কোরআন এবং হাদীস

কোরআন এবং হাদীস মো: জুয়েল সরকার

05/09/2025

পাওয়া গেলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন এবং তাহা পালনের নির্দিষ্ট ইবাদত কি?

প্রচলিত তথ্য নয় — বরং সহিহ হাদীসই একমাত্র গ্রহণযোগ্য। নিচে সেই সহিহ হাদীসটি দিচ্ছি, যেখানে রাসূলুল্লাহ ﷺ একটি হাদীসে তাঁর জন্মদিন সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন, যা "সোমবার" দিনের তাৎপর্য বোঝাতে বলা হয়েছে।
---
আরবী:
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ، سُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الِاثْنَيْنِ، فَقَالَ:

"فِيهِ وُلِدْتُ، وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ"
---
💌 বাংলা অনুবাদ:
আবু কাতাদা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে "সোমবারে রোযা রাখার কারণ" সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন:
"এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমার প্রতি ওহী নাজিল করা হয়েছে।"

— (সহিহ মুসলিম, হাদীস: 1162)
---
💌 ব্যাখ্যা:
- এখানে "সোমবার" দিনটি স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
- কোনো তারিখ (১২, ১৩, ১৫ ইত্যাদি) উল্লেখ নেই। এটা শুধুমাত্র ঐতিহাসিক গণ মনে করেন একটা হিসাবের জন্য। কিন্তু এটা আমলের জন্য না।।
- এই হাদীসের ভিত্তিতেই বলা যায়, জন্মের দিন ছিল সোমবার, কিন্তু তারিখ নির্দিষ্ট নয়।
---
✅ সুতরাং: প্রমাণিত সহিহ হাদীসে কেবল সোমবার বলা হয়েছে — ১২ রবিউল আউয়াল বা এরকম তারিখ নয়।

27/08/2025

ছেলে মেয়ের ফ্রি মিক্সিং জিনাহ্ এর ওপর নাম মিটআপ/ পিকনিক (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)
-------------------------
আসসালামু আলাইকুম।

💌 1. মানুষের গুনাহ প্রচার না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ মাফ করেন। প্রচার = সাক্ষী হইলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আর মাফ করেন না। আবার একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে নাচানাচি গান বাজনা। ভাবতেই মাথা ঘুরে আসে। (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)

💌 2. # এখানে কতগুলো হারাম কাজ হচ্ছে?

1 বেগানা মহিলার দিকে তাকানোটাই হারাম, 2 কোন মহিলা পর পুরুষের সামনে নিজের শরীর সৌন্দর্য দেখানো হারাম, 3 গান-বাজনা হারাম, আর অপচয় এর কথা বাদই দিলাম। এতগুলো হারাম কাজ করছেন সকলে মিলে। আবার সেগুলো অনলাইনে প্রচার করছেন কোটি কোটি মানুষ সাক্ষী হচ্ছে। (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)

💌 3. পাপী দুই প্রকার । পাপ করে মজা পায় আরেকটা আছে অনুতাপ করে। সৃষ্টির প্রারম্ভে আদম আলাইহিস সালাম ভুল করেছিলেন, ইবলিশও ভুল করেছিল। আর দুই ধরনের লোকের মধ্যে আল্লাহতালা সেই পাপীকে ভালোবাসেন যে পাপী পাপ করার পরেই তওবা করে।

💌4. সৃষ্টির শুরুতে আদম আলাইহিস সালাম একটি ভুল করেছিলেন এবং ইবলিশ একটি ভুল করেছিল। একজন অনুতাপ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন আর একজন মজা পেয়েছিলো। তাই অনুতাপকারী তাওবাহকারি ক্ষমা পেয়েছিলেন আরেকজন হয়েছিলো অভিশপ্ত শয়তান। এটা মুখের কথা নয়, এটা পবিত্র কুরআন সূরা বাকারার দ্বিতীয় পৃষ্ঠা এবং পবিত্র কোরআনে বহুবার এসেছে সরাসরি।

ভিন্ন মতের কেউ হলে ভিন্ন কথা কিন্তু আমরা মুসলিম হিসেবে এগুলো মেনে চলা উচিত ভাই। # মিটআপ করছেন ভালো কথা কিন্তু ছেলেরা ছেলেরা একসাথে করতো, মেয়েরা আলাদা করতো তাহলে হয়তো সমস্যা গুলো হতো না। তবুও সেখানে গান বাজনা থাকা চলবেনা, এটা হালাল মনে করা কুফুরী। (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)

💌 5. বিবাহিত অথবা অবিবাহিত ছেলে মেয়ের, পুরুষ মহিলার ফ্রি মিক্সিং জিনাহ্ এর বৃহৎ একটা মাধ্যম হইলো মিটআপ/ পিকনিক (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল!) আস্তাগফিরুল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ। দেখছি অপরাধ করেও কোন অনুতাপ নাই।

আমার প্রতিটি কথার রেফারেন্স প্রয়োজন হলে সন্দেহের কথাটা কপি করে নিয়ে এআই কে সেন্ড দিয়ে দেন, এআই সকল রেফারেন্স (দলিল) দিয়ে দিবে। এভাবে "পাপী 2 প্রকার, কোরআনে কত জায়গায় আছে, হাদিসে কত জায়গায় আছে সহি হাদিস রেফারেন্স সহ দাও". দিয়ে দেখেন।। একইভাবে আদম আঃ ও ইবলিশের ঘটনাটা জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। আরো জিজ্ঞাসা করতে পারেন মানুষের গুনাহ প্রচার না হইলে আল্লাহতালা মাফ করার কথা আছে কিনা। খাটনি করে জ্ঞান অর্জন করুন ভাইসব কি একজন বলে দিবে!!
--------------------------
অবশেষে একটা হাদিস দিয়ে বিষয়টা সমাপ্ত করি: স্পষ্ট সহীহ হাদীস আছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন: “আদম সন্তানের জন্য তার জিনার হিস্যা লিখে দেওয়া হয়েছে, সে তা অবশ্যই পাবে। চোখের জিনা হলো দৃষ্টি, কানের জিনা হলো শ্রবণ, জিহ্বার জিনা হলো কথা বলা, হাতের জিনা হলো স্পর্শ করা, পায়ের জিনা হলো চলা, অন্তর কামনা করে এবং আকাঙ্ক্ষা করে। আর লজ্জাস্থানই তা বাস্তবায়ন করে বা মিথ্যা প্রমাণ করে।”

📚 সহীহ বুখারী: হাদীস ৬২৪৩ 📚 সহীহ মুসলিম: হাদীস ২৬৫৭।
-----------------------------------
👉 এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:
- চোখের জিনা→ হারাম জিনিসে তাকানো।
- কানের জিনা→ হারাম কথা/গান-সঙ্গীত শোনা।
- মনের জিনা → মনে কুমন্ত্রণা ও কামনা করা।
- অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জিনা → স্পর্শ, পদক্ষেপ।
- আর চূড়ান্ত জিনা ঘটে লজ্জাস্থান দিয়ে।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকলকে হেদায়েত দিন এবং জ্ঞান দান করুন, বুঝার তৌফিক দিন।

27/08/2025

ছেলে মেয়ের ফ্রি মিক্সিং জিনাহ্ এর ওপর নাম মিটআপ/ পিকনিক (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)
-------------------------
নাউজুবিল্লাহ। দেখছি অপরাধ করেও কোন অনুতাপ নাই।

মানুষের গুনাহ প্রচার না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ মাফ করেন। প্রচার = সাক্ষী হইলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আর মাফ করেন না। (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)

1 বেগানা মহিলার দিকে তাকানোটাই হারাম, 2 কোন মহিলা পর পুরুষের সামনে নিজের শরীর সৌন্দর্য দেখানো হারাম, 3 গান-বাজনা হারাম, এতগুলো হারাম কাজ করছেন আপনারা সকলে মিলে। আবার সেগুলো অনলাইনে প্রচার করছেন কোটি কোটি মানুষ সাক্ষী হচ্ছে। (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)

ভাই পাপী দুই প্রকার । পাপ করে মজা পায় আরেকটা আছে অনুতাপ করে। সৃষ্টির প্রারম্ভে আদম আলাইহিস সালাম ভুল করেছিলেন, ইবলিশও ভুল করেছিল।

একজন অনুতাপ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন আর একজন মজা পেয়েছিলেন। তাই একজন ক্ষমা পেয়েছিলেন আরেকজন হয়েছিলেন অভিশপ্ত শয়তান। এটা মুখের কথা নয়, এটা পবিত্র কুরআন সূরা বাকারার দ্বিতীয় পৃষ্ঠা এবং পবিত্র কোরআনে বহুবার এসেছে সরাসরি।

ভিন্ন মতের কেউ হলে ভিন্ন কথা কিন্তু আমরা মুসলিম হিসেবে এগুলো মেনে চলা উচিত ভাই। # মিটআপ করছেন ভালো কথা কিন্তু ছেলেরা ছেলেরা একসাথে করতো মেয়েরা আলাদা করতো তাহলে হয়তো সমস্যা গুলো হতো না। তবুও সেখানে গান বাজনা থাকা চলবেনা, এটা হালাল মনে করা কুফুরী। (আবার বলতেছে আয়োজনটা নাকি সুন্দর ছিল! আস্তাগফিরুল্লাহ)

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকলকে হেদায়েত দিন এবং জ্ঞান দান করুন, বুঝার তৌফিক দিন।

25/08/2025

৭ টি ধ্বংসকারী কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ:
আবূ হুরায়রা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:

“সাতটি ধ্বংসকারী বিষয় থেকে তোমরা বিরত থাকবে।” সাহাবীগণ বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেগুলো কি কি? তিনি বললেন: “(১) আল্লাহর সাথে শিরক করা। (২) যাদু (৩) আল্লাহ তা‘আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়তসম্মত কারণ ব্যতিরেকে তাকে হত্যা করা (৪) সুদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল প্রকৃতির সতী মুমিন নারীদের অপবাদ দেওয়া।”

[সহীহ] – [মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি (বুখারী ও মুসলিম)।] – [সহীহ বুখারী – 2766]


✅ব্যাখ্যা:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‌আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মাতকে সাতটি ধ্বংসাত্মক অপরাধ থেকে দূরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাকে সেগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি তা স্পষ্ট করে বর্ণনা করলেন:

প্রথম: আল্লাহর সাথে শিরক করা: যে কোন দিক বিবেচনায় আল্লাহর সাথে তাঁর কোন সমকক্ষ বা অনুরূপ সমমর্যাদাবান সাব্যস্ত করা। যে কোন ইবাদাত আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো উদ্দেশ্যে করা। তিনি শিরক এর দ্বারা বর্ণনা শুরু করেছেন; কেননা এটি সবচেয়ে মারাত্মক গুনাহ।

দ্বিতীয়: যাদু: গিরা লাগানো, মন্ত্র, অসমর্থিত চিকিৎসা এবং ধোঁয়া প্রয়োগ ইত্যাদি, যা হত্যা, রোগ-ব্যাধি বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আলাদা করার জন্য যাদুগ্রস্তের শরীরে প্রভাব ফেলে। এটি একটি শয়তানী কাজ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটি শিরক এবং খবিশ আত্মা যা পছন্দ করে সেগুলোর মাধ্যমে তাদের নৈকট্য লাভ করার মাধ্যমে অর্জিত হয়।

তৃতীয়: আল্লাহ তা‘আলা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়তসম্মত কারণ ব্যতিরেকে যা বিচারক বাস্তবায়ন করে থাকে, এমন ব্যক্তিকে হত্যা করা।

চতুর্থ: সুদ খাওয়া: সুদ খাওয়া বা অন্য কোন উপায়ে সুদের দ্বারা উপকৃত হওয়া।

পঞ্চম: যার নাবালেগ অবস্থায় পিতা মারা যায় এমন ইয়াতীমের মাল গ্রাস করা।

ষষ্ঠ: কাফিরদের বিরুদ্ধে চলমান রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া।

সপ্তম: স্বাধীন (সরল প্রকৃতির) স্বচ্চরিত্রের অধিকারী নারীদেরকে যিনার অপবাদ দেওয়া, এমনিভাবে পুরুষদের বিরুদ্ধেও অপবাদ দেওয়া।

✅হাদীসের শিক্ষা:

কবীরা গুনাহ সাতটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। হাদীসে এ সাতটিকে বিশেষভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো: এগুলো সর্বাধিক বড় ও মারাত্মক গুনাহ।

কাউকে হত্যা করা তখনই জায়েয হবে, যখন তা ন্যায়সঙ্গত কারণে শরীয়াহ আদালত শাস্তিটা দেবে।

22/08/2025

আল্লাহর নামে মিথ্যা প্রচারের ভয়াবহ পরিণতি: আল্লাহর জবাব:

পবিত্র কুরআনে এমন বহু আয়াত আছে যেগুলো আমাদের অন্তর কাঁপিয়ে দেয়, চিন্তা ও আত্মসমালোচনার দিকে আহ্বান জানায়। এসব আয়াতের মাঝে একটি আয়াত রয়েছে যা বারবার ফিরে আসে—

"ومن أظلم ممن افترى على الله كذبا"

অর্থাৎ, “আর কে হতে পারে তার চেয়ে বড় জালিম, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে?”

এই বাক্যটি কুরআনের অনেক স্থানে ব্যবহৃত হয়েছে, যা এক গভীর সতর্কবার্তা বহন করে। এই আয়াতের পুনরাবৃত্তি কেবল শব্দের নয়, বরং তা একটি ভয়াবহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আল্লাহর পক্ষ থেকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া।

এই পোস্টে আমরা জানবো, এই আয়াতগুলো কোন কোন সূরায় আছে, কী প্রেক্ষাপটে এসেছে এবং আমাদের জীবনে এর তাৎপর্য কি?

জালেমকে আল্লাহ কখনোই ছাড় দেন না। এটা সবাই জানে, কিন্তু জালেম কাকে বলে এটা কি সবাই জানে?

যুলুম নিজের উপরেও হয়, সেইটা আজকের আলোচনার বিষয় না। বান্দাহর উপর যুলুম করলেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া-তায়ালা কত কঠোর, সেখানে যারা আল্লাহর সাথে এই যুলুম করেন তখন কি হবে!!😢

এবিষয়ে পবিত্র কুরআনুল কারীমে অনেকবার আছে। আয়াতগুলোতে মূল মর্ম একই:

#আল্লাহর বিষয়ে মিথ্যা রচনা করা বা তাঁর নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করা সর্বাপরি অন্যায়। যা সকল ক্ষেত্রে শিরক ও কুফর বলা হয়েছে ।

পবিত্র কোরআনে উল্লেখিত মহান আল্লাহ তাআলার কথাগুলো হতে নিচে কিছু কথা উল্লেখ করা হলো:

*"وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا"*

অর্থাৎ *“আর কে হতে পারে তার চেয়ে অধিক জালিম, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে”*

*১. সূরা আল-আন‘আম (৬:২১)*

*আরবি:*

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَىٰ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِآيَاتِهِ ۚ إِنَّهُ لَا يُفْلِحُ الظَّالِمُونَ

*বাংলা:*

“আর কে হতে পারে তার চেয়ে অধিক জালিম, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা তাঁর আয়াতকে অস্বীকার করে? নিশ্চয়ই জালিমরা সফল হবে না।”
---
*২. সূরা হুদ (১১:১৮)*

*আরবি:*

وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَىٰ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا ۚ أُولَٰئِكَ يُعْرَضُونَ عَلَىٰ رَبِّهِمْ...

*বাংলা:*

“আর কে হতে পারে তার চেয়ে অধিক জালিম, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে? তারাই তাদের রবের সম্মুখে উপস্থিত হবে...”

(পুর্ন পোস্ট লিমিট শেষ হওয়ায় পুর্ন পোস্ট লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে দেওয়া হলো)

20/08/2025

#গুরুত্বপুর্ন #আমানত
লাস্টে শায়খের নাম দিয়ে স্ট্যাটাস দিলেন ভালো কথা। কিন্তু কথাটা শায়খ কি নিজে বলছেন? বললেও কি হুবহু এটাই বলছেন? উনি বলে থাকলে উনার ওয়ালের স্ক্রিনশট থাকতো, বইতে বললে বইয়ের পাতার ছবি থাকতো, ভিডিওতে বললে লিঙ্ক থাকতো।

ভাই কথা যতই শুদ্ধ হউক, যে যে কথা বলেনাই তার নামে চালানো ভয়ংকর গুনাহ ভাই। কারও কথা কোট করতে হলে তার কথা হুবহু লিখতে/বলতে হয়।

সোশাল মিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বক্তার নামে কিছু Quotes ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথাও হয়তো তিনি এবিষয়টা বলেন ই নাই, কোথাও হয়তো বলছেন আর উদ্ধৃতি কারী অর্ধেক উল্লেখ করেছেন, কোথাও বা বক্তার 6 লাইন আর উল্লেখ কারীর 6 লাইন ঠিক আছে কিন্তু কিছু শব্দ বাদ দিয়েছেন, কিছু শব্দ যোগ করেছেন।

ভাইরে হুবহু কথা লিখতে গেলেও বক্তা কিছু সময় থামলে কমা, বেশি থামলে দাড়ি, চোখ বড় করে কিছু বললে ! আশ্চর্য বোধক / বিস্ময় চিহ্ন এগুলা সহ লিখতে হবে ।

সেখানে আমরা কি করছি? 😢 যা প্রচার হচ্ছে যে বাক্য ব্যবহৃত সেগুলো ছাড়া ভিন্ন কিছু, ভাবার্থ দিয়েও কিছু প্রচার চালানো হচ্ছে, বুঝতে চেষ্টা করুন এটা #আমানত।
একজনের কথা বা নিজ মনগড়া কথা কারো নামে চালাতে পারিনা, তেমন এক বক্তার বাক্য গুলোর শেষে ভিন্ন কোনো আলেম, বা কোনোও জালেম কারো নাম লাগিয়ে আন্দাজে প্রচার করতে পারিনা। এটা অন্যায়।

16/08/2025

* বদনজর (ঈন বা নজর লাগা) সম্পর্কে হাদীসে স্পষ্টভাবে আলোচনা হয়েছে, এবং এটি বাস্তব বলে প্রমাণিত। নিচে রেফারেন্সসহ কিছু হাদীস তুলে দেওয়া হলো:

---

*১. সহীহ মুসলিম:
*نَعَمْ، إِنَّ الْعَيْنَ حَقٌّ
*“হ্যাঁ, বদনজর সত্য।”
– সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২১৮৮

---

*২. সহীহ বুখারী:
*"العينُ حقٌّ، ولو كان شيءٌ سابقَ القَدَرِ لسبقتْه العينُ"
*“বদনজর সত্য। যদি কোনো কিছু তাকদীরকে অগ্রসর করতে পারত, তবে তা হতো বদনজর।”
– সহীহ বুখারী, হাদীস: ৫৭৪০

---

*৩. মুসনাদ আহমাদ:
রাসূল (সা.) বলেন,
*“যখন তোমরা তোমাদের ভাইয়ের কোনো কিছু দেখে পছন্দ করো, তখন তার জন্য বরকতের দোআ করো, যাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।”
– মুসনাদ আহমাদ, হাদীস: ১৫৫৫০

---

*সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
- বদনজর মানে হলো হিংসা বা অতিরিক্ত প্রশংসায় কারো ক্ষতি হওয়া।
- এটা এমন একটি অদৃশ্য ক্ষতি, যা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।
- রাসূল (সা.) বদনজর থেকে রক্ষা পেতে সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়তে বলেছেন।

চাইলে বদনজর থেকে বাঁচার দোআসমূহও দিতে পারি।

# #✅ একটি ঘটনা হাদীসে এসেছে এবং এটি বদনজরের একটি বাস্তব উদাহরণ।

*ঘটনাটি সংক্ষেপে:

এক সাহাবী ছিলেন যিনি চেহারায় ও ত্বকে খুবই সুন্দর ছিলেন। তিনি একবার গোসল করছিলেন। তখন অপর এক সাহাবী তাঁর ত্বকের সৌন্দর্য দেখে বলেন:

"আমি এত সুন্দর ত্বক আজ পর্যন্ত দেখিনি!"

এই প্রশংসার পরেই তিনি হঠাৎ অসুস্থ ও অচেতন হয়ে পড়েন।

নবী (সা.) জানতে পেরে জিজ্ঞেস করলেন,
“তুমি কেন তাকে বরকতের দোয়া দিলে না?”
তারপর তিনি নির্দেশ দেন,

যিনি প্রশংসা করেছিলেন, তাকে গোসল করে পানি দিতে এবং সেই পানি অসুস্থ সাহাবীর গায়ে ঢালতে।
এতে তিনি সুস্থ হয়ে যান।

---

*হাদীসের রেফারেন্স:*
- *সুনান ইবনে মাজাহ – ৩৫০৯
- *মুসনাদ আহমাদ – ১৫৫৫০
- হাদীসটি হাসান সহীহ হিসাবে গ্রহণযোগ্য।

---

*শিক্ষণীয় বিষয়:
যখন কারও সৌন্দর্য, সফলতা বা কোনো ভালো বিষয় দেখে পছন্দ হয়, তখন “বারাকাল্লাহ” বা ''মাশাআল্লাহ” বলা উচিত, যেন বদনজর না লাগে।

16/08/2025

দ্বীনদার ভাই-বোন সবারই বিবাহে সমস্যার সমাধান (একটু ঝুঁকি)

কেউ বলেন বিয়ে দেরি হউক কিন্তু ভালো কেউ আসুক।
ভাই, এখন হউক আর দেরি হউক শরীয়াহ মতে সহীহ ভাবে হারাম বাদে বিয়েতে বসিলেই নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে হবে।

আর ভাইয়ারা যাহা বললেন ঐটা শয়তানের নেক সুরাতে ধোঁকা। কারণ, দেরি করাইতে পারলেই একসময় নিজ থেকেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন। মানুষের ইমোশন বেশি দিন থাকেনা। বড়জোর 25 বছর এভারেজ । কারও 20/22 কারও 27।

গান বাজনা হবে না, গায়ে হলুদ হবে না, ভাবীরা ধরবে না, বড়রা গেট ধরবে না। ছোট মানুষ থাকতে পারে।
এগুলা বলে দিবেন যারা মেয়ে দেখতে যাচ্ছে তাদের। মেয়ে দেখতে যাবে আপনার মা আর বোন। কোনোও পুরুষ কখনওই যাবে না। আর কিছু মহিলা আছে তারা পুরুষের চেয়ে খারাপ। ছবি যেন একদম না উঠায়। মোবাইল নিয়ে নিবেন তারপর যেতে দিবেন। কিছু বললে বলুক, একদিন বলবে। না হয় দুনিয়ায় আজীবন জ্বলবেন পরকালেও জ্বলবেন । কিন্তু খুশিতে ছবি উঠাতে দিলেন যাদের এদের আর কাছে পাবেন না।

যারা মেয়ে দেখবে তারা উপরের কথা গুলো শুনে জেনে নেবে এজন্যই তারা যাচ্ছেন। যদি, সব কথা মিলে যায়, এরপর মেয়ে কানা হইলেও তারা যেন বিবাহ সম্পন্ন করে এটা স্পষ্ট বলে দেবেন, আর উপরের কথা গুলো 1 টা বা কয়েকটা না মিললে যেনো মেয়ে যতই সুন্দর হউক তারা যেন বিয়ে না করে দেয়।

বলবেন বউ থাকবে আপনার ঘরে, অন্যদের এজন্য চেহারা নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে। ভালো চেহারা আনবেন আপনার মা বাবাকে পাবি দেবেনা হতে পারে। কালো আনবেন আপনার মা বাবা ও আপনার পা ধুয়ে দেবে হতে পারে।
কিন্তু উপরের কথা যেন এদিক ওদিক না হয়। ওগুলো হলে কোনোও ছাড় নেই।

আর এখানে মা বাবা আরেকটা শয়তানি ধোঁকা দেয় টা হলো" তুমি যেমন চালাবা সে তেমন চলবে/ গড়ে নিও" এসব ভুয়া স্বপ্ন মনে রাখবেন।।

বোনেরা - পুরুষদের গায়রে মাহরাম এর জায়গায় নিজ গায়রে মাহরাম কল্পনা করুন। যেমন: ভাবির জায়গায় দেবর, বা চাচাতো ভাই ইত্যাদি।

14/08/2025

যতই উন্নত মানের খেজুর হউক দয়া করে একবার মাঝ থেকে ভেঙে আটি (বিচি) দেখবেন ও ফেলে দিয়ে খাবেন। কেনোনা 5% খেজুর পোকা থাকে, পোকার বাসা থাকে, পোকার ডিম থাকে । যা না ভাঙলে উপর থেকে দেখা কস্মিন কালেও সম্ভব নয়।
আর কালো আজওয়া খেজুর ভাঙলে প্রথমে 10-20 সেকেন্ড এক নজরে অপেক্ষা করতে হবে। কারণে এটা একমাত্র খেজুর যাতে পোকার বাসা বা ডিম পাবেন না। যদি পোকা থাকে তবে এর মধ্যে কিলবিল করে খেজুরের গোস্তের (আবরণ এর) ভিতর থেকে সাদা ছোট্ট পোকা বের হয়ে আসবে।

খেজুর সবাই মোটামুটি ভালোবাসেন। বিশেষ করে হজ্জ মৌসুমে অনেকে সৌদি আরব থেকে কিনে আনেন একদম ফ্রেশ টাটকা খেজুর। তবে সাবধান থাকা ভালো।

10/08/2025

আলহামদুলিল্লাহ। কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায়।
5 ঘণ্টা শুনলেও এরকম সবই আমল ওয়ালা কথা । অথচ বর্তমান অনেকেই ফাউল গল্প, ফাউ রাজনীতি, গীবত, সমালোচনায় মাহফিল টা ভরপুর করে রাখে। আল্লাহ হেদায়েত দিন।
https://www.facebook.com/share/v/1D26aA3eGe/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
কথা গুলো ভোট বাজ ইলেকশন ওয়ালাদের / কিছু ধর্মীয় রাজনীতিবিদ দের ভালো লাগে না কেনো আমার জানা নাই। অথচ এগুলোই #ইসলামী রাজনীতি নাম ওয়ালদের বেশি বেশি জানা ও আমল করা উচিত ছিল সবার চেয়ে বেশি।

Address

Dhaka
Dhaka
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কোরআন এবং হাদীস posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share