
17/07/2025
জীবনে প্রথমবার এমন এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম, ঢাকা থেকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মামার বাড়ি যাব। ট্রেনে উঠেই জানলার ধারে গুছিয়ে বসেছি। কিছুক্ষণ বাদে বাদে ট্রেনের হকারদের কাছ থেকে এটা ওটা কিনে খাচ্ছি।
যমুনা সেতু পার হবার পর পাশের সহযাত্রী কে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই ঈশ্বরদী বাইপাস আর কতক্ষন লাগবে?
উনি বললেন, এটা তো পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে থামবে না। একদম সোজা নাটোর স্টেশনে গিয়ে দাঁড়াবে। বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেলাম দেখে পাশের সহযাত্রীরা বললো চিন্তার কিছু নেই, ঈশ্বরদী বাইপাসে ট্রেন খুবই স্লো হয়ে যায়, তুমি রানিং এ নেমে যেও। তবে নেমেই দাঁড়াবে না, একটু দৌঁড়বে। তাহলে হুম%&ড়ি খেয়ে পড়ে যাবে না।
তারপর ঈশ্বরদী বাইপাস আসতেই অনিচ্ছা সত্বেও কিছুলোক ঠেলে ঠুলে দরজায় দাঁড় করিয়ে দিল। ঈশ্বরদী বাইপাসে ট্রেন স্লো হতেই ছোট্ট লাফ দিয়ে প্লাটফর্মে নেমেই চো চো করে দৌঁড় দিলাম।
এত জোর দৌঁড়েছি যে সামনের বগি পর্যন্ত পৌঁছে গেছি। সামনের বগির গেটের কাছে পৌঁছাতেই কিছু লোক আমার হাত ধরে, কেউ জামা ধরে, কেউ চুলের মু%&ঠি ধরে বগিতে আবার টেনে তুলল। ততক্ষনে ট্রেন আবার স্পীড নিয়ে নিয়েছে। সবাই বলছে তোর ভাগ্যটা খুব ভালো রে ভাই। এখানে তো ট্রেন থামে না, তবু তুই কপালজোরে ট্রেন টা পেয়ে গেলি।