sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম

sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম শিল্প-সংস্কৃতির ঘরবসতি
http://sangskriti.com/

www.sangskriti.com is an Online magazine of reportage, commentary, criticism, essays, reviews on culture with fiction, satire, cartoons and poetry.

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উনি মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাব থেকে ১০ মিন...
26/07/2025

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উনি মেয়েকে বললেন, তুমি চার্চের দিকে যাও আমি ল্যাব থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি। উনি চার্চে ফিরে এলেন না। মেয়ের বিয়ে হয়ে গাড়িতে চড়ে হানিমুনে গেলেন। ৭ দিন পর মেয়ে ফিরে এসে মাকে জিজ্ঞাসা করলেন, বাবা কোথায়? তখন মা বললেন, ওই যে গেছেন আর আসেননি। তখন মেয়ে নিজে ল্যাবে গিয়ে দেখলেন, বাবা গভীর চিন্তায় মগ্ন। বাবা, কি ব্যাপার! উনি বললেন, মা তুমি চার্চে যাও, আমি কাজটা ১০ মিনিটের মধ্যেই শেষ করে আসছি। এরকমই গভীর ছিল তাঁর ধ্যান, অধ্যাবসায়।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানি স্যার আলবার্ট আইনস্টাইনকে নিয়ে কিছু মজার গল্প। ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল,"গবেষণার জন্য আপনার কী কী দরকার?" আইনস্টাইন বললেন,"একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ আর একটা পেনসিল। সঙ্গে দরকার বড় একটা ডাস্টবিন, যেখানে আমার সব ভুলে ভরা সব কাগজগুলো ফেলব।"

বেলজিয়ামের রানি আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ করেছেন। তাঁকে নিতে স্টেশনে হাজির হল গাড়ির বহর। কিন্তু স্টেশনে আইনস্টাইনকে খুঁজেই পাওয়া গেল না। কিছুক্ষণ পর সাদাসিধে পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির হলেন আইনস্টাইন। রানি লজ্জিত হলেন। জানালেন যে, তাঁকে আনতে গাড়ি রেলস্টেশনে গিয়েছিল। কিন্তু তাঁকে না পেয়ে ফিরে এসেছে। আইনস্টাইন বললেন,"আমি ইচ্ছে করেই গাড়ি বহরকে এড়িয়ে গেছি। পায়ে হেঁটে বেহালা বাজাতে বাজাতে এসেছি। যদি গাড়িতে আসতাম, তবে কি এভাবে বেহালা বাজাতে পারতাম? সাধারণ মানুষের মত শহরটাকে দেখতে পারতাম?" এমনই সহজ সরল আর সাধারণ ছিলেন তিনি।

তবে সবচেয়ে মজার গল্পটা হল, আইনস্টাইন আপেক্ষিকতা তত্ত্ব(The Theory of Relativity) আবিষ্কারের জন্য পৃথিবীতে সর্বাধিক পরিচিত। মজার ব্যাপার তিনি কিন্তু তাঁর এই আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরষ্কার পাননি। বলা হয়ে থাকে পৃথিবীতে হাতে গোণা কয়েকজন মাত্র বিজ্ঞানী তাঁর এই তত্ত্বটি বুঝতে পারেন। আর তাই হয়ত রয়েল সুইডিশ একাডেমির জুরিবোর্ড আইন্সটাইনের তত্ত্বটির নিগূঢ় অর্থটি বুঝাতে পারেনি। তাই সে বছর নোবেল তাঁর কপালে না জুটলেও ১৯২১ সালে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া(Photo Electric Effect) ব্যাখ্যা করে, তিনি পেলেন পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার ।

সবাই বলেছিল সূর্যের আলোয় ছবি করা যায় না, বাবার পাশে ছিলেন শুধু বংশীকাকু, তৈরি হল ‘পথের পাঁচালী’ ,,,বংশীকাকু। বংশী চন্দ্র...
23/07/2025

সবাই বলেছিল সূর্যের আলোয় ছবি করা যায় না, বাবার পাশে ছিলেন শুধু বংশীকাকু, তৈরি হল ‘পথের পাঁচালী’ ,,,
বংশীকাকু। বংশী চন্দ্রগুপ্ত। ‘পথের পাঁচালী’ থেকে ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’— বাবার অধিকাংশ ছবির শিল্প নির্দেশক। বাবা ঠিক করলেন ‘পথের পাঁচালী’ করবেন। শুনেই সুব্রত মিত্র আমাদের বাড়িতে। বংশীকাকু প্রচণ্ড উৎসাহ নিয়ে বললেন, “এ বার একটা সিনেমা হোক। নতুন কিছু হোক। বেশির ভাগ থিয়েটার হয়ে যাচ্ছে।”
বাবা, সুব্রত মিত্র, বংশীকাকু তিন জনেই অঁরি কার্তিয়ে-ব্রেসেঁর ভক্ত। তিন জনেই চাইছেন প্রাকৃতিক আলোয় ‘পথের পাঁচালী’ শুট করা হোক। অন্য দিকে ‘পথের পাঁচালী’ প্রসঙ্গে অধিকাংশ প্রযোজকেরা প্রশ্ন তুলছেন, বলছেন, কোনও ভাবেই প্রাকৃতিক আলোয় এই ছবি শুটিং করা যাবে না। অপেশাদারদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রেও তাঁরা আপত্তি তুলছেন, কিন্তু বাবা তো সে সব কিছু না শুনে উল্টো পথেই হেঁটেছিলেন। কোথায় কী ভাবে ওই ছবি শুট হল, সেটা তো আজ অধিকাংশ মানুষের জানা।
কিন্তু বাবা যে উল্টো পথে যেতে পেরেছিলেন তার অনেকটাই বংশীকাকুর উপর নির্ভর করে। কাশ্মীর থেকে আসা এই শিল্পীর দেখার চোখ ছিল অসাধারণ। আর বিভূতিভূষণের লেখায় তো সেট তৈরিই হয়েছিল। আলাদা করে ভাবতে হয়নি বাবা অথবা বংশীকাকুকে। আমার মনে আছে ‘পথের পাঁচালী’ প্রসঙ্গে বাবা বলেছিলেন, শুধু সেট ডিজ়াইনিং নয়, ছবির সংলাপ লিখতেও তাঁকে সাহায্য করেছিলেন বিভূতিভূষণ। বাবা তখনও সংলাপ লেখায় সড়গড় হননি, ফলে পথের পাঁচালীর অধিকাংশ সংলাপ বিভূতিভূষণের লেখা থেকে ব্যবহৃত।
ছবি তৈরির সময় বাইরে শুটিং শুরু হলেও বাড়ির ভিতরের দৃশ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রচুর সেটের কাজ থাকত। সেটে দিন, রাত সব দেখানো যায়, সেটাও একটা বাড়তি সুবিধে ছিল। বংশীকাকু এমন ভাবে সেট তৈরি করতে শুরু করলেন, মানুষ বুঝতে পারত না কোনটা আসল, কোনটা নকল। ‘পথের পাঁচালী’র কুঁড়ে ঘরও করছেন আবার শতরঞ্জ কে খিলাড়ির রাজদরবারও করছেন, আবার শুন্ডি রাজা বা হাল্লা রাজার দরবারও করছেন। এই যে বিভিন্ন ধারা, সব কিন্তু নিখুঁত ভাবে হত। বাবা প্রাথমিক কাঠামো এঁকে দিতেন। বাবা নিজেও তো শিল্পী ছিলেন। বাকিটা বংশীকাকুর দায়িত্ব। ফিল্মে কোনও কিছু যে ফাঁকি দিয়ে বা প্রতারণা করে কিছু দেখানো যেতে পারে— তা বিশ্বাসই করতেন না বংশীকাকু।
বংশীকাকু বাবার সঙ্গে একের পর এক ছবির কাজ করতে শুরু করলেন। এমন সেট তৈরি করলেন যে, মানুষ শুধু বংশীকাকুর সেট দেখতেই আসতেন। তখন স্টুডিয়োর নিরাপত্তা পেরিয়ে সাধারণ মানুষের ঢুকে পড়া সহজ ছিল না। কিন্তু কিছু মানুষ ছিলেন, যাঁদের স্টুডিয়োয় যাতায়াত ছিল। তাঁরা বাইরে থেকে আরও লোক নিয়ে আসতেন বংশীকাকুর তৈরি সেট দেখার জন্য। সে সময় শুন্ডি রাজার সেট দেখার জন্য মানুষের কী ভিড়! ভীষণ খুঁতখুঁতে ছিলেন। নিজে হাতে অনেক জিনিস করতেন যেটা সচরাচর শিল্প নির্দেশকেরা করেন না। ওঁকে দেওয়ালে ঠোকাঠুকি করতেও দেখেছি। আবার প্রয়োজনে রিফ্লেক্টর নিয়ে দাঁড়াতে দেখেছি। নিজের কাজের জন্য অহঙ্কার করতে কোনও দিন দেখিনি।
বাবার সঙ্গে অদ্ভুত ভাবে মিশে গিয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে কাজ করা তো সহজ নয়। বাবা কী চাইছেন সেটা বুঝে কাজ করা, সফল হওয়া সহজ কথা নয়। দেখেছি, ওঁর খুঁটিনাটির জিনিসের প্রতি খুব লক্ষ ছিল, ‘নায়ক’-এর ট্রেনের সেটের কথাই ধরা যাক। কেউ বুঝতে পারবে কোনটা সত্যি ভেস্টেব্‌ল আর কোনটা স্টুডিয়ো?
ওই ইউনিটে বংশীকাকুর প্রথম স্টিল ক্যামেরা এল। ওই ক্যামেরা দিয়ে কত ছবি যে তুলেছেন, তার হিসাব নেই। তখন তো ইউনিটে আলাদা করে চিত্রগ্রাহক ছিল না। ‘পথের পাঁচালী’ শুটিং-এর যা স্থিরচিত্র আমরা দেখতে পাই তাঁর অধিকাংশ বংশীকাকুর তোলা। আর যে ছবিতে বংশীকাকুকে দেখি, ধরে নিই সেগুলি হয় সৌমেন্দু রায় অথবা, দীনেন গুপ্তর বা সুব্রত মিত্রের তোলা।
ছবির লোকেশন যে মুহূর্তে ঠিক হত, সেই মুহূর্তে দেখতাম বংশীকাকু একনাগাড়ে লোকেশনের ছবি তুলছেন। সেখানকার জানলা-দরজা কিছুই বাদ দিতেন না। সারা ক্ষণ হাতে ফিতে, এটা মাপছেন, ওটা মাপছেন, লোকেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠত। আমি জানি না, বংশীকাকুর মতো শিল্প নির্দেশক আর তৈরি হয়েছে কি না!
বাবার সঙ্গে কাজ করতে করতেই বোম্বে থেকে ডাক এল বংশীকাকুর। বাবাও ওঁকে নির্দ্বিধায় যেতেই বললেন। বাবা জানতেন ওখানে তিনি যা পারিশ্রমিক পাবেন, তা কলকাতায় কোনও ভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। আমার মনে আছে, বংশীকাকু বলেছিলেন, “মানিক তোমার সঙ্গে কি আমার টাকার সম্পর্ক?” সত্যজিৎ রায়ের ইউনিটে বংশীকাকুই একমাত্র যিনি বাবাকে ‘মানিক’ বলে ডাকতেন। শুধু ইউনিটের লোক নয়। আমাদের পরিবারের একজন হয়ে উঠেছিলেন বংশীকাকু, তাঁর সহজ-সরল মনোভাবে।
‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবির সেট, শুন্ডি রাজার দরবার তৈরি হয়েছে। আমিও সেট দেখতে গিয়েছি। নিউ থিয়েটার্সের ফ্লোরে ঢুকছি, দেখি উত্তমবাবুও ঢুকছেন। তার আগে ‘চিড়িয়াখানা’ হয়ে গিয়েছে। আমাকে দেখেই বললেন, “এই যে বাবু কী ব্যাপার?” আমি জিগ্যেস করলাম , “আপনি এখানে!” বললেন “দেখি, বংশীদা কী সেট বানিয়েছে। ওর সেট নিয়ে খুব শুনছি।”
বংশীকাকুর সেট নিয়ে যেমন চারিদিকে কথা হত তেমনি ওঁর সেটে সবাই তটস্থ থাকত। বোম্বের পরিচালকেরা ওঁর সঙ্গে কাজ করার সময় খুব বুঝেশুনে শট নিতেন। এমন চমৎকার সেট, তা যেন ছবিতে ঠিকমতো প্রকাশ পায় সে দিকে তাঁদের বিশেষ নজর ছিল।
গুপী বাঘার ঘর তৈরি হয়েছে, শুন্ডি রাজ্যে ফোয়ারা চলছে। আমি শুটিং দেখছি। আচমকা দেখি আমার পাশেই খিল খিল করে হাসছেন তনুজা। পাশের ফ্লোরে কাজ করছিলেন, বংশীদার সেটের কথা শুনে দেখতে এসেছেন। তখন এক ইউনিট থেকে আর এক ইউনিটে চলে যাওয়া যেত, অন্যের কাজে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করা যেত। এখন এ সব কিচ্ছু নেই!
‘নায়ক’-এর কথা বার বার লিখছি। ছবির ট্রেনের দৃশ্যে ভেস্টেব্‌লের ব্যবহার থাকবে জেনেই বংশীকাকু যেখানে ভেস্টেব্‌ল তৈরি হয়, সেই কারখানায় চলে গিয়ে ভেস্টেব্‌ল তৈরির সব জিনিস, এমনকি সেখানকার ব্যবহৃত অ্যাশট্রে অবধি নিয়ে এসেছিলেন। আমার পরিষ্কার মনে আছে বংশীকাকু বাবাকে বলেছিলেন, “আমি সেট এমন ভাবে তৈরি করব যেই তার নীচে ট্রাকের টায়ার রাখতে পারি, যাতে ট্রেনকে তুমি দোলাতে পারো। কয়েক জন লোককে নিয়ে সেট নাড়ালে সেট ট্রেনের মতোই নড়বে।”
আলোচনা তো হল। বাবা পরে ফ্লোরে গিয়ে দেখলেন সেট এত ভারী হয়ে গিয়েছে যে টায়ার দেওয়া যায়নি। ট্রেন তো নড়বে না! এই ভেবে বংশীকাকু সারা রাত ঘুমোতে পারেননি। বাবা বলেছিলেন, “আমি এমন ভাবে ক্যামেরায় শুট করব যে ট্রেন নড়ল কি না কেউ বুঝবে না।” হলও তাই। ‘নায়ক’ দেখার সময় ট্রেন নড়ছে কি না, আমরা কেউ মাথা ঘামাইনি।
বাবা প্রায়ই গোপালপুরে যেতেন। একবার ওখান থেকেই বংশীবাবুকে লম্বা চিঠি লিখলেন। বাবা তখন ‘চারুলতা’ চিত্রনাট্য লিখছেন। সেই চিঠিতে চারুলতার সেট নিয়ে অনেক কিছু লিখেছিলেন বাবা। বংশীকাকু ‘পিরিয়ড’ ফিল্মের কাজ শুনলে আরও বেশি উথসাহী হয়ে উঠতেন। পর্দার কাপড় থেকে আসবাব সব নিজে কিনতে যেতেন। বংশীকাকুর একটা বিষয় নিয়ে কিন্তু বাবা বেশ অখুশি ছিলেন। সব নিজে হাতে করতে গিয়ে, সব নিখুঁত করতে গিয়ে, বংশীকাকু নির্দিষ্ট সময় সেট তৈরি করে উঠতে পারতেন না। দেরিতে সেট পেতেন বাবা, বলতেন, “বংশী তো কাজ করছে, দেখি যে দিন শুটিং ফেলেছি তার দু’দিন বাদে যদি শুটিং শুরু করা যায়।” আমরা জানতাম যে দিন শুটিং বলা হবে সে দিন হবে না।
বোম্বে গেলেন বংশীকাকু। ‘জলসাঘর’-এর সময় থেকে অশোক বসু বাবার সেট তৈরি করতে আরম্ভ করলেন। যোগাযোগে কোথাও ভাটা পড়েনি। শুধু সহকর্মী নয়। বাবার বন্ধু ছিলেন বংশীকাকু। আমেরিকায় বাবার রেট্রোস্পেক্টিভ হবে। চিদানন্দ দাশগুপ্ত আমন্ত্রিত, বংশীকাকুকেও নিমন্ত্রণ জানানো হল। তিনি তো যাবেন না। কিন্তু প্রথম বিদেশের আমন্ত্রণ, বাবার সঙ্গে গেলেন বংশীকাকু। ওর কাজ খুবই সমাদৃত হল। খুব খুশি হয়েছিলেন। এই পূর্ণতার মুহূর্তে ওয়াশিংটন যাওয়ার সময় ওঁর মৃত্যু হয়। ট্রেনে উঠতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আর ফিরলেন না। সেটা ১৯৮১ সালের ২৭ জুন। বাবা তখন নিউ ইয়র্কে। আরও কয়েকটি শহরে ছবি নিয়ে ঘোরার কথা। বাবা এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে সব অনুষ্ঠান বাতিল করে দেশে ফিরে আসেন।
আর বংশীকাকু? দেশে আপনজন বলতে কেউ ছিল না ওঁর। বিদেশের মাটিতেই বংশীকাকুর জীবনের ক্যানভাস স্থির হয়ে যায়।
- সন্দীপ রায় (আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে)

#সংস্কৃতি

মাইলস্টোনের আহতদের জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে, নিম্নের নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করার জন্য আহবান করা হলো:Blood DonatorO+ve) B...
21/07/2025

মাইলস্টোনের আহতদের জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে, নিম্নের নাম্বার গুলোতে যোগাযোগ করার জন্য আহবান করা হলো:

Blood Donator
O+ve) Blood
রাইসুল (o+ve) : 01703026141
আসিফ (o+ve) : 01682872300
Shahariar (O+) : 01817770203
Sajid (O+) : 01812747444
Ovi (O+) : 01819106078
Morshed (O+) : 01813802789
Hashib (O+) : 01675247756
Faysal (O+) : 01814181625
Enam (O+) : 01814432072
Emad (O+) : 01674946131
Elias (O+) : 01818827368
Ehsan (O+) : 01817205540
Shuvo (O+) : 01670536856
Amit (O+) : 01675922154
Alamgir (O+) : 01919960925
Yasir (O+) : 01814274974
Asif (O+) : 01818055061
Arshad (O+) : 01922595331
Akram (O+) : 01818100074
Sharif (O+) : 01836418360
Rishat (O+) : 01670259170
Rakib (O+) : 01830093251
Rafiq (O+) : 01917476946
Shaikat (O+) : 01620467425
Nasif (O+) : 01821589858
Elias (O+) : 01835274866
জীবন (O+) :01319528037
মার্জিয়া (O+) : 01749715107
Masud (O+) : 01913268568
Khairul (O+) : 01957372711
Alamin (O+) : 01907288671
Shehap (O+) : 01718543451
Saif (O+) : 01934377887
Fahim (O+) 01791845079
Lipi (O+) : 01745594510
Selina (O+) : 01985271004
Sujon (O+) : 01926268816
Maksedul (O+) : 01620773736
Sadikul (O+) : 01752386853
Sojib (O+) : 01797769753
Rifat (O+) : 01821654169
Hasibur (O+) : 01724963572
Mollika (O+) : 01725727050
Arif (O+) : 01791947388
Sabbir (O+) : 01989749793
(A-ve) Blood
Sourav (A-) : 01753961657
Faysal (A-) :01830361562
Niloy (A-) : 01822116436
(B-ve) Blood
Emon ( : 01814287904
Mojammal ( :01818028020 , 01717887030
Shishir ( :01845807021
(O-ve) Blood
Showrav (O-) : 01816441130
Asif (O-) : 01861257845
Nabab (O-) : 01682506914
Tareq (O-) : 018222686
Sakil (O-) 01764155065
Abdullah Al Mamun (AB-): 01581173886
❗Only For Dhaka❗
(রক্তের গ্রুপ)-(ফোন নাম্বার)
A- Negative 01933892321
A- Negative 01844464155
A- Negative 01676335830
A- Negative 01883586717
A+ 01706926694
A+ 01689223789
A+ 01703268335
A+ 01875024194
A+ 01710376348
A+ 01928275633
AB- Negative 01913545498
AB+ 01626804795
AB+ 01925582350
AB+ 01790059606
AB+ 01558448484
AB+ 01919888277
AB+ 01770412286
AB+ 01925582350
B- Negative 01870435259
B- Negative 01722414689
B+ 01967507147
B+ 0130479265
B+ 01748446523

দয়া করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন, হতেও তো পারে আপনার উছিলায় কারো জীবন বেচে যেতে পারে।

৭ জুলাই জাতীয় জাদুঘরে তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শোজুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নির্মিত তথ্যচি...
03/07/2025

৭ জুলাই জাতীয় জাদুঘরে তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’ তথ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’-এর প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ জুলাই (সোমবার) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে এ প্রদর্শনী আয়োজন করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং শহিদ সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়’র মা শামসি আরা জামান।

তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী সকল দর্শকের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এএফসি নারী এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল...
02/07/2025

এএফসি নারী এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে ২-১ ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এই জয়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপে খেলার সম্ভবনা উজ্জ্বল হয়েছে লাল-সবুজের নারী প্রতিনিধিদের। এর আগে র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৬ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ গোলে হারিয়েছিল আফাইদা খন্দকারের দল।

বুধবার (২ জুলাই) ইয়াঙ্গুনের থুওয়ান্না স্টেডিয়ামে স্বাগতিক মিয়ানমারের জালে ম্যাচের ১৮তম মিনিটে বাংলাদেশকে প্রথম লিড এনে দেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ডি-বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া ফ্রি কিক মিয়ানমারের রক্ষণ দেয়ালে প্রতিহত হয়। ফিরতি বলে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে স্বাগতিকদের রক্ষণ ও গোলরক্ষক উভয় পরাস্ত করেন তিনি।

ঋতুপর্ণা গোল করলেও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ফ্রী কিক পাওয়ার পেছনে অবদান শামসুন্নাহারের। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে তিনি একাই বক্সে প্রবেশ করছিলেন। মিয়ানমারের দুই ডিফেন্ডার তার গতির সঙ্গে পেরে উঠেননি। বক্সের ঠিক আগে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজালে ফ্রি কিক পেয়েছিল সফরকারীরা।

গোল পাওয়ার পর খেলায় আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। তবে প্রথমার্ধের শেষ দশ মিনিট অবশ্য বাংলাদেশের উপর অনেক চাপ তৈরি করে মিয়ানমার। একবার বাংলাদেশের জালে বলও পাঠিয়েছিল। তবে অফসাইডের কারণে রেফারি সেই গোল বাতিল করে। এরপর মিয়ানমারের একটি আক্রমণ ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

বিরতির পর ম্যাচের ৭১ মিনিটে ঋতুপর্ণা চাকমা আরেকটি চোখ ধাধানো গোল করেন। বা প্রান্ত থেকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে মিয়ানমারের গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ৮৯ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণের ভুলে একটি গোল পরিশোধ করে মিয়ানমার। এরপর সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠলেও আর পেরে ওঠেনি তারা।

এই জয়ে আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়ান কাপের আসরে খেলা এখন বাংলাদেশের জন্য সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলেছিল। নারী ফুটবলে কখনো এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ে খেলা হয়নি। তাই টানা দুবারের সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলার মেয়েরা এখন ইতিহাসের দৌড়গোড়ায়।

এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের আট গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন, স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও গত আসরের শীর্ষ তিন দল খেলবে চূড়ান্ত আসরে। বাংলাদেশ দুই ম্যাচ শেষে ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষে রয়েছে। আগামী শনিবার বাংলাদেশ গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে দুর্বল প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের খুব সমস্যা হবে না। মিয়ানমার বাহরাইনকে হারালেও বাংলাদেশের সমান ৬ পয়েন্ট হবে। হেড টু হেড আগে বিবেচনা হওয়ায় বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হবে।

মিয়ানমারকে হারানো অবশ্য বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জন্য সহজ ছিল না। র‌্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান ৫৫তে। বাংলাদেশ আছে ১২৮তম অবস্থানে। নিজেদের মাঠে খেলছে তারা। ২০১৮ সালের অলিম্পিক বাছাইয়ে মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। বিপক্ষে থাকা এসব সংখ্যা অতিক্রম করে দাপটের সঙ্গে জয় তুলে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল।

‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জিনাত রেহানা মারা গেছেনবিশিষ্ট সংগীতশিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ...
02/07/2025

‘সাগরের তীর থেকে’ গানের শিল্পী জিনাত রেহানা মারা গেছেন

বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী জিনাত রেহানা আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

মরহুমার জানাজা আজ বাদ জোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী জিনাত রেহানা ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন। সেখানে ১৯৬৮ সালে জিনাত রেহানার ‘সাগরের তীর থেকে’ গানটি রেকর্ড করা হয়। এটি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে শ্রোতাদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১৯৬৫ সালে টেলিভিশনের শিল্পী হিসেবে গান শুরু করেন জিনাত। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে তাকে গানে কম দেখা যেত।

তার গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ‘একটি ফুল আর একটি পাখি বলতো কি নামে তোমায় ডাকি’, ‘আমি কাকন দিয়ে ডেকেছিলেম মুখে লজ্জা ছিল বলে’, ‘কপালে তো টিকলি পরবো না’, ‘আমি যার কথা ভাবছি মনে আনমনে’, ‘আমায় যদি ডাকো কাছে’, ‘কণ্ঠবীণা’, ‘মনে রেখো, স্মৃতি থেকে’।

গুণী এই শিল্পী আধুনিক ও আধ্যাত্মিক গানের পাশাপাশি করেছেন ছোটদের গানও।

৯ কোটি টাকার সরকারি অনুদান পেল ৩২ ছবি২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণে মোট ৯ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে তথ্য ও সম্প্...
02/07/2025

৯ কোটি টাকার সরকারি অনুদান পেল ৩২ ছবি

২০২৪–২৫ অর্থবছরে ৩২টি চলচ্চিত্র নির্মাণে মোট ৯ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ১২টি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ২০টি।

মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রতিটি চলচ্চিত্রকে ৭৫ লাখ টাকা করে এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রতিটি চলচ্চিত্রকে ২০ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।

অনুদানপ্রাপ্ত পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
রবিনহুডের আশ্চর্য অভিযান, মায়ের ডাক, জুলাই, রূহের কাফেলা, পরোটার স্বাদ, খোঁয়ারি, জীবন অপেরা, জলযুদ্ধ, কবির মুখ: দ্য টাইম কিপার, কফিনের ডানা, নওয়াব ফুজুন্নেসা ও জুঁই।

অনুদানপ্রাপ্ত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
মন্দ-ভালো, ফেলানী, ঝুঁকির মাত্রা, জীবনের গান, হু হ্যাজ মেইড আস ফ্লাই, ভরা বাদর, ১২৩০, বৃন্দারাণীর আঙুল, একটি সিনেমার জন্য, দাফন, সাঁতার, মাংস কম, গগন, অতিথি, বোবা, অদ্বৈত, আশার আলো, গর্জনপুরের বাঘা, হোয়ার দ্য ওয়াটার স্লিপস, অপসময়।

চলচ্চিত্র নির্মাণে গুণগত মান ও সৃজনশীলতা বাড়াতে প্রতি বছরই এই অনুদান দিয়ে থাকে সরকার। নতুন প্রজন্মের নির্মাতাদের উৎসাহিত করতেও এই অনুদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলেই ধারণা সরকারের।

২০২৫ সালের অক্টোবরের আগে্ই কেন পাকিস্তান আক্রমণের পরিকল্পনা  ভারত ও ইসরায়েলেরইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হ...
01/07/2025

২০২৫ সালের অক্টোবরের আগে্ই কেন পাকিস্তান আক্রমণের পরিকল্পনা ভারত ও ইসরায়েলের

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ শেষ হয়েছে, কিন্তু এই যুদ্ধ ইসরায়েল ও ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি নতুন যুদ্ধের পরিকল্পনা ফাঁস করে দিয়েছে। একটি নতুন যুদ্ধের এই হুমকি কেবল কল্পনার প্রসূত নয়। আজ আমি আপনাদের সাথে ইসরায়েল ও ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোপন পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছু প্রমাণ শেয়ার করতে পারি।

এটি এখন আর গোপন নয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু 'ভ্রাতৃত্বপূর্ণ মিত্র' হিসেবে পরিচিত। বিখ্যাত আমেরিকান ম্যাগাজিন ‘ফরেইন পলিসি’ সম্প্রতি ইসরায়েল ও ভারতের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক জোট নিয়ে অনেক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাংবাদিক আজাদ ইসা, যিনি 'হস্টাইল হোমল্যান্ডস' বইয়ের লেখক, বিশ্বাস করেন যে ইসরায়েলের প্রতি ভারতের ঘনিষ্ঠতা মোদির রাজনীতিতে গভীরভাবে প্রোথিত মুসলিম বিরোধী অনুভূতির সাথে জড়িত।

ইসা কাশ্মীর উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে মোদি-নেতানিয়াহু জোট কেবল দুই ব্যক্তির সহযোগিতা নয়, এটি দুটি মতাদর্শের সহযোগিতা – একটি জায়নবাদ এবং অন্যটি হিন্দুত্ববাদ।

২০১৭ সালে মোদি প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসরায়েল সফর করেন। তার হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ জায়নবাদ থেকে অনুপ্রেরণা নেয়। অনেক হিন্দু জাতীয়তাবাদী কাশ্মীর সংঘাত সমাধানের জন্য ইসরায়েলের মতো সমাধান চেয়েছেন। এর মধ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরে হিন্দু জনসংখ্যার পক্ষে জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সাধনের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত। মে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের কাছে পরাজয়ের পর ভারত কেবল ইসরায়েল থেকে নয়, অনেক পশ্চিমা দেশ থেকেও চুপচাপ প্রচুর অস্ত্র কিনছে।

এখন ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলের সাহায্যে পাকিস্তানের উপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া। সম্প্রতি ১২ দিনের যুদ্ধের সময় পাকিস্তান প্রকাশ্যে ইরানের সমর্থন করায় অনেক ইসরায়েলি ক্ষুব্ধ।

অনেক পাকিস্তানি এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ ইসরায়েলি অধ্যাপক মেয়ার মাসরির একটি পোস্ট লক্ষ্য করেছেন, যিনি জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রাজনীতি বিভাগের পরিচালক এবং প্রাক্তন উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। যুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে এই ইসরায়েলি অধ্যাপক ১৮ জুন আরবিতে লিখেছেন যে, "ইরানের অভিযানের পর, আমরা পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতে পারি।" এক্স-এ অনেক ভারতীয় অ্যাকাউন্টও একই দাবি করছিল।

আমি অনেক ভারতীয় পোস্ট দেখেছি যেখানে বলা হয়েছে… "পাকিস্তানের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ 'অপারেশন সিঁদুর'-এর চূড়ান্ত পর্যায়।"

এই দৃষ্টিভঙ্গি শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল না। একটি ইউরোপীয় ওয়েবসাইট "মডার্ন ডিপ্লোমেসি" ডঃ জুলিয়ান স্পেন্সার-চার্চিলের একটি নিবন্ধ ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে প্রকাশ করেছে, যার শিরোনাম ছিল "Once Israel Defeats Iran, Pakistan is Next।" ডঃ জুলিয়ান কানাডার কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক রাজনীতির অধ্যাপক।

তিনি ইসরায়েলি অধ্যাপক মেয়ার মাসরির হুমকির উল্লেখ করে তার নিবন্ধ শুরু করেন এবং আরও লেখেন যে, ইরাকের মতো ইরানকে নিষ্ক্রিয় করার পর, পাকিস্তান ইসরায়েলের বিস্তার-বিরোধী প্রচেষ্টার প্রধান লক্ষ্য হয়ে উঠবে। তিনি বলেছিলেন যে, ভারতকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে একটি বিমান হামলা, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলা পাকিস্তানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর মারাত্মক ক্ষতি করবে। তিনি একই সাথে একটি প্রচলিত ভারতীয় সামরিক হামলার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন যা পাকিস্তানকে সিন্ধু ও পাঞ্জাবে বিভক্ত করবে এবং আজাদ কাশ্মীরকে ভারত দখল করবে, চীনাদের ভারত মহাসাগরে প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেবে। এর অর্থ হলো, ভারত ও ইসরায়েল চীনকে গদর বন্দর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়।

এবার ভারত ও ইসরায়েলের সাম্প্রতিক অস্ত্র বাণিজ্যের দিকে তাকান। অনেক ইসরায়েলি অস্ত্র কোম্পানি ভারতে কারখানা স্থাপন করেছে এবং ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি ইসরায়েলি ড্রোনও উৎপাদন করছে। আদানি গ্রুপ ২০১৮ সালে ইসরায়েলের এলবিট সিস্টেমসের সাথে একটি যৌথ উদ্যোগে হার্মেস ৯০০ ইউএভি-এর মতো সামরিক ড্রোন তৈরি শুরু করে। আদানি ভারতের হায়দ্রাবাদে একটি কারখানা তৈরি করে এবং এই ড্রোনের ৮৫% শুধুমাত্র ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য তৈরি করে। ইসরায়েল লেবানন থেকে গাজা পর্যন্ত এই ড্রোনগুলো ব্যবহার করেছে। ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই হার্মেস ৯০০ ড্রোনগুলো সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। ভারত মে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একই ড্রোন ব্যবহার করেছিল, কিন্তু এই ড্রোনগুলো পাকিস্তান দ্বারা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল। আদানির হাইফা বন্দরে ৭০% অংশীদারিত্ব রয়েছে যা সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরান দ্বারা ধ্বংস হয়েছিল।

ভারত ও ইসরায়েল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পরিকল্পনা করতে পারে, কিন্তু তাদের অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে যে পাকিস্তান লেবানন বা গাজা এমনকি ইরানও নয়। নতুন দিল্লি ও তেল আবিবের এই প্রেমঘটিত সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদিকে আরও একটি অপমানের কারণ হতে পারে, যিনি এখন 'স্যারেন্ডার মোদি' নামে পরিচিত। পাকিস্তান বিমান বাহিনী মে ২০২৫ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে অপমান করেছিল চারটি রাফাল জেটসহ তাদের সাতটি বিমান ভূপাতিত করে। পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের চেয়ে অনেক ভালো।

পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক এবং কার্যকর। সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধে পাকিস্তান ইরানের পাশে ছিল এবং ভারত ইসরায়েলের পাশে ছিল। ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে SCO-এর বিবৃতিতে ভারত কখনও সমর্থন করেনি। ভারত গাজায় গণহত্যাকে সমর্থন করছে কারণ ইসরায়েলকে সমর্থন করা ভারতের জাতীয় স্বার্থ। মোদি ইসরায়েলের সাহায্যে পাকিস্তানকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছেন কারণ ভারত কাশ্মীরকে আরেকটি গাজায় পরিণত করতে চায়। এখন ফারুক আবদুল্লাহর মতো কিছু ভারতপন্থী কাশ্মীরি নেতাও বলছেন যে ভারত যদি আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর বিরোধের সমাধান না করে, তাহলে কাশ্মীর আরেকটি গাজা হয়ে উঠতে পারে।

মোদি আসলে মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন। ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসের কাছাকাছি বিহারে নির্বাচনের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার একটি বিজয় প্রয়োজন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বা কাশ্মীরে গণহত্যা তার রাজনৈতিক প্রয়োজন হয়ে উঠছে। তিনি একটি জিনিস ভুলে যাচ্ছেন। এটি ১৯৭১ সাল নয়। এটি ২০২৫ সাল। পাকিস্তান ভারত ও ইসরায়েলকে কাশ্মীরকে আরেকটি গাজায় পরিণত করতে দেবে না। মোদি ও নেতানিয়াহুকে পাকিস্তানের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করতে হবে। তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে, পাকিস্তানের শাহীন-III ক্ষেপণাস্ত্র, যার পাল্লা ২,৭৫০ কিমি, ভারত তো বটেই, ইসরায়েলকেও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের জন্য যথেষ্ট।

ভারত বলিউড সিনেমায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জিততে পারে, কিন্তু বাস্তবে আর কখনোই যুদ্ধ জিততে পারবে না।

জিও নিউজে সাংবাদিক হামিদ মীরের লেখা থেকে

জুলাই ২০২৪। ৫৪ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশে লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসের ক্যালেন্ডারে জায়গা করে নেয়া নতুন এক রক্তাক্ত ইতিহাস। স্বা...
01/07/2025

জুলাই ২০২৪। ৫৪ বছরের স্বাধীন বাংলাদেশে লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসের ক্যালেন্ডারে জায়গা করে নেয়া নতুন এক রক্তাক্ত ইতিহাস। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস মাস। যে মাসে ছাত্রজনতার ওপর নির্বিচার গুলি চালায় শেখ হাসিনার সরকার। নড়ে ওঠে ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী মসনদ। ১৪শ' শহীদ আর প্রায় ২০ হাজার আহতের আত্মত্যাগের ঋণ এখনো খুঁজে ফিরছে, নতুন বাংলাদেশকে।

২০২৪ এর ৫ জুন বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই কোটা বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। তখন ছাত্রসমাজের দাবিটা ছিল ভীষণ সাধারণ- ৫৫ ভাগ কোটার গ্রাস থেকে বেরিয়ে মেধার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া।

গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ রূপ নেয়। এটিই ছিল প্রায় ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সূচনাবিন্দু। তখন সেটা বুঝতে পারেনি হাসিনার সরকার। তাইতো এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের রাজাকার তকমা দেন খোদ শেখ হাসিনা নিজেই।

কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ক্ষণে-ক্ষণে কটাক্ষ করেই ক্ষান্ত হননি তৎকালীন সরকার প্রধান। বল প্রয়োগ, গুম, খুন... সব কিছু করে ছাত্র-ছাত্রীদের এমন খাদের কিনারায় দাঁড় করিয়েছিলেন, যেখানে তাদের পথ খোলা ছিল একটাই- 'মুক্তি অথবা মৃত্যু'। তাইতো শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে আদালত থেকে কোটা বাতিলের রায় এনেও, আবু সাঈদদের জীবনের দেনা মেটাতে পারেননি শেখ হাসিনা।

অতঃপর কোটাবিরোধী সংগ্রাম রূপ নেয় আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের আন্দোলনে। ১৬ বছরে সীমাহীন বৈষম্য-গুম-খুন-দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ জনতার স্রোত মিশে যায় রাজপথে। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী নামিয়ে দিয়েও দমানো যায়নি মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভের আগুন।

শেষমেশ, ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ১৮ ও ১৯ জুলাই ছাত্রজনতার ওপর চালানো হয় বর্বর হত্যাযজ্ঞ। কিন্তু, শোষকের বন্দুক থেকে যতই গুলি বেরিয়েছে, ততই ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ। দফায়-দফায় দেয়া কারফিউ ভেঙে ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, দলমত নির্বিশেষে পথে নামে সব শ্রেণীর মানুষ। আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে।

৩ আগস্ট ঢাকার শহীদ মিনার চত্বরে লাখো জনতার জমায়েত থেকে ঘোষণা আসে একদফা- শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এরপর ৪ আগস্ট মরণকামড় দেয় আওয়ামী লীগ। পুলিশের সাথে অস্ত্র নিয়ে নেমে পড়েন তাদের নেতাকর্মীরা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে নজিরবিহীন সহিংসতা। শুধু একদিনে ঝরে যায় শতাধিক প্রাণ।

ব্যাপক রক্তপাত ও প্রাণহানির পরও গদি ছাড়তে চাননি শেখ হাসিনা। ৫ আগস্ট ভোর থেকে জারি করা হয় কঠোর কারফিউ। কিন্তু, শত বাধার দেয়াল ভেঙে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখ-লাখ মানুষ এগিয়ে যায় গণভবনের দিকে।

চতুর্দিকে বেগতিক পরিস্থিতির মাঝে সেনাবাহিনী ব্যারিকেড তুলে নিলে ঢাকার রাজপথ দখলে নেয় ছাত্রজনতা। আর ততক্ষণে খবর আসে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার। ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা গণভবনে ৫ আগস্ট যে দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল, নতুন ইতিহাসের পাতায় তার নাম ৩৬ জুলাই।

সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার বলেন, জুলাইয়ের সঙ্গে ৯০ বা ৬৯-এর কোন তুলনা হয় না। কারণ কোন রাজনৈতিক সংগঠন এটির নেতৃত্ব দেয়নি। এটি নেতৃত্ব দিয়েছে বিচ্ছিন্ন কয়েকজন তরুণ, যাদের তেমন কোন রাজনৈতিক পরিচয় ছিল না। আমরা যদি ধর্মীয়ভাবে দেখি তবে আবাবিল পাখির যে ঘটনা, জুলাই হচ্ছে তাই।

প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, জুলাইয়ের যে ভূমিকম্প আমাদের রাজনৈতিক পটভূমিতে সেটার রেষ অনেকদিন থাকবে। যে কোন কিছুর ফাঁদে ফেলেই আপনি আর এই জনগোষ্ঠীকে বোকা বানাতে পারবেন না।

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার বলেন, এই গণঅভ্যুত্থান তখনই বিপ্লবের মর্যাদা পাবে যদি সত্যি সত্যি এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মৌলিক সংস্কার এবং বাঙালি জাতির রাজনীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা স্থায়ী পরিবর্তন আসে।

যে জুলাই জন্ম দিয়েছে নতুন আশার, নতুন স্বপ্নের- শহীদদের সেই স্বপ্নেরা কতটা বাস্তবতার পথ ধরে হাঁটছে; সামনের দিনে অপেক্ষা করছে সেই হিসাব নিকাশ।

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলাপার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপ...
01/07/2025

ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী পাহাড়ি ফল উৎসব ও মেলা

পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।

মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।

আজ মঙ্গলাবার (১ জুলাই) বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।

রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

অবশেষে বিপিএলে নতুন দল পেল নোয়াখালীঅবশেষে নোয়াখালীবাসীর অপেক্ষা ফুরোতে যাচ্ছে। এবারের বিপিএলে নতুন দল হিসেবে বিপিএলে আসত...
30/06/2025

অবশেষে বিপিএলে নতুন দল পেল নোয়াখালী
অবশেষে নোয়াখালীবাসীর অপেক্ষা ফুরোতে যাচ্ছে। এবারের বিপিএলে নতুন দল হিসেবে বিপিএলে আসতে যাচ্ছে নোয়াখালী রয়্যালস।

বিপিএলে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে আবেদন জমা দিয়েছে নোয়াখালী রয়্যালস। গত ২৪ জুন ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটির সত্ত্বাধিকারের অনুমতি চেয়ে বিসিবির কাছে আবেদন করেছে শায়ান'স গ্লোবাল নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।

বিপিএলের আসন্ন আসর মাঠে গড়ানোর কথা ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে। সোমবার (৩০ জুন) বিসিবির সভায় এই বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আলোচনা শেষের আগেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সায়ান'স গ্লোবাল নামের প্রতিষ্ঠান। আগামী বিপিএলে নোয়াখালী থেকে দল কেনার জন্য বেশ ভালোভাবেই মাঠে নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গত ২৪ জুন বিসিবি সভাপতি বরাবর দেয়া এক চিঠিতে সায়ান'স গ্লোবাল জানায়, বিপিএলে দল নেয়ার পাশাপাশি নোয়াখলী অঞ্চলে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে চায় তারা। এছাড়া, বিপিএলের সকল প্রক্রিয়া মেনে ১১তম আসরের অংশ হওয়ার আবেদন জানিয়েছে তারা।

বিপিএলের ১১তম আসরে ফ্র‍্যাঞ্চাইজির ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসার কথা ছিল এমনিতেও। ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে আয়োজিত সর্বশেষ বিপিএলে একাধিক অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা যেন মাত্রা ছাড়িয়েছিল। দুয়েকটি ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ব্যতীত প্রায় সবার বিরুদ্ধে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে।

সার্কের বদলে নতুন আঞ্চলিক জোট, পাকিস্তান-চীনের প্রস্তাবে ভারতের কপালে ভাঁজপাকিস্তান ও চীন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা ...
30/06/2025

সার্কের বদলে নতুন আঞ্চলিক জোট, পাকিস্তান-চীনের প্রস্তাবে ভারতের কপালে ভাঁজ

পাকিস্তান ও চীন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে একটি নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে।

কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী, ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উভয় পক্ষই নিশ্চিত যে, আঞ্চলিক সংহতি এবং সংযোগের জন্য একটি নতুন সংস্থার প্রয়োজন এখন সময়ের দাবি। পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটি এই কূটনৈতিক তৎপরতারই অংশ ছিল।

তিন দেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকটি ছিল এই ধরনের প্রথম, যা ভারতের নজরে এসেছে।

১৯ জুন কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল সার্কের সদস্য অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে নতুন এই জোটে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো।

সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই নতুন ফোরামে ভারতকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে ভারতের ভিন্ন স্বার্থের কারণে, ইতিবাচক সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

তা সত্ত্বেও, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান-সহ অন্যান্য দেশ এই জোটের অংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য হলো উন্নত বাণিজ্য ও যোগাযোগের মাধ্যমে বৃহত্তর আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা অর্জন করা।

যদি এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়, তবে একসময় দক্ষিণ এশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হিসেবে পরিচিত সার্ক কার্যত মৃত হয়ে যাবে।

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার বৈরী সম্পর্কের কারণে সার্ক তার ঘোষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি।

আঞ্চলিক এই জোট সর্বশেষ এক দশক আগে শীর্ষ সম্মেলন করেছিল। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ভারত তা বর্জন করে। তৎকালীন ভারতপন্থী শেখ হাসিনা ওয়াজেদের শাসনাধীন বাংলাদেশও নয়াদিল্লির সঙ্গে সুর মিলিয়ে সম্মেলন থেকে দূরে ছিল।

এরপর থেকে সংস্থাটিকে পুনরুজ্জীবিত করার কোনো গুরুতর প্রচেষ্টা চালানো হয়নি, যদিও পাকিস্তান সম্মেলন আয়োজনে আগ্রহী ছিল।

সম্প্রতি, পাহালগাম হামলার পর পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের জন্য সংস্থাটির অধীনে বিশেষ ভিসা প্রস্তাব থেকে ভারত সরে আসায় সার্ক আরও একটি মারাত্মক আঘাত পেয়েছে।

পাকিস্তান ও চীন কয়েক মাস ধরে নতুন সংস্থা গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিল এবং এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সমমনা দেশগুলোর একতাবদ্ধ হওয়া উচিত।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারত তার ভিন্ন স্বার্থের কারণে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও)-এর মতো অন্যান্য আঞ্চলিক জোটে নিজেদের বেমানান মনে করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত দুটি এসসিও শীর্ষ সম্মেলন এড়িয়ে গেছেন। চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান এবং কিছু মধ্য এশীয় রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত ১০ সদস্যের এই নিরাপত্তা জোটকে প্রায়শই পশ্চিমা বিশ্বের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত এসসিও-এর এজেন্ডার সঙ্গে মতবিরোধে আছে বলে মনে হচ্ছে।

Address

House-8, Avenue/1, Block-A, Mirpur/10
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to sangskriti.com - সংস্কৃতি ডটকম:

Share

Our Story

www.sangskriti.com is an Online magazine of reportage, commentary, criticism, essays, reviews on culture with fiction, satire, cartoons and poetry.