26/08/2025
হাসিনার আমলে যখন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানকে অপমান করা হলো, তখন তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা ফজুর মুখ থেকে একটা আওয়াজও শোনা যায়নি। ইতিহাসটা একটু মনে করি—
২০০৯–২০১৩
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জিয়াকে নিয়ে অপমান শুরু করে। বলা হলো “ঘোষক নয়, ঘোষণাচোর।”
ফজু চুপ।
২০১৫–২০১৭
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জিয়ার বীর উত্তম খেতাব কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে।
ফজু চুপ।
২০২১
সরকারিভাবে ঘোষণা: জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিল।
সংসদে তাকে সরাসরি “পাকিস্তানের চর” বলা হয়।
ফজু চুপ।
২০২২–২০২৪
টকশো থেকে সংসদ পর্যন্ত আওয়াজ উঠল—জিয়া ছিল এজেন্ট, সহযোগী, বিশ্বাসঘাতক।
ফজু চুপ।
যখন সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া হলো, খেতাব ছিনিয়ে নেওয়া হলো—তখন ফজু আওয়াজ তোলেনি।
স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান—যিনি বউ-বাচ্চা পাকিস্তানে রেখে, পরাজিত হলে নিশ্চিত ফাঁসির ঝুঁকি জেনেও রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন—তার অপমানে ফজুর মুখ থেকে একটা শব্দও বের হয়নি।
কিন্তু যে মুজিব যুদ্ধের আগেই সারেন্ডার করে পাকিস্তানের জেলে বসে পোলাও খেয়েছে, যার পরিবার পুরো নয় মাস পাকিস্তানের ভাতা খেয়ে নিশ্চিন্তে জীবনযাপন করেছে—তার জন্য ফজুর দরদ উতলে পড়ে!
আর সেই ফজু কেই বিএনপি আজও ওউন করে! এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?🤬 কপি পোষ্ট