02/08/2024
মহান আল্লাহ তোমাকে শহীদী মর্যাদা দান করুন। আমীন।
·
নিশ্চয়ই দেখেছেন ট্যাঙ্কের উপর থেকে ফেলা মানুষটিকে যে হয়তো তখনও বেঁচে ছিলো! মানুষটির নাম "শেখ আসহাবুল ইয়ামিন" ছাএ ভাইটার লাশ*টা বারবার চোখের সামনে ভাসছে!
ভাইটা রোজা অবস্থায় ছিল, আপন সাথীরা তাঁর ব্যাপারে কল্যাণের সাক্ষ্য দিচ্ছে।আল্লাহ তাকে মাফ করুন, জান্নাতবাসী করুন। আমীন।
"আমার বন্ধু ইয়ামিন আর নাই। আমার রুমমেট আর নাই। ওসমানী হল রুম নং ৬১৯ আর নাই। আমার রাত ৩.০০ টায় আড্ডা মারার সাথী আর নাই আমার সাথে কাচ্চি শেয়ার করার সাথী আর নাই আমার হিউমারলেস জোকে হাসার সাথী আর নাই! আমাকে গেমের কাহিনি বলার সাথী আর নাই। আমাকে বাসা থেকে আনা খাবার দেওয়ার সাথী আর নাই! আমার ভুল গুলা ধরায় দেওয়ার সাথী আর নাই! আমি ইয়ামিনের আম্মুকে কি বলবো ইয়ামিনের সাথে আমার সকালেই কথা হইছে পরে ওর বোন আমাকে বলে ও বাসায় নাই।
ইয়ামিনের আম্মুকে কি বলবো আমি? ওর আব্বু ওকে বাইরে পরতে পাঠাইতে চাইছিলো। ওর আব্বুর ব্যাবসা ওর দেখার কথা ছিলো।
তোমরা ইয়ামিনের কি জানো? ওর সব কথা ও আমাকে বলতো। আমি আমার পুরা ২২ বছরের জীবনে ওর সাথে সবচেয়ে বেশি কথা শেয়ার করছি। আমার সব সমস্যার প্র্যাক্টিকাল সমাধান ছিলো ওর কাছে।
ইয়ামিন বুয়েটে চান্স পাইছিলো, মেডিকেলেও পাইছিলো, ও ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, আমি না পড়লে টেনে নিয়ে যাইতো।ও সুন্নাত পালনের জন্য রোজাও রাখতো ছাত্র অবস্থাতেই। ইয়ামিন সেদিন বৃহস্পতিবার রোজা ছিলো। রোজা অবস্থাতেই সে জোহরের নামায মসজিদে পড়ে ছাত্রদের বাঁচাতে যেয়ে নিজে গুলি খেয়ে শহীদ হয়।
ওর আব্বুর পুরা ফ্যামিলি নিয়ে মালয়েশিয়াতে শিফট করার কথা ছিল কিন্তু তারা যায় নি, ইয়ামিনের দেশপ্রেমের জন্য।ওকে ফিউচারের কথা জিজ্ঞেস করলে ও বলতো, ও খুব সিম্পল লাইফ চায় আজীবন।শুনে অনেক রাগ উঠতো আমার। অনেক পটেনশিয়াল ছিলো ওর মধ্যে। আমাকে সবসময় বলতো মানুষকে আমার ক্রিয়েটিভিটি দেখানো উচিত।
আমি ওকে শেখ ইয়ামিন বলতাম কারণ আমার জীবনের সব সমস্যার উত্তর ওর কাছে ছিল। আর দেখবোনা ইয়ামিনকে মৃদু নিষ্পাপ মিষ্টি হাসি মুখটা নিয়ে সবার শেষে হলের ডায়নিং এর খাবার খেতে বসতে।আর দেখবোনা হাস্যজ্জোল মায়াবী মুখটা সবার সব সমস্যার সহজ বুদ্ধিদীপ্ত সমাধান করে দিচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে।তার কাছে গেলে কেমন শান্তি শান্তি লাগতো। নিজে সবচেয়ে বিনয়ী হয়ে যেমন সবার সমস্যার সমাধান দিতো, তেমনভাবেই ছাত্রদেরও!
#কপি Fatima Sheikh