13/04/2025
পহেলা বৈশাখ । ...........................
এটি একটি ভিন্ন ধর্মীয় উৎসব যার প্রবর্তন করেন সম্রাট আকবর। ১৫৬২ খ্রিস্টাব্দে দ্বীন-ই-ইলাহী নামে একটি নতুন ধর্ম চালু করেন সম্রাট আকবর যেখানে তাকেও সিজদা করা হত। সেই ধর্মের একটি অনুষ্ঠান হল পহেলা বৈশাখ। (সুত্রঃWikipedia-দীন-ই-ইলাহ)
মূলত সম্রাট আকবর হিন্দুদের মনোরঞ্জন করার জন্য তিনি নতুন ধর্ম ও সনের প্রবর্তন করেন এ সনের প্রথম দিনই ছিল পহেলা বৈশাখ
শ্রী আনন্দনাথ রায় তার বারো ভূইয়া বইয়ে উল্লেখ করেন,
"আকবর বাদশাহর রাজত্বকালে হিন্দু সম্প্রদায় বাদশাহের কাছে জ্ঞাপন করে, আমাদের ধর্মকর্ম সম্পর্কীয় অনুষ্ঠানে হিজরি সন ব্যবহার করতে ইচ্ছা করি না। আপনি আমাদের জন্য পৃথক সন নির্দিষ্ট করে দিন। আকবর হিন্দু প্রজার মনোরঞ্জনার্থে হিজরি সন
থেকে দশ-এগার বছর কমিয়ে এলাহি সন নামে একটি সনের প্রচলন করেন। যা আমাদের বঙ্গদেশের সন বলে চলে
আসছে।'(সুত্রঃবারভূঁইয়া,-আনন্দনাথ রায়)
রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন– “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের(বা ধর্মের) কৃষ্টি-কালচারের অনুকরণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত গণ্য হবে এবং যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়কে মহব্বত করবে, তাদের সাথে তার হাশর হবে।”[সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৩৫১৪]
সূতরাং উক্ত হাদিসের আলোকে বিধর্মীদের কোন সাদৃশ্য রাখা যাবে না। রাখলে অবশ্যই কাফের হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ বলেন,
, ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺒْﺘَﻎِ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻘْﺒَﻞَ ﻣِﻨْﻪُ
ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳﻦَ
যে ব্যক্তি ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন নিয়ম নীতি গ্রহন করলো, তা কখনো গ্রহন যোগ্য হবে না এবং সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।(সুরা আল ইমরান- আয়াত নং-৮৫)
অন্য হাদিসে এসেছে,
আব্দুল্লাহ ইব্ন আমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
'যে অনারব দেশে বিচরণ করে, অতঃপর তাদের নওরোজ(পহেলা বৈশাখ) ও মেহেরজান উৎযান করে, তাদের সাথে তাকে উঠানো হবে।”(সুনানে বায়হাকী ২য় খণ্ড, ৩২৫ পৃষ্ঠা)
ইবনে তাইমিয়াহ বলেছেন:
“এ হাদীস প্রমাণ করে যে, মুসলমানদের জন্য কাফেরদের (বা ভিন্ন ধর্মের) উৎসব পালন করা হারাম। কারণ, রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারদের জাহিলী যুগের দু’টি উৎসব বহাল না রেখে রহিত করে দিয়েছেন। তাদের রীতি অনুযায়ী সেই দুইদিন তাদের আমোদ-উৎসবের অনুমতি দেননি। বরং তা রদ করে বলেছেন—“নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এ দু’টি বদল করে দিয়েছেন।” এর দাবী হচ্ছে–পূর্বের আমল ত্যাগ করা। কারণ, বদল করার পর উভয় বিষয়কে জমা করা যায় না। কেননা, বদল শব্দের অর্থ হলো, একটি ত্যাগ করে অপরটি গ্রহণ করা।”(ফাইজুল কাদির, ৪র্থ খণ্ড, ৫১১ পৃষ্ঠা)
রাসূলুল্লাহ(সা.) বলেন‘প্রত্যেক জাতির নিজস্ব উৎসব রয়েছে, আর এটা আমাদের ঈদ"ইয়াওমুদ্দুহা ও ইয়াওমুল ফিতর" ।(বুখারী, মুসলিম)
এছাড়া আনাস ইবনে মালিক(রা.) বর্ণিত:
“রাসূলুল্লাহ(সা.) যখন মদীনায় আসলেন, তখন তাদের দুটো উৎসবের দিন ছিল। তিনি(সা.) বললেন, ‘এ দুটো দিনের তাৎপর্য কি?’ তারা বলল, ‘জাহিলিয়াতের যুগে আমরা এ দুটো দিনে উৎসব করতাম।’ রাসূলুল্লাহ(সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমাদেরকে এদের পরিবর্তে উত্তম কিছু দিয়েছেন: ইয়াওমুদ্দুহা ও ইয়াওমুল ফিতর ।(সূনান আবু দাউদ)
এ হাদীস থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ইসলাম আগমনের পর ইসলাম বহির্ভূত সকল উৎসবকে বাতিল করে দেয়া হয়েছে এবং নতুনভাবে উৎসবের জন্য দুটো দিনকে নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সাথে অমুসলিমদের অনুসরণে যাবতীয় উৎসব পালনের পথকে বন্ধ করা হয়েছে।
শায়খ আবু হাফছ আল-কাবীর হানাফী বলেন, ‘এসব দিনের সম্মানার্থে মুশরিকদের যে একটি ডিমও উপঢৌকন দিল, সে আল্লাহর সাথে কুফরী করল’।
কাযী আবুল মাহাসেন হাসান মানছূর হানাফী বলেন, ‘এ দিনের সম্মানার্থে কেউ যদি ঐ সব মেলা থেকে কোন জিনিষ ক্রয় করে কিংবা কাউকে কোন উপঢৌকন দেয়, সে কুফরী করল। এমনকি সম্মানার্থে নয় বরং সাধারণভাবেও যদি এই মেলা থেকে কিছু ক্রয় করে কিংবা কাউকে এই দিনে কিছু উপঢৌকন দেয়, তবে সেটিও।
(মির‘আত শরহ মিশকাত, ‘ছালাতুল ঈদায়েন’ অধ্যায় ৫/৪৪-৪৫ পৃঃ)
যে ব্যক্তি নওরোজের(পহেলা বৈশাখ উৎসব উপলক্ষে) দিন এমন কিছু খরিদ করল
যা সে পূর্বে খরিদ করত না, এর মাধ্যমে সে যদি
ঐ দিনকে সম্মান করতে চায় তাহলে সে কাফের
হয়ে যাবে।আল্লাহ বলেনِ...ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺒْﺘَﻎِ ﻏَﻴْﺮَ ﺍﻟْﺈِﺳْﻠَﺎﻡِ ﺩِﻳﻨ ﻓَﻠَﻦ ﻳُﻘْﺒَﻞَ ﻣِﻨْﻪُ
ﻭَﻫُﻮَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺂﺧِﺮَﺓِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﺎﺳِﺮِﻳﻦَ
অর্থ: যে ব্যক্তি ইসলাম
ব্যতীত অন্য কোন নিয়ম নীতি গ্রহন করলো, তা
কখনো গ্রহন যোগ্য হবে না এবং সে
ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে।
(ফাতওয়া রশীদিয়া ২৪০)
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :
নওরোজ বা নববর্ষ পালনের উৎস পারস্যের অগ্নি উপাসক তথা মজুসীদের থেকে: “ঐতিহ্য মতে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খৃষ্টপূর্ব ৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিলো। সেই হতে যুগে যুগে উদযাপিত হইয়া ইহা জাতীয় আনন্দময় নববর্ষ দিবসে পরিণত হইয়াছে। এবং এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উংসব। ইরান হতেই ইহা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারা বহিয়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। পারসিক কালচারে সমৃদ্ধ কাট্টা শিয়া রাষ্ট্র ইরানে এখনো ইহা জাতীয় দিবস এবং দেশের সকল অধিবাসীর মহা আনন্দ উৎসবের সঙ্গে উদযাপন করিয়া থাকে, ২২-২৪ মার্চ সেখানে ঈদ-ই নওরোজের রাষ্ট্রীয় ছুটির দিন।”( ইসলামী বিশ্বকোষ ১৩ তম খন্ড ৬০৯ পৃষ্ঠা। প্রকাশনা- ইসলামী ফাউন্ডেশন)
মুঘল সম্রাট হুমায়ুন পারস্য সম্রাট ২য় শাহ তাহমাসপ এর সৈন্যের সহায়তায় দ্বিতীয়বার পিতার সিং হাসন অধিকার করিলেও (১৫৫৬ খৃ) তখন হতে উপমহাদেশের ব্যাপকভাবে ইরানী শিয়াগণের আগমন ঘটিতে থাকে এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক রীতিনীতিতে ইরানী (শিয়া) প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাইতে থাকে। নওরোজ উৎসব এই সময় হতেই সাম্রাজ্যের সর্বত্র উদযাপিত হতে হতে থাকে। আগ্রা ও দিল্লীতে এই দিনে বিরাট রাষ্ট্রীয় ভোজ এবং সর্বসাধারনের মেলা, ক্রীড়া, রাত্রে বাতি জ্বালানো উৎসব হইতো কিন্তু বিশেষ উৎসবটি হত রাজপ্রাসাদ এলাকাতে বিশিষ্ট ব্যক্তিগনের সমাবেশ।
(ইসলামী বিশ্বকোষ ১৩ তম খন্ড ৬০৯ পৃষ্ঠা)
নতুন দিন তথা সূর্যকে স্বাগত জানানো:
এ ধরনের কর্মকান্ড মূলত সূর্য-পূজারী ও প্রকৃতি-পূজারী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অনুকরণ মাত্র, যা আধুনিক মানুষের দৃষ্টিতে পুনরায় শোভনীয় হয়ে উঠেছে। তথাকথিত বুদ্ধিজীবী সমাজের অনেকেরই ধর্মের নাম শোনামাত্র গাত্রদাহ সৃষ্টি হলেও প্রকৃতি-পূজারী আদিম ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নকল করতে তাদের অন্তরে অসাধারণ পুলক অনুভূত হয়। সূর্য ও প্রকৃতির পূজা বহু প্রাচীন কাল থেকেই বিভিন্ন জাতির লোকেরা করে এসেছে। যেমন খ্রীস্টপূর্ব ১৪ শতকে মিশরীয় “অ্যাটোনিসম” মতবাদে সূর্যের উপাসনা চলত। এমনি ভাবে ইন্দো-ইউরোপীয় এবং মেসো-আমেরিকান সংস্কৃতিতে সূর্য পূজারীদেরকে পাওয়া যাবে। খ্রীস্টান সম্প্রদায় কর্তৃক পালিত যীশু খ্রীস্টের তথাকথিত জন্মদিন ২৫শে ডিসেম্বরও মূলত এসেছে রোমক সৌর-পূজারীদের পৌত্তলিক ধর্ম থেকে, যীশু খ্রীস্টের প্রকৃত জন্মতারিখ থেকে নয়। ১৯ শতাব্দীর উত্তর-আমেরিকায় কিছু সম্প্রদায় গ্রীষ্মের প্রাক্কালে পালন করত সৌর-নৃত্য এবং এই উৎসব উপলে পৌত্তলিক প্রকৃতি পূজারীরা তাদের ধর্মীয়-বিশ্বাসের পুনর্ঘোষণা দিত। মানুষের ভক্তি ও ভালবাসাকে প্রকৃতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টির সাথে আবদ্ধ করে তাদেরকে শিরক বা অংশীদারিত্বে লিপ্ত করানো শয়তানের সুপ্রাচীন “ক্লাসিকাল ট্রিক” বলা চলে। শয়তানের এই কূটচালের বর্ণনা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কুরআনে তুলে ধরেছেন: “আমি তাকে ও তার জাতিকে দেখেছি, তারা আল্লাহকে ছেড়ে সূর্যকে সিজদা করছে এবং শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য শোভনীয় করেছে” (সূরা আন নামল :২৪)
এটি একটি হিন্দুদের ধর্মীয় দিন:
আসুন দেখি এই দিনে কি কি পুজা বা
উৎসব পালিত হয় ?
১/ পুন্যাহঃ
পুণ্যাহ মূলত সংস্কৃত শব্দ। অর্থ ভালো
কাজের সুফল পাবার দিন। জমিদার
প্রথার সময় বছরের সূচনার দিন অর্থাৎ
পয়লা বৈশাখে অনুষ্ঠান করা হতো।
আসলে পুণ্যাহ ছিল জমিদারদের দিক
থেকে আর্থিক স্বার্থ উদ্ধারের কৌশল।
http://is.gd/j8W4ga
২/ হিন্দুদের ঘটপূজা
হিন্দুরা পহেলা বৈশাখের দিনে
একটি মাটির ঘড়া বা ঘটের ওপর ছবি,
স্বস্তিকাচিহ্ন ইত্যাদি এঁকে তার পূজা
করে থাকে।
৩/ গণেশ পূজা
হিন্দুদের নিয়ম হচ্ছে, যে কোন কাজ শুরু
করার সময়ে গণেশপূজা করে শুরু করা।
পহেলা বৈশাখ যেহেতু বছরের প্রথম
দিন, সেহেতু হিন্দু ব্যবসায়ীরা এই
দিনে নতুন বছরের ব্যবসা শুরু করার জন্য
গণেশপূজা করে তারপর হালখাতা খুলে
থাকে।
http://is.gd/zodR4x
৪/ সিদ্ধেশ্বরী পূজা / বউমেলা
সোনারগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী এক মেলা
বসে যার নাম বউমেলা, এটি
স্থানীয়ভাবে "বটতলার মেলা"
নামেও পরিচি। জয়রামপুর গ্রামের
মানুষের ধারণা, প্রায় ১০০ বছর ধরে
পহেলা বৈশাখে শুরু হওয়া এই মেলা
পাঁচ দিনব্যাপী চলে। প্রাচীন একটি
বটবৃক্ষের নিচে এই মেলা বসে, যদিও
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সিদ্ধেশ্বরী
দেবীর পুজোর জন্য এখানে সমবেত হয়।[৫]
বিশেষ করে কুমারী, নববধূ, এমনকি
জননীরা পর্যন্ত তাঁদের মনস্কামনা
পূরণের আশায় এই মেলায় এসে পূজা-
অর্চনা করেন। সন্দেশ-মিষ্টি-ধান দূর্বার
সঙ্গে মৌসুমি ফলমূল নিবেদন করে
ভক্তরা। পাঁঠাবলির রেওয়াজও পুরনো।
বদলে যাচ্ছে পুরনো অর্চনার পালা। এখন
কপোত-কপোতি উড়িয়ে শান্তির
বার্তা পেতে চায় ভক্তরা দেবীর
কাছ থেকে।
http://is.gd/lEhuLu
৫/ ঘোড়ামেলা
সোনারগাঁ থানার পেরাব গ্রামের
পাশে আরেকটি মেলার আয়োজন করা
হয়। এটির নাম ঘোড়ামেলা। লোকমুখে
প্রচলিত যামিনী সাধক নামের এক
ব্যক্তি ঘোড়ায় করে এসে নববর্ষের এই
দিনে সবাইকে প্রসাদ দিতেন এবং
তিনি মারা যাওয়ার পর ওই স্থানেই
তাঁর স্মৃতিস্তম্ভ বানানো হয়। প্রতিবছর
পহেলা বৈশাখে স্মৃতিস্তম্ভে সনাতন
ধর্মাবলম্বীরা একটি করে মাটির
ঘোড়া রাখে এবং এখানে মেলার
আয়োজন করা হয়। এ কারণে লোকমুখে
প্রচলিত মেলাটির নাম ঘোড়ামেলা।
http://is.gd/lEhuLu
৬/ চৈত্রসংক্রান্তি পূজা-অর্চনা/
নীলপূজা/চড়কপূজা/গম্ভীরাপূজা/
কুমীরের পূজা/অগ্নিনৃত্যঃ
চড়ক পূজা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ
লোকোৎসব। চৈত্রের শেষ দিনে তথা
চৈত্রসংক্রান্তিতে এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়
এবং বৈশাখের প্রথম দু-তিন দিনব্যাপী
চড়ক পূজার উৎসব চলে। এ পূজার অপর নাম
নীল পূজা। গম্ভীরাপূজা বা শিবের
গাজন এই চড়কপূজারই রকমফের। চড়ক পূজা
চৈত্রসংক্রান্তিতে অর্থাৎ চৈত্র
মাসের শেষ দিবসে পালিত হয়। আগের
দিন চড়ক গাছটিকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার
করা হয়। এতে জলভরা একটি পাত্রে
শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ রাখা হয়, যা
পূজারিদের কাছে "বুড়োশিব" নামে
পরিচিত। পতিত ব্রাহ্মণ এ পূজার
পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন।
পূজার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ হলো
কুমিরের পূজা, জ্বলন্ত অঙ্গারের ওপর
হাঁটা, কাঁটা আর ছুঁড়ির ওপর লাফানো,
বাণফোঁড়া, শিবের বিয়ে, অগ্নিনৃত্য,
চড়কগাছে দোলা এবং দানো-
বারানো বা হাজারা পূজা করা।
http://is.gd/ya41q7
http://is.gd/JG1Bpw
http://is.gd/1rQoPV
http://is.gd/RiSqep
৭/ ত্রিপুরাদের বৈশুখ/মারমাদের
সাংগ্রাই ও পানি উৎসব/চাকমাদের
বিজু উৎসব,
সম্মিলিত উৎসবের নাম বৈসাবী
সুত্রঃ http://is.gd/IeMHKc
৮/ মঙ্গল শোভাযাত্রাঃ
মঙ্গল শোভাযাত্রা মানে হোলও মঙ্গল
কামনা করে অশুভ বিতারনের জন্য যে
যাত্রা। এই শোভাযাত্রায় সব সময়
বিভিন্ন দেবদেবীর বাহন থাকে যা
একজন মুসলিম কখনোই মেনে নিবে না।
যেমন: লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা,
সরস্বতীর বাহন রাজহাঁস,
গণেশের বাহন ইঁদুর,
দুর্গার বাহন সিংহ,
মনসার বাহন সাপ,
কার্ত্তিকের বাহন ময়ূর,
মহাদেবের বাহন ষাড়,
যমরাজের বাহন কুকুর,
ইন্দ্রের বাহন হাতি,
ব্রক্ষ্মার বাহন পাতিহাঁস,
বিশ্বকর্মার বাহন ঢেকি,
শীতলার গাধা ইত্যাদি।
দেখা যাচ্ছে, পহেলা বৈশাখে
হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা ও উপলক্ষ
বিদ্যমান, কিন্তু মুসলমানদের কোনো
অনুষ্ঠান এই দিনে নাই।
পহেলা বৈশাখ হলো একান্তই হিন্দুদের
নিজস্ব দিবস, নিজস্ব উৎসব। উপরের যেসব
উৎসবের বর্ণনা দেয়া হয়েছে পহেলা
বৈশাখের, তা মূলত গ্রাম্য হিন্দুদের
উৎসব। ঘটা করে প্রথম বাংলা নববর্ষ
পালন করা হয় ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় ।
ব্রিটিশরাজের বিজয় কামনা কে ১৯১৭
সালে পহেলা বৈশাখে হোমকীর্ত্তণ
ও পূজার ব্যবস্থা করে কলকাতার হিন্দু
মহল । আবার যখন দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের
দামামা বাজল,তখন হিন্দু সুবিধাবাদী
গোষ্ঠি ১৯৩৮ সালে উত্সব করে পহেলা
বৈশাখ পালন করল । পূজায় পূজায়
ইংরেজদের জন্য বিজয় কামনা করল ।
(সূত্র: প্রথম বিশ্ব যুদ্ধে বাংলা বর্ষবরণ,
মুহাম্মাদ লুত্ফুর হক, দৈনিক প্রথম আলো,১৪ এপ্রিল ২০০৮)
এখন সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কি মুসলিম থাকবেন না কাফের হবে??
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনা সত্ত্বেও মুশরিক (ইউসুফ ১২/১০৬)।
দীন-ই-ইলাহি, (ফার্সি: دین الهی lit. "ঈশ্বরের ধর্ম")[১][২] উচ্চারনভেদে দ্বীন-ই-ইলাহী ১৫৮২ সালে মুঘল বাদশাহ আকবর প্রবর্তিত একট....