চলন্তিকা

চলন্তিকা নান্দনিক বই প্রকাশনী "চলন্তিকা" সব সময় আপনাদের ভাল কিছু দেয়ার চেষ্টা করে আসছে । পাঠকের মন জয় করা এতটা সহজ কাজ না, কিন্তু আমরা বদ্ধপরিকর ।

 #কুহুবাস❑বই পরিচিতি : ▪️নাম : কুহুবাস▪️লেখক : তামান্না স্মৃতি ▪️জনরা : থ্রিলার ▪️মুদ্রিত মূল্য : ৫০০৳▪️প্রকাশনী : চলন্ত...
27/04/2025

#কুহুবাস

❑বই পরিচিতি :
▪️নাম : কুহুবাস
▪️লেখক : তামান্না স্মৃতি
▪️জনরা : থ্রিলার
▪️মুদ্রিত মূল্য : ৫০০৳
▪️প্রকাশনী : চলন্তিকা
▪️প্রচ্ছদশিল্পী : ফারিহা তাবাসসুম
▪️রিভিউতে : ফারজানা উর্মি

"কঠিন সময়ের পাশাপাশি কখনো কখনো মানুষের জীবনে অবিশ্বাস্য রকমের আনন্দের সময়ও তৈরি হয়! নিজেরই অজান্তে কখনো কখনো কারো জীবনে এমন সব চমৎকার মুহূর্তের সৃষ্টি হয় যার জন্য সে নিজেও প্রস্তুত থাকে না।"

❑ভালো লাগার দিক :
"কুহুবাস" বইটি পড়াকালীন পাঠক একাধিক জনরার স্বাদ পাবে। কখনো পাঠকের মনে হবে ফ্যান্টাসি জগতে বসবাস করছে৷ আবার কখনো মনে হবে একটি স্বাভাবিক নিত্তনৈমিত্তিক জীবন-যাপন করছে। কিন্তু সবকিছুই থাকবে ধোঁয়াশার মতো। মানুষ হারিয়ে যাওয়ার পেছনের রহস্য অনুমান করতে পারলেও একসময় মনে হবে কে যেন চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গেছে। ধরা দিয়েও যেন দেয়নি ধরা। পাঠকের মনে একের পর এক প্রশ্ন জাগবে কিন্তু উত্তর মিলবে না। আজমীর ফয়সাল, রায়হান কবির, নাবিলা কিংবা গবেষণার সঙ্গী হওয়া প্রত্যেক সদস্য একসময় সমাধানের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারবে কিনা সেটাই হলো বহুল আকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। উপন্যাসের সমস্ত জট যখন একটা একটা করে খুলতে থাকবে তখন পাঠককের চমকানোটাই শুধু বাকি থাকবে। বইটির এতো সব রহস্য পাঠকের মস্তিষ্কের জং পরিষ্কার করবে।
রহস্যে ভরপুর উপন্যাসগুলো অন্যরকম এক অনুভূতির সৃষ্টি করে। সেই সাথে যদি পাওয়া যায় ফ্যান্টাসির স্বাদ তাহলে তো কথায় নেই। বইটি ভালো লাগার প্রথম কারণ হলো এর জনরা। দ্বিতীয়ত, বইটির প্লট। তৃতীয়ত, উপস্থাপনা এবং সর্বশেষ, লেখিকার লেখনশৈলী। এই সবকিছুর মিশেলে বইটি প্রাণ পেয়েছে এবং পাঠক পেয়েছে প্রশ্নের পাহাড়ে সময় কাটানোর সুযোগ।
লেখিকা তামান্না স্মৃতির লেখনশৈলী প্রশংসাযোগ্য। লেখিকার শব্দবুনন, বাক্যবিন্যাস, প্লট বাছাই, লেখার ভঙ্গিমা অসাধারণ। পাঠকের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য যা যা দরকার এর সবকিছুই এই বইটিতে পাওয়া যাবে।

❑বইটি কেন এবং কারা পড়বেন :
মানুষ বই কেন পড়ে? এর নানাদিক কারণ থাকতে পারে। কেউ বই পড়ে আনন্দের জন্য। আবার কেউ পড়ে অবসর সময় কাটানোর জন্য। কেউবা ভালো লাগা, জ্ঞান আহরণ করা, জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করা, অজানাকে জানার জন্যও বই পড়ে থাকে। কুহুবাস বইটি পাঠককে পড়তে সাজেস্ট করার কারণও এর মধ্যেই নিহিত।
কুহুবাস এমন একটি বই যেখানে কয়েকটি জনরার মিশেল একসাথে পাওয়া যাবে। যাদের সামাজিক জনরা পছন্দ তারা যেমন বইটি পড়তে পারবে তেমনি যাদের ফ্যান্টাসি কিংবা থ্রিলার পছন্দ তারাও নির্দ্ধিধায় বইটি পড়তে পারবে। সব বয়সের পাঠকের জন্য বইটি উপযুক্ত।
একেক পর এক মানুষ হারিয়ে যাওয়া, আজমীর ফয়সালের গবেষণা, রায়হান-নাবিলার সম্পর্ক, আনিকার দোটানাভাব সবকিছুর কারণ জানতে হলে পড়তে হবে কুহুবাস বইটি। উক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও সমাধান মিলবে আরো কিছু রহস্যের। যা পাঠকের মনে আলোড়ন সৃষ্টি করতে যথেষ্ট। কুহুবাসে আটকে যাওয়া জাল থেকে কীভাবে মুক্তি মিলবে কিংবা আদৌও মুক্তি মিলবে কিনা জানতে হলে অবশ্যই পড়তে হবে তামান্না স্মৃতির লেখা "কুহুবাস" বইটি।

❑ব্যক্তিগত মতামত :
"কুহুবাস" সামাজিক, ফ্যান্টাসি, থ্রিলারের মিশেলে রচিত একটি বই। সামাজিক এবং থ্রিলার প্রেমী হওয়ায় বইটির প্রতি শুরু থেকেই একটা আকর্ষণ ছিল। তবে এর মাত্রাটা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে আজমীর ফয়সাল নামক এক গবেষক।
লেখক তামান্না স্মৃতির বই আগে পড়া হলেও থ্রিলার পড়েছি এই প্রথম। সত্যি কথা বলতে আমি একটুও অনুমান করতে পারিনি আগে কী হবে! যত পড়ছিলাম মাথা তত হ্যাং হয়ে যাচ্ছিল। মাথায় শুধু একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিলো, কেন হচ্ছে এসব! কিন্তু উত্তর আর হাতের নাগালে ধরা দিচ্ছিল না।
এই বইটা আমার একদম নিখুঁত মনে হয়েছে। মনে যেসব প্রশ্ন জেগেছে সবগুলোর উত্তর পেয়েছি। আমি সাধারণত একটানা বই পড়ি না কিংবা পড়তে পারি না। কিন্তু এই উপন্যাসটা আমাকে এমনভাবে আকর্ষিত করেছিল যে এক বসায় পড়ে শেষ করেছি। আজমীর ফয়সালের সম্পৃক্ততা, রায়হানের দায়িত্ব, নাবিলা, আনিকা, শিহাবসহ নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যে খেলায় মেতেছিল তা থেকে কি মুক্তি মিলবে? ফিরে আসতে পারবে আপন ভুবনে? একটা সময় এই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরপাক খেয়েছিল। কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানে তা হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। কিছু মানুষের জন্য ভীষণ খারাপ লেগেছে। তারমধ্যে আসিফ অন্যতম।
কুহুবাস বইটার রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তবে এটুকু বলতে পারি, অনেকদিন পর একটা থ্রিলার উপন্যাস আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আর স্মৃতি আপুর লেখা তো বরাবরই চমৎকার। বইটা যতটা আশা নিয়ে শুরু করেছিলাম ততটাই তৃপ্তি নিয়ে শেষ করেছি।

❑বইয়ের কোয়ালিটি :
"কুহুবাস" বইটিকে মোটামুটি মাঝারি সাইজেই ফেলা যায়। এই সাইজের বইগুলোই মূলত আমি পড়তে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। চলন্তিকার প্রোডাকশন কোয়ালিটি ভালো। তাদের বই সুবিধাজনক স্থানে রেখে নির্বিঘ্নে পড়া যায়। কুহুবাস বইটির বাঁধাই, কালার, পেইজের গুণগত মান, ফ্রন্ট সাইজ, মার্জিন ইত্যাদি বিষয়গুলো সন্তোষজনক। সামান্যতম টাইপিং মিস্টেক পর্যন্ত চোখে পড়েনি। এই বিষয়টা ভালো লেগেছে। কুহুবাস বইটির বাঁধাই খুব বেশি শক্তও নয় এবং খুব ঢিলাও নয়। এজন্য পড়ে আরাম পেয়েছি। এছাড়া বইটির প্রচ্ছদ একদম নজরকাঁড়া। প্রচ্ছদটির মর্মার্থ পাঠক বই পড়লেই বুঝতে পারবে।

বর্তমান সময়ের মেধাবী লেখক ইসরাত জাহানকে জানাই চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা।ইসরাত জাহানের লেখা ...
26/04/2025

বর্তমান সময়ের মেধাবী লেখক ইসরাত জাহানকে জানাই চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
ইসরাত জাহানের লেখা দুটি বই, উপন্যাসিকা সংকলন "দ্বিভুজ" ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এবং কাব্যগ্রন্থ "ডুবজল" ২০২৫ সালের অমর একুশে বইমেলায় চলন্তিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
তার সাহিত্যিক যাত্রা ও ব্যক্তিজীবনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করি। এগিয়ে যাক তার সৃজনশীল পথচলা।

শুভ জন্মদিন।

 #মনের_মানুষ পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আব্দুস সালাম  বই পর্যা‌লোচনা~~~~~~~~~~"ম‌নের মানুষ"আমা‌দের সক‌লের অত্যন্ত সুপ‌রি‌চিত লেখক...
26/04/2025

#মনের_মানুষ

পাঠ প্রতিক্রিয়ায় আব্দুস সালাম

বই পর্যা‌লোচনা
~~~~~~~~~~
"ম‌নের মানুষ"
আমা‌দের সক‌লের অত্যন্ত সুপ‌রি‌চিত লেখক রোদ্দু‌রের সম্মানীত এড‌মিন প্রিয় ক‌বি আপু যি‌নি তার আপন সৃ‌ষ্টি দি‌য়ে প্র‌তি বছর অমর একু‌শে বই মেলায় উদ্ভা‌সিত হন পাঠককূ‌লে ।
এবারও ২০২৫ এ তেম‌নি এক‌টি জন‌প্রিয় বই "ম‌নের মানুষ" নি‌য়ে উপ‌স্হিত হ‌য়ে‌ছি‌লেন সম‌হিমায় । ধন্য হ‌য়ে‌ছেন সা‌হিত্য অঙ্গ‌নে ।
সমাদৃত মন‌নে সমৃদ্ধ হ‌য়ে‌ছেন নব সৃ‌ষ্টি‌তে ।

বই‌টি‌তে ক‌বি নয়‌টি গল্প স‌ন্নি‌বে‌শিত ক‌রে‌ছেন সু‌নিপুন ভাবে । প্র‌তি‌টি গ‌ল্পের মাধ্য‌মে ক‌বি আপন চিন্তায় প্রেম, ভা‌লোবাসা, প্রকৃতি, সমাজ, ব্যক্তি স‌চেনতা, আ‌ত্মোপলব্ধির এক অনন্য সং‌মিশ্র‌নে সহজ ভাষায় ভাবগাম্ভী‌র্যে হৃদ‌য়ের আলাদা আলাদা চিত্রক‌ল্পে ম‌নোমুগ্ধকর শব্দ চয়‌নে নিপুনতা দে‌খি‌য়ে‌ছেন কা‌ব্যিক ভাবনায় ।
বই‌টি‌তে প্রদত্ত গ‌ল্পের চতুর্থ গল্প "ম‌নের মনুষ" সে অনুসা‌রে বই‌টির নামকরন ।
বই‌টি না পড়‌লে অপূর্ণ থে‌কে যা‌বে অ‌নেক কিছু ।
লেখক বি‌ভিন্ন আ‌ঙ্গি‌কে নানা ক‌থোপকথ‌নে পাঠ‌কের ম‌নে অনুরণন তো‌লে স্বার্থক হ‌য়ে‌ছেন আপন যোগ্যতায় ।
"ম‌নের মানুষ" বাংলা সা‌হি‌ত্যে এক‌টি চমৎকার সং‌যোজন।
আম‌দের সমা‌জে প্র‌ত্যে‌কের ই কেউ না কেউ ম‌নের মানুষ আ‌ছে আর সে বিচরন ক‌রে হৃদ‌য়ের অ‌লি‌ন্দে অ‌তি সং‌গোপ‌নে । তা‌কে লালন ক‌রি ভা‌লোবাসায় , শ্রদ্ধায় , সম্মা‌নে ।
‌কিন্তুু ম‌নের ম‌ানু‌ষের যোগ্যতার ম‌াপকা‌ঠি‌তে আমরা কতজন স্হায়ী হই ?
‌সেটাই বি‌বেচ্য বিষয় ।

বর্তমান সময়ের অনুবাদ ও সৃজনশীল সাহিত্যের সম্ভাবনাময় লেখক নুসরাত তাজরীকে চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের হৃদয়...
25/04/2025

বর্তমান সময়ের অনুবাদ ও সৃজনশীল সাহিত্যের সম্ভাবনাময় লেখক নুসরাত তাজরীকে চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের হৃদয়ভরা শুভেচ্ছা। লেখক নুসরাত তাজরী ২০২২ সালে অনুবাদ ক্যাটাগরিতে চলন্তিকা সাহিত্য পুরষ্কারে সম্মানিত হন। পাঠকের মন ছুঁয়ে যাওয়া তাঁর অনুবাদ-ভাষা, বিষয় নির্বাচনের সূক্ষ্মতা এবং সাহিত্যপ্রেমই তাঁকে এই স্বীকৃতির যোগ্য করে তোলে।

২০২৫ এ অমর একুশে বইমেলায় তাঁর একক গল্পগ্রন্থ "আহত পাখির ডানা" চলন্তিকা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে উঠে এসেছে, জীবনের বুকে জমে থাকা অনুভব, বেদনাবোধ আর জীবনের গভীর বাস্তবতা। গল্পগুলো পাঠকদের নিয়ে যাবে এক অনন্য আবেগ ও উপলব্ধির জগতে।
লেখক নুসরাত তাজরীর ব্যক্তিগত ও সাহিত্যিক জীবন আরও সমৃদ্ধ হোক, এই কামনায়।

শুভ জন্মদিন।

 #ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যেরিভিউ কৃতজ্ঞতা সালসাবিলা নকি সমসাময়িক লেখকদের মধ্যে একজন লেখক আছেন যার লেখা আমি অনলাইনে পড়ি না আজক...
25/04/2025

#ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যে

রিভিউ কৃতজ্ঞতা সালসাবিলা নকি

সমসাময়িক লেখকদের মধ্যে একজন লেখক আছেন যার লেখা আমি অনলাইনে পড়ি না আজকাল। কারণ, তাঁর লেখা অনলাইনে পড়ার চাইতে মলাটবন্দী অবস্থায় পড়তেই আমার বেশি ভালো লাগে। আমি অপেক্ষায় থাকি কখন তাঁর নতুন বই প্রকাশিত হবে। তিনি হলেন রুকসাত জাহান। তাঁর লেখনশৈলীর জাদুতে তিনি আমাকে এতোটাই আচ্ছন্ন করেছেন!

তাঁর প্রকাশিত নতুন উপন্যাস ‘ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে’ নিয়ে আজ আমার প্রতিক্রিয়া জানাব।

কাহিনীসংক্ষেপঃ ‘ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে’ যেন এক নীরব গোধূলি—যেখানে চরিত্রগুলো নিজেদের অজান্তেই আলো-আঁধারের খেলায় মত্ত। ভালোবাসা ও বাস্তবতার সংঘাত, নারী হৃদয়ের না বলা কথাগুলো এখানে শব্দ হয়ে ওঠে। রোমান্টিক মনে হলেও এটি শুধু একটি প্রেমকাহিনি নয়; বরং একটি অস্থির সময়ের দলিল, যেখানে দুই বোন—তুলতুল ও মিতুল—জীবনের দুই ভিন্ন ধারায় যাত্রা করে এবং প্রতিকূলতার বুক চিরে খোঁজে নিজেদের স্বপ্ন ও সম্মান।

উপন্যাসের শুরুতেই চরিত্রগুলোর সাথে পরিচয় ঘটে তুলতুলের বিয়ের মাধ্যমে। পরিবারের ইচ্ছায় তার বিয়ে হয় সায়েম নামক এক মার্জিত কিন্তু জটিল মানসিকতার যুবকের সঙ্গে। জটিল কেন বললাম সেটা পাঠকই পড়তে গেলে বুঝবেন। জটিল মানসিকতার সায়েমের মা, বোন এমনকি দাদীও। কিন্তু সংসারপটে তুলতুল কখনো নীরব সহনশীলতায় নিজেকে বিলিয়ে দেয়নি। সে মৃদু স্বরে, টুকটাক প্রশ্নে কিংবা দ্বিমতের সুরে নিজের অস্তিত্ব জানান দিত—আর তাতেই যেন আগুনে ঘি পড়ে। তার সেই ন্যায্য প্রতিবাদই পরিণত হয় পারিবারিক টানাপোড়েনে, যেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ বারবার অনিশ্চয়তায় ঢেকে যায়।

এই বিয়ের সূত্রেই মিতুলের পরিচয় ঘটে আরমানের সঙ্গে। মিতুল তুলতুলের ঠিক উল্টো—চঞ্চল, অস্থির এবং নিজের ভালোবাসা ও জীবনের সিদ্ধান্তে দৃঢ়। আরমান ও মিতুলের সম্পর্ক শুরু হয় এক মিষ্টি আকর্ষণ দিয়ে, কিন্তু তা কি পরিণতি পায়? পারিবারিক সম্পর্কের গাঁটছড়া, সমাজের মূল্যবোধ, এবং নিজেদের আত্মপরিচয়ের টানাপোড়েন তুলতুল, মিতুল, সায়েম আর আরমানকে বারবার প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।

আমার কেমন লেগেছেঃ

উপন্যাসটির মূল প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয়েছে আছে নারী—একজন বোন, একজন স্ত্রী, একজন মেয়ে হিসেবে তার আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম। তুলতুলের ‘প্রতিবাদী নীরবতা’ আর মিতুলের ‘সাহসী পদক্ষেপ’—এই দুই বিপরীত সুরেই বোনা হয়েছে উপন্যাসের হৃদয়স্পর্শী সংগীত। লেখক অত্যন্ত সংবেদনশীল হাতে চরিত্রগুলোর মানসিক দ্বন্দ্ব, প্রেমের সূক্ষ্মতা এবং বাস্তবতার কঠোরতা তুলে ধরেছেন।
ভাষার দিক থেকে রুকসাত জাহানের লেখনশৈলী সহজবোধ্য ও প্রাঞ্জল। সংলাপগুলো যেন চরিত্রগুলোর আত্মার প্রতিধ্বনি। প্রতিটি দৃশ্য, প্রতিটি অভিব্যক্তি যেন চোখে ভেসে ওঠে।

‘ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে’ একটানা পড়ে ফেলার মতো উপন্যাস—যা শেষ হলেও এর রেশ থেকে যায় পাঠকের মনে। এর চরিত্ররা আমাদের চারপাশেরই কেউ—হয়তো আপন বোন, হয়তো কখনো নিজেরই ছায়া। ভালোবাসা, হারিয়ে যাওয়া, মানিয়ে নেওয়া আর শেষমেশ একটু সুখের আশ্রয়—এই সবকিছুরই মিশেল এই উপন্যাস। যারা নারীর মনোজগৎ, পারিবারিক সম্পর্কের বাস্তব টানাপোড়েন ও বাস্তবতাকে সাহিত্যের রঙে দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি এক অনবদ্য পাঠ হবে।

'ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে' –
লেখকঃ রুকসাত জাহান
ধরন: রোমান্টিক-সামাজিক উপন্যাস
প্রকাশনীঃ চলন্তিকা
মলাটমূল্যঃ ৫৭৫৳
প্রচ্ছদঃ ফাইজা ইসলাম

 াকাপাঠ প্রতিক্রিয়ায় সুস্মিতা জাফরতাবাসসুম নাজ এর লেখা 'মন বলাকা' শুধুই প্রেম কিংবা বিচ্ছেদের গল্প নয়, এটি মূলত দুজন নার...
25/04/2025

াকা
পাঠ প্রতিক্রিয়ায় সুস্মিতা জাফর

তাবাসসুম নাজ এর লেখা 'মন বলাকা' শুধুই প্রেম কিংবা বিচ্ছেদের গল্প নয়, এটি মূলত দুজন নারী- মৌ আর নীরার স্বাবলম্বী হওয়ার, দৃঢ় আত্মপ্রত্যয়ের সাথে সমাজের কঠোর শৃঙ্খল ছিঁড়ে নিজের পথ নিজে খোঁজার গল্প।

এছাড়াও এখানে কয়েকজন ডিভোর্সি নারী-পুরুষের ডিভোর্স হওয়ার কারণ, সামাজিক বাধাবিপত্তি ও ডিভোর্স পরবর্তী মানসিক অবস্থাও তুলে ধরা হয়েছে। লেখক এ উপন্যাসে শব্দ দিয়ে যেভাবে আবেগের ভেলা গড়েছেন, তা পড়তে একদম বোরিং লাগছিল না। সব মিলিয়ে চরিত্রগুলোর নীরব সান্নিধ্যে চারদিন ভালোই সময় কেটে গেল।

এ কথা স্বীকার করতেই হবে, এ পর্যন্ত আমার পড়া Tabassum Naz আপুর সবচেয়ে ভালো লাগার উপন্যাস এই 'মন বলাকা'। বইটির পরবর্তী খণ্ড পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।

উপন্যাস: মন বলাকা
লেখক: তাবাসসুম নাজ
প্রকাশনী: চলন্তিকা
মূল্য: ৭০০ টাকা

বর্তমান সময়ে থ্রিলার জগতে পাঠকপ্রিয় লেখক তওহিদ মাহমুদকে চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা। লে...
24/04/2025

বর্তমান সময়ে থ্রিলার জগতে পাঠকপ্রিয় লেখক তওহিদ মাহমুদকে চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা। লেখক তওহিদ মাহমুদের প্রথম সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার উপন্যাস "সমান্তরাল চতুষ্কোণ " ২০২৩ অমর একুশে বইমেলায় এবং "টোয়েন্টি সেকেন্ডেস" ২০২৪ বইমেলায় চলন্তিকা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও চলন্তিকা ঈদ সংখ্যা ২০২৩ এ লেখকের একটি থ্রিলার গল্প "দ্যা এনিগমা উইদিন পার্সেপশান " প্রকাশিত হয়েছিলো। লেখক ২০২৩ চলন্তিকা সাহিত্য পুরষ্কারে থ্রিলার ক্যাটাগরিতে পাঠক জরিপে বিজয়ী হয়েছিলেন। সময়ের ধারাবাহিকতায় ২০২৫ অমর একুশে বইমেলায় তার প্রথম মিথলোজিক্যাল থ্রিলার উপন্যাস "এডাম'স উওম্যান " চলন্তিকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং মাত্র ৮ দিনে প্রথম মুদ্রণ শেষ হয়ে যায়। লেখকের ব্যক্তি ও সাহিত্য জীবনের সাফল্য কামনা করছি।

শুভ জন্মদিন।

 #খন্ডিত_পান্ডুলিপি পাঠ প্রতিক্রিয়ায় মাসুম মাহমুদ'খন্ডিত পান্ডুলিপি' উপ্যানাসটি এবারের বইমেলা থেকে প্রবল আগ্রহে সংগ্রহ ক...
23/04/2025

#খন্ডিত_পান্ডুলিপি

পাঠ প্রতিক্রিয়ায় মাসুম মাহমুদ

'খন্ডিত পান্ডুলিপি' উপ্যানাসটি এবারের বইমেলা থেকে প্রবল আগ্রহে সংগ্রহ করি। এতোদিন সযত্নে তুলে রেখেছিলাম ঈদের ছুটিতে প্রিয় কুলিয়ারচরে বসে পড়বো তাই। উপন্যাসের লেখক 'আলেয়া আরমিন আলো' যে কুলিয়ারচরের সন্তান। বইটি সংগ্রহের প্রবল আগ্রহের এটিও একটি কারণ।
এই লেখাটি ঠিক বুক রিভিউ নয়। কুলিয়ারচরের প্রিয় অগ্রজ লেখকের উপন্যাস পড়ে অনুজ লেখকের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ বলা যায়।
প্রেম, ধর্ম, সমাজ, মনস্তত্ত্ব, দ্বন্দ্ব, সম্পর্ক, জটিলতার ভেতর দিয়ে উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে যায়। প্রেম মানতে চায় না জাতি, ধর্ম, সমাজ৷ যুগে যুগে প্রেমের টানে পৃথিবীতে কত ঘটনাই না আমরা দেখতে পাই। তেমন ঘরানার ভেতরে দিয়ে খন্ডিত পান্ডুলিপি' উপন্যাস এগিয়ে যায়। উপন্যাসের প্রধান একটি চরিত্র 'অমিত'। তাকে পড়তে পড়তে আচমকা চোখের সামনে ভেসে ওঠে 'শেষের কবিতা'র অমিতের মুখ। সেই মুখ জুড়ে মালা নামের মেয়েটি এক জটিল প্রশ্ন হয়ে ঘুরপাক খায়- কী ভাবে মিলতে পারে মুক্তি? কেন মুক্তি? কারণ ধর্মীয় পার্থক্য যে তাদের প্রেমের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মে বিলং করা নারী, পুরুষের প্রেম আমরা হাজারো গল্প, উপন্যাসে দেখতে পাই। প্রতিটি প্রেমের কাহিনী আলাদা আলাদা। লেখক তার সুনিপুণ লেখনী দিয়ে কাহিনীগুলো ফুটিয়ে তোলেন। এই উপন্যাসে আলেয়া আরমিন আলো সেই কাজটিই করেছেন। নিজস্ব ঢঙে শব্দের পর শব্দ ঢেলে বলে গেছেন প্রেমের কোনো সীমানা নেই, সংস্কার বা শর্ত নেই। প্রেম অমর। এটি কোনো বাধা, ধর্ম বা সীমানার অন্তর্গত নয়। তবুও কি তারা পারে সীমানা, সংস্কার, শর্ত বা ধর্মের বাঁধা পেরিয়ে তাদের হাত এক করতে? কিংবা দুই যুগ পরে আরেক যুগলের মধ্যে ফিরে আসা অমিত, মালা পারে সেই বাঁধা ডিঙাতে?
১৮ পরিচ্ছদে লেখা ১৬০ পৃষ্ঠার এই বইটি পড়তে পড়তে এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়। প্রশ্নগুলো কোনো না কোনোভাবে আমার, আমাদের। উত্তরগুলোও তাই।
"এখন আমরা শুধু নিজেদের কথা ভাবব, নিজেদের জন্য বাঁচব।" এ দু'টি বাক্য দিয়ে উপন্যাস শেষ হয়েছে বটে, তবে আমার বিশ্বাস এটাই 'খন্ডিত পান্ডুলিপি' উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের শেষ কথা নয়। তারপরেও তার অজস্র কথা আছে। সব কথার ভেতর এই কথা আছে 'নিজেদের সাথে সাথে আমরা চিরকাল চারিপাশের মানুষের কথাও ভাবব, মানুষের সান্নিধ্যে আমাদের বেঁচে থাকা রঙিন হবে।
আপনার কলমে আরো চমৎকার সব উপন্যাস জন্ম নিক শুভকামনা রইল, আগাম অভিনন্দন কুলিয়ারচরের কৃতী সন্তান, প্রিয় লেখক 'আলেয়া আরমিন আলো।'

 #ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যেরিভিউ এবং ছবি কৃতজ্ঞতা আশফিহা শান্তা"কিছু ভালোবাসা যেন ভেজা হাওয়া হৃদয় ছুঁয়ে যায়কিছু কাছে আসা ...
21/04/2025

#ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যে
রিভিউ এবং ছবি কৃতজ্ঞতা আশফিহা শান্তা

"কিছু ভালোবাসা যেন ভেজা হাওয়া হৃদয় ছুঁয়ে যায়
কিছু কাছে আসা বৃষ্টির মত মন ভেজাতে চায়
কিছু কথামালা
শুষ্ক মনের একোন সেকোন
সিক্ত করে যাক
মিষ্টি কিছু শব্দের জাদুতে
মন কিছুদিন মুগ্ধ হয়ে থাক।"
ঠিক এভাবেই বইটি পড়ে মনে হলো যেন বৃষ্টি ভেজা শীতল হাওয়ায় হৃদয় ঠান্ডা হয়ে গেলো। আপু তার শব্দের জাদুতে কিছুদিন মোহাচ্ছন্ন করে রাখবেই রাখবে।
বলছি প্রিয় লেখিকা রুকসাত জাহান আপুর সামাজিক রোমান্টিক উপন্যাস "ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে " র কথা।
এটা যখন পেইজে শেষ হলো তখনই মনের মধ্যে অতৃপ্তি ছিল পরে কি হলো। আরমান -মিতুলের ভালোবাসায় রাঙা চড়ুই পাখির সংসার দেখার ইচ্ছা ছিল।তুলতুল এর জীবনের অধরা সুখ, মীরার কি হলো, নার্সিসিস্ট ফারহান এর অবস্থা, ফারহার কোন পরিবর্তন আসলো কিনা জানার ইচ্ছা ছিল খুব।
আলহামদুলিল্লাহ বই হাতে পেয়ে সাথে সাথেই পড়ে ফেলেছি। যেমন সমাপ্তি চেয়েছি তেমন সমাপ্তি ই পেয়েছি। ভালো লেগেছে প্রতিটা চরিত্রের বিশ্লেষণ।
☂️☂️ পাঠ-সংক্ষেপ: উপন্যাসটি শুরু হয়েছে মিতুলের বড় বোন তুলতুল এর বিয়ে থেকে। এখানে মূল চরিত্র হলো মিতুল আরমান।তাদের ঘিরেই বাকি সবগুলো চরিত্রের আবর্তন বা বহিঃপ্রকাশ। কখন কোন চরিত্রের প্রয়োজন খুব সুন্দর ভাবে তার প্রকাশ করা হয়েছে।
একটা সম্পর্ক কিন্তু শুধু প্রেমিক প্রেমিকা বা স্বামী স্ত্রী কে নিয়েই হয়না৷ বাবা মা ভাই বোন শ্বশুর শাশুড়ী সবাইকে নিয়েই গড়ে উঠে একটা পবিত্র বন্ধন। এক্ষেত্রে তুলতুল এর স্বামী সায়েম এমন একজন পুরুষ যে মা বোনের ভালোবাসায় বড় হওয়া একটি ছেলে। মনের দিক দিয়ে এতোটাই দূর্বল যার নিজের মত কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই। এমন ছেলেরা সাধারণত স্বামী হিসেবে বেকুব হয়। যা ঘটেছে আমাদের তুলতুলের জীবনে।বিয়ের প্রথম রাতেই শ্বাশুড়ি ও ননদ অদ্ভুত নাটকীয় আচরন।এমন এক কস্টের স্মৃতি কি তুলতুল এর সারা বিবাহিত জীবনকেই দূর্বিষহ করে তুলবে না? তুলতুল কি পারবে সায়েম কে স্বাভাবিক পুরুষের মত করে গড়ে তুলতে? নাকি ছোটবেলা থেকে যেভাবে অভ্যস্ত সায়েম সেভাবেই ক্ষত-বিক্ষত করে যাবে তুলতুল কে?
অন্যদিকে সায়েম দের দুরের দিকের আত্নীয় হলো আরমান বিয়েতে যার আগমন ফটোগ্রাফার হিসেবে। ঘটনাক্রমে মিতুলের কিছু সুন্দর মুহুর্তের ছবি তুলে ফেলে। এভাবে মিতুলের সাথে তার পরিচয় হয়। তারপর কি হয়? পরিচয় কি শুধুই পরিচয় নাকি পরিণয়ে রূপ নিবে?
অন্যদিকে নিজের গুণোমুগ্ধ, জেদি, অহংকারী ফারহান তার মা কে নিয়ে বিয়েতে উপস্থিত। মিতুলের ছোট চাচার মেয়ে ফারহা কে পাত্রী হিসেবে দেখতে এসেছে কিন্তু পছন্দ করে ফেলেছে মিতুলকে। এবার কি হবে?
ফারহা ছোট চাচার আদরের একমাত্র মেয়ে৷ অতিরিক্ত আদর তাকে গড়ে তুলেছে অহংকারী ও জেদী হিসেবে। তার মা মিতুলকে বিয়েতে পড়ার জন্য শাড়ি ও হিল দিতে বললে মিতুলকে কস্ট দেয়ার জন্য ভাংগা হিল দেয়। আবার শাড়িতে চুপ করে তরকারির ঝোল লাগিয়ে দেয়। পদে পদে মিতুলকে অপদস্ত করার চেষ্টা করে সে।
এছাড়াও মিতুল তুলতুল বাবা মা ওদের ভাইকে মেয়েদের থেকে বেশি ভালোবাসে।
ঘটনাপ্রবাহে আমরা দেখতে পারি আরমান এর বিয়ের কথা চলছে সায়েমের বড় বোনের ননদ মীরার সাথে। তাদের বাগদান এর সময় চলে আসছে আবার মিতুল এর সাথে ফারহান এর বিয়ের কথাও এগিয়ে যাচ্ছে। কবে, কিভাবে মিতুলকে আরমান মনের কথা বলবে?
কি হলো আরমান মিতুলের ভালোবাসার পরিনতি তা জানতে হলে সম্পূর্ণ বইটি পড়তে হবে।তুলতুল এর স্বপ্ন কি পূরন হবে? সায়েম এর কতটূকু পরিবর্তন হলো?
☂️☂️ পাঠ প্রতিক্রিয়া : ধরো যদি হটাৎ সন্ধ্যে পারিবারিক-সামাজিক একটি উপন্যাস। এখানে বোনে-বোনে সম্পর্কের গভীরতা দেখানো হয়েছে তেমনি ছেলে সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের পক্ষপাতিত্ব দেখানো হয়েছে। আবার ব্যাক্তিগত দ্বন্দ্ব, হিংসা বিদ্বেষ যা মানুষের মনের সহজাত প্রবৃত্তি তাও দেখা গিয়েছে। এই লেখাটাকে সম্পূর্ণরূপে প্রেমের উপন্যাস বলা যাবেনা। পারিবারিক জটিলতা -টানাপোড়েন সেইসাথে মেয়েদের প্রতি চাপিয়ে দেয়া সমাজের কিছু ভূলদিকগুলোও দেখানো হয়েছে। আবার সবসময় যে বাবা মায়ের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়না সেটা তুলতুলের বিবাহিত জীবন থেকে আমরা জানতে পারি। ঠিক তেমনি একই ভূল মিতুলের ক্ষেত্রেও বাবা মা করতে যাচ্ছিল। এক্ষেত্রে আরমান এর ভালোবাসা মেনে নেয়ার ক্ষেত্রে মিতুলের সিদ্ধান্ত ও সঠিক। তবে নিজের পছন্দের বিয়েতে পারিবারিক জটিলতা গুলো এবং এর ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যের ওপর কি প্রভাব ফেলে তা আমরা দেখতে পাই এই লেখায় যা সমাজের স্বাভাবিক চিত্র।
☂️☂️ ভাষা ও লিখনশৈলী: আপুর প্রতিটি লেখার একটা অসাধারণ দিক হলো অযথা জটিল না করে আপু অত্যন্ত সহজ সরল করে লিখে। প্রতিটি চরিত্র এত বাস্তব লাগে যেন আমি নিজেই সেখানে উপস্থিত আছি। সাবলীলভাবে লেখা এই উপন্যাস টাও তেমনি অনেক প্রানবন্ত,অনবদ্য এবং অনন্যসাধারণ।
☂️☂️ প্রিয় চরিত্রেরা: তুলতুল আমার সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র। এত বুদ্ধিমতি আর শান্তশিষ্ট একটা মেয়ে। মিতুল এর চরিত্রটি ভালো লেগেছে একদম ন্যাচারাল। বোনে বোনে যে গভীর বন্ধন এই দুইবোনের মিল দেখে বার বার মুগ্ধ হই।
আরমান এর চরিত্র টা প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নের চরিত্র। স্বামী হিসেবে, প্রেমিক হিসেবে এমন ছেলে সব মেয়েরা চায় যে প্রতিটি পদচারণার সংগী হবে৷ বিপদে ঢাল হয়ে এরাই সংগিনীকে আজীবন আগলে রাখে৷
মিতুলের চাচীকে ভালো লেগেছে। আরমান এর কনফেশন এ মীরা কিছুটা রাগ ও আরমানকে অপমান করলেও প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক লেগেছে। কারন এমনটাই হওয়ার কথা৷ শেলী-জান্নাত আরা দের কে নিয়েই বেশিরভাগ মেয়েকে চলতে হয়। সায়েমকে শুরুতে বিরক্ত লাগলেও শেষের দিকে ভালো লেগেছে।
সম্পূর্ণ বইটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে৷ সহজ কথায়,সরল ভাষায়, অসাধারণ করে বইটি লেখা হয়েছে।সবগুলো ঘটনা চরিত্র বর্ননা করে সবশেষে সুন্দর করে সবগুলো সুতো মিলিয়ে সুন্দর একটা সমাপ্তি এসেছে। সায়েম, সায়েমের মা -বোন, ফারহা সবার মধ্যে কি কোন পরিবর্তন এসেছে? কতটুকু বোধোদয় হয়েছে তা বইতে সুন্দর করে লেখা হয়েছে। আশাকরি পাঠক নিরাশ হবেন না।বই এর নামটা যেমন মিস্টি সম্পূর্ন বইটাও তেমন মিস্টি। পথের পাঁচালীর দূর্গার ভাষায় বলতে পারি "মিস্টি যেন গুড়।"
রেটিং: ৯.৫/১০।

বই : ধরো যদি হটাৎ সন্ধ্যে
লেখক : রুকসাত জাহান
প্রচ্ছদ : ফাইজা ইসলাম
মলাট মূল্য : ৫৭৫ টাকা
প্রকাশনী : চলন্তিকা

বর্তমান সময়ের স্বচ্ছ কবি রওশন কেয়াকে জানাই চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা।  কবি রওশন কেয়ার  একক ...
20/04/2025

বর্তমান সময়ের স্বচ্ছ কবি রওশন কেয়াকে জানাই চলন্তিকা পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা। কবি রওশন কেয়ার একক কাব্যগ্রন্থ "জল জোছনার প্লাবন" ২০২১ এ এবং ২০২৫ এর অমর একুশে বইমেলায় নতুন কাব্যগ্রন্থ "জলরঙে আঁকিনি তোমায় " চলন্তিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। কবির ব্যক্তি ও সাহিত্য জীবনের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। সুন্দর হোক আগামীর পথচলা।

শুভ জন্মদিন।

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো... চলন্তিকা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা, অফুরান ভালোবাসা ও সাহিত্যপূর্ণ শুভকামনা।...
13/04/2025

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো...
চলন্তিকা প্রকাশনীর পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা, অফুরান ভালোবাসা ও সাহিত্যপূর্ণ শুভকামনা।

নতুন বছরের প্রথম সূর্য উঠে এক নতুন সম্ভাবনা নিয়ে। এ দিন আমাদের কেবল ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ নয়, এ এক আত্মজাগরণের মুহূর্ত, যেখানে আমরা ফিরে তাকাই আমাদের শিকড়ের দিকে, অনুভব করি বাংলা ভাষার সৌন্দর্য, আর আঁকড়ে ধরি আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও চেতনার অবিনাশী ধারা।

পহেলা বৈশাখ মানেই হৃদয়ের উৎসব। কখনও বাউলের বাউলিয়ানা, কখনও গ্রামীণ হাটের কোলাহল, কখনও কবিতার ছন্দে হারিয়ে যাওয়া বিকেল, আবার কখনও সাহিত্যের পৃষ্ঠায় লেখা অমরত্বের গল্প।

চলন্তিকা প্রকাশনী সেই সাহিত্যের পথিক হয়ে, নতুন বছরেও আপনাদের সঙ্গে পথ চলতে চায়। কলমের শক্তিকে হাতিয়ার করে, সত্য, সৌন্দর্য আর সৃজনশীলতার আলো ছড়িয়ে দিতে চায়, ঘরে ঘরে, মন থেকে মনে।

আসুন—এই নববর্ষে আমরা একসঙ্গে উচ্চারণ করি:
স্বপ্ন হোক সাহসী, শব্দ হোক শক্তি,
আর সাহিত্যে গড়ে উঠুক আমাদের এক নতুন আগামীর ভিত্তি।

শুভ নববর্ষ ১৪৩২, রাঙুক আপনার জীবন প্রাণের উচ্ছ্বাসে, ভরে উঠুক আপনার প্রতিটি দিন সাহিত্য, ভালোবাসা ও সৃষ্টির আলোয়।

চিরচেনা বাংলার চিরন্তন আবাহনে,
চলন্তিকা প্রকাশনী।

 #ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যে(পাঠ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন Aloka Nanda)❝সম্পর্কে পালতে হলে ভালোবাসাটাই পালতে হবে, অভিমান নয়। এতে বরং...
13/04/2025

#ধরো_যদি_হঠাৎ_সন্ধ্যে
(পাঠ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন Aloka Nanda)

❝সম্পর্কে পালতে হলে ভালোবাসাটাই পালতে হবে, অভিমান নয়। এতে বরং সম্পর্কটা ক্ষয় হয়।❞

বিয়ে কি কেবল দুটি মানুষের বন্ধন, না-কি এটি দুইটি পরিবারের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও প্রত্যাশার এক সূক্ষ্ম মেলবন্ধন? সমাজ কি এই বন্ধনকে আত্মিক মিলনে পরিণত হওয়ার সুযোগ দেয়, না-কি একে বেঁধে ফেলে সামাজিক রীতিনীতির কঠোর শৃঙ্খলে?
লেখক রুকসাত জাহানের "ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে" নামক সামাজিক উপন্যাসটি যেন ঠিক এসব জটিল প্রশ্নেরই উত্তর, যেখানে বর্ণিত হয়েছে সম্পর্কের টানাপোড়েন, পারিবারিক দায়বদ্ধতা এবং অঙ্কিত হয়েছে স্বপ্নপূরণ ও স্বপ্নভঙ্গের চিত্র।

▪️কাহিনী সংক্ষেপ▪️

উপন্যাসের কাহিনি এগিয়ে যায় একটি পারিবারিক বিয়েকে কেন্দ্র করে, যেখানে বিভিন্ন চরিত্রের জীবন জড়িয়ে যায় এক সুতোয়। গল্পের সূচনা ঘটে তুলতুল ও সায়েমের বিয়ের অনুষ্ঠানে, যে বিয়ে পরিণতি লাভ করে পারিবারিক সিদ্ধান্তে। কিন্তু এই সম্পর্কের ভিত্তি কি সত্যিই দৃঢ়? সায়েম, যে সবসময় মা ও বোনের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দেয়, তার জন্য ভালো স্বামী হওয়া কি সহজ হবে? তুলতুলের স্বপ্নের সংসার কি গড়ে উঠবে, না-কি দাম্পত্য জীবনের বাস্তবতা তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবে?

এই বিয়ের অনুষ্ঠানে মিতুল ও আরমানের পরিচয় হয় এক আকস্মিক ছোট্ট ঘটনার মধ্য দিয়ে। কিন্তু সেই পরিচয় কি ভালোবাসায় রূপ নেবে, না-কি সময়ের পরিক্রমায় তাদের জীবনে নতুন মোড় আসবে?
অন্যদিকে, ফারহান তার মায়ের পছন্দ করা পাত্রী দেখতে এসে আকৃষ্ট হয় ফারহার প্রতি, আবার মিতুলের সারল্যও তাকে মুগ্ধ করে। কাকে প্রাধান্য দিবে ফারহান?
কাহিনির আবর্তনে উপস্থিতি ঘটে মীরা চরিত্রটির।

এই তরুণ-তরুণীদের জীবনে ভবিষ্যত কী পরিবর্তন আনবে? সম্পর্কের বাঁধন কি আরও দৃঢ় হবে, না-কি কোনো সিদ্ধান্ত বদলে দেবে তাদের ভবিষ্যৎ?
প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে “ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে” উপন্যাসটি।

▪️পাঠপ্রতিক্রিয়া▪️

আমাদের সমাজে প্রেম, বোঝাপড়া, মানসিক সংযোগকে উপেক্ষা করে আর্থিক স্বাচ্ছল্য ও বাহ্যিক সৌন্দর্যই হয়ে ওঠে বিবাহের মূল মাপকাঠি। “ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে” উপন্যাসটি কেবল কিছু চরিত্রের গল্প বলে না বরং সমাজের প্রচলিত এই ধারণাগুলোকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে। উপন্যাসটি আমাদের চিরাচরিত পারিবারিক কাঠামোর সেই বাস্তবতা তুলে ধরে, যেখানে একটি মেয়ে যখন নতুন সংসারে প্রবেশ করে তখন তাকে বিভিন্ন মানসিক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। পুত্রবধূর আগমনে শাশুড়ির মধ্যে সৃষ্টি হয় সংসারের কর্তৃক ও পুত্রকে হারানোর ভয়। আবার জন্মদাত্রী মায়ের ভালোবাসা এবং নবপরিণীতা স্ত্রীর সান্নিধ্যের দ্বন্দ্বে পুত্র কখনোই নিজের অবস্থান সুসংহত করতে পারে না। ফলে নববিবাহিতার অবস্থান হয় দাসীর মতো, যার মতামতের কোনো মূল্য নেই। এসবের মাঝে হারিয়ে যায় নববধূর ব্যক্তিসত্তা। পাশাপাশি কন্যার পরিবারের দ্বায়িত্ব পালনে উদাসীনতা ও সামাজিকতার ভয় যেন মেয়েটিকে আরও বেশি নিঃসঙ্গ করে তোলে।

পারিবারিক ও সামাজিক আবহে রচিত “ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে” এক গভীর অনুভূতির উপন্যাস, যেখানে রক্তের সম্পর্ক, সামাজিক বাস্তবতা এবং ব্যক্তিগত সংকট এক সুতোয় গাঁথা হয়েছে। এখানে যেমন বর্ণিত হয়েছে মিষ্টি প্রেমের গল্প, তেমনি পারিবারিক সম্পর্কের জটিলতা, পক্ষপাত, ঈর্ষা ও মানুষের সহজাত দ্বন্দ্বকেও চিত্রায়িত করা হয়েছে। উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে বিবাহের সময় কন্যার বয়স ও বাহ্যিক রূপ-লাবণ্যের বিচার নামক সামাজিক ধ্যানধারণাকে। একজন নারী কি শুধুই তার বয়সের হিসাব আর বাহ্যিক সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে পরিমাপযোগ্য? এই উপন্যাস সেই প্রচলিত ধারনাকেই যেন চরিত্রদের জীবনের মাধ্যমে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেষ্টা করেছে। এছাড়াও পরিবারের সম্মতি ছাড়া বিয়ে করলে সৃষ্ট জটিল পরিস্থিতি ও তার পরিণতিও উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।

উপন্যাসটি কন্যা ও পুত্রের পারিবারিক অবস্থানের ভিন্নতা নিয়েও এক তীক্ষ্ণ সমাজচিত্র অঙ্কন করেছে। পুত্র সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং কন্যা সন্তানের প্রতি অবহেলা এই বৈষম্য সমাজের এক তিক্ত বাস্তবতা। কন্যা বিবাহিত হলে তার প্রতি পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হয়। সংসারে তার দুঃখ, নিপীড়ন সবই পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে ওঠে। কন্যার প্রতি এই উদাসীনতা যেন এক নীরব সামাজিক হত্যারই নামান্তর।

▪️চরিত্র কথন▪️

“ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে” কেবল একটি গল্প নয়, এটি সমাজের এক বাস্তব আয়না, যেখানে প্রতিটি চরিত্র আমাদের চেনা। তাদের হাসি, কান্না, সংগ্রাম ও সম্পর্ক আমাদের চারপাশের জীবনেরই প্রতিচিত্র।

তুলতুল শান্ত, বুদ্ধিমতি ও সহনশীল এক নারী, যে নিজের সুখের জন্য লড়াই করতে জানে, তবে অভিমান তার স্বভাবের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। অপরদিকে, মিতুল প্রাণবন্ত, উচ্ছল ও সহজ-সরল, সে ভালোবাসাকে আঁকড়ে ধরে মুক্ত পাখির মতো উড়তে চায়। আরমান দৃঢ়চেতা ও দায়িত্বশীল, যে প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রিয়জনের পাশে থাকার শক্তি রাখে। আবার, সায়েম আত্মবিশ্বাসহীন ও পরনির্ভরশীল, যার দ্বিধাগ্রস্ততা তুলতুলের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। ফারহান আত্মমগ্ন ও অহংকারী, যার আত্মগরিমা ও আত্মপ্রেম তাকে অন্যদের অনুভূতি বোঝার সুযোগ দেয় না। ফারহা চরিত্রটিও যেন সামান্য হলেও ফারহানের প্রতিচ্ছবি, তবে উপন্যাসের শেষভাগে তার নেয়া সিদ্ধান্তটি প্রশংসনীয়।
এছাড়াও মীরা, শেলী, জান্নাত আরা, জেসমিন, ফরিদা, রফিক সাহেব ও শফিক সাহেবসহ প্রত্যিটি চরিত্রই যেন আমাদের চেনা, আমাদের চারপাশের বাস্তব মানুষের প্রতিচিত্র।

▪️লেখনশৈলী ও অন্যান্য▪️

উপন্যাসের ভাষাশৈলী সহজ, সাবলীল অথচ গভীর। প্রতিটি বাক্যের মধ্যে লুকিয়ে আছে সমাজের বাস্তব সত্য। সম্পর্কের জটিলতা, ভালোবাসা, ত্যাগ, প্রতারণা ও স্বপ্নভঙ্গের সংমিশ্রণে রচিত হয়েছে এই উপন্যাস। যদিও উপন্যাসটি নির্মাণশৈলী ও কাহিনির বুননের দিক থেকে অনবদ্য, তবে কয়েকটি বানান ভুল ও এক জায়গায় ক্রিয়াপদে ত্রুটি চোখে পড়েছে এবং ‘সায়েম’ চরিত্রটির নাম দুয়েক জায়গায় ‘সিয়াম’ হয়ে গিয়েছে। তবে এই ছোটখাটো ভুলগুলো গল্পের শক্তিশালী আবহকে বিন্দুমাত্র দুর্বল করেনি। বইটির প্রচ্ছদ সুন্দর ও আকর্ষণীয়।

উপন্যাসটি সমাজের প্রাচীন রীতিনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে। এতে উঠে এসেছে সম্পর্কের টানাপোড়েন, পারিবারিক বন্ধন ও সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণার অসঙ্গতি। এটি বিবাহের চিরাচরিত সংজ্ঞাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, পাঠককে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে, ‘বিবাহ কি কেবল সামাজিক রীতি, না-কি এটি দুই সঙ্গীর সমানতালে পথচলার প্রতিজ্ঞা?’
যারা সমসাময়িক সামাজিক উপন্যাস পছন্দ করেন, তাদের জন্য “ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে” একটি সুখপাঠ্য উপন্যাস।

▪️বই পরিচিতি▪️

বইয়ের নাম : ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে
লেখক : রুকসাত জাহান
প্রচ্ছদ : ফাইজা ইসলাম
প্রকাশনী : চলন্তিকা
মুদ্রিত মূল্য : ৫৭৫ টাকা

 #কঠিন_তোমাকে_ছাড়া_একদিনরিভিউ এবং ছবি কৃতজ্ঞতা সালসাবিলা নকি আমি ছিলাম থ্রিলারের পোকা। সব ধরণের বই পড়তে ভালো লাগলেও থ্রি...
13/04/2025

#কঠিন_তোমাকে_ছাড়া_একদিন

রিভিউ এবং ছবি কৃতজ্ঞতা সালসাবিলা নকি

আমি ছিলাম থ্রিলারের পোকা। সব ধরণের বই পড়তে ভালো লাগলেও থ্রিলার একটু বেশি ভালো লাগে। কিন্তু প্রেমের উপন্যাস আমার একদমই ভালো লাগতো না। প্রেমের উপন্যাসে ছিল আমার কঠিন এলার্জি। যেমন আমার রোমান্টিক নাটক, ফিল্ম এসবও ভালো লাগে না।
সুস্মিতা জাফরের 'কঠিন তোমাকে ছাড়া একদিন' বইটির নাম দেখেই বুঝেছিলাম, প্রেমের উপন্যাস হবে। আবার প্রচারণাও দেখেছিলাম, রোমান্টিক উপন্যাস। তবুও এই বইটা আমি কিনেছিলাম। কারণ, সুস্মিতা জাফরের যতো গল্প পড়েছি, উপন্যাস পড়েছি তাঁর লেখার স্টাইল যেমন ডিফারেন্ট লাগল, প্লটও ইন্টারেস্টিং লাগতো। যেমন, ‘আঁধারের যুবরাজ’...
এটাও শুধু রোমান্টিক উপন্যাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এমন মনে হয়নি। তাই কেনা। কিন্তু আমার ধারণা ভুল, এটা পুরোদস্তুর রোমান্টিক উপন্যাসই। তবে আমার কেমন লেগেছে? সেটাই বলছি…
পারিসা, একজন কিশোরী, যে প্রথম প্রেমে পড়ে আরেক কিশোর শার্লকের। তাদের সম্পর্ক আবেগময়, উচ্ছ্বাসে ভরপুর, ঠিক যেমনটি হয় কৈশোরকালের প্রথম ভালোবাসা।
তবে প্রথমদিকে পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, সুস্মিতা জাফর কিশোর সংকলন লিখে আর কিশোর সংকলন সম্পাদনা করতে করতে উপন্যাসটাও কিশোর উপন্যাস করে ফেলেছেন। কিন্তু কাহিনির কিছুদূর যেতে না যেতেই বুঝলাম, আসলে এটা কিশোর উপন্যাস নয়, একটা রোমান্টিক উপন্যাস যেটার নায়ক-নায়িকা কিশোর-কিশোরী; এ ধরণের উপন্যাসের কাহিনীর উপস্থাপন সাধারণত বড়োদের মতো করেই পড়েছি, (আমি লেখনশৈলীর কথা কথা বলছি)। কিন্তু এভাবে কখনও পড়িনি। অর্থাৎ পারিসা আর শার্লকের প্রেম যে বয়সে হয়েছে সে বয়সের ছেলেমেয়েদের যে অনুভূতি হয়, প্রকাশভঙ্গী হয় সেটা একদম তাদের মতো করেই হুবহু তুলে এনেছেন লেখক। মারাত্মক লেগেছে ব্যাপারটা আমার কাছে। আমার মনে হয়েছে লেখার সময় ওই বয়সটাকেই লেখক নিজের মধ্যে ধারণ করেছেন! অথবা টাইম ট্রাভেল করে ওই বয়সে চলে গিয়েছিলেন। এই বিষয়টা মাথায় আসতেই শিউরে উঠেছিলাম। লেখক আসলেই জিনিয়াস!

এই উপন্যাসে আরো অনেক কিছু ছিল। যেমন, পারিসার ডায়রিতে চিঠি লেখা, রিস্ক নিয়ে টেলিফোনে ফোনে প্রেমালাপ, সামনাসামনি বাসার ছাদ থেকে বারান্দায় ইশারায় কথোপকথন, কোচিং এ যাওয়ার সময় অল্প সময়ের জন্য দেখা আর কথা বলা, ভয়-উৎকণ্ঠা-প্রেম, সব মিলিয়ে আমার আমাদের কিশোরবেলার কথা মনে পড়েছে। আমাদের মধ্যে কেউ চিঠি পেলে, রং নাম্বারে ফোন আসলে, আমাদের গার্লস স্কুলের সামনে, বাসার সামনে রাস্তায় কারো জন্য কেউ দাঁড়িয়ে থাকলে আমাদের সবার মধ্যে যে উত্তেজনা কাজ করতো, সাথে সাথে অন্যদের ফোন করে শেয়ার না করলে পেটের ভাত হজম হতো না- সেইসবগুলো স্মৃতি ফিরে ফিরে আসছিল এই উপন্যাসটা পড়ার সময়।

সুস্মিতা জাফরের লেখনশৈলী অনবদ্য—সহজ ও প্রাঞ্জল। তিনি কিশোর-কিশোরীদের আবেগ, দ্বিধা, প্রেম এবং আত্ম-অনুসন্ধানের অনুভূতিগুলো খুব নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে রয়েছে বাস্তবতার ছাপ। যেমন, পারিসার ছোটোবোনের আবেগটাও বাস্তব মনে হয়েছে। শুধু অনিমেষের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ভিন্ন। তবে এটুকু যদি না থাকতো উপন্যাসপাঠে পূর্ণ পরিতৃপ্তি আসতো না।

পুরো উপন্যাস আমি সম্ভবত দুই ঘণ্টায় পড়ে শেষ করেছি। আর পুরোটাই দারুণ উপভোগ করেছি।
এক নজরে
কঠিন তোমাকে ছাড়া একদিন
লেখক- সুস্মিতা জাফর
প্রকাশনী- চলন্তিকা
মলাটমূল্য- ৫০০৳

 ানার_পাখিরিভিউ এবং ছবি কৃতজ্ঞতা অলকা নন্দা❝“গহন সন্ধ্যাবেলা”-য় ক্যাফের “টেবিল নম্বর ৬”-এ বসে একজন “চিত্রকর” ক্যানভাসে আ...
12/04/2025

ানার_পাখি

রিভিউ এবং ছবি কৃতজ্ঞতা অলকা নন্দা

❝“গহন সন্ধ্যাবেলা”-য় ক্যাফের “টেবিল নম্বর ৬”-এ বসে একজন “চিত্রকর” ক্যানভাসে আঁকছিলেন “এক শঙ্কিত সরোবর”, যেখানে প্রতিফলিত হচ্ছে “শিকড়”-এর মতো গেঁথে থাকা “সেই সব অন্ধকার” দিন। “আশফি” সেই চিত্রকর্মের নাম দিলেন - “অবিচ্ছেদ্য আমরা”, গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ফিসফিস করে বললেন, “স্বদেশ আমার মা”।❞

উল্লেখিত অংশটুকু আমার অপরিপক্ক কিছু লেখা। তবে উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরে থাকা শব্দগুচ্ছগুলো লেখক নুসরাত তাজরী রচিত গল্পসংকলন “আহত পাখির ডানা”-তে সংযুক্ত নয়টি ছোটোগল্পের শিরোনাম। এই বইয়ের প্রতিটি গল্পই নিজস্ব এক স্বতন্ত্র আবহ সৃষ্টি করেছে, যেখানে প্রেম, সম্পর্ক, দেশপ্রেম, প্রতারণা, মানবিকতা ও সময়ের নির্মম পরিহাস একসঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে।

▪ গল্পকথন ও পাঠপ্রতিক্রিয়া▪️

বইয়ের প্রথম গল্প “চিত্রকর”-এর সূচনা হয় এক চিত্র প্রদর্শনীতে, যেখানে চিত্রকর শুভ্র চৌধুরী প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। কিন্তু এই সাফল্যের মধ্যেও তার রূঢ় আচরণ সহপাঠী অরুণাকে বিস্মিত করে। শুভ্রর এই পরিবর্তনের পেছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? অন্যদিকে, তাদের আরেক বন্ধু প্রাপ্তি নিখোঁজ বেশ কিছুদিন ধরে। তার অন্তর্ধানের আড়ালে কোন গোপন সত্য লুকিয়ে রয়েছে?
বইয়ের প্রিয় গল্পগুলোর মধ্যে এই গল্পটি অন্যতম। গল্পটি ভালোবাসার এক ভয়ংকর রূপ চিত্রিত করে, যা পাঠক মনে আক্ষেপ ও কষ্টের অনুভূতি সৃষ্টি করে। উপসংহারে এসে মনে হয়, শেষটা হয়তো ভিন্নও হতে পারত।

বইয়ের দ্বিতীয় ও বৃহত্তম গল্প “গহন সন্ধ্যাবেলা”। আসিফের প্রথম স্ত্রী কন্যা মহুয়াকে জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এরপর তার জীবনে দ্বিতীয় স্ত্রী রূপে আসে আরশি, যার অতীতজুড়ে রয়েছে মহিম নামের এক রহস্যময় চরিত্র। আরশি কি কখনো আসিফ ও মহুয়াকে মেনে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে পারবে, না-কি সম্পর্কের ঘূর্ণিপাকে সবাই হারিয়ে যাবে?
সম্পর্কের এক জটিল চিত্র তুলে ধরা হয়েছে গল্পটিতে। অন্ধ ভালোবাসার চমৎকার এক উদাহরণ এই গল্পটি। ভালোবাসার সীমাহীন শক্তি ও তার ধ্বংসাত্মক দিক দুটোই গল্পে দারুণভাবে ফুটে উঠেছে।

“টেবিল নাম্বার ৬” গল্পে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে প্রফেসর হাবিব একের পর এক রহস্যময় ঘটনার সম্মুখীন হন। কিন্তু এসব ঘটনার পেছনে আসল সত্য কী?
কিছু কিছু ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা হয়, তাদের কারণ সবসময় অজানাই থেকে যায়। গল্পটি সেইসব অজানা সত্যেরই বহিঃপ্রকাশ এবং অসততার ফলাফলকে গভীরভাবে তুলে ধরে।

“শিকড়” গল্পটি কিছুদিনের জন্য পায়েলের তার শিকড়ের সন্ধানে যাওয়ার গল্প অর্থাৎ তার বাবার জন্মস্থান কুড়িগ্রামের রৌমারীর চরাঞ্চলে তার ভ্রমণের খণ্ডিত চিত্র।
ব্রহ্মপুত্রের পাড়ের উত্তরবঙ্গের চর এলাকার প্রকৃতি ও স্থানীয় খাদ্যের বর্ণনা মুগ্ধ করেছে। তবে বিভিন্ন বর্ণনা অনুসারে বোঝা যাচ্ছে পায়েল হয়তো অনেক বছর পরে ঐ এলাকায় গিয়েছে। সেই কারণে এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পায়েলের ভ্রমণসঙ্গী তার মা কেন হলেন না সেই বিষয়ে কিছু যৌক্তিক কারণ উল্লেখ থাকলে গল্পটি আরও পরিপূর্ণ হতো বলে আমার মনে হয়।

বইয়ের পরবর্তী গল্প “সেই সব অন্ধকার” এর সূচনা হয় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক স্কুলের গানের শিক্ষক এরশাদুন্নবী এর মৃতদেহের বর্ণনা দিয়ে। তার আগের রাতেই নাহারদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। নাহারের স্কুলের শিক্ষক কি তখন পাকিস্তানিদের গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন? না-কি তার মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনো কারণ দায়ী?
এই গল্পটি নারীর প্রতি যুগ যুগ ধরে চলা নিপীড়নের নির্মম বাস্তবতাকে তুলে ধরে। হায়েনাদের লোলুপ দৃষ্টি সবসময়ই মেয়েদের উপর নিবদ্ধ থাকে। এই বিষয়টি এই গল্পের মূল উপজীব্য হিসেবে ধরা দিয়েছে। এর সমাপ্তি চমৎকার লেগেছে।

“স্বদেশ আমার মা” গল্পটির সূচনা ঘটে আনিকা ও জাওয়াদের ফোনালাপের মধ্য দিয়ে। নিজের একটি গুরুতর সমস্যার কথা আনিকাকে জানানোর উদ্দেশ্যই জাওয়াদের ফোন। কিন্তু কী সেই সমস্যা? আর তাদের সম্পর্কই বা কী?
দেশপ্রেমই এই গল্পের মূল বিষয়বস্তু। সেই সাথে উঠে এসেছে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের গল্প ও তাদেরকে সহযোগিতার গল্প এবং একজোড়া মানব-মানবীর জীবনের কিছু মুহূর্ত।

“শঙ্কিত সরোবর” গল্পে রওশন তার ভালোবাসার মানুষ দিশার ফোন রেকর্ড তল্লাশি করে জানতে পারে যে, দিশা তাকে ধোঁকা দিয়ে আরও দু'জনের সাথে প্রেম করে। এখন রওশনের কী সিদ্ধান্ত নিবে? তাদের সম্পর্কের পরিণতিই বা কী হবে?
এই গল্পটি এক গভীর আফসোসের প্রতিচ্ছবি। পড়া শেষ হওয়ার পর বারবার মনে হয়েছে, এমন না হলেও তো হতো! তবে, একদম শেষ মুহূর্তের চমক ছিল চমকপ্রদ।

“আশফি” গল্পে বুশরার সাথে মাত্র দু’মাসের পরিচয়েই এতিম আশফিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও কোথাও যেন একটি কিন্তু রয়ে যায়। সেই কিন্তুটি কী?
এই গল্পটিও আমার পছন্দের গল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। ভালোবাসার এই গল্পটি পাঠকের হৃদয়কে নাড়া দেবে, তবে শেষটা কিছুটা বিষাদময়।

“অবিচ্ছেদ্য আমরা” গল্পে অর্ণব ও দিভার প্রেমের অবিচ্ছেদ্য বাঁধন একসময় ছিন্ন হয়ে যায়, যখন অর্ণব জানতে পারে দিভার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু বছর পরে তাদের আবার দেখা হয়। তাদের পুরোনো অনুভূতি কি আবার নতুন করে জেগে উঠবে, না-কি ভাগ্য তাদের আলাদা পথেই এগিয়ে দিবে?
ভালোবাসা-বিচ্ছেদ, সুখ-দুঃখ মিলিয়ে চমৎকার একটি গল্প। সুন্দর পরিসমাপ্তি।

সাহিত্য পাঠককে বাস্তবতা ও কল্পনার সীমানা পেরিয়ে ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যায়। “আহত পাখির ডানা” তেমনই এক গল্পসংকলন, যেখানে নয়টি গল্প পাঠককে কখনো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করায়, কখনো রহস্য ও ভালোবাসার আবেগে ভাসিয়ে নেয়। গ্রামীণ জীবনের সরলতা, শহুরে ব্যস্ততা, ইতিহাসের বাস্তবতা সবই এই বইয়ের গল্পগুলোতে স্বতন্ত্রভাবে ফুটে উঠেছে। প্রতিটি গল্প একেকটি অনুভূতির জানালা খুলে দেয়। গল্পগুলো জীবন ও সম্পর্কের বিভিন্ন অনুভূতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।

যারা সমকালীন গল্প ভালোবাসেন এবং যারা গল্পের মাধ্যমে জীবনের ভিন্ন ভিন্ন রূপ দেখতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য “আহত পাখির ডানা” একটি সুখপাঠ্য গল্প সংকলন।

❝নিজেকে কখনো ফের খুব হারালে
মনে মনে ডেকো তারে চোখের জলে
ঠিকই সাড়া পাবে খুব অবেলায়
আসবে ফিরে সে সন্ধ্যা বেলায়,
নিঝুম গহন এক সন্ধ্যা বেলায়!❞

▪️বই পরিচিতি▪️

বইয়ের নাম : আহত পাখির ডানা
লেখক : নুসরাত তাজরী
প্রকাশনী : চলন্তিকা
প্রচ্ছদ : ফারিয়া তাবাসসুম
মুদ্রিত মূল্য : ৩৫০ টাকা

Address

11/6 Free School, Street Kathal Bagan
Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চলন্তিকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to চলন্তিকা:

Share

Category