The great light of islam

06/12/2025

এক সাহাবী ছিলেন আবু উমামাহ (রা.)। একদিন তিনি মসজিদের কোণে বসে ছিলেন ভীষণ চিন্তিত মুখে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন—

“হে আবু উমামাহ! তোমাকে এই namaz-এর সময়ে মসজিদে দুঃখী মুখে বসে থাকতে দেখছি কেন?”

তিনি উত্তর দিলেন—
“ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ! ঋণের বোঝা আর দুশ্চিন্তা আমাকে চেপে ধরেছে।”

তখন নবী করিম ﷺ তাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দিলেন এবং বললেন—

“এই দোয়াটি প্রতিদিন সকাল–সন্ধ্যা পড়বে,
আল্লাহ তোমার দুঃখ দূর করবেন এবং ঋণ মুক্ত করবেন।”

দোয়াটি ছিলঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ

অর্থ:
“হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই দুঃখ ও কষ্ট থেকে,
অক্ষমতা ও অলসতা থেকে,
কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে,
এবং ঋণের ভার ও মানুষের জুলুম থেকে।”

আবু উমামাহ (রা.) বলেন—
“আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর বলা মতে দোয়াটি পড়তে শুরু করলাম।
এরপর আল্লাহ আমার ঋণ দূর করে দিলেন এবং আমার দুশ্চিন্তাও চলে গেল।”

আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে ঋণ মুক্ত রাখুন এবং হালাল পথে উপার্জন করার তৌফিক দান করুন ( আমীন )

06/12/2025

06/12/2025

প্রশ্নঃ আল্লাহু আকবার কাবীরা, ওয়াল হামদুলিল্লাহি কাসিরা, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরতাও ওসিলা" এই দুয়ার ফজিলত কি এবং তা কি সহীহ?

উত্তরঃ এ তাসবীহটি অত্যন্ত ফযীলতপূর্ণ। এ সম্পর্কে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তিনটি হাদিস পেশ করা হল:

▪ ১ম হাদিস:

عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلًا جَاءَ فَدَخَلَ الصَّفَّ وَقَدْ حَفَزَهُ النَّفَسُ فَقَالَ اللهُ اَكْبَرُ الْحَمْدُ لِلّهِ حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ فَلَمَّا قَضى رَسُولُ اللهِ ﷺ صَلَاتَه قَالَ أَيُّكُمْ الْمُتَكَلِّمُ بِالْكَلِمَاتِ فَأَرَمَّ الْقَوْمُ فَقَالَ أَيُّكُمْ الْمُتَكَلِّمُ بِهَا فَإِنَّه لَمْ يَقُلْ بَأْسًا فَقَالَ رَجُلٌ وَقَدْ حَفَزَنِي النَّفَسُ فَقُلْتُهَا فَقَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ اثْنَيْ عَشَرَ مَلَكًا يَبْتَدِرُونَهَا أَيُّهُمْ يَرْفَعُهَا. رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক (তাড়াহুড়া করে) এসে সালাতের কাতারে শামিল হয়ে গেল। তার শ্বাস উঠানামা করছিল। সে বললো, ‘‘আল্লা-হু আকবার, আলহামদু লিল্লা-হি হামদান কাসীরান তাইয়্যিবাম্ মুবা-রকান ফিহী’’ (অর্থাৎ- আল্লাহ মহান। সব প্রশংসা আল্লাহর জন্য, এমন প্রশংসা যা অনেক বেশী পাক-পবিত্র ও বরকতময়)।

সালাত শেষে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এ কথা বলেছে?
সকলে চুপ হয়ে বসে আছে।
তিনি আবার বললেন, তোমাদের মধ্যে কে এ কথাগুলো বলেছে?
এবারও কেউ উত্তর দিল না।

তিনি তৃতীয়বার জিজ্ঞেস করলেন, তোমাদের মধ্যে কে এ বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছে? যে ব্যক্তি এ কথাগুলো বলেছে সে আপত্তিকর কিছু বলেনি।

এক ব্যক্তি আরয করলো, আমি যখন এসেছি, আমার শ্বাস উঠানামা করছিল। আমিই এ কথাগুলো বলেছি।

এবার তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, "আমি দেখলাম বারোজন মালাক (ফেরেশতা) কার আগে কে আল্লাহর কাছে এ কথাগুলো নিয়ে যাবে, এ প্রতিযোগিতা করছে।"

[সহীহ : মুসলিম ৬০০, নাসায়ী ৯০১, আবূ দাঊদ ৭৬৩, আহমাদ ১২৭১৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৭৬১, নাসায়ী ৯০১]

এ হাদিস থেকে বুঝা গেল, এ দুআটি দুআউল ইস্তিফতাহ বা সালাত শুরুর দুআ হিসেবে পাঠ করা শরিয়ত সম্মত।

▪ ২য় হাদিস:
عن عبد الله بن عمر - رضي الله عنهما - ، قال : بينما نحن نصلي مع رسول الله ﷺ ، إذْ قال رجُلٌ من القوم : "اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا ، وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً" ، فقال رسول الله ﷺ : (مَنِ الْـقَـائِـلُ كَـلِـمَـةَ كَـذَا وَكَـذَا ؟!) ، قال رجُلٌ من القوم : أنا يا رسول الله ، قال : (عَجِبْتُ لَهَا ، فُتِحَتْ لَهَا أَبْوَابُ السَّمَاءِ) ، قال ابنُ عمر : فما تركتهن ، منذ سمعت رسولَ الله ﷺ يقول ذلك
رواه الإمامُ مسلمُ في صحيحه برقم : «948»

ইবনে উমর রা. বলেন, একদিন আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে নামায পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল,

اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً

উচ্চারণ:
'আল্লাহু আকবার কাবীরা,
ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা
ওয়া সুবহানাল্লাহি
বুকরাতান ওয়া আসীলা'

অর্থ: "আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তাআলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।"

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এই কথা কে বলেছে?
উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল, আমি হে আল্লাহর রাসূল!
তিনি বললেন, "এ দোয়ায় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।"
ইবনে উমর রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমি এ কথা শুনার পর থেকে কখনো তা পাঠ করা পরিহার করিনি।

[মুসলিম হা/৯৪৮, তিরমিজী ৩৯৪১]

▪ ৩য় হাদিস:

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، قَالَ قَامَ رَجُلٌ خَلْفَ نَبِيِّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً ‏.‏ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ صَاحِبُ الْكَلِمَةِ ‏"‏ فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا يَا نَبِيَّ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ لَقَدِ ابْتَدَرَهَا اثْنَا عَشَرَ مَلَكًا ‏"

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে বলল,
"আল্লাহু আকবার কাবীরা,
ওয়ালহামদু লিল্লাহি কাছীরা,
ওয়া সুবহানাল্লাহি
বুকরাতাঁও ওয়া আসীলা"
তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কে এ কলেমা বলেছে?
ঐ ব্যক্তি বলল, আমি, হে আল্লাহ নবী!
তখন তিনি বললেন, "বারো জন ফেরেশতা এ কলেমা তাড়াতাড়ি করে তুলে নিয়েছে।"

[সহিহ, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১২৪৬
[ সূনানে নাসাঈ - ৮৮৫ ]

আল্লাহ তাআলা আমল করার তাওফিক দান করুন,আমীন।

উত্তর প্রদানেঃ
(আব্দুল্লাহিল হাদী বিনআব্দুল জলীল)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।

06/12/2025

🌿 দোয়া করার সুন্নাত সমূহ 🌿

১. ওযু করুন
রাসূল ﷺ হুনাইন যুদ্ধের পরে পানি আনতে বললেন, ওজু করলেন এবং হাত তুলে দোয়া করলেন [মুসলিম : ২৪৯৮]।

২. আনুগত্য এবং একনিষ্ঠ
তোমরা তাঁকেই ডাক, তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে [গাফীর ৪০:৬৫]

৩. সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে ডাকুন
আর আল্লাহর জন্যই রয়েছে সুন্দর সুন্দর নাম অতএব তোমরা তাঁকে সেসব নামেই ডাক [আল-আরাফ ৭:১৮০]।

৪. আল্লাহর প্রশংসা এবং দরুদ
রাসূল ﷺ হামদ এবং সালাত (দরুদ) পাঠের পর দোয়া করতে নির্দেশ দিয়েছেন [তিরমিযী : ৩৪৭৬]।

৫. হাত দুটো তুলে ধরুন, কিবলামুখী হোন🕋আস্তাগফিরুল্লাহ🕋
বদর যুদ্ধে রাসূল ﷺ কিবলামুখী হয়ে দু'হাত উঁচু করে দোয়া করেছিলেন [মুসলিম : ১৭৬৩]। ইমাম নববী বলেন, কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা মুস্তাহাব।
রাসূল ﷺ বলেছেন, যখন কোন বান্দাহ হাত উঠিয়ে দোয়া করে, তখন তিনি (আল্লাহ) তার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন [আবু দাউদ : ১৪৮৮]।

৬. বিশ্বাস রাখুন দোয়াটা কবুল হবেই🕋আলহামদুলিল্লাহ
রাসূল ﷺ বলেছেন, তোমরা দোয়া কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া কর [তিরমিযি, সহিহুল জামে : ২৪৫]।

৭. তাড়াহুড়ো করবেন না
রাসূল ﷺ বলেছেন, তোমাদের কারো দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাড়াহুড়া করে বলে যে আমি দোয়া করেছি; কিন্তু, আমার দোয়া কবুল হয়নি [সহিহ বুখারী : ৬৩৪০, সহিহ মুসলিম : ২৭৩৫]।

৮. ধৈর্য্য সহকারে নম্র হৃদয়ে আশা এবং ভয় নিয়ে দোয়া করুন
রাসূল ﷺ বলেন, তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহ্‌ কোন উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না [সুনানে তিরমিযি : ৩৪৭৯, সহিহুল জামে : ২৪৫]।
আল্লাহ্‌ তা‘আলা বলেন, তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের রবকে ডাক; নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না [সূরা আরাফ, আয়াত: ৫৫]।

৯. হালাল খান, পরুন
হারাম ভক্ষণ করে, হারাম পোশাক পরিধান করে দোয়া কবুল হয় না [মুসলিম : ১০১৫]।
সংগৃহীত

আলহামদুলিল্লাহ 🕋আস্তাগফিরুল্লাহ 🕋

06/12/2025

বিসমিল্লাহ্‌ হিররাহমানির রাহিম।

৫টি সোনালী সময়, যখন আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেওয়া হয় -----

★জোহরের পূর্বমুহূর্তে -----

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-নিশ্চই আসমানের দুয়ারসমূহ খুলে দেওয়া হয় সূর্য মধ্যাকাশ থেকে পশ্চিমাকাশের দিকে হেলে পড়ার সময়। এরপর যোহরের সালাত পর্যন্ত তা আর বন্ধ হয় না। আমি চাই সেই সময়ে আমার কোন ভালো কাজ ওপরে উঠুক।
(সহীহুল জামি,হাদিস- ১৫৩২)

★আযানের সময় -----

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-যখন আযান দেওয়া হয় আসমানের দুয়ার সময় খুলে দেওয়া হয় এবং দু’আ কবুল করা হয়।
(সহীহুত ত্বারগীব,হাদিস-২৬০)

★এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষার সময় -----

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- শুভ সংবাদ! তোমাদের রব আসমানের দুয়ার খুলে দিয়েছেন এবং তোমাদের নিয়ে ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলছেন-‘আমার বান্দাগন আমার আরোপিত ফরজ (নামাজ) আদায়ের পর আরেক ফরজের জন্য অপেক্ষা করছে’।
(ইবনে মাজাহ,হাদিস- ৮০১)

★রাতের শেষার্ধে -----

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-রাতের শেষার্ধ শুরু হলে একজন ঘোষক ঘোষণা দিতে থাকেন, কেউ কি কোন আর্জী পেশ করার আছো? তার আর্জি গৃহীত হবে। কারো যাঞ্চা করার কিছু আছে? তা মঞ্জুর হবে। আছে কোন বিপদগ্রস্থ? তার বিপদ দুর করা হবে। তখন পেশাদার ব্যভিচারীনী এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করা লোক ব্যতিত কোন মুসলিমের দু’আই ব্যর্থ হয় না।
(সহূহুত ত্বারগীব,হাদিস- ৭৮৬)

★এই দুআ পাঠের সময় -----

একদিন আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে নামায পড়ছিলাম। সে সময় সমাগত লোকদের মাঝে হতে এক লোক বলল, ‘আল্লাহু আকবার কাবীরা, ওয়াল হামদু লিল্লাহি কাছীরা ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতান ওয়া আসীলা’ (যার অর্থ, আল্লাহ মহান, অতি মহান, আল্লাহ তা’আলার জন্য অনেক অনেক প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যা আমি আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি।) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এই এই কথা কে বলেছে?
উপস্থিত লোকদের মাঝে এক লোক বলল, আমি হে আল্লাহর রাসূল!
তিনি বললেনঃ এ দু’আয় আমি খুব আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। এ বাক্যগুলোর জন্য আকাশের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে আমি এ কথা শুনার পর থেকে কখনো তা পাঠ করা পরিহার করিনি।
(মুসলিম, তিরমিজী,হাদিস-৩৯৪১)

__(শাইখ আহমাদুল্লাহ হাফিঃ)

06/12/2025

হযরত আইয়ুব (আঃ)-এর ঘর পুড়ে গেল, খামার নষ্ট হলো, সন্তান হারালেন, স্ত্রী চলে গেলেন, নিজেও অসুস্থ হলেন। এত কষ্ট,এত বিপদ। কিন্তু তিনি ভরসা হারালেন না। দেহ দুর্বল হলো, কিন্তু আল্লাহর স্মরণ দুর্বল হলো না। আর তখনই আল্লাহ বললেন-
“আমি তাকে ধৈর্যশীল পেয়েছি। সে কত উত্তম বান্দা। নিশ্চয়ই সে ছিল আমার দিকে ফিরে আসা বান্দা।”
( আল-কুরআন, ৩৮ঃ৪৪)

অন্যদিকে হযরত সুলাইমান (আঃ) ছিলেন রাজা, নবী, ক্ষমতা ও প্রাচুর্যের অধিকারী। আল্লাহ তাঁকে এমন নিয়ামত দিলেন যা আর কাউকে দেওয়া হয়নি। বাতাস তাঁর বশে। জিন তাঁর অধীনে। রাজত্ব তাঁর হাতে। কিন্তু এত ক্ষমতা, সম্পদ, সম্মান একটুও তাকে আল্লাহ থেকে দূরে সরাতে পারেনি। তিনি প্রতিটি নিয়ামতের পেছনে আল্লাহকে খুঁজে পান। শোকর গুজারেশ করতে তাঁর কখনো ভুল হয়নি।

তার বর্ণনায়ও আল্লাহ একই ঘোষণা দিলেন-
“আমি দাউদকে সুলাইমান দান করেছি। সে কত উত্তম বান্দা!নিশ্চয়ই সে ছিল আল্লাহমুখী, বারবার আল্লাহর দিকে ফিরে আসা।”( আল-কুরআন, ৩৮ঃ৩০)

একজন সব হারিয়ে উত্তম বান্দা। আরেকজন সব পেয়ে উত্তম বান্দা। দুজনের পরীক্ষা আলাদা, পথ আলাদা। কিন্তু আল্লাহর দৃষ্টিতে দু’জনই সমান সম্মানিত।

আল্লাহ কখনো কষ্ট দিয়ে কাছে টানেন। কখনো আবার প্রাচুর্য দিয়ে পরীক্ষা করেন। যে কষ্টে ধৈর্য ধরে, সে আল্লাহর প্রিয়। যে প্রাচুর্যে শোকর করে, সেও আল্লাহর প্রিয়।

এই পৃথিবীটা পরীক্ষার কেন্দ্র মাত্র। পরীক্ষক একমাত্র আল্লাহ। তাই ভরসা রাখি শুধুমাত্র আল্লাহর উপর। আল্লাহর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। মনে প্রাণে এটাই বিশ্বাস করতে হবে।