A T M Monzurul Karim

A T M Monzurul Karim I am a simple man.

শুধু শিক্ষা গ্রহণ করলেই শিক্ষিত হয় না......?লেখাটি পড়ুন ভালো লাগবে.........!!!টাকা দিয়ে আপনার সন্তানকে সব কিছু দিতে পা...
08/08/2025

শুধু শিক্ষা গ্রহণ করলেই শিক্ষিত হয় না......?
লেখাটি পড়ুন ভালো লাগবে.........!!!

টাকা দিয়ে আপনার সন্তানকে সব কিছু দিতে পারলে ও, বিনয়ী হওয়া কখনো শিখাতে পারবেন না। জীবনে আপনার সন্তানকে আর কিছু দেন আর না দেন, অন্তত বিনয়ী হওয়ার শিক্ষা টা দিয়েন। এটা তার জন্য জীবনের সবচেয়ে জরুরি শিক্ষা।

"অন্যদের সম্মান করতে শেখাবেন। ভিন্নমতকে সহ্য করতে শেখাবেন।‌ সাফল্য পেলে বা টাকা পয়সার মালিক হলে সে যেন অন্ধ না হয়ে যায়। এই সমাজে আমরা এমন মানুষ তৈরি করছি, যাদের হাতে দামি মোবাইল আছে কিন্তু মুখে ভদ্রতা নেই। যাদের পায়ে ব্র্যান্ডেড জুতা আছে কিন্তু হৃদয়ে শ্রদ্ধা নেই।"

আপনার সন্তান যদি শিক্ষক,গৃহকর্মী,রিকশাওয়ালা,কিংবা অফিসের চৌকিদার কাউকে সম্মান করতে না শেখে,তাহলে আপনি তাকে মানুষ নয়,একটা ‘অহঙ্কারী রোবট’ বানিয়ে দিচ্ছেন।
অনেক বাবা-মা সন্তানের অশ্রদ্ধা দেখে হাসেন,বলে, “আমার ছেলেটা একটু স্মার্ট,জবাব দিতে জানে। না আপনি ভুল বুঝছেন। এটা স্মার্টনেস না, এটা ‘অভদ্রতা’।

আপনি সন্তানকে গাড়ি দিতে পারেন, বাড়ি দিতে পারেন, টাকা দিতে পারেন, কিন্তু বিনয়, সহানুভূতি, আর আদব এই জিনিসগুলো তাকে হাতে ধরে শেখাতে হয়।

"এই শিক্ষাটা আপনি যদি না দেন, তাহলে একদিন সমাজ তার দামি জামা-কাপড় দেখে না,তার ব্যাবহার দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেবে। সন্তানকে মানুষ বানান। শুধু সফল না,বিনয়ী মানুষ।
কারণ সফল মানুষকে মানুষ একবার দেখে,আর বিনয়ী মানুষকে বারবার মনে রাখে।"

সমাজে এখনকার সময়ে মূল্যবোধের চর্চা এবং নৈতিক শিক্ষা প্রত্যেক এর মধ্যে গড়ে তুলার মাধ্যমে ই ভালো কিছু করা সম্ভব। আমরা সকলেই আমাদের সন্তানদের বিনয়ী হ‌ওয়ার জন্য চেষ্টা করি।
শুধু ডিগ্রি নয়, সন্তানকে দিন বিনয়ের শিক্ষা❞

আপনি সন্তানকে গাড়ি, বাড়ি, টাকা—সব দিতে পারেন। কিন্তু যদি সে বিনয়ী হতে না শেখে, তাহলে সে হয়তো সফল হবে, কিন্তু “মানুষ” হয়ে উঠবে না।

🔸 সম্মান করতে শেখান—শিক্ষক, গৃহকর্মী, রিকশাওয়ালা, চৌকিদার সবাইকে।
🔸 ভিন্নমত সহ্য করতে শেখান—সহনশীলতা শিক্ষার বড় অংশ।
🔸 বিনয়, সহানুভূতি, এবং আদব—এসব হাত ধরে শেখাতে হয়।

📍📍ঈগলের পিঠে বসে একমাত্র পাখি যে সাহস করে, তা হলো কাক।…এই কাক কখনো কখনো ঈগলের ঘাড়ে ঠোকর মেরে বিরক্ত করে। কিন্তু ঈগল কি প...
03/08/2025

📍📍ঈগলের পিঠে বসে একমাত্র পাখি যে সাহস করে, তা হলো কাক।…
এই কাক কখনো কখনো ঈগলের ঘাড়ে ঠোকর মেরে বিরক্ত করে। কিন্তু ঈগল কি প্রতিক্রিয়া দেখায়? না, ঈগল কখনো ঝগড়ায় জড়ায় না। সে তার গতি পরিবর্তন করে না, রাগ প্রকাশ করে না। সে শুধু করে একটি কাজ উঁচুতে উড়ে যায়।
এত উঁচুতে, যেখানে কাকের জন্য বেঁচে থাকা অসম্ভব, যেখানে বাতাস পাতলা, অক্সিজেন কম ফলে কাক নিজেই পড়ে যায়, ঈগলের কিছুই করতে হয় না।

এই দৃশ্য আমাদের জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।

আমাদের চারপাশেও থাকে অনেক “কাক” স্বরূপ মানুষ যারা নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চায় আপনার সাফল্যকে আঘাত করে। যারা নিজের আত্মবিশ্বাসের অভাব ঢাকে আপনার যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তারা কখনো হবে সহকর্মী, কখনো বন্ধু নামের মুখোশধারী, কখনো এমনকি আত্মীয় যারা আপনার স্বপ্নকে তুচ্ছ মনে করে, আপনার সাহসকে ধ্বংস করতে চায়।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি ঈগলের মতো হবেন, নাকি কাকের সাথে লড়াইয়ে সময় নষ্ট করবেন?

আপনি যদি প্রতিটি সমালোচনার উত্তর দিতে যান, প্রতিটি কটূক্তিতে প্রতিক্রিয়া দেখান তাহলে আপনি নিজের শক্তি ক্ষয় করবেন, নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি উঁচুতে উঠেন নিজের উন্নতিতে, নিজের স্বপ্নে, নিজের অটলতায় তাহলে সেই “কাকেরা” আর কিছুই করতে পারবে না।

জীবনে উচ্চতা অর্জনের মানে শুধু অর্থ বা খ্যাতি নয়।

এই উচ্চতা মানে:

আপনার চরিত্রের দৃঢ়তা

আপনার ধৈর্য ও সহনশীলতা

আপনার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা

এবং নিজের লক্ষ্য ও মূল্যবোধে অটল থাকার সাহস।

যখনই সমালোচনা আসবে, মনে রাখবেন ঈগল কখনো কাককে প্রতিক্রিয়া দেয় না, ঈগল শুধু আকাশে উড়ে যায়। আপনি যখন নিজের কর্মে সফল হবেন, যখন আপনি শব্দ না করে উপস্থিতি দিয়ে কথা বলবেন, তখন পুরো বিশ্ব বুঝবে, আপনি কী দিয়ে তৈরি।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...

ঈগল কখনো দলবদ্ধ পাখি নয়। সে একা শিকার করে, একা উড়ে, একা নেতৃত্ব দেয়। একা চলা মানে দুর্বলতা নয় বরং আপনার আত্মবিশ্বাস, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি, এবং নিজের উপর বিশ্বাসের চূড়ান্ত প্রকাশ।

শেষ কথায় বলি, যারা আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত, আপনার সাফল্যে অস্বস্তি বোধ করে তারা চায় আপনি থেমে যান। আপনার সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ হবে, আপনি থামবেন না বরং আরও ওপরে উঠবেন।

🦅 নিজেকে ঈগলের মতো তৈরি করুন যাতে কেউ আপনাকে নামাতে না পারে, কারণ আপনি তখন এমন এক উচ্চতায় থাকবেন, যেখানে কাকেরা শ্বাসও নিতে পারবে না।

The Story Writer Priyojit

02/08/2025

‎কি ভাবছো? এই যে রাগ করে কল মেসেজ বা টেক্সট করছো না ,ওপাশের মানুষটা তোমায় খুব মিস করছে?

‎তুমি একটা টেক্সট করলে সে হুমড়ি খেয়ে পড়বে রিপ্লাই দেওয়ার জন্য?
‎কিংবা সে ফোনটা হাতে নিয়ে বসে আছে,তোমার নাম্বার থেকে কলটা যাওয়ার সাথে সাথে রিসিভ করে হ্যালো বলবে?

‎যদি তুমি এগুলো ভেবে থাকো তবে ভুল ভাবছো।ওপাশের মানুষগুলো কখনো তোমাদের মিস করে না! তোমার টেক্সটের রিপ্লে দেওয়ার জন্য হুমড়ি খেয়েও পড়ে না! কিংবা তোমার কলের জন্য ফোন হাতে নিয়ে অপেক্ষাও করে না!

‎বিশ্বাস হচ্ছে না'তো? মনে মনে ভাবছো মেয়াদ উর্তীর্ণ গঞ্জিকা সেবন করে এইসব লিখছে?

‎না ভাই! গঞ্জিকা সেবন করে এসব লিখছি না।এটাই বাস্তবতা।
‎যদি বিশ্বাস না হয় তবে একটা টেক্সট করে দেখো!

‎ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যাবে তোমার মেসেজ সীন হবে না।সীন হলেও রিপ্লাই আসবেনা।কখনো কখনো ঘন্টা কয়েক অপেক্ষার পর যে রিপ্লাই আসবে,সেটা দেখার চেয়ে না দেখা তোমার জন্য ভালো হবে!

‎যে উল্লাস উদ্দীপনা নিয়ে তুমি টেক্সটা করেছিলে মুহুর্তেই সেই উদ্দীপনায় কালবৈশাখি ঝড় নামবে।

‎কল দেও একবার! রিং হতে হতে কলটা কেটে যাবে।কখনো কখনো মধুর কন্ঠে শুনবে,"আপনার কলটি এই মুহুর্তে ওয়েটিং এ আছে....." সেই মধুর কন্ঠ আর তোমার কাছে মধুর
‎লাগবে না।

‎তুমি আশা করবে ওপাশের মানুষটা কল ব্যাক করে তোমাকে এক্সকিউজ শুনাবে ওমুক কল দিছিলো,রাগ করো না ! বা বিজি ছিলাম ফোন ধরতে পারিনি।

‎কিন্তু না! ওপাশের মানুষটা ধমক দিয়ে বলবে অযথা ডিস্টার্ব করছো কেন? আর কখনো ফোন দিয়ে বিরক্ত করবা না।

‎কি ব্যাপার অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, আমার দু'বছরের ভালোবাসা,আমার তিন,আমার পাচঁ,আমার সাত!
‎এতোদিনের ভালোবাসার মানুষটা এমন কিভাবে করতে পারে?

‎পারে ভাই! মানুষ সব পারে।তুমি যার জন্য চোখের পানি ফেলছো,সে তোমার চোখের পানিতে সুইমিং বানিয়ে আরেকজন কে নিয়ে সাঁতার কাটবে।এই সবই মানুষের দ্বারা পসিবল।

‎মানুষ তো উপকারীর ঘাড়েও লাথি মারতে পারে।আর তোমার এই আবেগের ভালোবাসা তার কাছে ঢেড়ুয়া শাক!

‎এখনো সময় আছে,নিজের চোখের জলে সুইমিং বানিয়ে অন্য কাউকে সাঁতার কাটতে দিও না।এই নোনাজল কে নদী বানিয়ে সাগর ছুয়ে দেও।

‎চোখের পানির দাম অনেক।একে সস্তা করো না।মনে রাখবে, "চোখের পানিকে সস্তা করা মানে নিজেকে সস্তা করা।"

‎আর তুমি সস্তা কোনো বস্তু নও। তোমার মুল্য ও পাশের মানুষরা না দিতে পারুক, গোটা পৃথিবী দিবে।

‎নিজেকে বিকশিত করো।আর এই ভুল ভাবনা গুলো ঝেড়ে ফেলো।
‎এগিয়ে চলো গুটি গুটি পায়ে।একদিন এই পৃথিবীটা তোমারই হবে..

স্বাস্থ্য আর উপার্জন—এই দুইয়ের ভারসাম্যই জীবনের সত্যিকারের সাফল্য।আমরা প্রায় সবাই একটা বড় ভুল করি—ভাবি, আগে উপার্জন হোক,...
02/08/2025

স্বাস্থ্য আর উপার্জন—এই দুইয়ের ভারসাম্যই জীবনের সত্যিকারের সাফল্য।

আমরা প্রায় সবাই একটা বড় ভুল করি—
ভাবি, আগে উপার্জন হোক, পরে সময় নিয়ে স্বাস্থ্য ঠিক করব।
কিন্তু সেই "পরে" কখনোই আসে না।
জীবন যখন ক্লান্তির বোঝায় নুয়ে পড়ে,
তখন আমরা বুঝি—শরীরটাই ছিল আসল সম্পদ।

দিনরাত পরিশ্রম করি, পরিবারের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য।
অবশেষে যা হয়—আমাদের অর্জিত অর্থটাই
চলে যায় চিকিৎসা, ওষুধ, ক্লিনিক আর হাসপাতালে।
একটা বৃত্ত তৈরি হয়—
অর্থ উপার্জনের জন্য শরীরকে অবহেলা → অসুস্থতা → সেই অর্থ আবার স্বাস্থ্য ফেরাতে ব্যয়।

এই চক্র থেকে মুক্তি একটাই—সচেতনতা।
স্বাস্থ্য আর উপার্জনের মাঝে একটা ভারসাম্য গড়ে তোলা।

যেমন,
সকালটা নিজের জন্য রাখুন—হালকা ব্যায়াম, একটু মেডিটেশন, ভালো খাবার।
কাজের মাঝে ছোট বিরতি নিন, নিজের শ্বাসটাকেও একটু গুরুত্ব দিন।
রাতে ঠিকমতো ঘুমান—কারণ বিশ্রাম মানেই শরীরের মেরামত।

সবচেয়ে ধনী মানুষগুলোর আসল সম্পদ কী জানেন?
তাদের ভালো স্বাস্থ্য।
কারণ যত টাকা-পয়সাই থাকুক, যদি শরীর চলে না, মন শান্ত না থাকে—সবই ব্যর্থ।

টাকা দরকার, সন্দেহ নেই।
কিন্তু সেই টাকার পেছনে দৌড়াতে গিয়ে যদি নিজের শরীরকেই হারিয়ে ফেলি,
তবে সাফল্য নয়, সেটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি।

তাই এখন থেকেই শুরু হোক একসাথে দুটো পথ—উপার্জন আর নিজের যত্ন।
এই দুইয়ে মিলেই গড়ে উঠুক একটা সুন্দর, পূর্ণ জীবন।

#জীবন
#জীবনটা

01/08/2025

জীবন সব সময় সরল পথে চলে না। কখনও কখনও এমন সময় আসে, যখন আপনি একদম নির্দোষ, তারপরও চারপাশের পরিস্থিতি, মানুষ আর ঘটনাগুলো একের পর এক আপনার বিপক্ষে চলে যায়। এই সময়গুলো এতটাই হতাশাজনক যে মনে হয়, যেন গোটা দুনিয়া আপনার বিরুদ্ধে ষ'ড়য'ন্ত্র করছে।

এই সময়েই প্রকৃত ধৈর্য, সহ্যশক্তি আর মানসিক শক্তির পরীক্ষা হয়। আপনাকে দো'ষারো'প করা হতে পারে এমন কিছুর জন্য, যা আপনি করেননি। আপনার চরিত্র, বিশ্বাস, এমনকি ইচ্ছার সত্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, অনেক সময় আপনাকে খুব কাছের মানুষরাও বুঝতে চায় না, বরং পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তোলে।
তবে এমন কঠিন সময়ই মানুষকে সবচেয়ে বেশি শিক্ষা দেয়। এই দুঃসময় আপনার সহ্যশক্তিকে বাড়ায়, আপনার চুপ করে থাকা শেখায়, এবং আপনাকে ভরসা করতে শেখায়—নিজের ওপর, আর সৃষ্টিকর্তার ওপর। কারণ, সত্য একদিন ঠিকই প্রকাশ পায়।

পরিশেষে, মনে রাখতে হবে—আপনি যদি সত্যের পক্ষে থাকেন, তবে অন্ধকার যতই দীর্ঘ হোক, আলো একদিন ঠিকই আসবে। এই সময়টা পার করতে হয় মাথা ঠান্ডা রেখে, নিজেকে হারিয়ে না ফেলে। কারণ, ঝড় যতই তীব্র হোক না কেন, সূর্য আবার ঠিকই উদয় হয়।

30/07/2025

সূরাঃ আল-মুলক [67:12]

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَخْشَوْنَ رَبَّهُم بِٱلْغَيْبِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ

উচ্চারণ: ইন্নাল্লাযীনা ইয়াখশাওনা রাব্বাহুম বিলগাইবি লাহুম মাগফিরাতুওঁ ওয়া আজরুন কাবীর।

অর্থ: নিশ্চয় যারা তাদের পালনকর্তাকে না দেখে ভয় করে, তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।

As for those who fear their Lord unseen, for them is Forgiveness and a great Reward.

সূরাঃ আল-মুলক [67:13]

وَأَسِرُّوا۟ قَوْلَكُمْ أَوِ ٱجْهَرُوا۟ بِهِۦٓ إِنَّهُۥ عَلِيمٌۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ

উচ্চারণ: ওয়া আছিররূকাওলাকুম আবিজহারূবিহী ইন্নাহূ‘আলীমুম বিযা- তিসসুদূ র।

অর্থ: তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনি তো অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত।

And whether ye hide your word or publish it, He certainly has (full) knowledge, of the secrets of (all) hearts.

সূরাঃ আল-মুলক [67:14]

أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ ٱللَّطِيفُ ٱلْخَبِيرُ

উচ্চারণ: আলা- ইয়া‘লামুমান খালাকা ওয়া হুওয়াল্লাতীফুল খাবীর।

অর্থ: যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি করে জানবেন না? তিনি সূক্ষ্নজ্ঞানী, সম্যক জ্ঞাত।

Should He not know,- He that created? and He is the One that understands the finest mysteries (and) is well-acquainted (with them).

সূরাঃ আল-মুলক [67:15]

هُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلْأَرْضَ ذَلُولًا فَٱمْشُوا۟ فِى مَنَاكِبِهَا وَكُلُوا۟ مِن رِّزْقِهِۦ وَإِلَيْهِ ٱلنُّشُورُ

উচ্চারণ: হুওয়াল্লাযী জা‘আলা লাকুমুল আরদা যালূলান ফামশূফী মানা-কিবিহা- ওয়া কুলূমির রিঝকিহী ওয়া ইলাইহিন নুশূর।

অর্থ: তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে সুগম করেছেন, অতএব, তোমরা তার কাঁধে বিচরণ কর এবং তাঁর দেয়া রিযিক আহার কর। তাঁরই কাছে পুনরুজ্জীবন হবে।

It is He Who has made the earth manageable for you, so traverse ye through its tracts and enjoy of the Sustenance which He furnishes: but unto Him is the Resurrection.

বর্তমানে আপনার সব থেকে বড় শত্রু কে? ভাবুন তো, শেষ কবে শুধু নিজের কথা ভেবে শান্তিতে সময় কাটিয়েছেন? ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডি...
27/07/2025

বর্তমানে আপনার সব থেকে বড় শত্রু কে?
ভাবুন তো, শেষ কবে শুধু নিজের কথা ভেবে শান্তিতে সময় কাটিয়েছেন? ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া কি আপনাকে সেই সুযোগটা দিচ্ছে?

ফেসবুকের একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে।

এটা দুনিয়ার সব সমস্যাকে আপনার সমস্যা বানিয়ে দেয়। আপনার নিউজফিড ভরা থাকবে ট্রল, তর্ক বিতর্ক, অশ্লীলতা রাজনীতি, বা কারও জীবনের সুখ-দুঃখের গল্পে। আপনি না চাইলেও এগুলো আপনার মাথায় ঢুকে যায়।

আর শুধু কি তাই?

ফেসবুক আপনার সবচেয়ে দামি জিনিসটা ধীরে ধীরে খেয়ে ফেলে— সময়।

আপনার হয়তো ৫ মিনিটের জন্য ঢোকা, কিন্তু স্ক্রল করতে করতে কখন ৩০ মিনিট পেরিয়ে গেছে, বুঝতেও পারেন না।

ফোকাস? সেটাও ধ্বংস।

কাজের মাঝে ফেসবুক খুললেন— হঠাৎ একটা পোস্ট দেখলেন, সেটা নিয়ে ভাবতে শুরু করলেন। যে কাজটা ১ ঘণ্টায় শেষ করার কথা, সেটা এখন সারাদিন লেগে যাচ্ছে।

আর ঘুম?

অনেকেই রাতের বেলা ফোন নিয়ে শুয়ে ফেসবুক স্ক্রল করতে থাকেন। ঘণ্টা পার হয়ে যায়, ঘুম আসে না। সকালে উঠে ক্লান্তি, দিনভর মনোযোগহীনতা।

এখন কী করবেন?

১. নিয়ম তৈরি করুন।

ফেসবুক ব্যবহারে সময়ের একটা সীমা থাকা জরুরি। আপনি দিনে কতক্ষণ ফেসবুকে থাকবেন সেটা আগে থেকেই ঠিক করে নিন। উদাহরণস্বরূপ, কাজের সময় বা পড়াশোনার মাঝে ফেসবুক থেকে দূরে থাকুন। সকাল বা রাতে স্ক্রল করার অভ্যাস থাকলে সেটা কমানোর চেষ্টা করুন। এক্সপার্টরা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিটের বেশি সময় দিলে সেটা ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়।

২. নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকুক।

আপনার জীবনে ফেসবুকের ভূমিকা কী? এটা যোগাযোগের জন্য, কাজের জন্য, নাকি শুধুই বিনোদনের জন্য? এই প্রশ্নটা নিজেকে করুন। শুধু সময় কাটানোর জন্য ফেসবুকে ঢোকা মানে নিজের সময় নষ্ট করা। বরং ফেসবুক ব্যবহার করুন আপনার জীবনের কোনো প্রয়োজন মেটানোর জন্য। উদাহরণস্বরূপ, কাজের গ্রুপে আপডেট দেখুন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানুন।

৩. বিজ্ঞতার সঙ্গে এড়িয়ে চলুন।

ফেসবুকের প্রতিটা নিউজ, বিতর্ক, বা ট্রেন্ডে জড়ানো জরুরি নয়। এসব দেখে যদি আপনার মন খারাপ হয় বা মানসিক চাপ বাড়ে, তাহলে সেগুলো এড়িয়ে চলুন। সব পোস্ট বা কমেন্ট সেকশনে ঢুকতে হবে না। আপনার যা দরকার, সেটুকু দেখুন। বাকিটা স্ক্রল না করাই ভালো।

৪. ঘুমের সময় ফেসবুক নয়।

রাতের বেলা ঘুমানোর আগে ফেসবুক স্ক্রল করলে আপনার ব্রেন বিশ্রাম নিতে পারে না। স্ক্রিনের আলো মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, যার কারণে ঘুম আসতে দেরি হয়। তাই ঘুমানোর অন্তত ১ ঘণ্টা আগে ফোন সরিয়ে রাখুন। চাইলে ফোনটি আরেক ঘরে রেখে দিন।

৫. বুঝে শুনে ফলো করুন।

ফেসবুকে যাদের ফলো করছেন, তারা কি আপনাকে কোনো মানসিক শান্তি বা প্রেরণা দিচ্ছেন? যদি না দেন, তাহলে ভেবে দেখুন তাদের ফলো করা উচিত কি না। এমন মানুষদের ফলো করুন যারা ইতিবাচক, জ্ঞানবর্ধক বা অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট করেন। এর ফলে আপনার নিউজফিড শুধু সময় নষ্ট করার জায়গা হবে না, বরং আপনার উন্নতির সহায়ক হবে।

ফেসবুক আমাদের জীবনের অংশ হতে পারে, তবে পুরো জীবন নয়।

সময়, ফোকাস, আর মানসিক শান্তি— এগুলো আপনার সবচেয়ে বড় সম্পদ।

ফেসবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া যেন এগুলো চুরি করতে না পারে।

জীবনটা আপনার হাতে থাকুক, ফেসবুকের হাতে নয়।

সংগৃহীত।

👉তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।👉তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।👉তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গ...
27/07/2025

👉তোমার সন্তান তা-ই হবে, তুমি তাকে যা বলছো।
👉তাকে স্মার্ট বলেছ,... সে বিশ্বাস করবে সে স্মার্ট।
👉তাকে একরোখা বলেছ,... একটি গোঁয়ার তৈরি করে ফেলেছ তুমি।
👉যদি বলো─ "কিছুই মনে রাখতে পারো না তুমি!"... পরদিন থেকে স্কুলের পড়া মনে থাকবে না তার, এবং প্রায়ই কিছু-না-কিছু হারিয়ে ফেলবে।
👉তাকে "বেয়াদব" বললে,... তুমি কল্পনাও করতে পারবে না আগামীকাল কী প্রচণ্ড মাত্রার বেয়াদবি করবে সে তোমার সাথে, বন্ধুদের সাথে, এমনকি স্কুলেও!
👉তাকে যদি "লক্ষ্মী" বলো,... দেখবে─ যে-সহপাঠীটির সাথে কেউ খেলছে না, তাকে তোমার সন্তানটি ডেকে নিয়ে একসাথে খেলছে; দেখবে─ টিচারকে হেল্প করছে সে গড়িয়ে পড়ে যাওয়া মার্কার-পেনটি তুলে দিয়ে; দেখবে─ কান্নারত একটি শিশুকে আদর করছে সে।
💪বলো─ "তুমি বড়ো হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে 'পারবে'",... 💪"তুমি ডাক্তার হতে 'পারবে'",... "গায়িকা হতে
💪পারবে' তুমি",... "তুমি বড়ো হয়ে পেইন্টার হতে 'পারবে'";... পরমুহূর্ত থেকেই তোমার সন্তান আপ্রাণ প্রচেষ্টায় থাকবে অমন হয়ে উঠতে।
🤝গুরুত্ব দিলে, শিশু নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাববে।
অবহেলা করলে, সে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে।
🙌শিশুকে, তার ক্ষমতা চিনিয়ে দিতে হয়;
তবেই সে হয়ে ওঠে যোগ্য মানুষ, নিজের মধ্যকার ক্ষমতা চিনে নিয়ে।
❤️অতএব, তোমার শিশুসন্তানকে বলো─ "তুমি এই জগতের সুন্দরতম মানুষ।"
তোমার সন্তানটি হয়ে উঠবে তোমার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ।
সে তা-ই হবে, যা সে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে।
শিশুরা কথার জাদুতে গড়ে ওঠে। তাদের মগজ (neuro-plastic brain) ও মন এমন এক “নরম মাটির” মতো—যেখানে যে বীজ রোপণ করি, সেটিই চারা হয়ে বেড়ে ওঠে। ইতিবাচক শব্দ ও আস্থা-ভরা লেবেল তাদের আত্ম-ধারণা, আচরণ ও ভবিষ্যৎ সামর্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নীচে কুরআন-সুন্নাহ ও আধুনিক মনোবিজ্ঞানের আলোকে বুঝিয়ে দিচ্ছি, কেন “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”-ধরনের উক্তি শিশুর মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে এতো কার্যকর।
১. ইসলামী দৃষ্টিকোণ
🌱 “তুমি পারবে”— ইতিবাচক কথার শক্তি
ইসলাম, হাদীস ও মনোবিজ্ঞানের আলোকে শিশুর মানসিক গঠনে ভাষার প্রভাব
একজন শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ার অন্যতম হাতিয়ার হলো—তার অভিভাবকের মুখে উচ্চারিত শব্দ। “তুমি পারবে”, “তুমি লক্ষ্মী”, “তুমি স্মার্ট”—এমন কথা শিশুর হৃদয়ে গভীর বিশ্বাস ও আত্মসম্মান জন্মায়। পক্ষান্তরে—“তুমি বেয়াদব”, “তুমি গোঁয়ার”, “তুমি কোনো কাজেই পারো না”—এই নেতিবাচক শব্দ শিশুর আত্মমর্যাদা ধ্বংস করে দেয়।
এই বক্তব্য শুধু আধুনিক মনোবিজ্ঞানেই প্রমাণিত নয়, বরং ইসলামের মূলনীতি ও হাদীসেও এর দারুণ সামঞ্জস্য পাওয়া যায়। নিচে ইসলামী সূত্র অনুসারে চারটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি, সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা ও দলিলসহ তুলে ধরা হলো—

১. নম্র ও সদাচারী ভাষা
মূলনীতি:
শিশুর সঙ্গে সদাচারী, দয়ালু ও শুভ বাক্য ব্যবহার করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
আল্লাহ তাআলা উত্তম বাক্যকে একটি শক্তিশালী, ডালপালা ছড়ানো ফলবান বৃক্ষের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যেমন একটি গাছ বছরের পর বছর ধরে ফল দেয়, তেমনি একটি সুন্দর বাক্য শিশুর মনে স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
দলিল:
📖 “তুমি কি লক্ষ্য করোনি, কিভাবে আল্লাহ উত্তম বাণীর দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন? তা হলো এক পবিত্র বৃক্ষের মত, যার মূল মজবুত এবং শাখা আকাশে।”
— সুরা ইবরাহ ১৪:২৪-২৫

২. নিন্দা ও কটুকথা নিষেধ
মূলনীতি:
অপমানজনক নাম বা নেতিবাচক ট্যাগ ব্যবহার না করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
কোনো শিশুকে “বেয়াদব”, “অসভ্য” বা “অযোগ্য” বললে সে নিজেকে তেমন ভাবতে শুরু করে এবং সেই আচরণে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। ইসলাম কুরআনে সরাসরি নিষেধ করেছে কাউকে কষ্টদায়ক উপনামে ডাকা।
দলিল:
📖 “তোমরা একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। বিশ্বাসের পর মন্দ নামে ডাকা একটি গোনাহ।”
— সুরা হুজুরাত ৪৯:১১

৩. ভালো সংবাদ ও দোআ দেওয়া
মূলনীতি:
শিশুকে আশাবাদী ভবিষ্যতের বার্তা ও দোআ প্রদান করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ শিশুদের ভালোবাসতেন এবং তাদের জন্য দোআ করতেন। তিনি হাসান ও হুসাইন (রাঃ)-কে “আমার দুই ফুল” বলে সম্বোধন করতেন। এই সম্মান ও ভালো শব্দ শিশুর মনের মধ্যে নিজের গুরুত্ব এবং ভালো হওয়ার আগ্রহ জাগায়।
দলিল:
📘 সুনান আন-নাসাই (সহীহ):
রাসূল ﷺ হাসান ও হুসাইন সম্পর্কে বলেছেন—
“হুমা রাইহানাতাইয়া মিনাদ-দুনিয়া”
— “তারা দুনিয়ার দুই ফুল।”

৪. শিশুদের প্রতি দয়া প্রদর্শন
মূলনীতি:
শিশুর প্রতি স্নেহ, উৎসাহ ও প্রশংসা প্রদর্শন করা।
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রাসূল ﷺ বলেছেন, ছোটদের প্রতি দয়া না করা এবং বড়দের সম্মান না করা ব্যক্তি তাঁর উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। শিশুদের ওপর করুণা করা মানে তাদের ভালো বলা, উৎসাহ দেওয়া, এবং ভুলত্রুটি মাফ করা।
দলিল:
📗 তিরমিযি হাদীস ১৯১৯:
“مَنْ لَا يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَلَا يُوَقِّرْ كَبِيرَنَا فَلَيْسَ مِنَّا”
— “যে আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের সম্মান করে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
শিশুর মন একটি শূন্য ক্যানভাস—আপনি যে ভাষায় রং তুলির আঁচড় দেবেন, সে জীবনভর সেই রঙেই নিজেকে দেখবে। ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে কেবল ভালো আচরণ নয়, বরং ভালো বাক্য-ও শিশু গঠনে অপরিহার্য। তাই আসুন, আমাদের সন্তানদের জন্য এমন শব্দ বেছে নেই, যা হবে দোআ, আশীর্বাদ ও ভবিষ্যৎ নির্মাণের হাতিয়ার।
বলুন—“তুমি পারবে”, “তুমি শ্রেষ্ঠ”, “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—এবং দেখুন, আপনার সন্তান কীভাবে হয়ে ওঠে আপনার জীবনের সেরা উপহার।
ফলাফল → ইতিবাচক ভাষার মাধ্যমে পিতা-মাতা সুন্নাহ পালন ও সন্তানের হৃদয়ে ঈমানী আত্ম-সম্মান গেঁথে দেন।
২. মনোবিজ্ঞানী দৃষ্টিকোণ
1. পিগম্যালিয়ন/রোসেনথাল এফেক্ট
• শিক্ষা-গবেষণায় দেখা গেছে, যে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক “তারা এগিয়ে যাবে”-ধরনের প্রত্যাশা পোষণ করেন, তারাই পরীক্ষায় ঝলসে ওঠে।
• বাচ্চাকে “স্মার্ট”, “লক্ষ্মী” বলা এই স্ব-সম্পূরক ভবিষ্যদ্বাণী (self-fulfilling prophecy) সক্রিয় করে।
2. লেবেলিং ও সেলফ-স্ক্রিপ্ট
• নেতিবাচক লেবেল (যেমন “বেয়াদব”) শিশুকে নিজেকে ঐ রূপে দেখতে শেখায়—ফলে আচরণেও তা ফুটে ওঠে (Labelling theory, Becker, 1963).
3. আত্ম-কার্যকারিতা (Self-Efficacy)
• আলবার্ট বান্দুরার মতে “আমি পারি”-বিশ্বাস কঠিন কাজেও অধ্যবসায় বাড়ায়। পিতা-মাতার “তুমি ডাক্তার হতে পারবে” উচ্চ-স্বপ্ন এই বিশ্বাস জাগায়।
4. গ্রোথ মাইন্ডসেট
• ক্যারল ডুএক দেখিয়েছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনশীল—এমন বার্তা শিশুকে চ্যালেঞ্জে স্থিত রাখে। “পারবে”-ধরনের বাক্য এই মানসিকতা তৈরি করে।
5. অভ্যন্তরীণ উৎসাহ বনাম বাহ্যিক শাস্তি
• সদ্ভাষা ও স্বীকৃতি ছাত্রের ভেতরকার মোটিভেশন জাগায়; বারবার শাসন কেবল বাহ্যিক শৃঙ্খলা টিকে রাখে, কিন্তু সৃজনশীলতা দমিয়ে দেয় (Ryan & Deci, 2000).

৩. বাস্তব-প্রভাব: কীভাবে শিশুর বিকাশে সহায়তা করে?
• আত্ম-সম্মান বাড়ে → শিশুর Cortisol-স্তর কমে, উদ্বেগ-ভীতি ধরে না; শেখার জানালা প্রশস্ত হয়।
• সামাজিক সহমর্মিতা শেখে → “তুমি লক্ষ্মী” শুনে সে Empathy-র উদাহরণ দেখাতে চায়—বন্ধুকে খেলায় নেয়, ছোটদের আদর করে।
• ভাষা-আচরণে ইতিবাচক চক্র → ভালো কথা শুনে সে অন্যকেও ভালো কথা বলে; “আল-কালিমাহ আত-তইয়্যিবাহ”-র ধারাবাহিকতা গড়ে।
• লক্ষ্য-নির্দিষ্ট প্রচেষ্টা → “ডাক্তার হবে”-মন্ত্র শিশুকে পাঠ্যবই, কুদরতির ডায়াগ্রাম, STEM খেলনায় আগ্রহী করে তোলে; পরিকল্পনা-ক্ষমতা বাড়ে।
• ক্ষমতায়নের অনুভূতি → যে সন্তান বাড়িতে সম্মান পায়, বাইরের বিশ্বে অবমূল্যোচনার মুখেও ডিগ্রী হারায় না; রেজিলিয়েন্স তৈরি হয়।

৪. কীভাবে প্রয়োগ করবেন? ৫টি সহজ কৌশল
1. সুনির্দিষ্ট প্রশংসা দিন
• বলুন, “তুমি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করেছ, দারুণ!”—শুধু “ভাল” না বলে আচরণও উল্লেখ করুন।
2. নেতিবাচক ঘটনার “ব্যবহারিক ভাষা”
• “তুমি বেয়াদব” না বলে—“তোমার আচরণটা বন্ধুকে কষ্ট দিয়েছে; কীভাবে ঠিক করবো?”
3. দোআ ও শুভকামনা
• ঘুমানোর আগে মাথায় হাত রেখে “আল্লাহ তোমাকে নেক বান্দা করুন”—ইসলামি ইতিবাচক লেবেল।
4. মিশন-ভিত্তিক খেলা দিন
• “আজ আমরা ইঞ্জিনিয়ারদের মতো একটি সেতু বানাব”—লক্ষ্যের প্রতি মজার অনুশীলন।
5. নিজের ভাষার শুদ্ধি অনুশীলন
• এক সপ্তাহ “নিষিদ্ধ শব্দ তালিকা” রাখুন—নেগেটিভ ট্যাগ বললে নিজেকেই জরিমানা দিন; পরিবারে ইতিবাচক সংস্কৃতি গড়ুন।
উপসংহার
কুরআনের “পবিত্র বাক্য”-এর তুলনা ও নবী ﷺ-এর স্নেহব্যবহার আধুনিক মনোবিজ্ঞানের ফলাফলগুলোর সাথে মিলে যায়—ভালো কথা শিশুর মনের রাসায়নিক বাস্তবতা, মানসিক গঠন ও সামাজিক দক্ষতা রূপান্তরিত করে। কাজেই “তুমি পারবে”—এই বিশ্বাস-শব্দই আপনার সন্তানের জীবনের নকশা আঁকে। আওয়াজ দিন, ভালো শব্দ বুনুন; কাল সে-ই আপনার জীবনের সুন্দরতম উদাহরণ হয়ে ফিরবে—ইন-শা-আল্লাহ।

"জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সমস্যা থাকবে, থাকবে দুশ্চিন্তা।"এই পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যার জীবনে কোনো সমস্যা নেই। আমরা প...
25/07/2025

"জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে সমস্যা থাকবে, থাকবে দুশ্চিন্তা।"
এই পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যার জীবনে কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্রত্যেকেই আমাদের নিজস্ব লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত। কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হলো—এই লড়াই আমাদের আরও শক্তিশালী করে।

মানুষের অন্তরে যত নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে, তা জয় করার জন্য প্রতিনিয়ত নিজেকে গড়ে তুলতে হয়। জীবনের পথে হাজারো বাধা আসবেই, কিন্তু সেগুলোর মোকাবিলা করতে হলে প্রয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং অবিচল মনোভাব।

যারা হতাশার মাঝেও আশা খুঁজে পায়, যারা নিজেদের দুর্বলতাকে শক্তিতে পরিণত করতে জানে, তারাই জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। আর এই মানসিক শক্তি ও ইতিবাচকতার ফলেই আসে সত্যিকারের সফলতা।

তাই, যদি কখনো মনে হয় জীবন খুব কঠিন, যদি মনে হয় দুশ্চিন্তার পাহাড় জমে উঠছে—তখন নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন, "আমি পারব। আমার ভেতরের শক্তি অদম্য।"

সফলতা কেবল তাদেরই ধরা দেয়, যারা সাহস নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। আজ লড়াই করুন, কাল জয়ের গল্প লিখুন।
বাঁচুন বিশ্বাস নিয়ে, এগিয়ে চলুন সাহস নিয়ে।।🙂
Collected

25/07/2025

❝ ভুল করো। কারণ, তাতেই তোমার মূল্য বাড়ে। ❞

মাঝে মাঝে ভুল বলো। না হলে বুঝবে কী করে, মানুষ তোমার কথা শুনছে কিনা!
মাঝে মাঝে ভুল লিখো। তবেই সেই মানুষও মন্তব্য করবে, যে আজীবন প্রতিজ্ঞা করেছে, তোমার কোনো পোস্টে কমেন্ট করবে না!

স্ট্যাসি বালিসের বইয়ের নাম ছিল—"How to Change a Life"। দ্বিতীয় সংস্করণে ভুলে ছাপা হলো—"How to Change a Wife"!
সেই 'ভুল'–ই বইটিকে করে দিল বেস্টসেলার।

ভুল মানেই ব্যর্থতা না। বরং, অনেক সময় ভুল–ই হয়ে ওঠে উত্তরণের সিঁড়ি।

দুধ নষ্ট হলে দই হয়, দাম বাড়ে। দই–ও নষ্ট হলে পনির হয়—আরও দামি।
আঙুর টক হলে তা রূপ নেয় ওয়াইনে, যার দাম আঙুরের চেয়ে ঢের বেশি।

ভুল মানেই তোমার অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হওয়া। ভুল মানেই শিখে ফেলার নতুন একটা সুযোগ।

কলম্বাস নেভিগেশনে ভুল করেছিলেন বলেই আমেরিকা আবিষ্কৃত হয়েছে।
ফ্লেমিং–এর ভুল থেকেই আবিষ্কৃত হয় পেনিসিলিন।
এডিসন বারবার ভুল করতেন, আর তাতেই আবিষ্কার হত নতুন কিছু।

তিনি বলেছিলেন—
❝ আমি ভুল করিনি। আমি শুধু এমন ১০০০টা উপায় আবিষ্কার করেছি যেগুলো কাজ করে না। ❞

রবিন শর্মা বলেন— ❝ ভুল বলে কিছু নেই, সবই নতুন শিক্ষা। ❞
আলবার্ট আইনস্টাইন বলেন— ❝ যে ভুল করেনি, সে কখনো চেষ্টা করেনি। ❞
রিচার্ড ব্রানসন বলেন— ❝ নিয়ম মেনে কেউ হাঁটা শেখে না, ভুল করতে করতেই শেখে। ❞
কলিন পাওয়েল বলেন— ❝ নেতা জন্মায় না, তৈরি হয় ভুলের মধ্য দিয়ে। ❞
মাইকেল জর্ডান বলেন— ❝ আমি এত বেশি ভুল করেছি, তবেই সফল হয়েছি। ❞
হেনরি ফোর্ড বলেন— ❝ ভুল হলো নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ। ❞

একজন প্রেমিকও বলে ফেলেছিল এক অসাধারণ কথা—
❝ ভুল মানুষের প্রেমে পড়াও একটা সুযোগ—আরো ভালো কাউকে ভালোবাসার। ❞

সত্যিকারের মানুষ কখনোই পুরোপুরি নির্ভুল নয়। কারণ, ভুল না করলে শেখা যায় না।

তাই, পেন্সিল হও।
ভুল করলে ঘষে মুছে নাও, আবার শুরু করো।
কলম হলে ভুল ঢাকার সুযোগ থাকে না, আর আঁকা যায় না সুন্দর কোনো চিত্র।

ভুল করো, শেখো, আবার চেষ্টা করো।
কারণ, ভুল মানুষকেই মানুষ করে তোলে।

---©
#অনুপ্রেরণা #মোটিভেশন #ভুল

জীবনের Success কি??এক মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে পাওয়া অসাধারণ একটি চিঠি :যখন জন্মালাম বাবা মা ভাবল এটা তাদের "Success"!যখন...
22/07/2025

জীবনের Success কি??
এক মৃত ব্যক্তির পকেট থেকে পাওয়া অসাধারণ একটি চিঠি :
যখন জন্মালাম বাবা মা ভাবল এটা তাদের "Success"!
যখন হাঁটতে শিখলাম মনে হল এটাই success!
যখন কথা বলতে শিখলাম মনে হল এটাই success!
এরপর স্কুলে গেলাম, শিখলাম first হওয়াটা বা সবার চেয়ে বেশি নম্বর পাওয়াই success!
এরপর বুঝলাম, না, আসলে মাধ্যমিকে স্টার পাওয়াটাই success!
ভুল ভাঙল, বুঝলাম উচ্চমাধ্যমিকে এই রেজাল্টটা ধরে রাখাই success!
এখানেই শেষ নয়, এরপর বুঝলাম ভালো সাবজেক্ট নিয়ে ভালো কোনো জায়গায় চান্স পাওয়াটাই success, যেটা পড়লে একটা ভালো চাকরি পাওয়া যাবে।
আরো পরে বুঝলাম যে, পড়া শেষে ভালো চাকরী পাওয়া এবং অনেক রোজগার করাটাই success।
এরপর বুঝলাম, নিজের টাকায় একটি ছোট বাড়ি করাই success।
পরে বুঝলাম, সেটাও নয়, নিজের টাকায় এরপর গাড়ি কেনাটাই আসল success!
আবার ভুল ভাঙল, এরপর দেখলাম ভাল দেখে বিয়ে করে সুখে সংসার করাটাই আসল success।
বছর ঘুরলো, দেখলাম আসলে বিয়ে করে বংশধর এনে তাকে ভালো ভাবে বড় করাটাই success, ছেলে হলে তাকে প্রতিষ্ঠিত করাটাই success, মেয়ে হলে একটা ভালো ফ‍্যামেলীর ভালো চাকুরীর ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়াটাই success।
এরপর এলো আমার রিটায়ারমেন্ট, সারা জীবনের জমানো টাকার সঠিক investment করে utilization করতে পারাই success!
এরপর যখন সবাই মিলে একাকী কবরে রেখে মাটি চাপার প্রস্তুতি নিল, মরার একটু আগেই বুঝলাম, পৃথিবীতে success বলে কোন কিছুই স্থায়ী লক্ষ্য নেই!
পুরোটাই এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজের তৈরী করা একটা competition। যার মূলে আছে আকাশ ছোঁয়া আকাঙ্খা, যা কখনো পূর্ণ হবার নয়।
তখন বুঝতে পারলাম এর থেকে জীবনের প্রতিদিন বা প্রতি মূহুর্ত আনন্দের সঙ্গে সুস্থ থাকা ও অন্যের জন্য কাজ করতে পারাই success এর মূল লক্ষ্য হলে অনেক ভালো হতো!
কিন্তু এটা বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছি।
জীবন কে খুঁজুন, জীবন কে বুঝুন!
নিজেকে ভালবাসুন।
অন্যদের সম্মান দিন, ভালবাসুন। বিশেষ করে যাদের ভালবাসার খুবই প্রয়োজন।
শেষ অবধি ভালবাসাপূর্ণ, আনন্দঘন আর সুস্থ একটি জীবনযাত্রা সম্পন্ন করতে পারাই সফলতা!!

21/07/2025

আঘাতটা যত কঠিন হোক না কেন মনোবল যেন তার দ্বিগুন হয় তবেই আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন। মনোবলে ঘাটতি হলে আপনি পিছিয়ে যাবেন।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when A T M Monzurul Karim posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share