17/09/2025
সূরার মূল ব্যাখ্যা
আয়াত ১: إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ (নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি)
এই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-কে প্রচুর নিয়ামত ও কল্যাণ প্রদানের কথা ঘোষণা করেন।
'কাওসার' (الكوثر) দ্বারা মূলত জান্নাতের একটি বিশেষ ঝর্ণা বা নদীকে বোঝানো হয়েছে, যা দুধের চেয়ে সাদা, মধুর চেয়ে মিষ্টি এবং যার পানি পান করলে তৃষ্ণা দূর হয়ে যায়।
এছাড়াও, এটি নবী (সাঃ)-এর আধ্যাত্মিক সন্তান অর্থাৎ উম্মতের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাঁর সুখ্যাতির প্রাচুর্যকেও বোঝায়।
আয়াত ২: فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ (অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন)
আল্লাহর এই নেয়ামতের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নবী (সাঃ)-কে তাঁর ইবাদত করতে এবং আল্লাহর জন্য কোরবানী করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আয়াত ৩: إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَرُ (নিশ্চয় আপনার শত্রুরাই হবে হতভাগ্য, নাম-নিশ্যহীন)
এই আয়াতে বলা হয়েছে যে, যারা নবী (সাঃ)-এর বিরোধিতা করে এবং তাকে উপহাস করে, তাদেরই কোনো উত্তরসূরি থাকবে না এবং তারা ইতিহাস থেকে মুছে যাবে।
সূরার শানে নুযূল (নাজিলের প্রেক্ষাপট)
মক্কার কাফেররা যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর পুত্রসন্তান মারা যাওয়ার পর তাঁকে বংশহীন ও বিচ্ছিন্ন বলে উপহাস করছিল, তখন আল্লাহ তায়ালা এই সূরা নাজিল করে তাঁর প্রতি সান্ত্বনা দেন এবং তাঁর শত্রুদের জন্য কঠোর বার্তা দেন।