15/08/2025
অনেক বাবা-মা মেয়ের কষ্ট বোঝেন না, শুধু একটাই কথা বলেন— যা-ই হোক, সংসারটা করতেই হবে।"
আজ একটা ঘটনা মনটা টুকরো টুকরো করে দিল।
একজন মা… চার সন্তানের মা… বাচ্চাদের জন্য রান্না করছিলেন। মাংস পাশে, আলু কেটে রাখা,
হাঁড়িতে চুলা জ্বলছিল। হয়তো ভাবছিলেন— আজ বাচ্চারা খুশি হবে, পেট ভরে খাবে। কিন্তু সেই রান্না আর শেষ হলো না…
কত সুন্দর সাজানো ঘর সাজানো সংসার সব পড়ে আছে 🥲
হঠাৎ আপুটার মায়ের ফোনে খবর এলো—
“আপনার মেয়ে সুই*সাইড করেছে…” 🥲 এই ফোনটা মেয়ের হাজব্যান্ড করেছিল।
যে মেয়ে রান্না করছে বাচ্চাদের জন্য ,সে নিজে গিয়ে জীবন শে*ষ করতে পারে না।
সে মর*তে চায় না… তাকে মা*রা হয়েছে
শুধু মৃ*ত্যুর নামটা বদলে দেওয়া হয়— “সুই*সাইড”।
সে মা বাবাকে বলেছিল—
“হাজবেন্ড অনেক সময় মার*ধর করে… প্রচণ্ড রাগী…”
এই সংসার আর করতে চায় না 🥲
কিন্তু মা বাবার উত্তর ছিল—
“মা, ধৈর্য ধরো… চারটা সন্তান আছে… সংসার করো… সব ঠিক হয়ে যাবে।”
আমরা মেয়েদের ক্ষেত্রে সবসময় এটাই বলি না?
ধৈর্য ধরো… মেনে নাও… চুপ থাকো… একদিন দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু জানি না, সেই ধৈর্য কবে মৃ*ত্যুর দোরগোড়ায় গিয়ে থামবে।
আজ চারটা শিশু এতিম হয়ে গেল।
তারা বুঝতেও পারছে না— তাদের মা কোথায় গেল।
মেয়েদের জীবন যেন সবসময় এক চুপচাপ লড়াই…
শুরুর দিনগুলোতে হাসি, স্বপ্ন, সাজগোজ…
তারপর ধীরে ধীরে সহ্য, সহ্য, সহ্য…
শেষে কোথায় যেন হঠাৎ ইতি টেনে দেওয়া হয়—
কখনো হাত দিয়ে, কখনো সময় দিয়ে, কখনো সমাজের চাপ দিয়ে…
মাঝে মাঝে খুব অসহায় লাগে নিজেকে আসলেই মেয়েদের জীবনটা জানি কেমন 🥲
আল্লাহ… এই চারটা ছোট্ট প্রাণকে তুমি আগলে রেখো 🤲🏾
আর প্রতিটি মেয়েকে দাও সেই সাহস, যাতে “ধৈর্য ধরো”র নামে মৃ*ত্যুর দিকে ঠেলে না দেওয়া হয়…