
29/08/2025
বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার এই ছবি দিয়ে বানোয়াট গল্প রটাচ্ছে শিবির। অথচ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গেরিলা যোদ্ধা খোকা বিএনপির গ্রুপিং রাজনীতির বলি হয়েছিলেন, সেটাকে আওয়ামী লীগের উপর দায় দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
খোকা বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির গ্রুপিংয়ের বলি হয় এক সাক্ষাৎকারের কারণে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের উপর গ্রেনেড হা'মলার ঘটনায় ঢাকা প্রেসক্লাবের এক উর্ধতন সাংবাদিককে তিনি বলেন;
"২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনাটি ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে কলংকিত এবং বর্বরোচিত ঘটনাগুলোর একটি। এই পুরো ঘটনার নীল নকশা তৈরি করেছিলেন তারেক রহমান। বিএনপির সিনিয়র নেতাদেরকে এ ব্যাপারে অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরপরেই আমি (সাদেক হোসেন খোকা) ছুটে যাই বিএনপির কার্যালয়ে, সেখানে আমি প্রকাশ্যে তারেক রহমানকে গালাগাল করেছিলাম। তারেক রহমানের কারণে বিএনপির সর্বনাশ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছিলাম।
এরপর আমি বেগম জিয়ার সঙ্গে সন্ধ্যায় সাক্ষাৎ করি। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা চাওয়ার জন্য আমি অনুরোধও করি। আমি আরো বলেছিলাম, এর মাধ্যমে রাজনীতিতে যে বিভাজনরেখা তৈরি হলো, তা প্রতিশোধের রাজনীতিকে উসকে দেবে, এর ফলে বিএনপিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু বেগম জিয়া ঐ দুঃখ প্রকাশের ঘটনা শোনেননি।"
এই সাক্ষাৎকারের পর থেকেই খোকাকে নানাভাবে বিএনপির গ্রুপিংয়ের শিকার হতে হয়। তাছাড়া খোকা বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে ছিলেন আওয়ামী ঘনিষ্ঠ। আওয়ামী লীগের অনেক প্রবীণ নেতারা তাকে সম্মান করতেন।
২০১১ সালে হরতাল চলাকালীন সময়ে তার উপর অনাকাঙ্খিত হা'মলা হয়। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও নিন্দা জানিয়েছিলেন।
আজ খোকা সাহেব বেচে থাকলে নিজেই এই ঘটনার প্রকৃত সত্য তুলে ধরতেন। আমরা তার আত্নার মাগফিরাত কামনা করি।
শিবিরের যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোকাকে বিক্রি করতেসে তাদের থেকে সাবধান। এরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে না। আওয়ামী লীগকে কাউন্টার দিতে এরা মুক্তিযুদ্ধকে টিস্যুর মতো ব্যবহার করে।