বলত, "এই গাছগুলো কিন্তু তোমার থেকেও পুরোনো," আর মা হেসে বলত, "কিন্তু তুমি তো আমার পৃথিবী।" সেই হাসিগুলো, সেই কথা—সব আজ যেন বাতাসে মিশে আছে।

আজ আমি আবার এসেছি, অনেক দিন পর। জীবন যেভাবে ছুটছে, তাতে মাঝেমধ্যে থেমে দাঁড়ানো খুব জরুরি। আজকের এই সকালে আমি ঠিক সেটাই করলাম থেমে দাঁড়ালাম, শ্বাস নিলাম, আর নিজের সঙ্গে দেখা করলাম।

একটা ছোট মেয়ে দৌড়ে গেল আমার পাশ দিয়ে, তার মা ডাকছে পেছন থেকে। দৃশ্যটা দেখে হঠাৎ খুব মায়া লাগলো—মনে হলো, সময়কে আসলে থামানো যায় না, শুধু আমরা কখনও থামি, কখনও হারিয়ে যাই।

কিন্তু আজ আমি হারাইনি। আজ আমি খুঁজে পেয়েছি। নিজেকে।

এই কমলা শাড়ি, এই গাছের ছায়া, আর সূর্যের আলোয় ভেজা আমার মুখটা সব মিলিয়ে মনে হলো, আমি একটা গল্প হয়ে উঠেছি। খুব নরম, খুব ব্যক্তিগত, আর খুব সত্যি।

এই সকালটা আমি মনে রাখব। কারণ এটা কেবল একটা ছবি না, এটা আমার নিজের কাছে ফিরে আসার মুহূর্ত।

– 🌿

সকালটা ছিল একদম অন্যরকম। সূর্যের আলোটা আজ একটু বেশিই নরম, যেন আলতো করে আমায় জড়িয়ে ধরছিল। চারপাশটা সবুজে ঘেরা, বাতাসে এক ...
28/06/2025

সকালটা ছিল একদম অন্যরকম। সূর্যের আলোটা আজ একটু বেশিই নরম, যেন আলতো করে আমায় জড়িয়ে ধরছিল। চারপাশটা সবুজে ঘেরা, বাতাসে এক ধরনের নিঃশব্দ সান্ত্বনা। আমি ধীরে হাঁটছিলাম পরিচিত সেই পথ ধরে, কিন্তু মনে হচ্ছিল আজ যেন নিজের কাছে ফিরছি আবার নতুন করে।

আজ পরেছিলাম হালকা গোলাপি একটা শাড়ি। কারও জন্য না, একেবারে নিজের জন্য। কারণ এখন বুঝতে শিখেছি নিজেকে ভালো লাগা, নিজের মতো করে সময় কাটানো, এটাই আসলে নিজের প্রতি ভালোবাসা।

হাতের চুড়িগুলোর টুংটাং শব্দে ছোটবেলার একটা নরম আনন্দ যেন ফিরছিল। আমি হাঁটছিলাম একা, অথচ একদম একা লাগছিল না। মনে হচ্ছিল, হারিয়ে যাওয়া আমি আবার আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

একসময় থেমে গাছের ছায়ায় দাঁড়ালাম। মাথার ওপরে দুলে উঠছে পাতাগুলো, ছায়ার ফাঁকে রোদ এসে মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে। সেই মুহূর্তে আমি বুঝলাম সবকিছুর ভিড়েও আমি হারিয়ে যাইনি, আমি ঠিকই আছি, নিজের ভেতরে, নরম করে লুকিয়ে।

এখন আমার চারপাশে বন্ধুরা আছে, প্রিয় মানুষ আছে। হাসি, গল্প, ভালোবাসায় ভরপুর জীবন। কিন্তু তবুও কোথাও একটা ভয় রয়ে যায় সময় বদলে যাবে, মানুষ বদলে যাবে, হয়তো একদিন আমি একাই থাকব...

কিন্তু আজ আমি জানি আমি একা হলেও, আমি নিজের পাশে থাকব। এই যে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো, এই নিজের ভালোবাসা এটাই আমার সবচেয়ে স্থায়ী সম্পর্ক।

❤️❤️
"সবকিছু বদলে গেলেও, আমি যেন নিজেকে আর কখনও হারিয়ে না ফেলি।
কারণ আমি আছি, রাইসা আছে - রাইসার পাশে।"

আজকের সকালটা যেন একটু অন্যরকম।না, বড় কিছু হয়নি। কারো ফোন আসেনি, কোনো চমক নেই, চায়ের কাপটাও একটু ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।তবুও ...
22/06/2025

আজকের সকালটা যেন একটু অন্যরকম।
না, বড় কিছু হয়নি। কারো ফোন আসেনি, কোনো চমক নেই, চায়ের কাপটাও একটু ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল।
তবুও মনে হচ্ছিল যেন আমি একটু বেশিই আছি, নিজের সঙ্গে।

ঘুম থেকে উঠেই জানালাটা খুলে দিলাম।
আকাশে হালকা মেঘ, তার ফাঁকে রোদের নরম ছায়া।
একটা শালিক পাখি জানালার গ্রিলে বসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপর উড়েও গেল।
কিন্তু তার এই ছোট্ট উপস্থিতিতেই যেন মনটা একটু ভরে উঠল।

আজ কোনো তাড়া ছিল না।
আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে একটু থেমে গিয়েছিলাম।
নিজেকে দেখছিলাম। চুলটা একটু এলোমেলো, চোখে ঘুমের রেখা তবু খারাপ লাগছিল না।
আজকে কোনো সাজগোজ না করেও মনে হচ্ছিল, নিজেকে ভালোবাসা যায়।

হলুদ একটা সালোয়ার কামিজ পরেছিলাম।
নিজের জন্যই পরা।
যে রঙটা অনেকদিন আগেও আমাকে খুশি করত,
আজ আবার একটু সাহস করে সেটা পরে নিয়েছি।
কারো জন্য না।
নিজের জন্য।

রাস্তার ধারে হাঁটছিলাম, খুব ধীরে।
কানে হেডফোন নেই, ফোন সাইলেন্ট।
শুধু পায়ের শব্দ, হালকা বাতাস, আর আমার নিঃশ্বাসের ছন্দ।
চারপাশের মানুষদের ভিড়েও নিজেকে একা মনে হয়নি। বরং শান্ত লাগছিল। খুব নিজস্ব এক শান্তি।

আজ আমি নিজেকে বলেছি
"তুই ঠিক আছিস। তুই যেমন আছিস, ঠিক তেমন থাকলেই চলবে।"

এই কথাটা কেউ বলে না আমাদের।
সবাই চায় আমরা আরও কিছু হই, আরও এগোই, আরও বদলাই।
কিন্তু আজ আমি নিজেকে বদলাতে বলিনি।
বরং একটু জড়িয়ে ধরেছি নিজের ভেতরের মানুষটাকে।

ছোট একটা সকাল, কিন্তু মনে হচ্ছিল অনেক কিছু বুঝে ফেলেছি।
জীবন বড় হতে না পারলেও, আমি অনুভব করতে পারি এটাই অনেক।

আজ কোনো কান্না নেই, কোনো শক্ত থাকার অভিনয়ও না।
শুধু এক ফালি রোদ, এক টুকরো বাতাস, আর আমি একটা মানুষ,
যে নিজেকে একটু সময় দিয়েছে।
তবু হয়তো এটুকুই জীবন।

আমি একটু আলাদা ধরনের মেয়ে। ভিড়ভাট্টা, কোলাহল, সবকিছুর মাঝেও আমি একটু আড়ালে থাকতেই বেশি স্বস্তি পাই। আমি রঙ ভালোবাসি ন...
21/06/2025

আমি একটু আলাদা ধরনের মেয়ে। ভিড়ভাট্টা, কোলাহল, সবকিছুর মাঝেও আমি একটু আড়ালে থাকতেই বেশি স্বস্তি পাই। আমি রঙ ভালোবাসি নরম হলুদ, গভীর নীল, ফিঁকে গোলাপি… ঠিক যেমন করে কেউ কাউকে নির্ভরতা দেয়। আমি গল্প ভালোবাসি ছোট ছোট অনুভবের গল্প, যেগুলো হয়তো কেউ শোনে না, কিন্তু ভেতরে বেঁচে থাকে।

আমার ঘরটা আমার মতোই নিরিবিলি, কিন্তু প্রাণে ভরা। দেওয়ালে কাগজের ফুল, আলমারিতে রঙিন জামাকাপড়, আর টেবিলের কোণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আমার নিজের হাতে বানানো কত ছোটখাটো জিনিস। একটা ডায়েরিও আছে, নিজের হাতে বানানো পাতা পাতায় কল্পনা গন্ধ মাখা। প্রতিদিন সেখানে একটা করে রঙিন গল্প লিখি, ঠিক যেন আমি নিজের একটা ছোট্ট জগৎ বানিয়ে নিচ্ছি এক এক পৃষ্ঠায়।

আজ আমি ঠিক করেছিলাম এই দিনটা একদম নিজের মতো করে কাটাবো। পরলাম আমার সবচেয়ে প্রিয় জামাটা, যে জামায় আমি নিজেকে সবচেয়ে বেশি নিজের মনে হয়। হাতে তুলে নিলাম ডায়েরিটা। তিনটা ছোট্ট ফুল রাখলাম পাশে একটা আমার শোনার জন্য, একটা অনুভবের জন্য, আর একটা নিঃশব্দ ভালো থাকার জন্য।

আজকের গল্পের নাম রেখেছিলাম: "আমি নিজেই আমার পৃথিবী"।

ছবিটা তোলা সেই মুহূর্তে যখন মুখটা আমি ঢেকে রেখেছিলাম, কিন্তু মনে একটা মিষ্টি হাসি ফুটে উঠেছিল আপনমনে। এই ছবি কেউ দেখুক বা না দেখুক, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ, এটা তোলা ছিল শুধুই আমার নিজের জন্য একটা প্রমাণ যে, আমি ভালো আছি। নিজের মতো করে। নিজের ভেতরেই।

Address

Uttara
Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raisa Proha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Raisa Proha:

Share