23/06/2025
,,,,,,
কোন একটা জাতি বা গোষ্ঠী যদি উন্নতি করতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই নিজের খাদ্য নিজে উৎপাদন করা শিখতে হবে, খাদ্যের জন্য অন্যের উপর নির্ভরশীল হওয়া যাবে না কখনোই।
কিন্তু আমাদের So called সভ্য সমাজে কি শিক্ষা দেওয়া হয়?
ছোট্ট ছেলেকে বাবা শিখায় ওই দেখো কৃষক মাঠে কাজ করছে দেখছো ওদের কত কষ্ট ওদের গায়ে জামা নাই পরনে ছেঁড়া লুঙ্গি রোদে পুড়ে কাট হয়ে যাচ্ছে, অসুস্থ, ঠিকমতো খেতে পায় না, কত কষ্ট করে ওরা জীবন যাপন করে।
এটা না বলে যদি এভাবে বলতো যে দেখেছো বাবা ওরাই হচ্ছে আমাদের দেশের মেইন চালিকাশক্তি আমাদের সবার মুখে খাবার এনে দেওয়ার জন্য ওরা দিনের পর দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ওরাই আসল সৈনিক আসল বীর। তুমি কি বড় হয়ে বীর হতে চাও?
তাহলে কৃষিকাজ শিখতে হবে।
দিনের পর দিন আমাদের সবাইকে যেভাবে কৃষি বিমুখ করা হয়েছে সেখান থেকে আমাদের এখন নতুন প্রজন্ম সবাই গ্রাম থেকে শহর মুখী। হাজার হাজার একর ফাঁকা জায়গা অতীত পড়ে আছে চাষ করার মত মানুষ নেই আর আমরা বাইরে থেকে খাবার আমদানি করি।
নতুন করে কেউ যদি কৃষির দিকে অগ্রসর হতে নেয় তার দিকে আসে নানান রকম বাধা পারিবারিক চাপ, সামাজিক চাপ। যার কারণে অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও এখান থেকে আবার ব্যাক ফুটে চলে আসতে হয়। একটা জাতিকে নষ্ট বা শেষ করার জন্য এটা একটা নীরব যুদ্ধ কৌশল।
শহরকেন্দ্রিক মানুষ গুলোর জন্য আমার পরামর্শ ১০ মাস শহরে থেকে ২.৫ মাস গ্রামে গিয়ে নিজের জমিতে চাষ করা শিখুন, নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করুন এতে করে যেমন পরিবারের চাহিদা মিটবে তেমনি বাড়তি রোজগারের ব্যবস্থা হবে। আড়াই মাস কেন বললাম কারণ প্রতি মাসে আপনার যদি ছয় দিন করেও ছুটি থাকে 12 মাসে আড়াই মাসই ছুটি। এর মধ্যে কিছু এদিক-সেদিক করে যদি বাড়তি ছুটি ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে তো আর কথাই নেই।
একটাই কথা বলতে চাই নিজের দেশকে যদি ভালোবাসেন যদি চান যে পরের প্রজন্ম আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক তাহলে কৃষিকাজের দিকে ফোকাস দিন। এর কোনই বিকল্প নেই।
---- মোঃ আবু নাঈম
গেরস্তের ঘর / Gerosteyr Ghor