08/09/2025
ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে পা রাখতেই মনে হলো আমি যেন রঙে আর জীবন্ত সৌন্দর্যে ভরা এক নতুন জগতে এসে পৌঁছেছি। বিমানবন্দরেই স্থানীয় মানুষের হাসিমাখা মুখ আর উষ্ণ অভ্যর্থনা যেন বলে দিল
“Selamat Datang”, তুমি এখানে আপন।
বালি দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে প্রথম যে মুহূর্তটা অনুভব করেছিলাম, সেটা ছিল একেবারেই যাদুকরী। নীল সমুদ্রের ঢেউ যখন গায়ে এসে লাগছিল, মনে হচ্ছিল প্রকৃতি আমাকে তার অসীম আলিঙ্গনে জড়িয়ে নিচ্ছে। সাদা বালুর ওপর খালি পায়ে হেঁটে যেতে যেতে চারপাশের বাতাসে যেন এক অদ্ভুত প্রশান্তি ছড়িয়ে পড়ছিল। আর যখন সূর্যাস্ত আকাশকে কমলা, লাল আর বেগুনির রঙে রাঙিয়ে দিল, তখন মনে হলো এ পৃথিবীর সৌন্দর্যের সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না।
তারপর ঘুরে এলাম স্থানীয় বাজারে। চারপাশে হাতের কাজের অসাধারণ কারুকাজ, কাঠের অলংকার, আর মশলার গন্ধে পুরো পরিবেশটাই যেন গল্পের বইয়ের মতো লাগছিল। ছোট্ট এক দোকানদার আমাকে হাসিমুখে স্বাগত জানাল। ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন সংস্কৃতি তবুও সেই হাসিই যেন আমাদের মাঝে অদ্ভুত এক বন্ধনের সেতু গড়ে তুলল।
ইন্দোনেশিয়ার প্রতিটি জায়গাই যেন একেকটা আলাদা গল্প। কোথাও মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি, কোথাও আবার আগ্নেয়গিরির চূড়ায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়ের রহস্যময় সৌন্দর্য। প্রতিটি মুহূর্তে আমি যেন নতুন করে পৃথিবীকে চিনছিলাম, আর নিজের ভেতরে জমা করছিলাম এক জীবনের মতো অভিজ্ঞতা।
ভ্রমণের শেষ দিনে বালির সৈকতে বসে সূর্যাস্তের দিকে তাকিয়ে শুধু মনে হচ্ছিল ইন্দোনেশিয়া আমার কাছে আর কেবল একটা দেশ নয়, বরং এক অন্তহীন স্মৃতি, এক জীবন্ত গল্প, যা হৃদয়ের ভেতর চিরদিন বেঁচে থাকবে। 🌺