02/11/2025
#মহারাজ_ট্রাজেডি
অন্যান্য দিনের মতোই ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সদরঘাট থেকে মতলবের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এম ভি মহারাজ লঞ্চটি
প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে চলতে থাকে অল্প কিছু সময় চলার পর বুড়িগঙ্গা নদীর পোস্তগোলা ব্রীজের কাছাকাছি পাগলা নামক স্থানে পৌঁছালে ভয়াবহ ঝড়ের কবলে পড়ে লঞ্চটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়।
এতে লঞ্চে থাকা প্রায় দু’শতাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ প্রাণ হারায়। বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চটি ডুবলেও প্রচন্ড ঝড় ও রাতের বেলা হওয়ায় বেশি ভাগ যাত্রী লঞ্চ থেকে বেরুতে পারে নাই,
লঞ্চটিতে মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার যাত্রী ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার যাত্রী ছিল।
লঞ্চ দূর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের কান্না আজও থামেনি। মতলববাসীর জন্য ১৯শে ফেব্রুয়ারি দিনটি হচ্ছে কালো ,শোকাহত এক অবিস্মরণীয় দিন।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাঁদের মধ্যে ছিলন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই মাস্টার,বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আওয়ামীলীগ নেতা, নারায়নপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, তার কন্যা মতলব কঁচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী শিলাত জাহান অর্থি,আইসিডিডিআরবির ডাক্তার মোঃ মাসুম, মতলব বাজারের সার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মৃধা, ডেফোডিল ইউনির্ভাসিটির কর্মকর্তা ফারুক দেওয়ান স্বপরিবারে, দশপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলম, বাইশপুর গ্রামের ছোট খোকন ও বড় খোকন, মতলব উত্তরের বারহাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শাহআলম সহ নাম জানা অজানা অনেকে।
উদ্ধারকৃত লাশগুলো তখন মতলব দক্ষিণ থানার সামনে সারিবদ্ধ ভাবে তাবু টানিয়ে রাখা হয়েছিল। লাশের স্বজনদের আহাজারিতে পুরো মতলবে শোকের মাতম সৃষ্টি হয়।
অধিকাংশ লাশের মুখমন্ডল ও শরীর গলে যাওয়ায় তাদের চিনতে আত্মীয় স্বজনদের হিমশিম খেতে হয়েছিল। লাশের পরনে থাকা পোশাক এবং জন্মগত কোন চিহ্ন দেখে অনেক লাশ সনাক্ত করেছে স্বজনরা। আর যে সকল লাশের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি তাদের ছবি তুলে তাদের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে ঢাকিরগাঁও রিয়াজুল জান্নাত কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এম ভি মহারাজ ট্রাজেডিতে নিহত সকলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি "আমিন"
ক্যাপশন: লঞ্চ ভ্রমন বাংলাদেশ
ছবি সংগ্ৰহকৃত