29/10/2025
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তারা তাদের রিকমন্ডেশন দিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে। প্রধান উপদেষ্টার সইও আছে সেখানে, তিনিও এই কমিশনের চেয়ারম্যান। এখন অবাক বিস্ময় আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি যে, আমরা খুব একেবারে অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে যে বিষয়গুলোর সঙ্গে একমত ছিলাম না, আমরা সেখানে নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিলাম। সেই নোট অব ডিসেন্টগুলো লিপিবদ্ধ করার একটা প্রতিশ্রুতি ছিল তাদের (জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের)।’
তিনি বলেন, ‘অবাক বিষয়, আমরা লক্ষ্য করলাম যে, কালকে (মঙ্গলবার) যখন তারা এটা প্রকাশ করলেন, সেই নোট অব ডিসেন্টগুলো নেই, পুরোপুরি উপেক্ষা করা হয়েছে, ইগনোর করা হয়েছে। এটা তো ঐকমত্য হতে পারে না। তাহলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনটা করা হয়েছিলো কেন? এই ঐকমত্য কমিশন, আমি বলব জনগণের সঙ্গে এটা একটা প্রতারণা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এটা প্রতারণা। এগুলো অবিলম্বে সংশোধন করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’
এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যিনি জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আপনি জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ-ওয়াদাবদ্ধ যে আপনি এখানে (বাংলাদেশে) সত্যিকার অর্থেই যেটুকু সংস্কার দরকার, সেই সংস্কারগুলো করে জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটা নির্বাচন দেবেন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে পার্লামেন্ট আসবে। সেই পার্লামেন্ট এই দেশের সংকটগুলো সমাধান করবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যদি এর থেকে কোনো ব্যত্যয় ঘটে, এর থেকে বাইরে যদি আপনি যান তার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনাকেই (প্রধান উপদেষ্টা) বহন করতে হবে—এ কথাটা আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই। সেজন্যই আমি আশা করব যে, তাদের (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) এই উপলব্ধি আসবে এবং অতি দ্রুত এই সংস্কার কমিশন সকল দলগুলোর মধ্যে যেগুলোতে আমরা একমত হয়েছি এবং যেগুলোতে দ্বিমত করেছি—সবকিছুকে নিয়ে একটা নির্বাচন আপনি অবিলম্বে দেবেন। যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের একটা পার্লামেন্ট তৈরি করতে পারব, দেশে জনগণের শাসন নিয়ে আসতে পারব।’
Source: Manabzamin