
14/09/2024
ইসলামী আইনের স্বপ্নদ্রষ্টা জেনারেল জিয়াউল হক, যিনি ৩০ লাখ বাঙালি হত্যার অন্যতম নরপিশাচ পশ্চিমা দালাল স্যাকুলার জুলফিকার আলি ভুট্টো কে ১৯৭৭ সালে ক্ষমতাচ্যুত ও পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন।
➡️পাকিস্তানে কমিউনিস্ট স্যাকুলারদের বিরুদ্ধে তার জিরো টলারেন্স নীতি ছিল।পশ্চিমা আদর্শে স্যাকুলারবাদী সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে - ইসলামীয় ঐতিহ্যগত ভাবে মজলিস - ই - শূরা গঠন করেন, সেখানে ৩৫০জন সদস্য ছিল, দেশবরেণ্য আলেম, উলমা, শিক্ষাবীদ, অর্থনৈতিবীদ অনন্য পেশার লোকজন ছিল। মুসলমানদের নামাজ রোজা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।
➡️জিয়াউল হক সুদ চক্রমুক্ত অর্থনীতিতে বিশ্বাস করতেন।তার সময়ে পাকিস্তান জিডিপি ছিল সর্বোচ্চ। 1977 থেকে 1986 সালের মধ্যে, দেশটি 6.8%-এর গড় বার্ষিক বৃদ্ধি পেয়েছিল - যা সেই সময়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ - অর্থনৈতি ইসলামীকরন সুদ মুক্ত করার লক্ষ্যে, শিল্প প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ শুরু করেছিলেন।
➡️।1980 সালের আইনে ইসলামিক ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তিন বছরের কারাদণ্ড ছিল। নাস্তিকতাবাদী সকল বই লাইব্রেরি থেকে সরিয়ে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন। পাবলিক স্কুল, কলেজ এবং রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জনসমক্ষে মহিলাদের জন্য তাদের মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক ছিল।
জুলফিকার আলি ভুট্টো পাকিস্তান কে পশ্চিমা নোংরা সংস্কৃতিতে পরিপূর্ণ করেছিলেন যেমন নাইট ক্লাব, অশালীন পোশাক সবকিছু নিষিদ্ধ করা হয়।
বিচারের শাস্তির ক্ষেত্রে পশ্চিমা পদ্ধতি বাদ দিয়ে, ইসলামি শরিয়া পদ্ধতি ব্যাবহার শুরু করেন - ( পাথর নিক্ষেপ, অঙ্গহানী, বেত্রাঘাত ইত্যাদি)
➡️
জিয়াউল হকের আদেশে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় মাদ্রাসাগুলো প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায় [ তাদের সংখ্যা 893 থেকে বেড়ে 2,801-এ পৌঁছেছিল। অধিকাংশই মাদ্রাসা ছিল দেওবন্দী, দারিদ্র্য শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয় জাকাত বোর্ড থেকে পড়াশোনার খরচ দেওয়া হতো।
১৯৮২ সালে পাকিস্তানে আহমদিয়া সম্পদায় কে অমুসলিম ঘোষণা করে 298B আইন পাশ করেন। ↔️
তার সময়ে পাকিস্তান পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়ার কার্যক্রমে দ্রুত এগিয়ে যায়।▶️ ১৯৭৯ সালে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া) আফগানিস্তানে আক্রমণ করে, জেনারেল জিয়াউল হক সরাসরি সোভিয়েতের বিপক্ষে অংশ নেয়, আফগান মুজাহিদ মুসলমানদের বাঁচাতে সর্বত্বক চেষ্টা করেন। প্রক্সি ও পরোক্ষ যুদ্ধে সোভিয়েত কে আফগান ছাড়া করেছিলেন।
এই মহান পুরুষ ষড়যন্ত্রমূলক বিমান দূর্ঘটনায় ১৭ আগষ্ট ১৯৮৮ শহিদ হোন।
প্রায় এক মিলিয়ন শোকার্ত মানুষ "জিয়া উল-হকের জানাযায় অংশ নেয়। পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ মসজিদ প্রাঙ্গণে চির শায়িত আছেন।
পাকিস্তানের ইতিহাসে তার নাম মুছে ফেলা হয়েছে, তবে সাধারণ পাকিস্তানিরা এখনো একজন জিয়াউল হক কে খুঁজে বেড়ায়। ইতিহাসের খলনায়ক হয়েও তিনি।নায়ক হয়ে আছেন।