সকল - Sokol

সকল - Sokol First ever News based Multi media "Sokol" telling about our Country.

জুলাই মাসজুড়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এক...
04/08/2025

জুলাই মাসজুড়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “জুলাই আমাদের সবার”—এ লড়াইয়ের কোনো একক দাবি নেই, বরং এটি সমষ্টির সংগ্রাম।

ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, দলীয় বা আদর্শিক মতপার্থক্যের কারণে কারো অবদান অস্বীকার করা অনুচিত। তিনি বিশ্লেষণ করে বলেন, কীভাবে দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষ এই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে।

মাহফুজ আলম উল্লেখ করেন, ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের 'জনশক্তি' ও সাংগঠনিক সমন্বয়ের মাধ্যমে আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। ছাত্রদল ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্যাসিস্ট বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সরাসরি সংঘাতে অংশ নেয়। অন্যদিকে ছাত্রশক্তি সামনে থেকে মাঠ পরিচালনা করেছে, সিভিল সোসাইটি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আস্থা তৈরি করেছে।

ছাত্র ইউনিয়নের একটি অংশ, ছাত্র ফেডারেশন ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলো মাঠে সক্রিয় থেকেছে এবং রাজনৈতিক ভাষা ধরে রেখেছে। বামপন্থী সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো জনগণের মাঝে সাহস সঞ্চার করেছে।

তিনি আরও বলেন, আলেম সমাজ ও মাদ্রাসা ছাত্ররা রাজপথে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েছে—যার প্রমাণ যাত্রাবাড়ীর দীর্ঘ প্রতিরোধ। শ্রমজীবী মানুষ, প্রাইভেটের শিক্ষার্থীরা, রিকশাচালক ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ রাজপথে সক্রিয় ছিল। নারীরা আহতদের সহায়তা করেছে, আর মায়েরা ও বোনেরা কার্ফিউর মধ্যেও সাহস জুগিয়েছেন।

বিশেষভাবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারাই অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে অভ্যুত্থান এগিয়ে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নীরবে কিন্তু কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে।

তিনি স্বীকার করেন, ছাত্রলীগের একটি অংশ বিদ্রোহ করে অভ্যুত্থানে যোগ দেয় এবং উঠতি মধ্যবিত্ত শ্রেণির অংশগ্রহণ জুলাইয়ের শেষ দিকে আন্দোলনকে ব্যাপকতা দেয়।

তথ্য উপদেষ্টা জানান, পেশাজীবী সংগঠন, মিডিয়া ও সংস্কৃতি জগতের মানুষ, এমনকি প্রবাসীরা পর্যন্ত এ আন্দোলনকে আন্তর্জাতিক পরিসরে পরিচিত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও র‍্যাপাররা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “জনগণের লড়াইয়ে কার কোন অবদান অস্বীকার করবেন?”

সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা সামনে এনে তার এই বিবৃতি সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চলছে প্রস্তুতি,  ৩৬ জুলাইয়ের জন্য নতুন সাজে সাজছে মানিক মিয়া এভিনিউ,,,,  #ঢাকা  #বাংলাদেশ  #জুলাই
04/08/2025

চলছে প্রস্তুতি, ৩৬ জুলাইয়ের জন্য নতুন সাজে সাজছে মানিক মিয়া এভিনিউ,,,,

#ঢাকা #বাংলাদেশ #জুলাই

সাভারের পুলিশের এপিসি থেকে গু লি/বিদ্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থী আস-হাবুল ইয়ামিনকে ফেলে হ/ ত্যায় জড়িত এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্র...
03/08/2025

সাভারের পুলিশের এপিসি থেকে গু লি/বিদ্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থী আস-হাবুল ইয়ামিনকে ফেলে হ/ ত্যায় জড়িত এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রে/ প্তার করেছে পুলিশ। গ্রে/ প্তারকৃত এএসআই মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মা/ ম লায় গ্রে' প্তা রি পরোয়ানা জারি ছিল।

একই দিনে সম্পন্ন হলো ছাত্রদল ও এনসিপির সমাবেশ। শাহবাগে ছাত্রদল, শহীদ মিনারে এনসিপি,,,,,   #ছাত্রদল  #এনসিপি    #সমাবেশ
03/08/2025

একই দিনে সম্পন্ন হলো ছাত্রদল ও এনসিপির সমাবেশ।
শাহবাগে ছাত্রদল, শহীদ মিনারে এনসিপি,,,,,

#ছাত্রদল #এনসিপি #সমাবেশ

দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে পারে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তা...
03/08/2025

দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে পারে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান যদি নির্দেশনা দেন, নেতা–কর্মীরা সারা দেশ অবরোধ করে দিতে পারে।

~ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম

#সমাবেশ #ছাত্রদল

জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পানির টাংকি ও টয়লেট,,,, #এনসিপি  #সমাবেশ
03/08/2025

জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পানির টাংকি ও টয়লেট,,,,

#এনসিপি #সমাবেশ

ছাত্রদলের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিভিন্ন সড়কগুলোতে ছ...
03/08/2025

ছাত্রদলের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল -বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিভিন্ন সড়কগুলোতে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপচে পড়া ভীড়,,,,,

#ছাত্রদল

জাতীয় নাগরিক পার্টি -এনসিপির সমাবেশে ধীরে ধীরে বাড়ছে নেতাকর্মীদের সমাগম। ছবি : ০৫ টা ১০ মিনিট   #এনসিপি  #সমাবেশ
03/08/2025

জাতীয় নাগরিক পার্টি -এনসিপির সমাবেশে ধীরে ধীরে বাড়ছে নেতাকর্মীদের সমাগম।

ছবি : ০৫ টা ১০ মিনিট

#এনসিপি #সমাবেশ

কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছাত্র সমাবেশ শুরু হয়েছে। ...
03/08/2025

কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ছাত্র সমাবেশ শুরু হয়েছে।

#ছাত্রদল

পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের গর্ব, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বপ্নের সেতু। এই সেতু বহু মানুষের যাত্রাকে করেছে সহজ, সময়কে করে...
03/08/2025

পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের গর্ব, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের স্বপ্নের সেতু। এই সেতু বহু মানুষের যাত্রাকে করেছে সহজ, সময়কে করেছে সংক্ষিপ্ত। কিন্তু সেই একই সেতুতে ও এর ঢালেই থেমে গেছে অনেক জীবন। নতুন করে এই সেতুতে বাস চাপায় নিহতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও দুই তরুণ।

শনিবার রাত ১১টা ২০ মিনিট। জাজিরা উপজেলার নাওডোবা প্রান্ত, পদ্মা সেতুর দক্ষিণ টোলপ্লাজার কাছাকাছি। দ্রুতগতির একটি বাসের চাপায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় একটি মোটরসাইকেল। আর সেই মোটরসাইকেলের আরোহী ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের মোহাম্মদ আলী অন্তু ও মো. সুজন মুহূর্তেই হারিয়ে যান জীবনের গন্তব্য থেকে।

দুই বন্ধু, যারা হয়তো কোনো আনন্দময় মুহূর্ত ভাগাভাগি করে বাড়ি ফিরছিলেন, কিংবা জীবনের ক্লান্তি ভুলে একটু মুক্ত হাওয়া খুঁজছিলেন পদ্মা সেতুর বাতাসে। কে জানতো, এটাই তাদের শেষ পথ হবে?

হাইওয়ে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, দ্রুতগতির মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এরপরই পেছন থেকে আসা একটি বাস চাপা দেয় তাদের। কিছু মুহূর্তের ব্যবধানে শেষ হয়ে যায় দুটি তাজা প্রাণ, দুটি স্বপ্ন, দুটি পরিবারের ভরসা।

পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নকির আকরাম হোসেন বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। লাশ উদ্ধার করে শিবচর হাইওয়ে থানাকে জানানো হয়। পরে তারা এসে লাশ গ্রহণ করে।”

রাত গভীর হলেও থেমে থাকেনি হাহাকার। অন্তু ও সুজনের পরিবারে তখন চলছে মাতম। বাবা-মা, ভাইবোন কিংবা বন্ধুরা ~যারা শেষবারের মতো তাদের হাসিমুখ দেখেনি, যাদের কাছে এখন কেবল স্মৃতি, ছবি আর অপূর্ণ প্রশ্নের বোঝা।

এই দুর্ঘটনা আবারও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো—সড়ক এখনও নিরাপদ নয়। সেতুর মতো কাঠামো যতই উন্নত হোক না কেন, যদি আমরা সচেতন না হই, যদি গতি আর বেপরোয়া চালনার লাগাম না টানি ~তাহলে এমন হৃদয়বিদারক সংবাদ প্রতিদিনই কাঁদাবে কোনো না কোনো পরিবারকে।

অন্তু ও সুজন হয়তো আর কখনো ফিরবেন না, কিন্তু তাদের এই অকাল মৃত্যু যেন আমাদের সবার জন্য একটা বার্তা হয় ~জীবনকে হেলায় নয়, সচেতনতায় ভালোবাসুন।

বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন আমরা এমন এক বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছি, যা আমাদের শরীর ও মনের জন্য ভয়াবহ হুমকি তৈরি করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সং...
02/08/2025

বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন আমরা এমন এক বায়ুতে শ্বাস নিচ্ছি, যা আমাদের শরীর ও মনের জন্য ভয়াবহ হুমকি তৈরি করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) এক ওয়েবিনারে সংস্থাটির পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. মারিয়া নেইরা জানিয়েছেন, বিশ্বের ১০ জনের মধ্যে ৯ জন মানুষ এমন বায়ু গ্রহণ করছেন, যা কোনোভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বস্তুকণা, কার্বন মনোক্সাইড ও ওজোনের মতো গ্যাস কেবল ফুসফুস নয়, আমাদের মস্তিষ্কেও সরাসরি আঘাত হানছে।

এ দূষণের প্রভাবে মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে মারাত্মকভাবে। বিশেষত বিষণ্নতা, উদ্বেগ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাসের মতো মানসিক জটিলতা বেড়ে চলেছে। ভয়াবহ বিষয় হলো—এই ধ্বংসাত্মক প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে শিশুদের ওপর। গবেষণায় উঠে এসেছে, গর্ভকালীন সময়েই যদি শিশু দূষণের শিকার হয়, তাহলে জন্মের সময় কম ওজন, দুর্বল বুদ্ধিবিকাশ ও শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। বড় হওয়ার পর হাঁপানি, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকিও থেকে যায়।

শহরাঞ্চলের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে কিংবা খেলার সময় শিশুরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দূষিত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। তাদের ফুসফুস ছোট, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেশি এবং তারা নিজেদের মতো করে দূষণের উৎস থেকে সরে যাওয়ার ক্ষমতাও রাখে না। ফলে দূষণের প্রভাব তাদের শরীর ও মনে দ্বিগুণ ক্ষতি ডেকে আনছে।

অথচ এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচার পথ আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুসরণ করে পরিবেশ আইন তৈরি করেছে। চীন শিল্পায়ন বজায় রেখেও প্রযুক্তি ও নীতিগত হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বায়ু দূষণ কমিয়েছে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ৫০ শতাংশ দূষণ হ্রাস সম্ভব হয়েছে সবুজ এলাকা বৃদ্ধি, ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং শহরজুড়ে সাইকেলপথ সম্প্রসারণের মাধ্যমে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, বিশেষ করে ঢাকায়, বায়ু দূষণ এখন নিঃশব্দ ঘাতকে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু, বৃদ্ধ, রোগী এবং সুস্থ মানুষ ধীরে ধীরে ভুগছে দূষণের অনিবার্য ক্ষতির মধ্যে। যদিও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মাস্ক ব্যবহার বা গাছ লাগানোর মতো পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তবে সামগ্রিক সমাধানের জন্য রাষ্ট্রীয় নীতিই একমাত্র পথ।

জনসচেতনতা তৈরি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার মাধ্যমে দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা এক বিষাক্ত পৃথিবীর মুখে ঠেলে দিচ্ছি। এখনই সময় পরিবর্তনের। নতুবা শ্বাস নিতে গিয়ে মৃত্যুর পথে হাঁটবে একটি জাতি।

→ শিক্ষার মান নিয়ে গভীর উদ্বেগ; গবেষণায় উঠে এলো ভয়াবহ চিত্র: বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর...
02/08/2025

→ শিক্ষার মান নিয়ে গভীর উদ্বেগ; গবেষণায় উঠে এলো ভয়াবহ চিত্র:
বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত মান নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। একাধিক গবেষণা ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষণ বলছে, এইচএসসি পাস করেও শিক্ষার্থীরা গড়ে আন্তর্জাতিকভাবে সপ্তম শ্রেণির সমতুল্য জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করছেন। বিষয়টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত মান নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলেছে।

বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ১৮ বছর বয়সে শিক্ষার্থীরা গড়ে মাত্র ৬.৫ বছর সমমানের মানসম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছে, যেখানে ১১ বছর শেখা হওয়ার কথা। অর্থাৎ শেখার ঘাটতি ৪.৫ বছর। আন্তর্জাতিক টেস্ট স্কোরে বাংলাদেশের গড় স্কোর ৩৬৮, যেখানে ‘উন্নত অর্জনের’ জন্য প্রয়োজন ৬২৫ স্কোর।

→ শিক্ষার পরিমাণ বেড়েছে, গুণমান তলানিতে:
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষার গুণগত মানে কোনো উন্নয়ন হয়নি। মুখস্থ নির্ভর শিক্ষা, গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরতা, যোগ্য শিক্ষকের অভাব এবং প্রশিক্ষণহীন পাঠদান পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিশ্লেষণ ক্ষমতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও বাস্তব জ্ঞান গড়ে উঠছে না।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, “পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। প্রাথমিকের শিক্ষকরা মোটিভেটেড নন, সঠিকভাবে শেখাতে পারছেন না। শিক্ষকরা অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ না দিয়ে প্রশাসনিক কাজেই ব্যস্ত থাকেন। ফলে শিখন ঘাটতি নিয়েই শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রবেশ করছেন। পরবর্তীতে এই ঘাটতি আর পূরণ হচ্ছে না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মনিনুর রশিদ বলেন, “ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করে। কারণ তারা মৌলিকভাবে শিক্ষায় দুর্বল। এর কারণ প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি। এই ঘাটতি একদিনে তৈরি হয়নি। বিগত কয়েকযুগ ধরে পাশের হার বেশি দেখানো হয়েছে। যোগ্য শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা সঠিক পাঠদান পায়নি। আমরা ভালো শিক্ষক নিয়োগ দিতে চাই না। কারণ তারা বেশি বেতন ছাড়া শিক্ষকতা পেশায় আসবেন না। ভালো শিক্ষক না হলে শিক্ষার্থীরা শিখবে কীভাবে? এর ফল আজকের এই অবনতি। "

→ শিক্ষকদের সংকট ও পাঠদান ঘাটতি:
শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতির অন্যতম কারণ হলো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাব এবং শিক্ষকতার পেশায় মেধাবীদের অনাগ্রহ। শহর ও গ্রামের শিক্ষকদের দক্ষতায় পার্থক্য, স্কুলে পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া এবং কম বেতন—সব মিলিয়ে শিক্ষা খাতে দীর্ঘদিন ধরে সংকট চলছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর পরিচালক প্রফেসর ড. গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, “ মেধাবীদের এ পেশায় আকৃষ্ট করতে না পারায় আমাদের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পাওয়ার পেছনে দৌড়াচ্ছে, মৌলিক শিক্ষা নিচ্ছে না। ফলে বাস্তব জীবনে তারা ব্যর্থ হচ্ছে।”

→কারিকুলামের অস্থিরতা ও মুখস্থ শিক্ষার প্রভাব:
বর্তমানে পাঠ্যক্রমে ঘন ঘন পরিবর্তন এবং আইসিটি, গণিতসহ বিভিন্ন বিষয় মুখস্থ করে শেখানোর প্রবণতা শিক্ষার্থীদের স্বচ্ছ ও বিশ্লেষণধর্মী চিন্তার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষা শুধুই পরীক্ষা পাসের জন্য নয়, বরং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা ও বিশ্লেষণক্ষমতা তৈরির ক্ষেত্র হওয়া উচিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এখনো শিক্ষাব্যবস্থায় শেখার চেয়ে নম্বর পাওয়াকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে বহু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে মৌলিক প্রশ্ন বুঝতে পারে না, কিংবা গবেষণা-ভিত্তিক শিক্ষায় টিকে থাকতে পারে না।

→জাতীয় অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে শিক্ষার দুর্বলতা:
শুধু শিক্ষার গুণগত দুর্বলতা নয়, এই ঘাটতি দেশের অর্থনীতিতেও ফেলছে গুরুতর প্রভাব। দক্ষ মানবসম্পদের অভাবে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ছে। উৎপাদনশীলতা হ্রাস পাচ্ছে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের পথ জটিল হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের মানবসম্পদ সূচক অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্কোর ০.৪৮। অর্থাৎ আজকের শিশু ভবিষ্যতে তার সম্ভাব্য উৎপাদনক্ষমতার মাত্র ৪৮ শতাংশ অর্জন করতে পারবে।

→ কী করণীয়? বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ:
শিক্ষাবিদরা বলছেন, সংকট নিরসনে বেশ কিছু বিষয়ে জোর দিতে হবে:

★শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও বেতন বাড়ানো
★পাঠ্যক্রমে বিশ্লেষণধর্মী শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা
★পরীক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনা
★গ্রাম ও শহরের শিক্ষার ব্যবধান কমানো
★শিক্ষায় বাজেট বাড়ানো ও বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা
★শিক্ষার্থীদের মুখস্থ নির্ভরতা থেকে বিশ্লেষণক্ষমতার দিকে এগিয়ে নেওয়া

→ মুখস্থ নয়, চাই দক্ষতা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা:
শুধু সনদধারী নয়, দরকার দক্ষ ও চিন্তাশীল মানবসম্পদ। শিক্ষাব্যবস্থা যদি বাস্তবমুখী, বিশ্লেষণভিত্তিক ও দক্ষতাভিত্তিক না হয়, তাহলে শুধু উন্নত ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানকেও পিছিয়ে পড়তে হবে। এখনই সময় শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তনের করার৷ নইলে এইচএসসি পাশ করেও শিক্ষার্থীরা বিশ্বমঞ্চে কেবল সপ্তম শ্রেণির সমতুল্য হয়ে থাকবে।

#শিক্ষা #এসএসসি #এইচএসসি

Address

Airport
Dhaka
1230

Telephone

+8801923922650

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when সকল - Sokol posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to সকল - Sokol:

Share