13/09/2025
✨ আমার জীবনের সত্য ঘটনা ✨
ভরা রোদ দুপুরে ছাদে গোসল করে চুল শুকাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি সিঁড়ির দিক থেকে এক অদ্ভুত ঠান্ডা বাতাস আসছে। অস্বস্তি লাগলো, তাই দ্রুত নিচে নেমে ঘরে চলে এলাম।
এরপর থেকেই আমার শরীরে অজানা জ্বর দেখা দিলো—যে রকম জ্বর আমার জীবনে আগে কখনো হয়নি।
আম্মু বললো, এলাকার ফার্মেসির ডাক্তার চৌধুরী আঙ্কেলকে দেখাতে। ওষুধ খাওয়ার পরও কোনো উন্নতি হলো না। উনি পরামর্শ দিলেন আজিমপুরে ঢাকা মেডিকেলের এক ডাক্তারের কাছে যেতে।
আব্বু আমাকে নিয়ে আজিমপুরের এক ছোট্ট ক্লিনিকে গেলেন। সেদিন ডাক্তার দেরি করছিলেন, তাই সিরিয়াল দিয়ে আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম।
ক্লিনিকের পাশেই কবরস্থান। আব্বু বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। আমি অজান্তেই কবরস্থান থেকে একটা জবা ফুল ছিঁড়ে নিলাম। তখন মাগরিবের আজান হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় একজন বললো—
“মাইয়া, ফুল ছিঁড়ো না!”
আমি ঘুরে তাকালাম—কেউ নেই। বুকটা কেমন যেন দম বন্ধ হয়ে গেল। ফুল হাতে নিয়েই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। আব্বু যখন জিজ্ঞেস করলেন ফুল কোথা থেকে আনলাম, আমি ভয়ে কিছু বলতে পারলাম না।
সেই রাত থেকে জ্বর আরও বেড়ে গেল। মাথা ঘুরে দাঁড়াতে পারছিলাম না। আব্বুর কোলে ভর করেই বাসায় ফিরতে হলো।
আম্মু সারারাত ভেজা পট্টি দিলেন। ওষুধ খেলেই জ্বর কমে, আবার বেড়ে যায়। ধীরে ধীরে মুখ বেঁকে গেল, কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছিল।
পরদিন আব্বু ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি করালেন। ডাক্তার থেরাপি দিলেন, কিন্তু তেমন উন্নতি হচ্ছিল না। বিলও প্রচুর বেড়ে যাচ্ছিল। একসময় আব্বু আমাকে বাসায় নিয়ে এলেন।
এরপর এলাকার এক আন্টির কাছে গেলাম—যিনি আসনে বসতেন। উনি বললেন, “ওর উপর কিছু লেগেছে।”
জিজ্ঞেস করার পর আমি স্বীকার করলাম—“হ্যাঁ, আমি কবরস্থান থেকে ফুল ছিঁড়েছি মাগরিবের সময়।”
তখন উনার জিন জানালো—
👉 আমাকে সাবধানে রাখতে হবে।
👉 প্রতি সন্ধ্যায় আগরবাতি, ছাই আর কবরস্থানের মাটি দিয়ে মুখে মালিশ করতে হবে।
👉 খিচুড়ি রান্না করে সবাইকে খাওয়াতে হবে, সাথে ছয় রকম ফল আনতে হবে।
আমাদের পুরো পরিবার এক অদ্ভুত ভয়ের মধ্যে পড়ে গেল। জীবনে কখনো ভাবিনি, এমন ভয়ংকর কিছু আমাদের সঙ্গে ঘটতে পারে।
লেখা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে…
এরপর যা ঘটলো, সেটাই আরও ভয়ঙ্কর। সেটা আমি পরের অংশে লিখবো…