26/05/2025
এতদিন পর ইউনূস সরকার আসল যুদ্ধটা শুরু করছে।
সরকারি চাকরি করা "জমিদারদের", যাদের স্যার না ডাকলে আর ঘুষ না দিলে কাজ হয় না, এদের বরখাস্ত করার আইন সরকার করতে যাইতেছে।
গত ৫৩ বছর দেশটাকে এই জমিদারের দল নিজের বাপ দাদার বানাইয়া রাখছে।কাজ করে না।স্কিল নাই। লাঞ্চের পরে আসেন। আর ঘুষ তো আছেই।লীগের পক্ষে আর ইন্ডিয়ার ফেভারে কাজ না করলেই সাথে সাথে তলব,মিথ্যাচার,নির্যাতন
এদের এতো ঔদ্ধত্য কই থেকে আসে জানেন?
কারণ, এদের সর্বোচ্চ শাস্তি বদলি। ব্রিটিশরা আইন করে গেছে,সরকারি আমলারাই মালিক। তাদের চাকরি একবার হলে আর যাবে না।
৭১ এর পরেও মুজিব আইসা এদের ঘাটায় নাই।
৭৫ এর পর জিয়া এদের গায়ে হাত দিতে পারে নাই
তবে ইউনূস সরকার এবার এদের ঘাটাইতে যাইতেছে।
আগে ঘুষ খাইলে সর্বোচ্চ শাস্তি ছিলো বদলি। এবার হবে বরখাস্ত।
বাট ফ্যাক্ট ইজ, অলরেডি আমলারা আন্দোলনের প্ল্যান করে ফেলেছে। আইন হওয়ার সাথে সাথে সারা বাংলাদেশ অচল করে দেবে, কর্মবিরতি দেবে, এমনকি সরকার পড়েও যাইতে পারে।
স্বাভাবিক। যেই জমিদারি ৫৩ বছর ধরে চালাইয়া আসতেছে, সেই ঘুষ, অনিয়ম আর,দুর্নীতির জমিদারি কেন ছাড়বে?
এই যুদ্ধে ইউনূসের সরকার একা জিততে পারবে না।আপনারে আমারে লাগবে
রাজনৈতিক দলগুলো যদি মানুষের পক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে এই পরিবর্তনটা সম্ভব।হয় এবারেই,নাহলে কখনোই না
আর রাজনৈতিক দলগুলো যদি হাসিনার আওয়ামীলীগের মতো আমলাদের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে আমাকে আপনাকে আবার ঘুষ দিতে হবে, ওদের অত্যাচার সহ্য করতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করে, তারা মানুষের কথা ভাবে।
সবাই দাবি করে, তারা মানুষের জন্য কাজ করে।
এইবার এইটা প্রমাণের পালা।
দুর্নীতি, ঘুষ আর অনিয়মের আখড়া সরকারি অফিসগুলোর সংস্কারের বড় একটা ধাপ রেডি। সাধারণ মানুষ বনাম দুর্নীতিবাজ আমলাদের যুদ্ধের প্লটও রেডি।
এইবার দেখা যাবে, কোন রাজনৈতিক দল জনগনের পক্ষে দাঁড়ায় আর কোন রাজনৈতিক দল দুর্নীতিবাজ আমলাদের পক্ষে দাঁড়ায়।
ইউনূস সরকার দশ মাসে কোন সংস্কার করতে পারে নাই বলে ফেনা তোলা রাজনীতিবিদদের সামনে বিশাল এক সংস্কার চলে আসছে।
এবার দেখার পালা, সংস্কার কি ইউনূস করতে পারতেছে না? নাকি তাকে আসলে করতে দেওয়া হচ্ছে না?
বিএনপি-জামাত-এনসিপি...সবাইরে আমরা নজরে রাখছি।যে বা যারা এই যুদ্ধে জনগণের পক্ষে তারাই হল বাংলাদেশপন্থী,আমাদের ভাই,আপনজন।