23/06/2025
ইরান শত শত মিসাইল ছুঁড়ছে, তবুও কেন ইস*রায়েলের তেমন ক্ষতি হচ্ছে না?
অনেকেই অবাক হন—ইরান যখন শত শত ব্যালি*স্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপ*ণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, তখন কেন মাত্র কয়েকটি ক্ষেপ*ণাস্ত্রই ইস*রায়েলের ভেতরে আঘাত হানতে সক্ষম হয়?
এর পেছনে রয়েছে একাধিক স্তরে গড়ে তোলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে জড়িত বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তিগুলো।
☢️ ধাপ ১: ক্ষেপণাস্ত্র যাত্রার শুরুতেই বাধা
যখন ইরান ইসফাহান বা অন্যান্য ঘাঁটি থেকে মি*সাইল ছোঁড়ে, তখনই প্রথম বাধা আসে—
ইরাকে থাকা মার্কিন ঘাঁটি থেকে অ্যান্টি-মিসাইল সিস্টেম
আমিরাতে মোতায়েন ফরাসি রাফায়েল যুদ্ধবিমান, যারা সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করে
পারস্য উপসাগরে টহলরত ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও অন্যান্য মিসাইল ডেস্ট্রয়ার
☢️ ধাপ ২: দ্বিতীয় স্তরের বাধা
যদি মিসাইল প্রথম ধাপ পেরিয়ে আসে, তাহলে বাধা দেয়:
জর্ডানের বিমানবাহিনী
জর্ডানে থাকা মার্কিন ঘাঁটি
সাইপ্রাস থেকে উড়ে আসা ব্রিটিশ RAF-এর টাইফুন ও F-35 যুদ্ধবিমান
☢️ ধাপ ৩: ইসরায়েলের নিজস্ব প্রতিরক্ষা স্তর
যদি ইরানি মিসাইল এতকিছুর পরও ইসরায়েল পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তখন কাজ করে ইসরায়েলের বহুস্তরীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম:
Arrow-3
২০০০ কিলোমিটার দূর থেকে মহাকাশেই মিসাইল ধ্বংস করতে পারে।
Arrow-2
১৫০০-৫০০ কিমি দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে নজর রাখে।
David’s Sling
মাঝারি দূরত্বে (৩০০-৪০ কিমি) থাকা মিসাইল ধ্বংস করতে ব্যবহৃত হয়।
Iron Dome
স্বল্প দূরত্বে (৭০-৪ কিমি) মিসাইল প্রতিরোধে এটি বিশ্ববিখ্যাত।
🛑 এইরকম প্রতিরক্ষা পৃথিবীর আর কোথাও?
কোনো দেশের ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর দিকে অগ্রসর হয়ে এত স্তর পেরিয়ে যেতে হয় না। একমাত্র ইসরায়েলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বলয় এমনই শক্তিশালী যে একটি সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য পাঁচটি স্তর পার হওয়া প্রায় অসম্ভব।