Mathematics & Science

Mathematics & Science জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ -বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট। মুক্তি সেখানে অসম্ভব। (শিখা পত্রিকা - আবুল হোসেন)

01/05/2025

Good Morning to YOU, dear all✅ Have a wonderful day ❤️

18/04/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

10/04/2025

রম্যরস🤣

With Asadul Islam – I just made it onto their weekly engagement list by being one of their top engagers! 🎉
10/04/2025

With Asadul Islam – I just made it onto their weekly engagement list by being one of their top engagers! 🎉

এই পৃথিবীতে ১২ প্রকার স্বামী আছে।আপনার স্বামীর টা মিলিয়ে নিন। 😛১. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband): এরা খুবই গতানুগতিক, ...
09/04/2025

এই পৃথিবীতে ১২ প্রকার স্বামী আছে।আপনার স্বামীর টা মিলিয়ে নিন। 😛

১. সাধারণ স্বামী (Ordinary Husband):
এরা খুবই গতানুগতিক, আর দশটা স্বামীর মতোই সাধারণ, নীরবে সব সয়ে যায়। এরা জেনেই গেছে, পুরুষ হয়ে জন্মেছি এটুকু জ্বালা সহ্য করতেই হবে! তাই প্রতিবাদের ঝুঁকি নেয় না।

২. তপ্ত স্বামী (Heated Husband):
এরা সবসময় সাপের মতো ফোঁস ফোঁস আর আগ্নেয়গিরির মতো টগবগ করে! এদের মেজাজ সবসময় সপ্তমে চড়ে থাকে। এরা আধিপত্যশীল, পান থেকে চুন খসলে স্ত্রীর ওপর রেগে আগুন! মধ্যরাত ছাড়া বাড়িতে তাদের খুব একটা দেখা যায় না। এদের গতি প্রকৃতি কালবৈশাখীর মতো মতো প্রলয়ংকারী। বাড়ির লোকজন এদের ভয়ে সর্বদা তটস্থ থাকে।

৩. ক্রীতদাস স্বামী (Slave Husband):
শ্বশুর বাড়িতে লজিং থাকা, শ্বশুরের টাকায় লেখাপড়া করা, ছাত্রীর সাথে প্রেম কিংবা “বিবাহের বিনিময়ে চাকুরি” কর্মসূচি সহ কিছু অজ্ঞাত দুর্বলতার কারণে এদের স্বাধীনতা ও স্বামী সত্তার অপমৃত্যু ঘটে। এরপর আর কোনভাবেই এরা হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারে না।

৪. ব্যাচেলর স্বামী (Bachelor Husband):
এরা কেতাদুরস্ত, মুখে সর্বদা মিষ্টি হাসি থাকে, নিজেকে ব্যাচেলর বলতে ভালোবাসে। বয়স যতই হোক না কেন, কেউ ব্যাচেলর বললে খুশী হয়। স্ত্রীর চেয়ে বন্ধুদের সাথে বেশি আড্ডা দেয়। দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোটেও সিরিয়াস নয়। এদের অনেক বান্ধবীও থাকে।

৫. চামড়ামোটা স্বামী (Fat Skinned Husband):

নানান কথার বাণে বিদ্ধ হয়ে এদের চামড়া গণ্ডারের মতো পুরু হয়ে যায়। “তোমার ভাগ্য ভালো যে আমার মতো বউ পেয়েছ, আর কেউ হলে সেই কবেই ফেলে চলে যেত” জাতীয় বাক্যবাণ এদের চামড়া ভেদ করতে পারে না।

৬. তেজপাতা স্বামী (Dry Husband):
এরা খুব মুডি, কৃপণ, আত্মকেন্দ্রিক। স্ত্রীর ভালোলাগা, ইচ্ছা, অনিচ্ছা ও আগ্রহ অনাগ্রহ এদেরকে মোটেই বিচলিত করে না। এদের কোনো রসবোধও নেই। বউ নিয়ে বেড়ানো, রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া, শখ করে বউয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করা এদের কাছে খুব কঠিন একটা কাজ। "বাচ্চা উৎপাদনের জন্য বিয়ে করা প্রয়োজন তাই বিয়ে করেছি" এদের মনোভাব এরকম।

৭. নিপীড়িত স্বামী (Oppressed Husband):
এরা নিজ বাড়ির চাইতে জেলখানা কিংবা নির্জন বনাঞ্চলকে শান্তির জায়গা মনে করে। নির্যাতিত হতে হতে এরা ঢোঁড়া সাপ হয়ে যায়, উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়ার সাহসও পায় না। তবে পত্রিকায় কারও বউ মরার সংবাদ খুব মন দিয়ে পড়ে, তারপর কি যেন ভেবে লম্বা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আগের মতো চুপচাপ বসে থাকে!

৮. দাবাড়ু স্বামী (Grand Master Husband):
এরা স্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, স্ত্রীকে শুধুমাত্র তখনই ভালোবাসে যখন তার কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন হয়। এরা খুব চালাক, স্ত্রীর দুর্বলতাগুলি খুব ভালোভাবে জানে, স্বার্থ উদ্ধারে তা ভালোভাবে কাজে লাগাতেও পারে।

৯. পরজীবী স্বামী (Parasite Husband):
এরা অলস, শুধুমাত্র অর্থের জন্য স্ত্রীকে ভালোবাসে। বউয়ের রোজগারের টাকায় চলে, ফুটানি করে, কেউ কেউ বিভিন্ন নেশার পেছনে বউয়ের টাকা খরচ করে। সংসারের কাজে স্ত্রীকে মোটেও সাহায্য করে না। এদের একটি প্রজাতি “ঘর জামাই বা গৃহপালিত স্বামী” নামেও পরিচিত।

১০. অপরিপক্ব স্বামী (Immatured Husband):
এরা কাণ্ডজ্ঞানহীন ও শিশুসুলভ। তারা তাদের মা, বোন বা কোনো বিশেষ আত্মীয়র কাছে জিজ্ঞাসা না করে নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অবশ্য হঠাৎ ভুল করে ফেললে পরিস্থিতি সামাল দিতে এরা দ্রুত বউয়ের কাছে ছুটে যায়!

১১. অতিথি স্বামী (Guest Husband):
এরা সব সময় বাড়িতে থাকে না, মাঝে মাঝে ভিজিটরের মতো আসে। যে কদিন ঘরে থাকে বউকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। পরিবারের বাজার ঘাট বা দরকারি জিনিসপত্র কিনে দিয়ে বউকে একা রেখে বিদায় নেয়। যেমন: দূরে পোস্টিং পাওয়া চাকরিজীবী বা প্রবাসী স্বামী। এদের বউদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ পরকিয়ায় আসক্ত হয়।

১২. যত্নশীল স্বামী (Caring Husband):
এরা যত্নশীল, প্রেমময়; স্ত্রীর সকল মানসিক চাহিদা পূরণ করে, পরিবারকে যথেষ্ট সময় দেয়। এরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল, স্ত্রীকে সবকিছুর অংশীদার বিবেচনা করে, যে কোনো বিপদ আপদে সাহায্যকারী হিসেবে স্ত্রীর পাশে থাকে।

বি.দ্র. : আপনারটা এর মধ্যে পেলেন নাকি🤣

07/04/2025

জীবনের অ'পমা'ন বা অ'বহে'লাগুলোকে এড়িয়ে যাওয়ার দশটি বাস্তবসম্মত উপায়-

১. তাকে বাধ্য করো না কথা বলার জন্য, যে কথা বলতে চায় না। ব্যস্ত থাকো আর বুঝিয়ে দাও যে, তাদের ছাড়া তুমিও থাকতে পারো।

২. কারো পিছনে খুব বেশি ছুটাছুটি করোনা, যার পেছনে তুমি যত ছুটবে, সে তোমাকে তত বেশি ছুটাবে।

৩. মানুষের সময় যখন খারাপ যায় তখন অনেক কিছু শুনতে ও সহ্য করতে হয়; কথা হজম করতে শিখো- এটা তোমাকে জিততে সাহায্য করবে।

৪. মানুষেরা হলো মেঘের মতো! তারা শুধু তোমার জীবনে আসবে আর যাবে, তোমাকে শুধু থাকতে হবে আকাশের মতো স্থির।

৫. দোলনা যতটুকু পেছনে যায় ঠিক ততটুকুই আবার সামনে এগিয়ে আসে; কাউকে তোমার মূল্য বুঝিয়ে দিতে অনেক সময় কাছে আসার জন্য হলেও কিছুটা দূরে সরে যেতে হয়।

৬. যে চলে যেতে চায় তাকে চলে যেতে দাও; ঘুড়ি ছিরে গেলেও তার শেষ উড়াটা দূর থেকে দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর দেখায়।

৭. যে তোমার অনুভূতির মূল্য দেয় না, সে তোমাকে ভালোবাসতে পারে না; যে তোমার অল্প কথার মানে বুঝে না, তাকে রচনা লিখে দিলেও বুঝবে না।

৮. শিশিরবিন্দু দিয়ে যেমন নদী ভরা যায় না তেমনি কান্না দিয়েও কাউকে ফিরিয়ে আনা যায় না; তোমাকে থাকতে হবে শুধু সাগরের মত উত্তাল।

৯. কেউ যদি অব'হে'লা করে তাহলে দোষ তার নয়, দোষ তোমার নিজের, কারণ, তুমি তার কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করে ফেলেছ।

১০. যেখানে তোমার গুরুত্ব কমে যাবে সেখানে তোমার দূরত্ব বাড়িয়ে দাও, অন্যথায় তুমি সেখানে উপহাসের পাত্র হয়ে যাবে।

05/04/2025

জীবনে যা কিছুই করো না কেন, নিজের সুখের চাবিকাঠি অন্য কারো হাতে তুলে দিও না। কখনোই কারো ওপর এত বেশি নির্ভরশীল হবে না যে, তাদের সামান্য অবহেলাতেই তোমার মন খারাপ হয়ে যায়, বিশেষ করে মানসিকভাবে।

তোমার মন খারাপ? তাহলে মান্না দের গান শোনো। নিজের জন্য এক কাপ ধোঁয়া ওঠা কফি বানাও। বিকেলের মিষ্টি রোদে আপনমনে হাঁটো। কিংবা প্রিয় লেখকের বইয়ে ডুবে থাকো। যদি কোনো সৃজনশীলতা থাকে, তবে সেটাই হোক তোমার সঙ্গী।

অন্যকে ব্যঙ্গ করে স্ট্যাটাস দেওয়া, নিজের দুঃখ-দুর্বলতা সবার সামনে প্রকাশ করা— এগুলো কোনো পরিণত মানসিকতার পরিচয় নয়। খুব বেশি একা লাগলে বা মন খারাপ হলে ঘর অন্ধকার করে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকো, প্রার্থনা করো।

পুরোনো স্মৃতি মনে করো, হাসো, কাঁদো— কিন্তু নিজের সাথে এমন একটা সম্পর্ক গড়ে তোলো, যেন দুঃখের দিনগুলোতে কাউকে না পেলেও নিজেই নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে উঠতে পারো।

যদি কোনো কাজে সফল হও, নিজেকে পুরস্কৃত করো। যদি ব্যর্থ হও, নিজের সাথে একটু অভিমান করো, কিন্তু হাল ছাড়বে না। তবে কখনোই অন্যের চোখে নিজের পারফেকশন খোঁজার ভুল করো না।

কারণ, মানুষ সবসময় তোমার গুণের চেয়ে তোমার ত্রুটিগুলো দেখতেই বেশি পছন্দ করবে। তুমি যদি পারো, সেটাই যথেষ্ট। একা রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়াটা স্বাভাবিক মনে করো, একা পার্কে সময় কাটানোটা যেন হাস্যকর না লাগে।

নিজেকে আর্থিকভাবে স্বাধীন করো, যাতে মুড অফ থাকলে নিজের জন্য এক টুকরো চকলেট কিনতে পারো, নিজের জন্মদিনে নিজেকে একটা সুন্দর উপহার দিতে পারো। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করো, নিজের পছন্দের পোশাক নিজের জন্য নিজেই কিনতে পারো।

মাঝেমধ্যে নিজেকে কিছু ফুল উপহার দাও। ঘরের কোণায় একটা ফুল রাখো, সুন্দর সুবাস মন ভালো করে দেবে। সবার মন জয় করাও তোমার দায়িত্ব নয়, কারণ পৃথিবীর কেউই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি। তাই যেখানে প্রয়োজন, সেখানে "না" বলতে শেখো।

"আমার বাবা-মা আমাকে বোঝে না, বন্ধুরা আমাকে সময় দেয় না, কাছের মানুষ আমাকে অবহেলা করে"— এসব ভাবনাকে প্রশ্রয় দিও না। কারণ এগুলো আসলে তোমার নিজের তৈরি করা মানসিক চাপ।

কেন নিজেকে অন্যের বিরক্তির কারণ বানাবে? বরং এমন এক ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলো, যাতে তোমার উপস্থিতিই সম্মানের অনুভূতি সৃষ্টি করে।

Collected Post
Please DM for credit or removal

05/04/2025

রাজা তার আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন-
: আমি মৎস শিকারে যেতে চাই, আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে বলে জানা গেছে ?

সে বল্লো -
: আজকে অতীব সুন্দর, রৌদ্রোজ্জ্বল এবং চমৎকার আবহাওয়া থাকবে জাহাপনা ! আপনি নিঃসংকচিত্তে যেতে পারেন ।

রাজা বের হলেন। রাজা যখন সাগর পাড়ে গেলেন, সাগর পাড়ে এক জেলে ছাগল চড়াচ্ছিলো, সে বললো-

: মহারাজ আজকে কেন আপনি সাগরে যাচ্ছেন ? একটু পরেই তাে ঝুম বৃষ্টি হবে !

রাজা রেগে বললেন -
: বেটা জেলের বাচ্চা ! তুই কী জানিস আবহাওয়ার খবর ? আর আমাকে কি মূর্খ পেয়েছিস?! আমি খবর জেনে তবেই এসেছি।

রাজা সাগরে গেলেন, কিছুক্ষণ পর শুরু হলাে ঝুম বৃষ্টি ! রাজা প্রাসাদে ফিরে এসে আবহাওয়া বিভাগের প্রধানকে বরখাস্ত করলেন, তারপর ঐ জেলেকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! জেলে তো পড়লাে মহা বিপদে! সে তাে আবহাওয়ার কিছুই জানে না!

রাজ দরবারে গিয়ে জেলে কেঁদে বললো-
: মহারাজ আমাকে যেতে দিন! আমি আসলে আবহাওয়ার কিছুই জানি না।

রাজা বললেন -
: তাহলে ঐ দিন আমার আবহাওয়া বিভাগের চেয়েও সঠিক খবর তুই কি করে দিলি !

জেলে উত্তর দিল,
: মহারাজ সেখানে আমার কোন কৃতিত্ব ছিল না ! সব কৃতিত্ব আমার ছাগলের ! বৃষ্টি আসার আধাঘন্টা আগে থেকে ছাগলটা ঘনঘন মুতে ! এর থেকে আমি বুঝতে পারি একটু পর বৃষ্টি হবে !

তারপর রাজা জেলেকে ছেড়ে দিয়ে তার ছাগলটাকে ধরে এনে আবহাওয়া বিভাগের প্রধান বানিয়ে দিলেন ! সম্ভবত সেই থেকেই কোনো কোনো অঞ্চলের বড় বড় পদগুলােতে ছাগল নিয়ােগ দেওয়ার রীতি চালু হয়।

রম্যগল্প
© Collected

04/04/2025

বউ শ্বাশুড়ির রসায়ন

শাশুড়ি-বউমার সম্পর্কের মূল দ্বন্দ্ব সাধারণত শুরু হয় একজন পুরুষকে কেন্দ্র করে—ছেলে ও স্বামী। একজন মা তার ছেলেকে ছোটবেলা থেকে লালন-পালন করে বড় করেন এবং স্বাভাবিকভাবেই তার প্রতি একধরনের অধিকারবোধ গড়ে ওঠে। কিন্তু যখন সেই ছেলে বিয়ে করে, তখন তার জীবনে নতুন একজন নারী প্রবেশ করে, যার প্রতি তার ভালোবাসা ও দায়িত্ব বাড়তে থাকে। অনেক শাশুড়িই এই পরিবর্তন সহজে মেনে নিতে পারেন না এবং মনে করেন যে তাদের ছেলে এখন আগের মতো মায়ের প্রতি যত্নশীল নয়। এর ফলে, তারা হয়ত পুত্রবধূকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে শুরু করেন।

অন্যদিকে, নতুন বউমারও অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে। সে চায় তার স্বামী তার পাশে থাকুক এবং সংসারে তার মতামতকে গুরুত্ব দিক। কিন্তু যদি সে দেখে যে তার স্বামীর ওপর তার শাশুড়ির প্রভাব বেশি, তাহলে সে তা সহজে মেনে নিতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রেই বউমারা মনে করেন, শাশুড়ি তার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন এবং স্বামীকে তার বিপক্ষে বোঝাচ্ছেন। এই দোটানা থেকে পারস্পরিক সন্দেহ ও বিদ্বেষ জন্ম নেয়।

এছাড়াও, এই শত্রুতা শুধু শাশুড়ি থেকে বউমার দিকেই নয়, অনেক সময় উল্টোটাও ঘটে। নতুন বউ সংসারে আসার পর অনেক সময় নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে এবং শাশুড়িকে গুরুত্বহীন করে তোলে। অনেকে ছোট থেকে বড় হয়ই আসে পাশে থেকে শুনে, সিনেমায় দেখে যে শ্বাশুড়ী ভালো না, শ্বশুড়বাড়ীর মানুষ মানেই তার প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা শ্বশুরবাড়ির সবকিছুকেই নেগেটিভ মনে করে।ফলে, সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়তে থাকে।

শাশুড়ি ও বউমার মধ্যে অনেক সমস্যার মূল কারণ হলো জেনারেশন গ্যাপ বা প্রজন্মের পার্থক্য। তারা ভিন্ন সময়ে বড় হয়েছেন, ভিন্ন সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন, তাই তাদের চিন্তাভাবনা, মূল্যবোধ এবং জীবনধারাতেও পার্থক্য রয়েছে। এই পার্থক্যের কারণে অনেক সময় একে অপরের মতামত ও জীবনযাত্রা মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে যায়। শাশুড়ি হয়তো মনে করেন, তার সময়ে নারীরা সংসারকেন্দ্রিক ছিলেন, কিন্তু বউমা এখন কর্মজীবন বা ব্যক্তিগত স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেন। অনেক শাশুড়িই মনে করেন, তিনি যখন বউমার অবস্থানে ছিলেন, তখন শাশুড়ির কথা মেনে চলতে হয়েছে, তাই নতুন প্রজন্মেরও একইভাবে চলা উচিত। অন্যদিকে, বউমা যদি দেখেন যে তার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বা সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, তবে তিনিও রাগান্বিত হন। এতে পারস্পরিক অভিমান ও মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়, যা সম্পর্ককে আরও কঠিন করে তোলে।

এই সম্পর্ক সুন্দর ও মধুর করে তোলার চাবিকাঠি হলো বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা, ও ভালোবাসা। শাশুড়ি যদি বউমাকে শুধুমাত্র একজন নতুন সদস্য হিসেবে নয়, বরং নিজের মেয়ের মতো গ্রহণ করেন, তাহলে সম্পর্কটা আরও সুন্দর হবে। একইভাবে, বউমাও যদি শাশুড়িকে কেবল একজন কর্তৃত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে না দেখে, বরং একজন অভিজ্ঞ অভিভাবক ও পরিবারের অংশ হিসেবে সম্মান দেন, তাহলে ভুল বোঝাবুঝি কমে যাবে। ছোট ছোট আন্তরিকতা, একসঙ্গে সময় কাটানো, খোলামেলা কথা বলা—এসবই সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।

04/04/2025

একদা, এক দরিদ্র কিন্তু জ্ঞানী কৃষক তার পুত্রকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে জমি চাষ করত। একদিন তার পুত্র দুঃখের সঙ্গে বলল,
"বাবা, কী দুর্ভাগ্য! আমাদের ঘোড়াটি পালিয়ে গেছে!"

বৃদ্ধ বাবা মৃদু হেসে বললেন,
"তুমি একে দুর্ভাগ্য বলছ কেন? সময়ের অপেক্ষা করো, দেখো ভবিষ্যতে কী ঘটে!"

কয়েক দিন পর, পালিয়ে যাওয়া ঘোড়াটি ফিরে এলো, আর তার সঙ্গে একটি নতুন ঘোড়াও এল। ছেলেটি আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে বলল,
"বাবা, কী ভাগ্য! আমাদের ঘোড়া একটি নতুন ঘোড়া নিয়ে এসেছে!"

কিন্তু জ্ঞানী বৃদ্ধ শান্তভাবে বললেন,
"তুমি একে সৌভাগ্য বলছ কেন? সময়ের অপেক্ষা করো, দেখো ভবিষ্যতে কী ঘটে!"

কয়েক দিন পর, ছেলেটি নতুন ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে পড়ে গেল। ঘোড়াটি তখনও অভ্যস্ত ছিল না, ফলে সে রেগে গিয়ে ছেলেটিকে ছুঁড়ে ফেলে দিল। এতে ছেলেটির পা ভেঙে গেল। ব্যথায় কাতর হয়ে সে বলল,
"বাবা, কী দুর্ভাগ্য! আমার পা ভেঙে গেছে!"

বৃদ্ধ এবারও শান্তভাবে বললেন,
"তুমি একে দুর্ভাগ্য বলছ কেন? সময়ের অপেক্ষা করো, দেখো ভবিষ্যতে কী ঘটে!"

ছেলেটি বাবার এই কথায় খুব একটা আশ্বস্ত হতে পারল না। সে ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে কেবল অভিযোগ করতে লাগল।

কয়েক দিন পর, রাজ্যের সেনারা গ্রামে এলো। তারা তরুণ যুবকদের জোরপূর্বক যুদ্ধের জন্য সৈন্য হিসাবে নিয়ে যাচ্ছিল। তারা যখন বৃদ্ধ কৃষকের ঘরে এল, তখন ছেলেটির ভাঙা পা দেখে তাকে ছেড়ে চলে গেল।

এবার ছেলেটি বুঝতে পারল, জীবনের কোনো ঘটনাকে তৎক্ষণাৎ ভালো বা খারাপ বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা দুর্ভাগ্য মনে হয়, তা সৌভাগ্যে পরিণত হতে পারে, আবার যা সৌভাগ্য মনে হয়, তা দুর্ভাগ্যও হতে পারে।

উপদেশ:
ভাগ্য বা দুর্ভাগ্য বলতে কিছুই নেই, সময়ই ঠিক করে দেয় সবকিছু!

03/04/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

Address

Natuarpara, Kazipur, Rajshahi
Dhaka
6710

Telephone

01725096818

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mathematics & Science posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mathematics & Science:

Share