Krishicitra German

Krishicitra German Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Krishicitra German, Magazine, Dhaka.

সূর্য যখন মাটিতে লুকিয়ে যায়, তখন গ্রামের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে গোলাপী আভা।ছবি: সাজেদ রহমান স্থান: কনেজপুর, যশোর সদর। #বাং...
02/04/2025

সূর্য যখন মাটিতে লুকিয়ে যায়, তখন গ্রামের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে গোলাপী আভা।

ছবি: সাজেদ রহমান
স্থান: কনেজপুর, যশোর সদর।
#বাংলাদেশ_পর্যটন_করপোরেশন #শনিবারের_জনপদ

উলিপুর কাচারি পুকুর, কুড়িগ্রাম ছবি : নাজমুল আল হাসান।           #বাংলাদেশ_পর্যটন_করপোরেশন  #শনিবারের_জনপদ
02/04/2025

উলিপুর কাচারি পুকুর, কুড়িগ্রাম

ছবি : নাজমুল আল হাসান।

#বাংলাদেশ_পর্যটন_করপোরেশন #শনিবারের_জনপদ

01/04/2025

বোটানিক্যাল গার্ডেন

শনিবারের জনপদ প্রতিবেদন: জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান (National Botanical Garden) বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেই অধিক পরিচিত। মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের অবস্থান। ২০৮ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে প্রায় ৮০০ প্রজাতির বিভিন্ন বৃক্ষ রয়েছে। এই সব বৃক্ষরাজির মধ্যে রয়েছে নানান ধরনের ফুল, ফল, বনজ এবং ঔষধি গাছ। বোটানিক্যাল গার্ডেনে ফুলের বাগান ছাড়াও রয়েছে পুকুর, দীঘি ও ঘাসে ঢাকা সবুজ মাঠ।

রাজধানী ঢাকা শহরের ভেতরে সবুজের রাজ্যে ভ্রমণের জন্য বোটানিক্যাল গার্ডেন অনন্য। তাই প্রতি বছর হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে বেড়াতে আসেন। জাতীয় চিড়িয়াখানা পাশেই হবার কারণে অনেক দর্শনার্থীরা দুটো স্থানই সময় নিয়ে ঘুরে দেখে থাকেন।

#টিকেট মূল্য
বোটানিক্যাল গার্ডেন টিকেট মূল্য জনপ্রতি ৩০ টাকা। ৬-১২ বছর বয়সীদের প্রবেশ ফি ১৫ টাকা। ০-৫ বছরের শিশুরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য জনপ্রতি প্রবেশ ফি ৫০০ টাকা।

শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীরা কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ১০০ জনের দলের জন্য ১,০০০ টাকা প্রবেশ ফি, ১০০-২০০ জনের জন্যে ১৫০০ টাকা ফি দিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে দেখা যাবে।

#পরিদর্শনের সময়সূচী
মার্চ থেকে নভেম্বর মাসে বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে তবে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিটে বোটানিক্যাল গার্ডেন দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।

#কিভাবে যাবেন
গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে লেগুনায় চড়ে সরাসরি বোটানিক্যাল গার্ডেন যেতে ১০ টাকা খরচ হবে। আর সদরঘাট বাস টার্মিনাল থেকে মিরপুর ১ হয়ে চলাচলকারী গাড়ীতে করে ২৫ টাকা দিয়ে সহজে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যেতে পারবেন।

এছাড়া ঢাকার যে কোন জায়গা থেকে সিএনজি বা নিজস্ব গাড়ি দিয়ে সরাসরি জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে যেতে পারবেন।

#কোথায় খাবেন
বোটানিক্যাল গার্ডেনের সামনের খাবার দোকান গুলোতে খাবারের দাম অনেক বেশি। তাই ওইসব দোকান থেকে কিছু কেনার আগে সচেতন হোন। চাইলে মিরপুর ১ এর গোল চত্বর থেকে হালকা খাবার কিনে নিয়ে যেতে পারেন কিংবা বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে ফিরে এসে পছন্দের খাবার খেতে পারেন।

#বাংলাদেশ_পর্যটন_করপোরেশন #শনিবারের_জনপদ

01/04/2025

ময়েজ মঞ্জিল জমিদারবাড়ি।
স্থান: তেতুলতলা সংলগ্ন, কমলাপুর, ফরিদপুর।
#বাংলাদেশ_পর্যটন_করপোরেশন #শনিবারের_জনপদ

29/03/2025
কালের সাক্ষী : ফরিদপুরের বাইশরশি জমিদার বাড়িশনিবারের জনপদ প্রতিবেদন: বৃহত্তর ফরিদপুরের বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে বাইশরশি...
28/03/2025

কালের সাক্ষী : ফরিদপুরের বাইশরশি জমিদার বাড়ি

শনিবারের জনপদ প্রতিবেদন: বৃহত্তর ফরিদপুরের বিখ্যাত স্থানগুলোর মধ্যে বাইশরশি জমিদার বাড়িটি অন্যতম। ফরিদপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে বর্তমান আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফের কাছাকাছি সদরপুর উপজেলায় অবস্থিত এই বাড়িটি। বাড়িটিকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্রের উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও নেই সরকারি কোন উদ্যোগ।

প্রতিনিয়ত বাড়িটি থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ। এককালে প্রতাপশালী বাইশরশি জমিদাররা ফরিদপুর-বরিশালসহ ২২টি পরগনার বা জোত মহলের অধিপতি ছিলেন। জমিদারি পরিচালনার পাশাপাশি তখনকার দিনে বাইশরশির বাড়িটি প্রায় ৫০ একর জমি নিয়ে বাগানবাড়ি, পুকুর, পূজামণ্ডপ ও দ্বিতল বিশিষ্ট ছোট-বড় ১৪টি দালান কোঠা দিয়ে ঢেলে সাজিয়ে ছিলেন।

জানা গেছে, ১৭শ শতাব্দির গোড়াপত্তনে এককালের লবণ ব্যবসায়ী সাহা পরিবার বিপুল অর্থসম্পত্তির মালিক হয়ে কয়েকটি জমিদারি পরগনা কিনে জমিদারি প্রথার গোড়াপত্তন শুরু করে।

১৮শ শতক থেকে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের আগে জমিদার পরিবারটি অনেক ধন-সম্পত্তির মালিক হন এবং ২২টি জমিদারি পরগনা ক্রয় করে বিশাল জমিদার হিসেবে ভারতবর্ষে খ্যাতি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান হিন্দুস্তান হওয়ার পর ১৯৪৭ থেকে ১৯৬২ সালে জমিদারি প্রথা থাকার আগ পর্যন্ত জমিদাররা কলকাতা বসে জমিদারি দেখাশোনা করত। জমিদারি প্রথা বাতিল হওয়ার পর জমিদার সুকুমার রায় বাহাদুর ছাড়া সবাই কলকাতা চলে যায়। ১৯৭১-এ বাংলাদেশ স্বাধীনের পর সুকুমার বাবু আত্মহত্যা করেন। এরপর বাড়িটির আর কোন অভিভাবক না থাকায় পরিত্যক্ত বাড়ি হিসেবে গণ্য হয়ে যায়। মূল বাড়িটি থাকলেও চারপাশের অনেক জমি ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে।

বর্তমানে ৫টি শান বাঁধানো পুকুর, বিশাল বাগানবাড়ি ও ছোট বড় চৌদ্দটি কারুকার্য খচিত দালান-কোঠা জমিদারদের কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিনিয়ত চুরি হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান দরজা-জানালা, লোহার কারুকার্য খচিত প্রত্নতত্ত্ব। রাতের বেলা এ বাড়িটি হয় চোর ডাকাতের অভয়ারণ্য।

স্থানীয়দের দাবি, সরকারের তত্ত্বাবধানে নিয়ে এ বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ করে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে এলাকার পরিচিতি আরো বেড়ে যাবে। শুধু পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তহীনতার অভাবে আজ হারিয়ে যাচ্ছে বাইশরশি জমিদার বাড়ির ইতিহাস ঐতিহ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলেই এই বাড়িতে হতে পারে দেশের একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
#শনিবারের_জনপদ

সাধনা, বিশালত্বে আটরশি পীর ও তাঁর দরবারশনিবারের জনপদ প্রতিবেদন: ফরিদপুর আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের বিশালত্ব ভাববার বিষয়।...
27/03/2025

সাধনা, বিশালত্বে আটরশি পীর ও তাঁর দরবার

শনিবারের জনপদ প্রতিবেদন: ফরিদপুর আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের বিশালত্ব ভাববার বিষয়। সমগ্র বাংলাদেশে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের তুলনা হয় এ রকম অন্য কোন ধর্মীয় কমপ্লেক্স অন্য কোথাও দৃষ্টিগোচর হয়নি। ফলে উক্ত জাকের মঞ্জিলে যেমনি কোটির অধিক ভক্ত মুরীদ রয়েছে, তেমনি সমালোচকের সংখ্যাও কম নয়। এমনিতে আমাদের দেশে ধর্মীয় কর্মকান্ড নিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি বেশি। ধর্মীয় কর্মকান্ডের মধ্যে পীরি-মুরীদি নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি আরও বেশি। তেমনিভাবে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল বিশালত্ব লাভ করায় উক্ত তরিক্বত জংশন নিয়ে অপরাপর অনেকের হিংসা-বিদ্বেষ থাকাটা স্বাভাবিক। তথায় গমন করে মরহুম হযরত পীর সাহেব কেবলার জীবনীগ্রন্থের সন্ধান করি। এতে তথাকার দায়িত্বরত লাইব্রেরিয়ান থেকে জানতে পারি মরহুম পীর সাহেব কেবলা জীবদ্দশায় তাঁরই আত্মজীবনী তিনি রচনাও প্রকাশ করে গেছেন।

মরহুম পীর সাহেব (রহ.)’র আত্মজীবনী পড়ে হতচকিত হই। তিনি তাঁরই পীর সাহেব কেবলার দরবারে কঠোর রেয়াজত তথা সাধনার নির্দয় ইতিহাস তুলে ধরেছেন, তা উপলদ্ধি করে অবাক হয়ে যাই। আমার ধারণা ছিল সমগ্র বাংলায় পান্ডুয়ায় হযরত শেখ আলাওল (রহ.) তাঁর সুযোগ্য পুত্রকে নবাবী/জমিদারী থেকে সরিয়ে তরিক্বতের রেয়াজতে তথা কঠোর সাধনায় আত্মনিয়োগ করিয়ে দেন। এবং তিনিই অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন কঠোর রেয়াজতের অধিকারী হিসেবে। কিন্তু বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের মরহুম পীর সাহবের আত্মজীবনী পাট করে বাংলার এতদাঞ্চলে আরও একজন কঠোর রেয়াজতের অধিকারী রয়েছেন তা স্পষ্ট হয়ে যায়।

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের মরহুম পীর সাহেবের নাম হযরত শাহ হাশমত উল্লাহ (রহ.)। তিনি শেরপুর জেলার অধিবাসী ছিলেন। শিশু বয়সে মাতৃহারা হন। পারিবারিক পরিমন্ডলে আরবি, ফার্সি শিক্ষা লাভ করেন। হযরত খাজা ইউনুচ আলী এনায়েতপুরী (রহ.) শেরপুরে তশরীফ আনলে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের মরহুম পীর সাহেব হযরত ফরিদপুরী শৈশবকালে তথা মাত্র ৮/১০ বছর বয়সে তারই নেক নজরে পড়েন। হযরত এনায়েতপুরী (রহ.) এর আহ্বানে হযরত ফরিদপুরী (রহ.) ও তাঁর অপর ভাইকে তাদেরই পিতা পীরের দরবারে সোপর্দ করেন। তিনি শৈশব কাল থেকে দীর্ঘ ৪০ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে তারই পীরের কাছে আত্মনিয়োজিত ছিলেন। স্বীয় পীরের চরণে অনাহার-অনিদ্রাসহ অমানুষিক শ্রম ও অপরিসীম ত্যাগের মুখোমুখি হন। তাঁকে স্বল্প পরিমাণ খাবার দেয়া হত। অধিকাংশ সময় দৈনিক ১ বার কিংবা ২ বার খাবার দিতেন। অন্য সকলে দু’বেলা পেট ভরে খাবার পেতেন। কিন্তু পরিশ্রমের দিক থেকে তাঁর বিপরীত। তাঁকে ক্ষুধার্ত দুর্বল শরীরে মাটিকাটাসহ ৯/১০ কিলোমিটার দূর থেকে বোঝা বহন করে আনতে হত। নিকটস্থ যমুনা নদীর ঘাট থেকে গরুর গাড়ি বোঝাই করে ধান-চাল-ডাল ইত্যাদি মালামাল নিয়মিত আনতে হত।
হযরত ফরিদপুরী (রহ.) তারই পীর হযরত এনায়েতপুরী (রহ.)’র নিদের্শে তাঁর পৈতিৃক বাড়ী ভিটা জমিজমা বিক্রি করে দিয়ে সমুদয় টাকা-পয়সা পীরের দরবারে সোপর্দ করে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে যান।

পীরের দরবারে মাহফিলের খেদমত করতে গিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে বোঝা বহন করে মাহফিলের যাবতীয় সরঞ্জাম আনতে হত তাকে। তিনি প্রথমদিকে এক রকম কঠোর সাধনা সহ্য করতে না পেরে বারেবারে বাড়ী ফিরে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর যাওয়া হয়নি। মোরাক্বাবা তথা ধ্যানে বসলে একাধারে ৫/৭ ঘন্টা বা আরও অধিক সময় নিমগ্ন থাকতেন।
অনাহারে অর্ধাহারে একদম ক্ষীণদেহ হয়ে গিয়েছিলেন। তারপরও তাঁর কঠোর পরিশ্রমের সাধনা থেকে বিচ্যুত হননি।
কঠোর ধ্যান ও সাধনায় অতিবাহিত করার পর তাঁরই পীরের নিদের্শে কলকাতা যেতে বাধ্য হন জীবন-জীবিকার সন্ধানে। প্রথম প্রথম কলকাতা না যেতে নিজের পীর সাহেবের প্রতি আকুতি প্রকাশ করেন। যেহেতু তাঁর শরীর ছিল খুবই দুর্বল। টাকা-পয়সা নেই, কোথায় কার কাছে যাবে, কিভাবে থাকবে, কে চাকুরি দেবে এ সকল চিন্তা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কলকাতা তাঁকে যেতেই হল। তথায় গিয়ে ফরিদপুর আটরশী নিবাসী মোহসিন খান সাহেবের সাথে পরিচয় পরবর্তী ঘনিষ্ঠতা লাভ করেন। এতে মোহসিন খান তাঁর সাথে এনায়েতপুরস্থ পীরের দরবারে এসে মুরীদ হয়ে যান।
অতঃপর হযরত ফরিদপুরীর ভাতিজিকে মোহসীন খান বিয়ে করেন। অপরদিকে মোহসিন খানের ভাতিজীর সাথে হযরত ফরিদপুরী পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হন।

১৩৫৪ বাংলা সনে হযরত ফরিদপুরী কলকাতা থেকে ফরিদপুরের আটরশি চলে আসেন। আটরশিতে মোহসীন খানের গোয়াল ঘর পরিষ্কার করে বসবাস শুরু করেন। ঘরটি ছিল খুবই ক্ষুদ্র ছনের ছাউনিযুক্ত। তথা হতে তিনি তাবলিগে তরিক্বতের কাজ শুরু করেন।

ফরিদপুরের উক্ত এলাকায় কিছু কিছু গ্রাম নামকরণ হল আট রশি, সাড়ে সাত রশি, চৌদ্ধ রশি, আড়াই রশি ইত্যাদি।
ফরিদপুরের এই আট রশি গ্রামেই তিনি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম প্রথম তাঁর মুরীদরা মাহফিলের দিন মুষ্টি চাউল নিয়ে আসতেন। এক বছরের ব্যবধানে তিনি মাত্র ৮ টাকা দিয়ে একটি জীর্ণ কুঁড়েঘর খরিদ করেন। পরবর্তীতে এ কুঁেড় ঘরের নামকরণ করেন জাকের ক্যাম্প তথা জিকিরকারীগণের ক্যাম্প। যা পরবর্তীতে আজকের এ বিশাল বিশ্ব জাকের মঞ্জিল।
হযরত ফরিদপুরী তাঁর আত্মজীবনীতে আরও উল্লেখ করে গেছেন, তিনি যেদিন আটরশিতে আগমন করেন সেদিন ছিল পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কোরবানী ঈদের দিন। উক্ত দিবসেই তথাকার স্থানীয় লোকজন লাঙ্গল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যাচ্ছিল। তথায় কোন নামাজ ছিল না,সমাজ ছিল না, ধনী-মানী-জ্ঞানী-গুণী লোক বলতে ছিল না। গরু কোরবানী হত না,গরুর গোস্তকে মুসলমানরাও অখাদ্য মনে করত। মুসলমানীত্ব কি তা জানত না। ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধ অস্পষ্ট ছিল।তিনি আটরশি পৌঁছে মোহসীন খান ও অপর ২ ব্যক্তিকে নিয়ে ঈদের নামাজ পড়লেন। ধীরে ধীরে আলোচ্য জাকের ক্যাম্পের জাকেরানের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং সুনামও চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সাথে সাথে একটি প্রতিক্রিয়াশীল মহল তাঁর উক্ত জাকের ক্যাম্পের বিরুদ্ধাচারণ শুরু করে দয়ে। তাঁর এ জাকের ক্যাম্পের বিরোধিতা করার জন্য অন্যান্য এলাকা থেকে আলেম-পীর, সাধারণ শিক্ষিত লোকজন, একত্রিত হয়ে জাকের ক্যাম্প প্রতিরোধ কমিটি গঠন করে। বহু সভা সমাবেশের আয়োজন করে অসংখ্য প্রচার পত্র বিলিবণ্টন করে। কিন্তু তাদের এই বিরুদ্ধাচারণ সমূলে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তাঁর প্রথম দাম্পত্য জীবন সুখকর হয়নি। তাঁর আত্মজীবনীতে আরও উল্লেখ করেন। তাঁরই পিতার ইচ্ছায় মাত্র ১৬/১৭ বছর বয়সে শেরপুরস্থ এক ধনাঢ্য ব্যক্তির কন্যাকে বিয়ে করেন। কিন্তু হযরত ফরিদপুরী এনায়েতপুরস্থ স্বীয় পীরের দরবারে জীবন উৎসর্গ করে শেরপুরস্থ পৈতিৃক বাড়ি ভিটা স্বত্ব বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে যাওয়ায় তাঁর প্রথম দাম্পত্য জীবনে চিড় ধরেছিল।যেহেতু একদিকে দরিদ্রতা অন্যদিকে আটরশিতে মোহসীন খানের ভাতিজীকে দ্বিতীয় বিয়ে করায় উক্ত প্রথম স্ত্রী সংসার ত্যাগ করে পিত্রালয়ে চলে যান।হযরত ফরিদপুরী শ^শুরালয়ে গিয়ে উক্ত চলে যাওয়া প্রথম স্ত্রীকে বুঝিয়ে ফিরিয়ে আনতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান। কিন্তু তাঁর প্রথম স্ত্রী একেত স্বামীর নিঃস্ব অবস্থা, দ্বিতীয়ত স্বামীর দ্বিতীয় সংসার রয়েছে, এ সকল চিন্তা করে দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটান। হযরত ফরিদপুরী পরবর্তীতে দ্বিতীয় স্ত্রীর চাচাত বোনকে বিয়ে করেন।

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের মহান পীর হযরত শাহ সুফি খাজা হাসমত উল্লাহ (রহ.)। তাঁর পীর হচ্ছেন এনায়েতপুর দরবারে হযরত খাজা ইউনুচ আলী (রহ.)। তাঁর পীর হচ্ছেন কলকাতা পাক সার্কাস গোবরা (১) কবরস্থানের উত্তরপাশে শায়িত হযরত সৈয়দ ওয়াজেদ আলী (রহ.)। তাঁর পীর হচ্ছেন কলকাতা মানিকতলায় শায়িত হযরত সৈয়দ ফতেহ আলী ওয়াইসী (রহ.)।
মহান আল্লাহ পাক বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে তরিক্বতের খেদমত করতে গিয়ে শরীয়তে কঠোর থাকতে মরহুম হযরত পীর ছাহেব কেবলার সন্তান-সন্ততীদের তাওফিক দান করুক। আমিন॥ (সমাপ্ত)

কোকিল পেয়ারী জমিদার বাড়িশনিবারের জনপদ প্রতিবেদন: ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের কলাকোপায় ইছামতি নদীর তীরে ঐতিহাসিক কোকিল পেয়া...
26/03/2025

কোকিল পেয়ারী জমিদার বাড়ি

শনিবারের জনপদ প্রতিবেদন: ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জের কলাকোপায় ইছামতি
নদীর তীরে ঐতিহাসিক কোকিল পেয়ারী জমিদার বাড়ি (Kokil Peari Palace) অবস্থিত। প্রায় ২০০ বছর পূর্বে ১৮০০ শতকে চার একর জমিতে জমিদার ব্রজেন রায় এই বাড়িটি তৈরী করেন। ব্রজেন রায় নামের পাশাপাশি তিনি সুদর্শন রায় হিসাবেও সমান পরিচিত ছিলেন। নান্দ্যনিক বাগানে ঘেরা ইট, সুরকী ও রডের ব্যবহারে নির্মিত অপরূপ নির্মাণশৈলীর জমিদার বাড়িটিকে ‘ব্রজ নিকেতন’ নাম দেয়া হয়। কালক্রমে কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির মালিকানা প্রথমে একজন তেল ব্যবসাহী ও পরবর্তীতে একজন জজের কাছে চলে যায়। ফলে জমিদার বাড়ির ইতিহাসের সাথে ‘তেলিবাড়ি’ ও ‘জজবাড়ি’ নাম দুইটি যুক্ত হয়।

কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির ৫০০ গজের মধ্যে আছে বৌদ্ধ মন্দির, শ্রীলোকনাথ সাহা বাড়ি, কলাকোপা আনসার ক্যাম্প, উকিল বাড়ি, দাস বাড়ি, আদনান প্যালেস এবং ইছামতী নদী। আবার অনেকের মতে এই সবগুলো স্থাপনা কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির অংশ।

কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। ঢাকার বাবুবাজার ব্রিজ অথবা শহীদ বুদ্ধিজীবী সেতু (৩য় বুড়িগঙ্গা সেতু) দিয়ে দোহার এসে নবাবগঞ্জের কলাকোপা যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার গুলিস্থান থেকে বান্দুরাগামী বাসে সরাসরি কলাকোপায় অবস্থিত জমিদার বাড়ির কাছে নামতে পারবেন। কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির স্থানটি বর্তমানে আনসার একাডেমী/ক্যাম্প হিসাবে অধিক পরিচিত।

কোথায় থাকবেন

রাজধানী ঢাকার কাছে অবস্থানের কারণে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায়।

#শনিবারের_জনপদ

২৬শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক মহিমান্বিত দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাধীনতার ...
26/03/2025

২৬শে মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক মহিমান্বিত দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নামে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর এবং প্রায় ৩০ লক্ষ শহিদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। এই বিশেষ দিনে মুক্তির সংগ্রামে আত্মদানকারী সকল সূর্যসন্তান এবং তাদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

21/01/2025

পাটঘাট নদী

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসের শুভেচ্ছা
19/08/2023

বিশ্ব আলোকচিত্র দিবসের শুভেচ্ছা

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Krishicitra German posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category