চলন্তিকা

চলন্তিকা নান্দনিক বই প্রকাশনী "চলন্তিকা" সব সময় আপনাদের ভাল কিছু দেয়ার চেষ্টা করে আসছে । পাঠকের মন জয় করা এতটা সহজ কাজ না, কিন্তু আমরা বদ্ধপরিকর ।

 #কুহুবাসলেখিকাঃ তামান্না স্মৃতি রিভিউদাতাঃ ফারহানা তাবাসসুম ~★কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্প টার শুরু হয় একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।...
11/07/2025

#কুহুবাস
লেখিকাঃ তামান্না স্মৃতি

রিভিউদাতাঃ ফারহানা তাবাসসুম

~

★কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্প টার শুরু হয় একটা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। যেটা আনিকা নামের মেয়ে পড়ছিল। বিজ্ঞাপন টা খুবই অদ্ভুত প্রকৃতির। সেটা আনিকাকে খুব আকর্ষণ করে। বিজ্ঞাপন টা দেশের নামকরা একজন গবেষক আজমীর ফয়সালের দেয়া। বিজ্ঞাপন টা দেখে আনিকা তার সাথে দেখা করতে যায়। যায় আরও অনেকে। আচ্ছা কি ছিল সেই বিজ্ঞাপনটিতে? আজমীর ফয়সালের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা গবেষণার কাজে কয়েকজন লোক লাগবে। আনিকা জানার পর স্বীকার হয় না কাজটা করতে। কারণ সে গর্ভবতী আর তার স্বামী আসিফকে না জানিয়ে এই অদ্ভুত কাজে সে লিপ্ত হতে চাই না। কিন্তু অদ্ভুত একটা কারণে এই কাজে আজমীর ফয়সালের আনিকাকেই চাই কিন্তু কেন? আরও অনেকেই তো আছে!

অন্য দিকে বান্দরবান একালার নির্দিষ্ট একটি রাস্তা থেকে বারবার মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। যার কোনো সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি নিখোঁজ লোকেরা যে গাড়ি বা বাসে ছিল সেগুলো অবধি খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নিখোঁজ কোনো ব্যক্তির মৃতদেহ পর্যন্তও পাওয়া যায়নি। গাড়ি সহ লোকগুলো সব উধাও। এই কেসটার তদন্ত করছে ইনস্পেকটর রায়হান কবির। গত ছয়মাস যাবত সে এই কেসটার তদন্ত করেও কোনো জট খুলতে পারেনি। রায়হান কবিরের সাথে সাথেও নামকরা একজন সাংবাদিক নাবিলা সেও এই জটিল কেসটা নিয়ে কাজ করছে। সেও জানতে চাই এই হারিয়ে যাওয়ার রহস্য। এই কেসটা সম্পর্কে নাবিলা রায়হান কবিরের কাছে জিজ্ঞেসাবাদ করতে এসে আলাপ হয় দুজনের। অতঃপর দুজনের যোগাযোগ বাড়ে কেসটা নিয়ে। আস্তে আস্তে দুজনের মনে প্রণয়ের জায়গা নেয়।

আজমীর ফয়সালের মেয়ে রুপকথা দুই বছর আগে বান্দরবনের সেই জায়গাতে যেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। আজ অবধি তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই কেসটাকে নিয়ে তিনি অনেক স্টাডি করার পর অদ্ভুত একটা রহস্য বের করে। তিনি নিখোঁজ লোকেদের নিয়ে একটা অংকের সমাধান করেন। সেটা আদৌও সত্যি কিনা সেটা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। ঠিক একই অংকের সমাধান রায়হান কবিরও বের করেন। নিখোঁজ লোকেদের মাঝে একজন করে গর্ভবতী মহিলা থাকে আর কাকতালীয় ভাবে সমস্ত নিখোঁজ লোকের জন্মদিন ২১শে জুলাই। এর কারণ কি হতে পারে? এটা কি সত্যি কাকতালীয় নাকি এর পেছনে অদ্ভুত কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে! কে বা কারা করছে এই কাজ গুলো? কোনো দুষ্ট চক্রের হাত আছে কি এতে? উদ্দেশ্য কি তাদের! নাকি এখানে অন্য কোনো গ্রহ বা জগতের হাত রয়েছে! নাহলে এত লোক গাড়ি সহ এভাবে উধাও হয় কিভাবে!

আজমীর ফয়সাল, রায়হান আর নাবিলা কি পারবে এই জটিল রহস্যের সমাধান বের করতে? নিখোঁজ সব ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে? নাকি নিজেরাই ফেঁসে যাবে অদ্ভুত রহস্যের জালে?

~

পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ এটা একটি থ্রিলার এবং ফ্যান্টাসি জনরার গল্প। গল্প টার মাঝে রয়েছে অনেক অনেক জটিল রহস্য যা আপনাকে বইটি না শেষ হওয়া অবধি শান্তি দেবে না। বইটার যত পৃষ্ঠা উল্টিয়েছি তত বইটা পড়ার আগ্রহ আরও বেড়েছে। বইটি পড়ে আমি কখনো ভীষণ অবাক হয়ছি, কখনো গা ছমছমে ভাব অনুভব করেছি তো কখনো বেদনাদায়ক অনুভূতিও পেয়েছি। বইটি পড়তে পড়তে আপনি জটিল রহস্যের মাঝে আটকে যাবেন। এমনকি আপনি অন্য জগতেও চলে যেতে পারেন। কিভাবে! সেটা বইটা পড়েই জানতে পারবেন। বইটি পড়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। এমন অদ্ভুত ধরনের লেখা আমি আগে কখনো পড়িনি। বইটি শেষ অবধি পড়ে ভেবেছি লেখিকা কিভাবে এমন জটিল প্লটের গল্প কল্পনা করেছিলেন!

 #চাঁদের_কাছে_রোদের_চিঠি পাঠ প্রতিক্রিয়া এবং ছবি কৃতজ্ঞতা সুমাইয়াকিছু কিছু বই থাকে যেগুলো কেবল গল্প নয়, যেন সময়ের এক জীব...
10/07/2025

#চাঁদের_কাছে_রোদের_চিঠি
পাঠ প্রতিক্রিয়া এবং ছবি কৃতজ্ঞতা সুমাইয়া

কিছু কিছু বই থাকে যেগুলো কেবল গল্প নয়, যেন সময়ের এক জীবন্ত টুকরো। *“চাঁদের কাছে রোদের চিঠি”* তেমনই একটি উপন্যাস, যেটি আমাকে শুধু একটি প্রেমকাহিনী দেয়নি—আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে ৮০ থেকে ২০০০ সালের বাংলাদেশের মফস্বল জীবনের প্রতিটি অনুভবে।

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র চাঁদ এবং রোদ—যারা চাচাতো ভাইবোন হলেও তাদের সম্পর্কের গাঢ়তা এক সময় ছুঁয়ে যায় ভালোবাসার দাগ। রোদ সেই ছেলে, যে চাঁদের নীরবতাকে শুনতে জানে। পরিবারের অবহেলার মাঝে বড় হওয়া চাঁদের পাশে অবিচল সঙ্গী হয়ে থাকে সে—একজন নিরব সহচর, একজন মৃদু উৎসাহদাতা।

সবচেয়ে দারুণ লাগে এই গল্পের সময়চিত্রায়ণ। কেবল রোদ-চাঁদের হৃদয়ের ওঠানামা নয়, পুরো উপন্যাসজুড়ে লেখক এক নিখুঁত ছাঁদে ফুটিয়ে তুলেছেন এক সময়কাল—যেখানে শিশুরা খেলাধুলার মাঝেও অভিভাবকদের চোখ রাঙানিতে থাকে, যেখানে মফস্বল শহরের ধুলোমাখা পথ, কাঁচা রাস্তা, সাংস্কৃতিক রীতি, শিক্ষার অবস্থা, এমনকি পরিবার ব্যবস্থার ভাঙন-পোড়নও যেন শব্দে শব্দে জীবন্ত হয়ে ওঠে।

রোদের বাবা একজন গণিত শিক্ষক, চাঁদের বাবা ব্যবসায়ী—এই পার্থক্যের মাঝেই আছে শ্রেণিগত বৈষম্য, আর তাতেই তৈরি হয়েছে সম্পর্কের সূক্ষ্ম দূরত্ব, পারিবারিক টানাপোড়েন। কিন্তু চাঁদ ও রোদের হৃদয়ের সেতুবন্ধ বারবার সেই দূরত্বকে অতিক্রম করতে চেয়েছে। সেই অনুভব, সেই নীরব প্রেম, সেই চিঠির মাধুর্য—সব কিছুই যেন মনে পড়ে যাওয়া প্রথম ভালোবাসার মতো নরম আর অমলিন।

এই উপন্যাস কখনো হাসিয়েছে—শৈশবের দুষ্টুমিতে, আবার কখনো চোখ ভিজিয়েছে—চাঁদের নিঃসঙ্গতায় কিংবা রোদের কষ্টে। কখনো আবার মনে হয়েছে আমি নিজেই যেন কিরণ, রোজী কিংবা বৃষ্টি কারও একজন হয়ে গেছি—এই পরিবারের একজন সদস্য, এই গল্পের একটা অংশ।

একজন পাঠক হিসেবে আমি এই উপন্যাসকে শুধু ‘ভালো’ বলতে পারবো না—এটা আমার ভেতরে কোথাও গিয়ে গেঁথে গেছে। এমন এক সময়ের ছবি এঁকেছে, যা হয়তো আমরা হারিয়ে ফেলেছি, অথচ ভুলিনি।

যারা শুধুমাত্র একটি প্রেমকাহিনী খুঁজছেন না, বরং সময়কে ছুঁয়ে থাকা, সমাজকে চিনে ফেলা কোনো বই পড়তে চান—তাদের জন্য *“চাঁদের কাছে রোদের চিঠি”* হবে এক দারুণ পাঠানুভব।

08/07/2025

গত ২১শে জুন'২৫ তারিখ তামান্না আক্তার নামক পাঠক চলন্তিকার এডমিন প্রিয়া রহমানকে ইনবক্সে বই দুটি (শানজানা আলমের ই-বুক 'তোমার খোলা হাওয়ায়' ও ফাহমিদা মাহবুবার রম্যোপন্যাস 'ঝামেলায় জমেলা’) র মিলের কথা জানান।
একই ঘটনা লেখক শানজানা আলম জানান ২৩শে জুন সকালে। চলন্তিকার প্রকাশক রাশেদ রানাকেও শানজানা আলম অবহিত করেন । চলন্তিকার পক্ষ থেকে দু'জনকেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়। এদিকে চলন্তিকা অভিযুক্ত লেখক ফাহমিদা মাহবুবাকে অভিযোগ খন্ডানোর জন্য সময় দেয়।

তামান্না আক্তার ২৩শে জুন তারিখ বিকেলে বিষয়টি নিয়ে বিশদ পোস্ট দেন। শানজানা আলম ওইদিনই পোস্টটি শেয়ার দেন। দু'টি পোস্টেই অভিযুক্ত লেখককে দোষী সাব্যস্ত করে অসংখ্য কমেন্ট হয়। ফাহমিদা মাহবুবা একইদিনে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যাতে বলেন যে তিনি শানজানা আলমের ই-বুকটি পড়েননি। তাই কপি করার প্রশ্নই আসে না।

উপরোক্ত তিনটি পোস্ট ছাড়াও এই বিষয় নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন লেখক ও পাঠক কর্তৃক একাধিক পোস্ট হয়। এছাড়াও অভিযোগকারী লেখক শানজানা আলম একাধিক পোস্ট করে প্রকাশনীর কাছে একটি সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন। এই সকল পোস্টের কমেন্টেই অভিযুক্ত লেখকসহ প্রকাশনীর বিরুদ্ধে অসংখ্য কমেন্ট জমা হয়।

লাগাতার পোস্ট ও কমেন্টের মুখে ২৪শে জুন রাতে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সময় চেয়ে পরপর দুটি পোস্ট করা হয় চলন্তিকার পেইজে।

পুনরায় ২৫শে জুন অভিযোগকারী লেখক চলন্তিকার ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে পোস্ট দেন। যথারীতি সেসব পোস্টের কমেন্টে অভিযুক্ত লেখকের পাশাপাশি চলন্তিকা প্রকাশনীকেও নানা রকম কটাক্ষ ও অশ্লীল ভাষায় কমেন্ট করা হয়।
এদিকে যেহেতু, বইয়ের কপি বা নকলকরণ রোধে প্রচলিত বিচার ব্যবস্থায় কোনও আইন নেই এবং অভিযুক্ত লেখক ফাহমিদা মাহবুবার পক্ষ থেকে সন্তোষজনক কোনও সাড়াও পাওয়া যায়নি, তাই ২৬শে জুন তারিখ চলন্তিকা 'ঝামেলায় জমেলা' বইটির উপর আপাতত স্থগিতাদেশের ঘোষণা দেয়। এই রায়ের পরই শানজানা আলম অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে পুনরায় আবার পোস্ট দেন।

চলন্তিকার রায়ের পরদিন ২৭শে জুন ফাহমিদা মাহবুবা তার বইটির মিলে যাওয়া অংশগুলো যে শানজানা আলমের ই-বুকের কপি নয়, বরং ২০১০ সালের দিকে টেলিভিশনে প্রচারিত একটি হিন্দি সিরিয়াল থেকে অনুপ্রাণিত, তা যুক্তিতর্ক দিয়ে পোস্ট করেন।
ফাহমিদা মাহবুবার পোস্টটির পরই ফেসবুকের লেখক পাঠক সমাজ দু'টি দলে বিভক্ত হয়ে পোস্ট প্রতিপোস্ট দিতে থাকেন, যেসবের অধিকাংশই চলন্তিকার রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে লেখক ফাহমিদা মাহবুবার পক্ষে যায়।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০শে জুন চলন্তিকার পক্ষ থেকে পরিচালক ফৌজিয়া খান তামান্না একটি লাইভে এসে পরিস্থিতি বর্ণনা করে সকল শুভানুধ্যায়ীর কাছে পরামর্শ চেয়ে উন্মুক্ত আহ্বান জানান।

লাইভে লেখক, পাঠক এবং শুভানুধ্যায়ীদের অসংখ্য পরামর্শমূলক কমেন্ট, ইনবক্সে পরামর্শ এবং কিছু শুভাকাঙ্ক্ষীর ফেসবুক পোস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে চলন্তিকার আজকের পোস্টটি তৈরি হয়।

চলন্তিকার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নিম্নরূপ :

'ঝামেলায় জমেলা' উপন্যাসটির লেখক ডা. ফাহমিদা মাহবুবার দেখানো যুক্তি অনুসারে শানজানা আলমের ই-বুক 'তোমার খোলা হাওয়ায়' এর সাথে ডাক্তার ফাহমিদা মাহবুবার উপন্যাস 'ঝামেলায় জমেলা'র যেই মিলগুলো দেখানো হয়েছে, তার অধিকাংশই চিরায়ত বিশ্ব সাহিত্য ও নাটক সিনেমার অতি সাধারণ ঘটনা। যেমন: পিতৃহীন নায়ক বা নায়িকা, ডাকসাইটে মা কর্তৃক জোর করে বিয়েতে বাধ্য করা, পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের মাধ্যমে নায়ক নায়িকার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন, ইত্যাদি। উল্লেখযোগ্য একমাত্র মিল - নায়ক কর্তৃক নায়িকাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে ফরম ফিলাপ করিয়ে দেওয়া অংশটুকু। আটাশ হাজার শব্দ ও ১০৪ পৃষ্ঠার একটি উপন্যাসের শুধু দেড়/দুই পৃষ্ঠার একটি ঘটনার মিল হওয়ার জন্য পুরো উপন্যাস স্থগিতকরণ ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত।
লাইভের পরে নিরপেক্ষ বিচারে অসংখ্য জ্ঞানীগুণী জনের পরামর্শ মোতাবেক চলন্তিকা এই সিদ্ধান্তে এসেছে -
ফাহমিদা মাহবুবার উপন্যাস 'ঝামেলায় জমেলা'র স্থগিতাদেশ এই মর্মে বাতিল করা হলো যে, প্রথম মুদ্রণের অবশিষ্ট বই আর বাজারজাত করা হবে না এবং পরবর্তী মুদ্রণে মিলে যাওয়া উল্লেখযোগ্য অংশ নতুন করে লিখতে হবে।

একইসঙ্গে সর্বসাধারণের জ্ঞাতার্থে পাণ্ডুলিপি কপি ও নকল নিরোধকল্পে চলন্তিকার লেখক প্রকাশক চুক্তিপত্রে সংযোজিত নতুন ধারাগুলি প্রকাশ করা হলো।

১. পাণ্ডুলিপিতে কোনও বইয়ের ছায়া, অনুপ্রেরণা বা অনুকরণ (অবশ্যই শোভনীয় পর্যায়ে) থাকলে তা বইয়ে এবং বইয়ের প্রচারণায় স্পষ্টাক্ষরে উল্লেখ থাকতে হবে।

২. বই প্রকাশের পর অনুল্লেখিত অনাকাঙ্ক্ষিত কোনও মিলের অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রকাশকের সম্মান ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ বাবদ নির্দিষ্ট অর্থদণ্ড ও বইটি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হবে।

এই বিষয়ে এই পোস্টই চলন্তিকার শেষ সিদ্ধান্ত। কোনও লেখক বা পাঠক যদি এই সিদ্ধান্তে একমত না হন, তাহলে চলন্তিকা বর্জনের পূর্ণ স্বাধীনতা তার আছে।

 #ভেতর_বাহির পাঠ প্রতিক্রিয়া এবং ছবি কৃতজ্ঞতা তিথি রহমান বই: ভেতর বাহিরলেখক: সাবিকুন নাহার নিপাপ্রকাশনী: চলন্তিকা প্রচ্ছ...
06/07/2025

#ভেতর_বাহির
পাঠ প্রতিক্রিয়া এবং ছবি কৃতজ্ঞতা তিথি রহমান

বই: ভেতর বাহির
লেখক: সাবিকুন নাহার নিপা
প্রকাশনী: চলন্তিকা
প্রচ্ছদ: আভা তাজনোভা ইরা
মলাট মূল্য: ৭২৫৳

★কাহিনী সংক্ষেপঃ “ভেতর বাহির” একান্নবর্তী একটি পরিবারের গল্প। গল্পটি শুরু হয় মৌনীর জীবনকে কেন্দ্র করে। বাবার মৃত্যু আর মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে। বড় চাচা, চাচির সাথে তাদের কন্যার মতো বড় হওয়া। বড় চাচার বাড়িতে অনেক আদরে মানুষ হয় কখনো অবহেলিত হয়নি। বড় চাচার তিন মেয়ে সাথে মৌনী আর প্রিয় খালা খালেদা। খালেদার একমাত্র সন্তান শ্রেয়াণ, মৌনীর কৈশরের ভালো লাগা থেকে ভালোবাসার মানুষ হলো শ্রেয়াণ। কিন্তু শ্রেয়াণ মৌনীকে পছন্দ করে না। পছন্দ না করার পিছনে অনেক বড় রহস্য আছে। সবার জীবনে যেন এক একটা কাহিনী। গল্পটা শুরু হয় বড় চাচার মেয়ে স্মৃতির পালিয়ে যাওয়া নিয়ে তারপর আস্তে আস্তে গল্পের মোড় পাল্টে সামনে এগিয়ে যায়।

★পাঠ অনুভূতিঃ ভেতর বাহির গল্পটা ফেইসবুকে পড়েছি আমি তারপরও বই পড়ার সময় কোন বিরক্ত আসেনি একটানা পড়ে গেছি।
লেখকের লেখার হাত চমৎকার। পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে। শব্দচয়ন, বর্ণনা একদম নিখুত। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে সুন্দর বর্ণনা করেছেন। ভালোবাসার মানুষকে সুখে রাখা, অধিকারবোধ, কাছে আসা সবকিছু এতো দারুণভাবে লিখেছেন। লেখকের লিখনশৈলী, পটভূমি বাছাই চমৎকার ছিলো। বইটা পড়ার সময় ভালো লাগাই ভেসে ছিলাম একদম। গল্পের প্রতিটা মুহূর্ত যেন ভীষণ কাছের, একের পর এক দৃশ্যপট খুব চমৎকারভাবে এগিয়েছে। বর্ণনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি সত্যি প্রশংসা পাওয়ার মতো।

★চরিত্র বিশ্লেষণঃ এই বইতে আমার প্রধান চরিত্র কাউকে মনে হয়নি সব চরিত্রকে সমান গুরুত্ব দিয়ে লেখক লিখেছেন।

*মৌনী: সাধারণের মধ্য যেন অসাধারণ। আপন মানুষদের জন্য সব করতে পারে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রবল। ভালোবেসে নিজের মধ্যে সে ভালোবাসা ভীষণ যত্নে আগলে রাখতে জানে।

*শ্রেয়াণ: প্রথমে পড়ার সময় যে কেউ শ্রেয়াণের প্রতি রাগ ওঠবে কিন্তু পরে পড়তে পড়তে ভালোবেসে ফেলবে। ওর জীবনের একটা কঠিন সত্য সেজন্য সে নিজেকে খুব ছোট মনে করে। ভালোবেসেও সেই ভালোবাসা প্রকাশ করে না। মনে এক কিন্তু মুখে বলবে আরেক।

*কেয়া: কেয়া উপরে অনেক শক্ত কিন্তু তার ভিতরটা অনেক নরম। নিজের পরিবারের মানুষকে আগলে রাখার বিশেষ গুণ টা আছে। সবার কাছে সে অনেক কঠোর মনের নারী হলেও তার ভিতরের নরমটা এক সময় প্রকাশ পায়।

*তিথী: আমার ভীষণ প্রিয় একটি চরিত্র। খুব সাধারণ নরম মনের একটা মেয়ে। মৌনি আর তিথীর বন্ডিং টা আমার এতো দারুণ লেগেছে।

*স্মৃতি: তিথী আর স্মৃতি জমজ বোন হলেও তাদের স্বভাবে একদম মিল নেই। স্মৃতি একটা স্বার্থপর মেয়ে। যে পরিবারের কঠিন বিপদেও পাশে দাড়াই না। পরে সে নিজের ভুল বুঝতে পারলেও তার প্রতি আমার কোন সহানুভূতি কাজ করেনি।

*খালেদা: আমার খুব প্রিয় একটা চরিত্র। যার জীবনে এমন খালা আছে তার জীবনের অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে আর সবার বিপদে পাশে দাড়াই। সে একজন বেস্ট মা।

এছাড়াও বড় চাচা, বড় চাচি, সায়ক, নাফি,পাখি, সামির, সব চরিত্রদের সমান গুরুত্ব দিয়ে লিখেছেন লেখক।

প্রচ্ছদ, বইয়ের বাইন্ডি অনেক ভালো হয়েছে। বইটা হাতে নিলে আর রাখতে ইচ্ছে করবে না। এই বইতে তেমন কোন ভুল আমার চোখে পরেনি।

❝শুয়োপোকার বয়স এখন ৫০/৪৮…❞একটি দিন, ক্যালেন্ডারের পাতায় সাধারণ হলেও চলন্তিকার ভালোবাসায় হয়ে উঠল অসাধারণ। শুভেচ্ছা, দোয়া ...
05/07/2025

❝শুয়োপোকার বয়স এখন ৫০/৪৮…❞
একটি দিন, ক্যালেন্ডারের পাতায় সাধারণ হলেও চলন্তিকার ভালোবাসায় হয়ে উঠল অসাধারণ। শুভেচ্ছা, দোয়া আর ভালোবাসায় হৃদয় ভরে উঠেছে।

❝আমায় যারা রেখেছে মনে;
আষাঢ় কিবা শ্রাবণে,
যারা রাখেনি স্মরণে;
তাতে কী যায় অকারণে,
ভালো আছি, ভালো থেক সবাই মনপ্রাণে।❞

শুয়োপোকার এই জন্মদিনের উপলক্ষে যারা যারা সময় করে একটা শব্দ, একটা বার্তা, বা একটা হাসিমাখা শুভেচ্ছা দিয়েছেন—
আমি হৃদয়ের গভীর থেকে "কৃতজ্ঞতা" জানাই।
আপনাদের এই ভালোবাসাই জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার।

ভালোবাসা অবিরাম চলন্তিকা টিম ও লেখকেরা আর সুরের যাদুকর Khairul Wasi । 💛

ধন্যবাদান্তে-
Rashed Rana

তিনি একজন প্রকাশক -কিন্তু শুধুই বই ছাপান না,নতুন নতুন কণ্ঠস্বরকে সাহস দেন,নিজে স্বপ্ন দেখেন, নবীন লেখকদের স্বপ্নের মূল্য...
04/07/2025

তিনি একজন প্রকাশক -
কিন্তু শুধুই বই ছাপান না,
নতুন নতুন কণ্ঠস্বরকে সাহস দেন,
নিজে স্বপ্ন দেখেন, নবীন লেখকদের স্বপ্নের মূল্যায়ন করেন।
লেখককে লেখক করে তোলার নেপথ্যের দীপ্ত আলো তিনি।

তিনি একজন সহজাত কবিও -
যার কবিতায় শুধু শব্দ নয়,
জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতা, প্রেম আর সময়ের সত্য প্রতিফলিত হয়।

তিনি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক -
তার গল্পে মাটি ও মানুষের নির্মল প্রেম বিরহ খেলা করে।

তিনি একজন সফল গীতিকার -
তার বিরহ, প্রেম, আনন্দ, বেদনার গীতিকাব্যে সুর বসিয়ে কন্ঠে ধারণ করে আনন্দ পান শিল্পী।

তিনি একজন কারিগর -
বহু মানুষের কর্মসংস্থান গড়ে দিয়ে নিজেকেই তিনি শ্রমিক বলে পরিচয় দেন গৌরবে।

তিনি চলন্তিকার কর্ণধার, সম্পাদক রাশেদ রানা।
আজ এই স্বপ্নকারিগরের জন্মতিথি।
চলন্তিকার গৌরব ও সমৃদ্ধি তার হাত ধরে দিকে দিকে ছড়িয়ে যাক, এই শুভকামনা।

চলন্তিকার সকল লেখক,পাঠক, এডমিন ও শুভানুধ্যায়ীদের পক্ষ থেকে রাশেদ রানাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।

30/06/2025
30/06/2025

কিছু জরুরি কারণবশত
লাইভ আজ রাত
১০ টায় হবে।

30/06/2025

আজ সোমবার রাত ৯ টায় চলমান পরিস্থিতির পর্যালোচনামূলক ও আনুসঙ্গিক বক্তব্য নিয়ে লাইভে আসবেন ফৌজিয়া খান তামান্না।

26/06/2025

প্রকাশনার জগতে চলন্তিকা প্রথম থেকেই মানবিক এবং লেখক-পাঠক বান্ধব সুসম্পর্ক উন্নয়নে দৃষ্টান্ত একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর। চলন্তিকা বরাবরই বাণিজ্যের চেয়ে মানবীয়তা ও বন্ধু-বাৎস্যল্যের চর্চা করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি সিদ্ধান্তে আসতে চলন্তিকার যথেষ্ট সময় লেগেছে।

সাহিত্যচর্চা মানেই শিল্প, সৌন্দর্য, সৌহার্দ্য, সহনশীলতা, সহমর্মিতা এবং সর্বোপরি মানবীয়তার চর্চা হবে - এমন কিছু বোঝায়। সাহিত্য তৈরি হয় মানুষের দ্বারা, মানুষের জন্য। সাহিত্যিকদের মধ্যে অপদস্ত, অপমান, তুচ্ছতাচ্ছিল্য মনোভাব পোষন করা বাঞ্ছনীয় নয়। সাহিত্যের এই নীতিগুলোই চলন্তিকা মেনে চলে।

একজন সাহিত্যিক মৌলিক সাহিত্য তৈরি করবেন, এটিই স্বাভাবিক চাওয়া। প্রকাশনা হিসেবে চলন্তিকার দায়িত্ব সেই সাহিত্যটিকে সর্বোচ্চ যত্ন সহকারে মলাটবদ্ধ করা। বিশ্বব্যাপী লাখো সাহিত্যের সকল তথ্য জানা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়। আর তাই একটি লেখায় সকল সম্পাদনা শেষ হওয়ার পরেও বর্তমান পরিস্থিতির মত ত্রুটি থেকে যেতেই পারে। এবং সে দায় কোনোভাবেই প্রকাশনীর ওপর বর্তায় না। এটির দায় লেখকের ।

যে কারও নামে যেকোনও ধরনের অভিযোগ উঠতেই পারে। বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর আগে তাই অভিযোগের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনা করে যাচাই করা মানবিক কাজ। সেইসাথে অভিযুক্তকে অভিযোগ খণ্ডানোর সময়ও দিতে হয়, এটিই নিয়ম।

কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা যেমন সময়সাধ্য ব্যাপার, সেই সুসম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করাও শুভ-ইচ্ছার ব্যাপার। চাইলেই সহজেই যে কাউকে আক্রমণাত্মক কথা বলা ও কারও সম্পর্কে অভিযোগ তোলা যায়ই। নতুন মব কালচারের বাংলাদেশে যে কোনও অভিযোগের আগুনে ঘি দেওয়ার মানুষেরও অভাব হয় না।
তবে আমরা মনে করি, সাহিত্য মানুষের জন্য, মানুষ সবার উপরে। তাই চলন্তিকা সিদ্ধান্ত জানানোর আগে যুক্তিযুক্ত সময়টুকু নিয়েছে।

অভিযুক্ত বইটি সম্পর্কে চলন্তিকা এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে,
১. অভিযুক্ত বইটি আপাততঃ স্থগিত করা হয়েছে।
২. বইটির কোনও প্রকার প্রচার ও বিপনণ হবে না ।
৩. বইটির পুনর্মুদ্রণও হবে না।
৪. যদি কোনও বুকশপের কাছে এই বইটির একটি কপিও থাকে, তারা চাইলেই মূল্য ফেরত সাপেক্ষে বইটি প্রকাশনীতে জমা দিতে পারবে।

প্রকাশনী আরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরবর্তীতে যে কোনও বই প্রকাশের জন্য চুক্তিপত্রে কপি ও নকল সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা সংযুক্ত করা হবে।

24/06/2025

চলন্তিকার পক্ষ থেকে সম্মানিত লেখক পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে জানানো যাচ্ছে যে,
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যথাযথ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বইটি সম্পর্কে একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবং যথাসময়ে তা সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সে পর্যন্ত সকলকে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব বজায় রেখে চলন্তিকার পাশে থাকার অনুরোধ রইল।

Address

Kalabaga

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চলন্তিকা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to চলন্তিকা:

Share

Category