28/09/2025
স্কোলিওসিস | মেরুদণ্ডের এই সমস্যা নিয়ে জানা আছে কি?
========================================
স্কোলিওসিস (Scoliosis) হলো মেরুদণ্ডের একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ বাঁকা হয়ে যাওয়া সমস্যা। সাধারণত মেরুদণ্ড সোজা উপরের দিক থেকে নিচ পর্যন্ত নেমে আসে। কিন্তু স্কোলিওসিসে মেরুদণ্ড S-আকৃতি বা C-আকৃতিতে বাঁকা হয়ে যায়।
স্কোলিওসিস সম্পর্কে কিছু মূল তথ্যঃ
🔹 কারণসমূহ
অনেক সময় নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না (Idiopathic scoliosis) – বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
জন্মগত (Congenital scoliosis) – জন্মের সময় থেকেই মেরুদণ্ডে গঠনগত সমস্যা।
স্নায়বিক বা পেশির অসামঞ্জস্য (Neuromuscular scoliosis) – যেমন সেরিব্রাল পালসি, মাংসপেশির দুর্বলতা ইত্যাদি কারণে।
বয়সজনিত (Degenerative scoliosis) – বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া বা আর্থ্রাইটিসের কারণে।
🔹 লক্ষণ
কাঁধ বা কোমরের উচ্চতায় পার্থক্য দেখা যাওয়া
শরীর একপাশে ঝুঁকে যাওয়া
মেরুদণ্ডে বাঁক চোখে পড়া
অনেক ক্ষেত্রে ব্যথা হতে পারে (বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্কদের)
দীর্ঘমেয়াদে শ্বাস-প্রশ্বাস বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলতে পারে
🔹 নির্ণয়
শারীরিক পরীক্ষা (দাঁড়ানো বা সামনে ঝুঁকে দেখা)
এক্স-রে (X-ray) – বাঁক কত ডিগ্রি সেটা নির্ণয়ের জন্য
🔹 চিকিৎসা
হালকা মাত্রায় (১০-২০ ডিগ্রি বাঁক) → নিয়মিত পর্যবেক্ষণ
মাঝারি মাত্রায় → ব্রেস বা করসেট ব্যবহার
গুরুতর মাত্রায় (৪০-৫০ ডিগ্রির বেশি) → অস্ত্রোপচার (Spinal fusion surgery) প্রয়োজন হতে পারে
🔹 জীবনযাত্রা ও যত্ন
নিয়মিত ব্যায়াম (বিশেষ করে ফিজিওথেরাপি)
সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখা
চিকিৎসকের পরামর্শমতো ফলো-আপ
👉 বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের স্কোলিওসিস ধীরে ধীরে বেড়ে যায়, তাই সময়মতো শনাক্ত করা ও চিকিৎসা শুরু করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।